বাংলা ব্লকেড
কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সীমা লঙ্ঘন করছেন বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভাবছেন তাদের চিন্তা-ভাবনা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেজন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশকে বলেছি, এদের কথা আমরা শুনব। কিন্তু শোনারও একটা সীমা বোধ হয় থাকে। তারা বোধ হয় এগুলো অতিক্রম করে যাচ্ছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত করা হয়েছে। চলমান মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তাই হাইকোর্টের নির্দেশনা (কোটা বহাল করে) এখন অচল, সেটি এখন নেই।'
রায় না থাকায় আন্দোলনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্ররা আদালতে নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারে। রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তারা যেটা চেয়েছিলেন সেই দিকেই তো যাচ্ছে।'
জনদুর্ভোগ না করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, 'তাদের দাবির প্রতি সরকার সব সময় খেয়াল রাখছে। যেহেতু বিষয়টি কোর্টে আছে এজন্য কোর্টের মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি হবে।'
৪ মাস আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সড়ক অবরোধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিএমপির
‘বাংলা ব্লকেড’র নামে যারা সড়ক অবরোধ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. মহিদ উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, সড়ক অবরোধের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা জারি করলেও কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা সারাদেশে 'বাংলা ব্লকেড' চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান ছাত্রলীগের
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ফের রাস্তায় নামার কর্মসূচি রয়েছে তাদের।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, 'গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়ে ২০১৮ সালের সার্কুলার বহাল রেখেছেন। ফলে সার্কুলারটি এই সময় পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তাই বিক্ষোভের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও সহানুভূতি আছে, কিন্তু বিদ্যমান আইন ও সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে আমি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করবেন না। ২০১৮ সালের সার্কুলার এখনও বলবৎ।’
ডিএমপির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'গতকাল আন্দোলনকারীরা ২১ জায়গায় অবরোধ দিয়েছে। ঢাকাবাসীর অবাধ চলাচল নিশ্চিত করে আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। যেহেতু আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন, আমরা আশা করছি আর জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে না।’
মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলনের একটি যৌক্তিক ভিত্তি থাকা উচিত। বর্তমানে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আন্দোলনকারীদের পক্ষেই। আন্দোলনে যুক্তি না থাকলে তা চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের এসব কর্মসূচি বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে ঢাকাবাসীসহ সবার উপকার হবে এবং আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।’
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে সরকারের পরিপত্র বলবৎ: কোটা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সড়ক বন্ধ থাকলে আমাদের সংবিধান অনুযায়ী চলাচলের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা এই অপরাধ করবে না আশা করছি। গত ১০ দিনে শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান বজায় রেখে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীরা আইন, নগরবাসী ও পুলিশের প্রতি এই শ্রদ্ধাবোধের প্রতিদান দেবে।’
বিক্ষোভ চলতে থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শান্তভাবে এই পরিস্থিতিগুলো সামলে নেওয়া আমাদের কাজের ধরন এবং এভাবেই কাজ করব। আমরা আশা করি, বিক্ষোভকারীরা তাদের অবস্থান বুঝতে পারবেন, বিশেষ করে আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে। যেহেতু ২০১৮ সালের সার্কুলার এখনও কার্যকর আছে, সেহেতু আন্দোলনের কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’, সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
৪ মাস আগে
বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস 'বাংলা ব্লকেড' পালন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে দেশব্যাপী 'বাংলা ব্লকেড' ঘোষণা করেছেন কোটা আন্দোলনকারীরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা আসিফ মাহমুদ।
এর আগে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীরা মূল সড়ক থেকে অবরোধ তুলে শাহবাগ মোড়ের দিকে মূল সমাবেশে যোগ দেয়।আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচির কারণে মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, 'আমাদের দাবি সরকারের কাছে, হাইকোর্টের কাছে নয়। আমরা উচ্চ আদালতের দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে চাই না বা ভোগ করতে চাই না। সরকার বা নির্বাহী বিভাগ সরাসরি আমাদের আশ্বাস দিলে আমরা সড়ক ত্যাগ করব। আমাদের রাস্তায় থাকার কথা নয়। এটা আমাদের জায়গা নয়। আমরা আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শিগগিরই পড়াশোনায় ফিরতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলা ব্লকেড: ঢাকাসহ সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
৪ মাস আগে
হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
সারা দেশে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’এর মধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রায়ের প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. ইরান মিয়া বলেন, ‘ছাত্রসমাজ এক দফা এক দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন করছে। আমরা ছাত্র সমাজ কোনো ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না।’
এক দফা দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবিটি হলো- সরকারি চাকরির নবম থেকে ২০তম সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিল করে শুধু অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ রাখতে হবে। সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: 'বাংলা ব্লকেড': ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
মহান জাতীয় সংসদের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মহান জাতীয় সংসদ নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে এটিকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এনে বিল আকারে উপস্থাপন করে আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
৪ মাস আগে
বাংলা ব্লকেড: ঢাকাসহ সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
