দলবদল
রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জনে জল ঢাললেন মুসিয়ালা
শিরোপাহীন গত মৌসুম কাটনোর পর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে গড়িমসি করায় জামাল মুসিয়ালার রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়। তবে সব গুঞ্জনে জল ঢেলে তিনি জানিয়েছেন, এখনই বায়ার্ন ছাড়ার পরিকল্পনা নেই তার।
অসাধারণ খেলায় বয়সভিত্তিক ফুটবল থেকেই মুসিয়ালাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হয়ে যায়। শুরুতে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেললেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির হয়ে নাম লেখান ২১ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান উইঙ্গার।
পেশাদার ফুটবলে মাত্র ১৭ বছর ১১৫ দিন বয়সে অভিষিক্ত হয়ে বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তারপর থেকে নিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমেই উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ। তাই দলবদলের মৌসুম এলেই তাকে ঘিরে গুঞ্জন ডালপালা মেলতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: মৌসুমের শুরুতেই বেলিংহ্যামকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ রয়েছে মুসিয়ালার। তাকে আলিয়ান্স আরেনায় থিতু করতে এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করেছে বাভারিয়ান ক্লাবটি। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে জামালের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান ক্লাবটির কর্তারা। তবে আলোচনায় বসতে দেরি করছেন এই অ্যাটাকার।
আসলে নতুন মৌসুমে ক্লাবের প্রজেক্ট, বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের পারফরম্যান্স- এসব বিবেচনায় নিয়েই মূলত ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি।
এরই মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, তার ওপর নজর পড়েছে নতুন দিনের গ্যালাক্টিকো তৈরির চেষ্টায় থাকা রিয়াল মাদ্রিদের। আর এই কাজে সহায়তা করছে ইংলিশ ফুটবল খেলার সময় জামালের তৎকালীন সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম।
তবে সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন আসতেই ডালপালাসহ গুঞ্জনটি উপড়ে ফেলেছেন মুসিয়ালা।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
জার্মান দৈনিক ভেল্ট আম জনটাগকে তিনি বলেছেন, ‘বায়ার্নে আমি খুবই সুখে আছি। এখানে আমার পরবর্তী লক্ষ্যগুলো পূরণেই আপাতত কাজ করছি। বেলিংহ্যামের মতো বিদেশের ক্লাবে খেলব কি না, তা নিয়ে এখন ভাবছি না।’
‘আগামী পাঁচ বছরে আমি কোথায় থাকব, তা নিয়ে ভাবার সময় এখন নয়। ফুটবলে যে কোনোকিছুই দ্রুত বদলে যেতে পারে।’
উয়েফা নেশন্স লিগের গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মুসিয়ালা। শনিবার রাতে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয়ের ম্যাচে একটি গোল ও অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করে আরও একবার নিজের প্রতিভা ও সামর্থ্যের সাক্ষর রেখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিশোধের ম্যাচে হাঙ্গেরির জালে জার্মানির গোল উৎসব
৩ মাস আগে
ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
ভিনিসিউস দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝিয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। সম্প্রতি ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারকে প্রো লিগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে সৌদি আরব। এর জন্য বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব করলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এল চিরিঙ্গিতোর বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপর্তিভো জানিয়েছে, ভিনিসিউসকে পেতে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বর্তমান স্পেন ও ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
অবশ্য ভিনিসিউসের জন্য রাখা ১ বিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লসের অর্থ পরিশোধে সম্মত হলে রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে সাড়া মিলতে পারে বলেও প্রতিবদনে বলা হয়েছে।
এর আগে, পাঁচ মৌসুমের জন্য ব্রাজিলের এই প্রতিভাকে মোট ১ বিলিয়ন ইউরো দেওয়া হয়েছিল বলে এক প্রতিবদনে জানায় রয়টার্স।
