রেলপথ অবরোধ
আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজসহ সাত দাবিতে কুষ্টিয়ায় রেলপথ অবরোধ
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অবরোধের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। এতে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচলে সাময়িক অনিশ্চয়তা ও শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।
অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল গফুর, বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল করীম, উপজেলা জামায়াতের আমির রেজাউল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান, মিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমনসহ আরও অনেকে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন অবহেলিত। আন্তঃনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাই সকল বাধা দূর করে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়নের সাত দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক বলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা জেলা প্রশাসক শেষে জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে এলাকাবাসী বলেন, আজকেই সকল দাবি পূরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসলে অবরোধ কর্মসূচি চলতে থাকবে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।
১০ দিন আগে
বাকৃবির আর্থিক লেনদনকারী প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলালেন আন্দোলনকারীরা
দিনব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত সকল ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার পর শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত বেসরকারি পূবালী ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর তারা নতুন প্রশাসনিক ভবন ও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা দেন। তার আগে অবশ্য ভেতরে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের হওয়ার সুযোগ দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘টালবাহানার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
আরও পড়ুন: বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা বলেছিলাম আমাদের ছয় দফা দাবি মানা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন এবং ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা সবকিছুই বন্ধ। ক্যাম্পাসের ভেতরে চালু প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।
তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের দাবি আদায়ের কোনো আশ্বাস এখনো পাইনি। প্রশাসন যাতে দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেয় এজন্য আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
১১৪ দিন আগে
বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
ছয় দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় সারা দিনব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের জব্বারের মোড় এলাকা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন থেকেই ধীরে ধীরে বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন।
গতকাল সোমবার বেলা ২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যানসহ ছয় দফার আল্টিমেটাম দেওয়া হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত ছয় দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় আজকের এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো:
১. হল খালি করার নির্দেশনা প্রত্যাহার
২. আবাসিক হলের সব ধরনের সুবিধা সচল রাখা
৩. প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগ
৪. বহিরাগত হামলা ও নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনায় উপাচার্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা
৫. হামলায় জড়িত শিক্ষক ও বহিরাগতদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং
৬. একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি বাস্তবায়ন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলোকে অবহেলা করছে।
১১৪ দিন আগে
কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে এবার ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে রেললাইন অবরোধ তুলে নিলে ঢাকা ময়মনসিংহ রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এর আগে সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০
বাকৃবির পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিবলী বলেন, টানা ২৫ দিনের মতো ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আয়োজিত ভোটে আমরা জয় লাভ করার বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। গতদিন আমরা প্রশাসনকে ১২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা রেলপথ অবরোধ করেছি। তবে কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলন দ্রুত ও কার্যকরভাবে সমাধানের লক্ষ্যে ৮ সদস্যের কমিটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে আগামী রবিবার সকাল ৯টায় বৈঠকে বসবেন, পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলন দ্রুত ও কার্যকরভাবে সমাধানের লক্ষ্যে গঠিত ৮ সদস্যের কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান এবং সদস্য সচিব ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার এবং বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম।
১২৬ দিন আগে
লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথে অবরোধ, ৫ দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ
লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথে প্রতিদিন চারটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। তবে বুড়িমারী-ঢাকা রুটে আন্তনগর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেন সরাসরি চালুর দাবিতে রেলপথ অবরোধ শুরু করলে এ রুটে গত পাঁচ দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
গত সোমবার থেকে পাটগ্রাম স্টেশনে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয়রা। এতে করে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
অবরোধকারীরা বলেন, ২০২৪ সালের ১২ মার্চ আন্তনগর ট্রেনটি সরাসরি বুড়িমারী থেকে যাত্রা করে। একদিন পর ১৩ মার্চ থেকে আবার লালমনিরহাট থেকে চলাচল শুরু করে। ফলে বুড়িমারীর যাত্রীদের একটি শাটল ট্রেনে লালমনিরহাটে গিয়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
পাটগ্রাম সংগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি এ টি জে সিদ্দিকী বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে সরাসরি আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবি করা হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অন্তত পাঁচবার দিন-তারিখ উল্লেখ করে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালুর প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ট্রেনটি চালু না হওয়ায় আবার অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
জানতে চাইলে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিএম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আন্তনগর ট্রেনটি বুড়িমারী-ঢাকা রুটে সরাসরি চালুর প্রস্তুতি আছে। তবে এজন্য অনেক কিছুর অ্যারেঞ্জমেন্ট থাকতে হবে। সবকিছুর কাজ চলছে।’
বুড়িমারী রেলস্টেশনে ট্রেনযাত্রী সাইফল ইসলাম (৫০) জানান, লালমনিরহাট-বুড়িমারী ৮৪ কিলোমিটার রেলপথে স্টেশন আছে ১৩টি। এ রুটে প্রতিদিন চারটি ট্রেন চলাচল করে। তারা সবসময় ট্রেনে যাতায়াত করেন। কম খরচে নিরাপদভাবে তারা ট্রেনে যাতায়াত করছেন। কিন্তু টেন চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে, সময়ও লাগছে বেশি। এখন ট্রেন ভাড়ার চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি টাকা খরচ করে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পাটগ্রাম রেলস্টেশনের মাস্টার নুর আলম বলেন, ‘সোমবার থেকে রেলপথ অবরোধ চলায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই রুটে সকাল, দুপুর, বিকাল ও রাতে চারটি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে।’
‘বুড়িমারী-ঢাকা রুটে আন্তনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস সরাসরি চালুর দাবিতে স্থানীয়রা সোমবার থেকে লাগাতার রেলপথ অবরোধ করছেন। আন্তনগর ট্রেনটি কবে থেকে সরাসরি চালু হবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন।’
২৪৪ দিন আগে
কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাকৃবির জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে রাখেন তারা।
আরও পড়ুন: পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এসময় মোহনগঞ্জগামী মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা থেমে থাকে। এতে শতশত ট্রেন যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন।
মিছিলটি বাকৃবির কে. আর মার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ভবন ঘুরে জব্বারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী বাদে সব কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানায়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা ছাড়া আর কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। মেধাবীদের প্রতিযোগিতার মাঠ সমান্তরাল করতে হবে। মেধাবীরা বেকার থাকলে দেশ পিছিয়ে যাবে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমতা সবার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। বর্তমানে আবার পুরনো সেই কোটা প্রথা ফিরিয়ে আনার যে প্রয়াস দেখা যাচ্ছে তাতে এই মৌলিক অধিকার লাভের পথ ব্যাহত হবে। এমন বৈষম্যের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছে সচেতন ছাত্র সমাজ।
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেছিল। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাকৃবি শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও কর্মচারীদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন
কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবিতে আবারও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
৫৪০ দিন আগে