কোটাবিরোধী আন্দোলন
পুরানা পল্টন থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ
পূর্বঘোষিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনে জড়ো হওয়া বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে ইউএনবির ফটোগ্রাফার জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাত সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আটক এবং 'চলমান আন্দোলন প্রত্যাহারে চাপ' দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা সমাবেশ করছিলেন। ।
এছাড়া মিরপুর ১০ নম্বর মোড় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের জমায়েতের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার রাতে ডিবি হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিবৃতি দিয়ে তাদের নয় দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
৩ মাস আগে
দেশজুড়ে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে 'স্টুডেন্ট মুভমেন্ট এগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন' দেশব্যাপী ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাটডাউন চলাকালে দেশব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে সে বিষয়ে জানানো হবে বলেন শরিফুল ইসলাম।
৩ মাস আগে
কোটা সংস্কার: শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ
সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আবারও শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
তবে ঢাকার বাইরে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে মিছিল করার ঘোষণা দিলেও শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: রায়ের কার্যকরী অংশ প্রকাশ
এর আগে বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। পরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে যুক্ত হন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে দেশব্যাপী ক্যাম্পাসে মিছিল করার ঘোষণা দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখার কোটা পদ্ধতি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলে ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রেতাত্মারা: আইনমন্ত্রী
৩ মাস আগে
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি)। কারণ, তারা মনে করে সীমিত সংখ্যক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন লোক ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটার কোনো প্রয়োজন নেই।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলাম। এখন যে আন্দোলন চলছে তাতেও আমরা সমর্থন দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি ছাত্রদলের সমর্থনের কথা জানান নাসির।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল মনে করে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে, তার মাধ্যমে কোটা সংস্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত সমাধান হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য হলো, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য খুব সীমিত সংখ্যক কোটা ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
আরও পড়ুন: অসুস্থ খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের প্রতিহত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সফল হবে বলে তারা আশাবাদী।
নাছির বলেন, ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি না জানিয়ে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু অবৈধ প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার না করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ইচ্ছাকৃতভাবে কোটা বাতিল করেছেন।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন আদালতকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের রায় তার পক্ষে নিয়ে গেছেন, তেমনি একটি মীমাংসিত বিষয়ও তিনি এখন বিচার বিভাগের মাধ্যমে কোটা পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গত ১০ থেকে ১২ বছরে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ থেকে ১৩ হাজার নেতা-কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধাদের জাল সনদ দিয়েছে।
নাছির বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধার্থে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা আছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে এই ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ সরকার যে গুম ও হত্যার সংস্কৃতি চালু করেছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্যও আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান।
রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা কলেজের সকল নেতাদের আমি বলছি, আপনার কলেজের সহপাঠী আতিকুর রহমান রাসেলকে গুম করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আপনারাও তার অবস্থান জানতে চাইবেন।’
ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধান চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, গত ১ জুলাই রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ রাসেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি, সরকারের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ফখরুল
রাকিব বলেন, কোনো অভিযোগ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই রাসেল নিখোঁজ হয়েছেন। ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রদল ভয় পায় না। ছাত্রদলের একজন নেতাকর্মীও ভয় পায় না। রাসেলের সন্ধান চাইতে রাস্তায় নামবে ছাত্রদল।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘রাসেল ১২ দিন ধরে নিখোঁজ। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। রাসেলের পরিবারও খুব কঠিন সময় পার করছে।’
রাসেল নিখোঁজের বিষয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেরি না করে রাসেলকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া না হলে আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বকুল।
সংবাদ সম্মেলনে রাসেলের বাবা আবুল হোসেন সরদারও তার প্রিয় ছেলেকে নিরাপদে ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
রাসেলের বাবা আবেগাল্পুত হয়ে বলেন, 'আমি ১১ দিন ধরে খুব অসুস্থ ছিলাম কারণ আমি খেতে বা পান করতে পারি না। আমার দুই ছেলে আছে, একজন বিদেশে থাকে, আরেকজন পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকে। কিন্তু এখন আমরা তার অবস্থান জানি না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত ২ জুন লালবাগ থানায় জিডি করি। কিন্তু এখনও তার কোনও সন্ধান মেলেনি। আমরা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’
সরদার উল্লেখ করেন, ১১ দিন আগে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় রাসেল নিখোঁজ হন। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে ১১ দিন ধরে কোথায় আছে, কী খাচ্ছে জানি না। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই। আমি জানি না আমার ছেলে কী অপরাধ করেছে... রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসন দেশকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
৩ মাস আগে
সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোটার বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার পর সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কমিশন গঠন করা হবে কি না- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আদালতের বিষয় আদালতে সমাধান হোক। এই সমাধানের পর যদি আরও কিছু আলোচনা করতে হয় সেটি আলোচনা করার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা করা লাগে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী বিভাগের অংশ। এটি এখন আদালতে রয়েছে। বিচার বিভাগে কোনো বিষয় থাকলে সেটি বিচার বিভাগেই নিষ্পত্তি করতে হয়।'
বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেটি যেখানে নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন সেটি সেখানে নিষ্পত্তি করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কথা শুনে আদালত যে রায় দিয়েছে, এখানে কিন্তু সুযোগ রয়ে গেছে, প্রধান বিচারপতি সেই আহ্বান জানিয়েছেন। আদালত হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে আপনার কথা শুনে আসলে কী করতে হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।'
তিনি আরও বলেন, ‘কোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করে, ব্যারিকেড দিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা- এটি অনুচিত ও অযৌক্তিক।'
কিছু কুচক্রী, কোনো পরামর্শদাতা বা কারো ইন্ধনের কারণে পানির মতো একটি সহজ জিনিসকে জটিল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ হোসেন।
কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন ভিন্ন জায়গায় না যায় সে বিষয়ে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যথাযথ জায়গায় যাবেন। আপনাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। আমি মনে করি সুন্দরভাবে সেটি সমাধান হওয়া সম্ভব।'
একটি গোষ্ঠী দেশের উন্নয়নের সমালোচনা করে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
কারা শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, যারা সেই সময়ে দেশে লুটপাট করেছে, যারা দেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তারা চাচ্ছে না। তারা বসে আছে যেকোনো বিষয়কে পুঁজি করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে।'
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসে মাত্র ১৭ শতাংশ নারীরা সুযোগ পেয়েছেন। ৪০তম বিসিএসে ৫৯ জেলা থেকে পুলিশে একজন নারী ও চাকরির সুযোগ পাননি। ১৭টি জেলায় নারী-পুরুষ কেউই সুযোগ পায়নি। এরকম যদি হয়, তাহলে একটা অসমতা তৈরি হয়। কোটার সংস্কার দরকার। কোটা কতটুকু থাকবে সেটা আলোচনা হতে পারে।’
উল্লেখ্য, বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে সরকার। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি হাইকোর্ট সেই পরিপত্র বাতিল করে। এতে ফের কোটা বাতিলে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে কোটা বাতিলের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগ। এরপরও আন্দোলন থেকে সরে আসেনি শিক্ষার্থীরা।
৩ মাস আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কঠোর ‘বাংলা ব্লকেড’
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন 'বাংলা ব্লকেড’-এর অংশ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন প্রধান মোড়গুলোতে কঠোর অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৮ জুলাই) আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র সারজিস আলম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফার্মগেট মোড়ের অবরোধ তুলে কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটর হয়ে শাহবাগে জড়ো হবেন তারা।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ও শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থীরা চাঁনখারপুল মোড় ও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার সংলগ্ন র্যাম্প অবরোধ করে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে।
একই সঙ্গে পল্টন মোড় ও শিখা চত্বর অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা।
৩ মাস আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলন অযৌক্তিক, বিষয়টি বিচারাধীন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি বিচারাধীন বিষয়।
তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার সময় নষ্ট করে আজকে আন্দোলনের নামে যা করা হচ্ছে, তার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।’
রবিবার (৭ জুলাই) যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
২০০২ সালের ৬ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আমরা একসময় চাঁদে যাব, এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে: শিশুদের প্রধানমন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা ঠিক নয় এবং এটি বিচারাধীন বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যদি হাইকোর্ট কোনো বিষয়ে রায় দেন, তাহলে সেটার যেকোনো পরিবর্তন আবার হাইকোর্ট থেকে আসতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এর আগে ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছিল কিন্তু গত কয়েক বছরে বিভিন্ন জেলার, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এমনকি নারীরাও চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে কোটা পদ্ধতির কারণে বিপুল সংখ্যক মেয়ে চাকরি পেত, গত কয়েক বছরে মেয়েদের সে সুযোগ মেলেনি।
কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া মেয়েদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে। এর আগে যারা (২০১৮) আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তাদের মধ্যে কতজন (মেয়ে) পিএসসি পরীক্ষায় বসেছিল এবং তাদের মধ্যে কতজন উত্তীর্ণ হয়েছিল, তার হিসাব বের করা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের আগে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী সরকার সবার জন্য পেনশন স্কিম চালু করেছে।
নিরাপদ বার্ধক্য জীবনের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যোগ দিতে যুব মহিলা লীগসহ সব রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'যদি তারা যোগ দেয় তাহলে তাদের অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হবে না এবং বৃদ্ধ বয়সে সন্তানদের বোঝা হতে হবে না।’
যুব মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের পর থেকে জনগণ পরপর আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তাই আমরা বারবার ক্ষমতায় এসেছি। আমরা নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে উঁচু অবস্থানে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট কারচুপির জন্য খালেদা জিয়াকে জনগণ দুইবার ক্ষমতাচ্যুত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া গর্বের সঙ্গে বলেছিলেন যে তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ভোট চোরদের বহিষ্কার করেছে। ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চের মাত্র দেড় মাসের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্র মেনে না নেওয়ায় বিএনপিকে আবারও (২০০৬ সালে) ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয় এবং নির্বাচন (২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির নির্বাচন) বানচাল হয়।
বিএনপি সরকারের দুঃশাসনকে জনগণের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশে যাতে তাদের অপশাসন আবার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'বঙ্গবন্ধু কর্নার' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৩ মাস আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলন: দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ ও অন্যান্য কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
বিক্ষোভের কারণে শাহবাগ ও এর আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।
৪ মাস আগে