রাজধানীর কারওয়ান বাজার লেভেল ক্রসিং ও মহাখালী লেভেল ক্রসিংয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড দেওয়ায় ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’র অংশ হিসেবে বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা লগ বসিয়ে লেভেলক্রসিং অবরোধ করেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস জানান, বেলা ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারসংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেন চলাচলে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানিম আহমেদ বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের আগের আদেশের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে এবং তা না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’, সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’, সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
সরকারি কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী 'বাংলা ব্লকেড' পালন করছে কোটাবিরোধীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ২টি পয়েন্টে অবরোধ করছে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের নথুল্লাবাদে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
অবরোধের কারণে সারাদেশের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মহাসড়কের ৫ কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: বুধবার সারা দেশে 'বাংলা ব্লকেড'
কুমিল্লায় বেলা ১১টার দিকে কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও খুলনার ব্রজলাল কলেজের (বিএল) শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে নতুন রাস্তা এলাকায় রাস্তা দখলে নেয়। তারা রেললাইন অবরোধ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এদিকে সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা জব্বার মোড় এলাকায় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস থামিয়ে রেললাইনে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাংলা ব্লকেডের সমর্থনে ক্যাম্পাসে মিছিলও করে তারা।
এর আগে মঙ্গলবার কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত 'বাংলা ব্লকেড’ চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল।
এ অবরোধের কারণে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে সড়ক ও রেলপথে যান চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাপক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: 'বাংলা ব্লকেড': ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে গতকাল আপিল বিভাগে আবেদন করেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে গত ৪ জুলাই রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখা কোটা পদ্ধতি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা চ্যালেঞ্জ জানায়, যার ফলশ্রুতিতে ২০২৪ সালের ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কার: বুধবার সারা দেশে 'বাংলা ব্লকেড' ঘোষণা
কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে বাংলা ব্লকেড ( বাংলা অবরোধ) কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
এর আগে সোমবার(৮ জুলাই) তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলা অবরোধ এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তবে মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি পালন করেননি।
মঙ্গলবার(৯ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
আরেক সমন্বয়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে আন্দোলন করছি না। বরং আমরা এই ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিছু গণমাধ্যম আমাদের দাবির ভুল ব্যাখ্যা করেছে। এই আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটার বিরুদ্ধে। এখন আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে। কৃষক, শ্রমিক-প্রবাসী সকলেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন কোটা আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম আজ বিকালে এ দিন ধার্য করেন।
গত ৪ জুলাই রিট আবেদনকারীর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
এরপর কোটাবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।আরও পড়ুন: চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
এমন পরিস্থিতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, কোটা সংস্কারকারীরা চাইলে আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখা কোটা পদ্ধতি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলে ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে।
পরে সরকার ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে।
গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি হয়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় সাময়িকভাবে বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর লিভ টু আপিল করতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোটা নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায়বিচার করবেন আদালত: আইনমন্ত্রী
৪ মাস আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কঠোর ‘বাংলা ব্লকেড’
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন 'বাংলা ব্লকেড’-এর অংশ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন প্রধান মোড়গুলোতে কঠোর অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৮ জুলাই) আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র সারজিস আলম জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফার্মগেট মোড়ের অবরোধ তুলে কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটর হয়ে শাহবাগে জড়ো হবেন তারা।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ও শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থীরা চাঁনখারপুল মোড় ও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার সংলগ্ন র্যাম্প অবরোধ করে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে।
একই সঙ্গে পল্টন মোড় ও শিখা চত্বর অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা।
৪ মাস আগে
বাকৃবিতে বাংলা ব্লকেড: তৃতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধ
তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর দেড়টায় বাকৃবির জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বাকৃবির কে. আর মার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ভবন ঘুরে জব্বারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এক দফা কর্মসূচি সম্পর্কে তারা বলেন, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ দেশের ছাত্র সমাজ দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
তারা আরও বলেন, কোটা সংস্কার করে মেধাবীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
৪ মাস আগে