বুকায়ো সাকা
দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর্সেনালের অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত
প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করেও জলের দেখা পেল না আর্সেনাল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে শুরুতেই গোল খেয়ে বসল তারা। তবে হতাশা ঝেড়ে ফেলে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মিকেল আর্তেতার দল।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে সাউদ্যাম্পটনকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেনাল।
ম্যাচের সবকটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৫তম মিনিটে ফরোয়ার্ড ক্যামেরন আর্চারের গোলে এগিয়ে যায় সাউদ্যাম্পটন। এর তিন মিনিট পরই আর্সেনালকে সমতায় ফেরান কাই হাভার্টস। এরপর ৬৮তম মিনিটে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে এগিয়ে যায় দলটি। আর ৮৮তম মিনিটে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন আগের দুই গোলে অবদান রাখা বুকায়ো সাকা।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
এই জয়ের পর ৭ ম্যাচে পাঁচটি জয় ও দুটি ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে, এমনকি গোল ব্যবধান এক থাকার পরও দ্বিতীয় স্থানে সিটি; আর ৬ জয়ে ১৮ পয়েন্ট চূড়ায় লিভারপুল।
আজকের ম্যাচটি জিতে চলতি মৌসুমে নিজেদের অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রাখল আর্সেনাল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দশ ম্যাচের কোনোটিতে হারের মুখে দেখেনি মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচ ড্র করা ছাড়া তারা জিতেছে বাকি সাতটি।
দশ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই ক্লিনশিট ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে আর্সেনাল। এই সময়ে প্রতিপক্ষের জালে ২২ বার বল পাঠিয়ে মাত্র ৭ গোল হজম করেছে গানাররা।
আরও পড়ুন: শীর্ষস্থান সংহত করার ম্যাচে আলিসনকে হারাল লিভারপুল
২ মাস আগে
ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড: ম্যাচজুড়ে যা হলো
প্রথমার্ধের সাদামাটা ফুটবলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল সুইজারল্যান্ড। বিশ মিনিট ধরে ইংল্যান্ডকে চাপে রেখে গোল পায় তারা, কিন্তু বুকায়ো সাকা সমতায় ফেরানোর পর টাইব্রেকারে পিকফোর্ডের সেইভে শেষ হাসি হেসেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরাই।
এর ফলে গতবারের মতো এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যদের।
পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের ১৩টি শটের বিপরীতে ১১টি শট নেয় সুইজারল্যান্ড, যার তিনটি করে লক্ষ্যে ছিল। বল দখলেও লড়াইয়ে ইংল্যান্ড সামান্য (৫২%) এগিয়ে থাকলে সমানে লড়াই করেছে সুইসরা।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
এদিন কৌশলে পরিবর্তন এনে কিরান ট্রিপিয়ার ও বুকায়ো সাকাকে অবস্থান পরিবর্তন করে মাঠে নামান গ্যারেথ সাউথগেট। এর মধ্যে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম সযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ডই। ডান দিকে দিয়ে দ্রুত উঠে বক্সের বাইরে থেকে কাইল ওয়াকারকে পাস দেন সাকা। ওয়াকার সেখান থেকে শট নিলেও সুইজারল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার মানুয়েল আকাঞ্জি শটটি ফিরিয়ে দেন।
এর পরের মিনিটে আক্রমণে ওঠে সুইজারল্যান্ড। বাঁ দিকে দিয়ে আক্রমণে যাওয়া ডান এনডয়েকে নিষ্ক্রিয় করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কোবি মাইনু। পরের মিনিটে সুইজারল্যান্ডের আরও একটি আক্রমণ ইংলিশ ডিফেন্সে প্রতিহত হয়। এবার সুইসদের হেডার বক্সের ভেতর থেকে ফেরান এস্টন ভিলার ইংলিশ ডিফেন্ডার এজরি কনসা।
এসময় সুইজারল্যান্ড আক্রমণে উঠলেই দুই/তিন স্তরের রক্ষণ তৈরি করছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড আক্রমণে উঠলে দলটির ফুটবলারদের জায়গা কমিয়ে সেসব আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করছিল সুইজারল্যান্ড।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে ডেকলান রাইসের দূরের একটি ভালো শট ঠেকিয়ে দেন সুইস ডিফেন্ডাররা। ১৬তম মিনিটে কোবি মাইনুর জোরালো শট সুইস রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর প্রতিপক্ষের ডি বক্সের মধ্যে চ্যালেঞ্জের পর পড়ে গিয়ে পেনাল্টি দাবি করেন হ্যারি কেইন। তবে তবে আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি দানিয়েল অরসাতো।
১৭তম মিনিটে আরও একবার একক নৈপুণ্যে আক্রমণে ওঠেন মাইনু, তবে তাও এগিয়ে এসে লুফে নেন ইয়ান জমার।
১৯তম মিনিটে সুইজার্যলান্ডের আক্রমণ ইংলিশ রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর ২১তম মিনিটে ডান দিকে বক্সের মধ্যে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেই গোলমুখে ক্রস দেন সাকা, তবে সেখানে নিজেদের কেউ না থাকায় আক্রমণটি বৃথা যায়।
২৫তম মিনিটে ভিড়ের মাঝ থেকে সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড। তবে শেষ বেলায় জন স্টোনস সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেন। এরপর বেশকিছু সময় ইংল্যান্ডের ডি বক্সের সামনে বল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন সুইসরা।
২৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদ করে ছয় গজ বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন সাকা, তবে সেখান থেকে শট নিলে সুইজারল্যান্ডের একজন ডিফেন্ডার দলকে বিপদমুক্ত করেন।
এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ফের আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। তবে কয়েক মুহূর্ত পর ফের বল দখলে নিয়ে আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড।
এসময় খেলা কিছক্ষণের জন্য ঝিমিয়ে যায়। দুই দলই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর ৪৫তম মিনিটে সাকার প্রচেষ্টায় একটি ভালো আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষণে কাটা পড়ে সে আক্রমণ। পরের মিনিটে দ্রুতগতিতে পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ড, তবে ইংল্যান্ডের ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। ফলে স্কোরবোর্ডে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুই বল।
৫ মাস আগে
টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
নিয়তি এবারও পিছু ছাড়ল না সুইজারল্যান্ডের। ইউরোর গত আসরে স্পেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল সুইসদের। এবারও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যদের।
শনিবার ডুসেলডর্ফে কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় ম্যাচে ১-১ সমতায় নির্ধারিত সময় শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। তবে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও স্কোরলাইন পরিবর্তন করতে না পারলে টাইব্রেকারে যায় গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড।
এর আগে, ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন সুইস ফরওয়ার্ড ব্রিল এমবলো। তবে তাদের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিট পরই দারুণ এক বাঁকানো শটে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান আর্সেনালের তরুণ প্রতিভা বুকায়ো সাকা।
৫ মাস আগে