সূত্রের বরাতে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছিল, বেতন-বোনাসসহ ভিনিসিউসকে প্রতি মৌসুমে ২০০ মিলিয়ন ইউরো করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে ২০৩৪ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের দূত হওয়ারও একটি বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয়েছিল চুক্তিতে।
এরপর এজেন্টের সঙ্গে এ নিয়ে ভিনি আলোচনা করেছেন বলেও জানা যায়। তার এজেন্ট তখন বলেন, মাদ্রিদে সুখে থাকলেও এই ধরনের বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ।
আরও পড়ুন: সৌদির বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব গ্রহণে ‘রাজি’ ভিনিসিউস
তবে এ ব্যাপারে রিয়াল মাদ্রিদ ভিনিসিউসকে নিয়ে এসব ভাবছে না। কিন্তু আগামী দলবদলের মৌসুমেও যদি সৌদি আরব এই তারকা ফুটবলের আশা না ছাড়ে, তবে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে পড়তে পারে।
চলতি মৌসুমে শেষে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ দুই বছর অবশিষ্ট থাকবে ভিনিসিউসের। সাধারণত এমন পর্যায়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করে থাকে ক্লাবগুলো। নতুন শর্তে না মিললে ওই খেলোয়াড় বিক্রি করে দিয়ে লাভের চেষ্টা করে থাকে ক্লাব।
সেক্ষেত্রে ভিনিসিউস রিয়ালকে কী ধরনের বেতন-বোনাসের প্রস্তাব দেবেন, আর তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে কতটা আশ্বস্ত করতে পারবে, সেদিকে চেয়ে থাকবে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন চুক্তি আলোচনায় সৌদি আরবের দেওয়া প্রস্তাবটি যে দুই পক্ষকেই প্রভাবিত করবে, তা আগে থেকেই বলে দেওয়া যায়।
সৌদির প্রস্তাবের পর ভিনিসিউস নিশ্চয়ই বেতন-বোনাস নিয়ে বেশ বড় লাফ দিতে চাইবেন, আর তাতে না পোষালে রিয়াল তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আরও একটি বিষয় রিয়াল মাদ্রিদ ও ভিনিসিউস উভয় পক্ষকেই ভাবাতে পারে। আর তা হচ্ছে, এমবাপ্পের রিয়ালে যোগদান। দুজনে একই পজিশনের ফুটবলার হওয়ায় লা লিগার গত দুই ম্যাচেই রিয়ালকে আক্রমণভাগের বাঁ পাশে ভুগতে দেখা গেছে।
ভিনিসিউসকে বাঁয়ে খেলিয়ে এমবাপ্পেকে মাঝে, অর্থাৎ ৯ নম্বর পজিশনে খেলানো হলেও বারবার নিজের সহজাত পজিশনে চলে যেতে দেখা যায় এমবাপ্পেকে। ফলে বাঁ পাশে একপ্রকার নিষ্প্রভ ছিলেন ভিনিসিউস। আবার দুই পজিশনের বিড়ম্বনায় পড়ে নিজের স্বভাবসুলভ ফুটবল খেলতে পারেননি এমবাপ্পেও। ফলে রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি যদি পজিশনের এই জটিলতার সমাধান না করতে পারেন, তবে ভিনিসিউসের জন্য ভিন্ন কিছু ভাবা অপ্রাসঙ্গিক হবে না।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
প্রসঙ্গত, নিজ দেশের ফুটবল লিগকে জনপ্রিয় করতে গত কয়েক বছর ধরে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে বিশ্বের নামকরা সব ফুটবলারদের কিনে চলেছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলো। এই তালিকায় ইতোমধ্যে নাম লিখিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, নেইমার, করিম বেনজেমার মতো তারকা ফুটবলাররা।
এর আগে, ফুটবলের আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো লিওনেল মেসি, ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেদেরও সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পিআইএফ। তবে লিওনেল মেসি বার্সেলোনা থেকে পিএসজি হয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন। আর এমবাপ্পে পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই মৌসুমে নিজের স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাঁচ বছরের জন্য রিয়াল মাদ্রিদে চুক্তির মেয়াদ বাড়ান ভিনিসিউস। ক্লাবটির জার্সিতে গত মৌসুমে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে এ বছরের ব্যালন দ’র জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে ফুটবলবোদ্ধাদের বিবেচনায় রয়েছেন তিনি।
৩ মাস আগে
চেলসি থেকে আতলেতিকো মাদ্রিদে গ্যালাগার
প্রথমে চুক্তি একেবারেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েও ভেস্তে যায়। এরপর কিছুদিনের অনিশ্চয়তা। তারপর সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সেই আতলেতিকো মাদ্রিদেই নাম লেখালেন ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাগার।
৪২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে চেলসি থেকে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় নিয়ে এসেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। পাঁচ বছরের জন্য মাদ্রিদের এই ক্লাবটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
