পেনাল্টি
বিতর্কিত পেনাল্টির যে ব্যাখ্যা দিলেন ভিএআর বিশেষজ্ঞ
ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ইংল্যান্ডের টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব ছাপিয়ে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে ফুটবলবোদ্ধা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।
ঘটনাটি ঘটে সপ্তদশ মিনিটে। এসময় বক্সের মধ্যে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল আদায় করতে চান ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। কিন্তু তিনি বলে শট নিতে গেলে তা বুট দিয়ে প্রতিহত করতে যান ডাচ ডিফেন্ডার ডেনসেল ডুমফ্রিস। তবে তার পা বলে ছোঁয়ার আগেই কেইনের শটটি নেওয়া হয়ে যায়, আর ডুমফ্রিসের শটে পায়ে দারুণ ব্যথা পেয়ে পড়ে গিয়ে কাতরাতে থাকেন কেইন।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
এ ঘটনায় শুরুতে রেফারি ফাউলই দেননি। তবে কিছুক্ষণ ম্যাচ চলার পর খেলার মধ্যে বাঁ হাত ঢোকায় ভিএআর। রেফারিকে সাইডলাইনের টিভি রিপ্লে দেখতে বলা হয়। টিভি রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
যদিও রিপ্লেতে সেটিকে ফাউল বলে মনে হচ্ছিল না, টিভি ধারাভাষ্যকারদেরও মতও ছিল তা-ই। আবার ওই মুহুর্তের আগমুহুর্তে বুকায়ো সাকার হাত ছুঁয়ে বল কেইনের কাছে যায়। ফলে পেনাল্টির আগেই সেটি হ্যান্ডবল ছিল।
তবে রেফারির সিদ্ধান্তই যেখানে চূড়ান্ত, সেখানে বিতর্ক হলেও রায় যায় ইংল্যান্ডের পক্ষে। আর স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান কেইন।
এরপর ম্যাচে আর গোল না হলেও নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ইংল্যান্ডকে ফাইনালে তোলেন অলি ওয়াটকিন্স।
৩ মাস আগে
ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড: ম্যাচজুড়ে যা হলো
প্রথমার্ধের সাদামাটা ফুটবলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল সুইজারল্যান্ড। বিশ মিনিট ধরে ইংল্যান্ডকে চাপে রেখে গোল পায় তারা, কিন্তু বুকায়ো সাকা সমতায় ফেরানোর পর টাইব্রেকারে পিকফোর্ডের সেইভে শেষ হাসি হেসেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরাই।
এর ফলে গতবারের মতো এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যদের।
পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের ১৩টি শটের বিপরীতে ১১টি শট নেয় সুইজারল্যান্ড, যার তিনটি করে লক্ষ্যে ছিল। বল দখলেও লড়াইয়ে ইংল্যান্ড সামান্য (৫২%) এগিয়ে থাকলে সমানে লড়াই করেছে সুইসরা।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
এদিন কৌশলে পরিবর্তন এনে কিরান ট্রিপিয়ার ও বুকায়ো সাকাকে অবস্থান পরিবর্তন করে মাঠে নামান গ্যারেথ সাউথগেট। এর মধ্যে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম সযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ডই। ডান দিকে দিয়ে দ্রুত উঠে বক্সের বাইরে থেকে কাইল ওয়াকারকে পাস দেন সাকা। ওয়াকার সেখান থেকে শট নিলেও সুইজারল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার মানুয়েল আকাঞ্জি শটটি ফিরিয়ে দেন।
এর পরের মিনিটে আক্রমণে ওঠে সুইজারল্যান্ড। বাঁ দিকে দিয়ে আক্রমণে যাওয়া ডান এনডয়েকে নিষ্ক্রিয় করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কোবি মাইনু। পরের মিনিটে সুইজারল্যান্ডের আরও একটি আক্রমণ ইংলিশ ডিফেন্সে প্রতিহত হয়। এবার সুইসদের হেডার বক্সের ভেতর থেকে ফেরান এস্টন ভিলার ইংলিশ ডিফেন্ডার এজরি কনসা।
এসময় সুইজারল্যান্ড আক্রমণে উঠলেই দুই/তিন স্তরের রক্ষণ তৈরি করছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড আক্রমণে উঠলে দলটির ফুটবলারদের জায়গা কমিয়ে সেসব আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করছিল সুইজারল্যান্ড।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে ডেকলান রাইসের দূরের একটি ভালো শট ঠেকিয়ে দেন সুইস ডিফেন্ডাররা। ১৬তম মিনিটে কোবি মাইনুর জোরালো শট সুইস রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর প্রতিপক্ষের ডি বক্সের মধ্যে চ্যালেঞ্জের পর পড়ে গিয়ে পেনাল্টি দাবি করেন হ্যারি কেইন। তবে তবে আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি দানিয়েল অরসাতো।
১৭তম মিনিটে আরও একবার একক নৈপুণ্যে আক্রমণে ওঠেন মাইনু, তবে তাও এগিয়ে এসে লুফে নেন ইয়ান জমার।
