কোটা আন্দোলনকারী
বৃহস্পতিবার সারা দেশে 'রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ' ক্যাম্পেইন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ’ শিরোনামে একটি ক্যাম্পেইন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (৩১ জুলাই) আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যা, ব্যাপক গ্রেপ্তার, হামলা, গুমের ঘটনা ও শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হচ্ছে। জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি পূরণের আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার তদন্ত করবে 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন'
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ক্যাম্পেইনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- নিপীড়নের দিন-রাতের স্মৃতিচারণ, শহীদ ও আহতদের প্রতি পরিবার ও সহকর্মীদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্যাতনের ঘটনাগুলোর চিত্রিত শিল্প ও গ্রাফিতি, ব্যানার, পোস্টার এবং ডিজিটাল প্রতিকৃতি তৈরি করা।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী, সর্বস্তরের পেশাজীবীসহ সবাইকে এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আরও পড়ুন:বুধবার 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
৩ মাস আগে
দেশের মানুষকে কোটা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে সারা দেশে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীসহ সকল রাজনৈতিক দলে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বেডে শুয়ে রক্তাক্ত শিক্ষার্থীরা তাদের রক্ষা করতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের আন্দোলনের সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের আহ্বান জানাচ্ছে। এটাই বাংলাদেশের আবেদন... আমি মনে করি পুরো জাতির এই আহ্বানে সাড়া দেওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী ও ভয়ানক শাসন থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে অংশ নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমানের (যাদু মিয়া) জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার(১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান ফখরুল। তিনি বলেন, 'গতকাল (সোমবার) এই সরকার যা করেছে, বাংলাদেশে এর আগে তা কখনো দেখিনি। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের কখনো হাসপাতালে ঢুকে আহতদের ওপর হামলা করতে দেখিনি। এটা আমরা কখনো ভাবতে পারি না, এমনকি পাকিস্তান আমলেও না।’আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন নিহত
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কথা জাতিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান নৃশংসতা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয় মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের জন্য তার সশস্ত্র ক্যাডারদের নামিয়েছে। ‘তারা (সরকার) ভয়াবহ দমন-পীড়ন চালিয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্য হারিয়ে এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে তাদের তথাকথিত শক্তি এবং আমলা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা বাংলাদেশকে একটি সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
৪ মাস আগে
যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর শাহবাগ থানায় কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ তুলে যে মামলা হয়েছে, তার যৌক্তিকতা না থাকলে বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রবিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুবসমাজ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
শিক্ষার্থীরা বুঝে এসব করছে বলে মনে হয় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগামী ৮ আগস্ট শুনানি হবে। শুনানিতে তাদেরও (শিক্ষার্থীদের) অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তারা সেগুলো না করে রাস্তা অবরোধ করছে। এগুলো সবকিছু এখন বিচার বিভাগের কাছে। সরকারের হাতে কিছু নেই।
শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা করতে পারে। মামলা তদন্তের পর যদি ম্যারিট (যৌক্তিতা) না থাকে তবে অটোমেটিক বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কিংবা ২৪ দিনের কোনো প্রশ্ন আসে না।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুল পথে নেওয়ার লোকের অভাব নেই। সেই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারা উসকানি দিয়েছে এবং কারা দায়ী সবগুলো বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে, সেটি তদন্ত হবে। তদন্তের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তদন্তের আগে আমি কিছু বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ অনুমাননির্ভর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি দফায় দফায় পরিবর্তন কেন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সম্যকধারণার কিছুটা অভাব আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, ‘কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দফায় দফায় তাদের দাবি পরিবর্তন করা হচ্ছে কেন?’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বারবার তারা দাবি পরিবর্তন করছে, একেকবার রাষ্ট্রের একেক অঙ্গের কাছে তারা দাবি জানাচ্ছে, এখানে মনে হচ্ছে তাদের সম্যকধারণার কিছুটা অভাব আছে।’
আরও পড়ুন: অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমসমায়িক বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এই প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ আছে। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইনসভা। এ তিনটি অঙ্গ কীভাবে কাজ করে সে বিষয়ে যদি ধারণা না থাকে তখনই বিভ্রান্তি তৈরি হয়।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহাল করা। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ রাস্তায় আন্দোলন করে পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। এটি পরিবর্তনের একমাত্র উপায়, সর্বোচ্চ আদালতে যেতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা আবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করল যে, সরকারকে কমিশন গঠন করতে হবে। সরকার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে সর্বোচ্চ আদালতে আইনি প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছে। এ অবস্থায় কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা বা সংস্কার করার ঘোষণা দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। কারণ এটা অসাংবিধানিক। কিন্তু তারা (আন্দোলনকারীরা) সেই অসাংবিধানিক দাবি করা শুরু করল।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে সরকারের পরিপত্র বলবৎ: কোটা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ তথা সরকার যখন আদালতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিমাংসার পথে এগোচ্ছে তখন আন্দোলনকারীরা আবার তাদের দাবি পরিবর্তন করে বলা শুরু করে, বিচারবিভাগ নয়, নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে সমাধান চায়। অথচ, সর্বোচ্চ আদালতের প্রক্রিয়া পুরোপুরি সমাপ্ত না করে সরকার এ বিষয়ে কিছুই করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ যখন হাইকোর্ট বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের আংশিক প্রকাশ হলো, সে রায়ে হাইকোর্ট সরকার তথা নির্বাহী বিভাগকে কোটা সংস্কারের জন্য পরামর্শ দিয়েছে। তখন তাদের দাবি আবার পরিবর্তন হয়ে গেল। এখন তারা দাবি করছে সংসদ বা আইনসভাকে আইন করতে হবে। প্রথমে আদালতের কাছে দাবি, তারপর নির্বাহী বিভাগের কাছে দাবি, তারপর এখন সংসদের কাছে দাবি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দাবি এবং সরকারের অবস্থান একই রকম প্রতীয়মান হওয়া সত্ত্বেও যারা বারবার দাবি পরিবর্তন করে বিভ্রান্তি তৈরি করছে আমি মনে করি তারা কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায় না, তাদের অন্য কোনো দুরভিসন্ধি আছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, একটি স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, মেধা না কোটা, কোটা না মেধা, মেধা, মেধা। স্লোগানটি খুবই যৌক্তিক। আমি এ স্লোগানের পক্ষে। অবশ্যই মেধা। কিন্তু এই স্লোগানের মাধ্যমে যে বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে সেখানে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত মেধার মাধ্যমে বাছাই করা হচ্ছে। যে কারণে পৃথিবীর সবদেশেই কোটা ব্যবস্থা আছে। কোটার উদ্দেশ্য পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বৈষম্য নিরসন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস 'বাংলা ব্লকেড' পালন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে দেশব্যাপী 'বাংলা ব্লকেড' ঘোষণা করেছেন কোটা আন্দোলনকারীরা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা আসিফ মাহমুদ।
এর আগে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীরা মূল সড়ক থেকে অবরোধ তুলে শাহবাগ মোড়ের দিকে মূল সমাবেশে যোগ দেয়।আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচির কারণে মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, 'আমাদের দাবি সরকারের কাছে, হাইকোর্টের কাছে নয়। আমরা উচ্চ আদালতের দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে চাই না বা ভোগ করতে চাই না। সরকার বা নির্বাহী বিভাগ সরাসরি আমাদের আশ্বাস দিলে আমরা সড়ক ত্যাগ করব। আমাদের রাস্তায় থাকার কথা নয়। এটা আমাদের জায়গা নয়। আমরা আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শিগগিরই পড়াশোনায় ফিরতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলা ব্লকেড: ঢাকাসহ সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
৪ মাস আগে