গ্যালাগারকে পেতে টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলাও চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার আগে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগী বিদায় বার্তা লিখেছেন তিনি।
‘আমার স্বপ্ন সত্যি করতে চেলসির সবাইকে ধন্যবাদ। প্রতিবার যখনই আমি এই ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়েছি, ততবারই সম্মানিত বোধ করেছি। তাছাড়া অসংখ্যবার অধিনায়কের ভূমিকা পালন করতে পারাটাও ছিল আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’
‘আমি (এখানে) প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই স্মৃতি আজীবন আমার হৃদয়ে থাকবে। ভক্তদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। (স্ট্যামফোর্ড) ব্রিজে আমার নামে জয়ধ্বনি শুনতে পাওয়া সত্যিই এক বিশেষ অনুভূতি ছিল।’
‘সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ! ক্লাবের ভবিষ্যতের জন্য আমার শুভকামনা। আশা করি, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে খুব শিগগিরই দেখা হবে।’
এদিকে এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে চেলসি লিখেছে, ‘ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাওয়া গ্যালাগারকে আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।’
আরও পড়ুন: আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
মাত্র আট বছর বয়স থেকে চেলসির অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে গত মৌসুমে ক্লাবটির মূল দলে জায়গা করে নেন গ্যলাগার। তবে চেলসির অ্যাকাডেমিতে বড় হলেও পেশাদার ফুটবলে চেলসির শার্ট পরতে বেশ অপেক্ষা করতে হয় এই মিডফিল্ডারকে। শুরুতে চার্লটন, সোয়ানসি, ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মতো ক্লাবে তাকে ধারে খেলতে পাঠায় চেলসি। এরপর ২০২২ সালে তিনি চেলসির সিনিয়র দলের শার্ট পরার সুযোগ পান।
তারপর গত মৌসুমে লিগে ৩৭ ম্যাচে শুরুর একাদশে থেকে মাঠে নামেন গ্যালাগার। বাকি একটি ম্যাচ শৃঙ্খলাজনিত শাস্তির কারণে খেলা হয়নি তার। শুধু তাই নয়, রিস জেমস ও বেন চিলওয়েলের চোটের কারণে অধিকাংশ ম্যাচেই অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
৩ মাস আগে
বার্সেলোনা থেকে আবারও সিটিতে গুন্ডোগান
শৈশবের স্বপ্নপূরণে গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলের মৌসুমে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছিলেন ইলকাই গুন্ডোগান। ম্যানচেস্টার সিটিতে সুখে থাকার পরও বার্সেলোনার আহ্বান আসামাত্রই সে ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন তিনি। এজন্য আর্থিক সমস্যায় ভুগতে থাকা বার্সেলোনাকে দলবদল সম্পন্ন করতে আর্থিকভাবে সহযোগিতাও করেছিলেন তিনি। তবে এক মৌসুম শেষেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে এই জার্মান মিডফিল্ডারের। প্রিয় ক্লাব তাকে আর রাখতে চায় না।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, তাকে ছেড়ে দিতে বার্সেলোনা এতটাই মরিয়া যে, আরও দুই বছর চুক্তির মেয়াদ থাকলেও কোনোপ্রকার ট্রান্সফার ফিও নিতে চায় না তারা।
মূলত লাইপসিগ থেকে দানি অলমোকে দলে ভেড়ালেও ফেয়ার প্লে নিয়ম অনুসারে আর্থিক অবস্থা ১:১ এ নিতে না পারায় এখনও তাকে লা লিগায় নিবন্ধন করতে পারেনি বার্সা। তাছাড়া চলতি দলবদল শেষ হওয়ার আগে আরও একজন উইঙ্গার দলে টানতে চায় ক্লাবটি। তাকে নিবন্ধন করতেও দলের ভেতর থেকে আরও খেলোয়াড় ছেড়ে (বেতন) জায়গা খালি করার প্রয়োজন হবে তাদের।
আরও পড়ুন: বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন গুন্ডোগান
গুন্ডোগান বার্সেলোনার সর্বোচ্চ বেতনভোগীদের একজন। এ কারণেই তাকে ছেড়ে দিতে চায় বার্সেলোনা। শুরুতে তিনি ক্লাবে চুক্তির দুই বছরই থেকে যেতে অটল থাকলেও শেষ পর্যন্ত ক্লাবের মঙ্গলে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়েছেন। এমনকি বার্সার কাছ থেকে চুক্তির অবশিষ্ট দুই বছরের বেতনও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, তাকে পেতে ইউরোপের বেশ কয়েকটি ক্লাব আগ্রহ দেখালেও ম্যানচেস্টার সিটিতেই ফিরছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার। কাতার থেকে এই জার্মান মিডফিল্ডারের জন্য বড় আকারের আর্থিক অঙ্কের প্রস্তাব এসেছিল। তবে গুরু গার্দিওলার কাছেই ফিরতে চেয়েছেন তিনি।
ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো জানিয়েছেন, গুন্ডোগানের বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানার পরপরই সিটি বস পেপ গার্দিওলা তাকে ফোন করেন। কোচের কাছে ফেরার আগ্রহের কথা জানালে তাকে দলে ভেড়াতে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে কার্যক্রম শুরু করতে বলেন গার্দিওলা। এরপর বার্সেলোনার কোনো আর্থিক দাবি না থাকায় চুক্তিটি পাকাপাকি হওয়ার খুব কাছাকাছি রয়েছে।