১৯তম মিনিটে সুইজার্যলান্ডের আক্রমণ ইংলিশ রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর ২১তম মিনিটে ডান দিকে বক্সের মধ্যে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেই গোলমুখে ক্রস দেন সাকা, তবে সেখানে নিজেদের কেউ না থাকায় আক্রমণটি বৃথা যায়।
২৫তম মিনিটে ভিড়ের মাঝ থেকে সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড। তবে শেষ বেলায় জন স্টোনস সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেন। এরপর বেশকিছু সময় ইংল্যান্ডের ডি বক্সের সামনে বল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন সুইসরা।
২৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদ করে ছয় গজ বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন সাকা, তবে সেখান থেকে শট নিলে সুইজারল্যান্ডের একজন ডিফেন্ডার দলকে বিপদমুক্ত করেন।
এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ফের আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। তবে কয়েক মুহূর্ত পর ফের বল দখলে নিয়ে আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড।
এসময় খেলা কিছক্ষণের জন্য ঝিমিয়ে যায়। দুই দলই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর ৪৫তম মিনিটে সাকার প্রচেষ্টায় একটি ভালো আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষণে কাটা পড়ে সে আক্রমণ। পরের মিনিটে দ্রুতগতিতে পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ড, তবে ইংল্যান্ডের ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। ফলে স্কোরবোর্ডে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুই বল।
৩ মাস আগে
মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলল দুর্বল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ম্যাচে ফিরে আরও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে একুয়েডর। এরপর ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়ালে প্রথম শটটিই মিস করেন লিওনেল মেসি। তবে ফের গোলরক্ষক দিবু মার্তিনেসের বীরত্বে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার সকালে একুয়েডরের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়া পর তা পেনাল্টিতে গড়ায়। এরপর শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচজুড়ে দুই দলের আক্রমণেই তেমন ধার খুঁজে পাওয়া যায়নি। বল দখলের লড়াইয়েও দুদল ছিল সমানে সমান (৫১/৪৯)। গোলের জন্য আর্জেন্টিনার আটটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে, অপরদিকে ৯টি শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে একুয়েডর।
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
শঙ্কা কাটিয়ে মেসির ফেরার দিনে ফাউল করে একুয়েডর ম্যাচ শুরু করার পর দুই দলই সাবধানে খেলা শুরু করে। আক্রমণ বারবার দিক পরিবর্তন করার পর ১৫তম মিনিটে প্রথম শট নেয় একুয়েডর।
মইজেজ কাইসেদোর বাড়ানো পাস বাঁ পাশ থেকে ৬ গজ বক্সের মধ্যে ধরে শট নেন ইয়েরেমি সারমিয়েন্তো। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো (দিবু) মার্তিনেস তা ঠেকিয়ে দেন। পরমুহূর্তে বক্সের ভেতর থেকে কেন্দ্রি পায়েসের শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা এড়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
পরের মিনিটে একুয়েডরের আরও একটি শট পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে এই তিনটি শটই নেন ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা।
এরপর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা। নাহুয়েল মলিনার ক্রস থেকে হেডারে গোল আদায়ের চেষ্টা করেন ডি বক্সের মাঝমাঝি থাকা এনসো ফের্নান্দেস। তবে তা ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এরপর ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ৩৪তম মিনিটে মেসির বাড়ানো পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে শট নেন এনসো, কিন্তু তার শটটি রক্ষণে প্রতিহত হলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে দূরের পোস্টের দিকে বল ঠেলে দেন আলেক্সিস মাক আলেস্তার। এরপর বাঁ পাশে ছয় গজ বক্সের মধ্যে থাকা লিসান্দ্রো মার্তিনেস লাফিয়ে উঠে বল জালিয়ে জড়িয়ে দেন।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটিই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। আর চলতি কোপার আসরে প্রথমার্ধে এই প্রথম গোল পেল আর্জেন্টিনা।
এরপর কোনো পাশে আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে না পেরে বিরতিতে যায় দুই দল।
৩ মাস আগে