রোমানোর তথ্যানুসারে, আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এক বছরের জন্য সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন ক্লাবটির সাবেক এই অধিনায়ক। তবে আরও এক মৌসুম চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে বার্সেলোনা সতীর্থদের কাছ থেকে গুন্ডোগান বিদায় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রোমানো।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা ছেড়ে ইংলিশ ক্লাবে রোনালদিনিয়োর ছেলে
উল্লেখ্য, ৯০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হুলিয়ান আলভারেসকে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার পর মাঝমাঠে সিটির স্কোয়াডের গভীরতা কমে গেছে। তাছাড়া তরুণ মিডফিল্ডার অস্কার বব চোটে ছিটকে যাওয়ায় অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে দলটির। এমন সময়ে গুন্ডোগানের মতো অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারের বিকল্প ছিল না প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
২০১৬ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সিটি যোগ দিয়ে সাতটি মৌসুম ম্যানচেস্টারের এই ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন গুন্ডোগান। এই সময়ে ৩০৪ ম্যাচে ৬০ গোল করেছেন এই মিডফিল্ডার। পাশাপাশি জিতেছেন পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ, চারটি ক্যারাবাউ কাপ, দুটি এফএ কাপ, দুটি কমিউনিটি শিল্ড ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগহস মোট ১৪টি ট্রফি।
৩ মাস আগে
অবশেষে ‘ঠিকানা’ খুঁজে পেলেন ফেলিক্স
আতলেতিকো মাদ্রিদে থাকতে না চাওয়ায় গত দুই মৌসুম ধরে এক প্রকার ভেসে বেড়াচ্ছিলেন পর্তুগিজ তারকা জোয়াইও ফেলিক্স। অবশেষে ২০২২-২৩ মৌসুমে ধারে খেলা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজই হলো তার নতুন ঠিকানা।
বুধবার (২১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে প্রিমিয়ার লিগ জানিয়েছে, ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ২৪ বছর বয়সী এই তারকাকে দলে টেনেছে চেলসি।
দুই মৌসুম আগে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানানোর পর থেকেই প্রতিভাবান এই তরুণ ফুটবলারের জন্য নতুন ঠিকানা খুঁজছিল আতলেতিকো। ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষ ছয় মাসের জন্য চেলসিতে তাকে ধারে পাঠানো হয়। সে সময় ব্লুজদের হয়ে ২০ ম্যাচ খেলে ৪ গোল করেন ফেলিক্স।
তবে মৌসুম শেষে চেলসি তাকে রাখতে না চাওয়ায় আবারও ফিরতে হয় মাদ্রিদে। এরপর গত মৌসুমে বার্সেলোনা তাকে এক মৌসুমের জন্য ধারে নেয়। মৌসুমজুড়ে কোচ শাভি এরনান্দেসের শুরুর একাদশে জায়গা করে নিতে না পারলেও বেশিরভাগ ম্যাচে তিনি নামেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। তারপরও কাতালুনিয়ার দলটির হয়ে ৪৪ ম্যাচ খেলে ১০ গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর বার্সেলোনাও তাকে পাকাপাকিভাবে দলে না টেনে মৌসুম শেষে আতলেতিকোয় পাঠিয়ে দেয়। তারপর থেকে ফের ফেলিক্সের জন্য নতুন ঠিকানা খুঁজছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: চেলসিতেই যাচ্ছেন মেসিনিয়ো!
কিছুদিন থেকেই তাকে দলে টানতে চেলসির ইচ্ছার কথা জানিয়ে আসছিলেন ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। এবার গুঞ্জন সত্যি করে অবশেষে স্থায়ী দলবদলে ঠিকানা খুঁজে পেলেন এই পর্তুগিজ তারকা। চেলসিতে যোগ দিয়ে তার কণ্ঠেও এ বিষয়ে স্বস্তি ঝরেছে।
চেলসির অফিশিয়াল সাইটে ফেলিক্স লিখেছেন, ‘(স্থায়ী) ঠিকানা করে নিতে এটি আমার জন্যে একটি ভালো সুযোগ।’
‘চেলসি ও বার্সায় দুটি লোনপর্ব শেষের পর আমার একটি জায়গায় স্থায়ী হওয়ার দরকার ছিল। এক্ষেত্রে চেলসির চেয়ে ভালো স্থান হতে পারে না। উন্নতি করার জন্য এই ক্লাবটি আমার কাছে একেবারে উপযুক্ত মনে হয়।’
শুধু আতলেতিকো ছাড়তেই চেলসিতে আসেননি ফেলিক্স। ক্লাবটির অনেকগুলো বিষয় তাকে গন্তব্য নির্বাচনে সহায়তা করেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
‘অনেকগুলো বিষয়ের একটু একটু করে নিয়ে আমি চেলসিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ক্লাব, প্রজেক্ট, লিগ, সমর্থক ও এখানে আমার কাটানো সময়- সবকিছু আমি পছন্দ করি। এখানে (এর আগে) যখন ছিলাম, ভালো ফল আনতে না পারলেও ওই সময়টা আমি খুব ভালো কাটিয়েছিলাম। তাই ফিরে আসতে পেরে সত্যিই আমি খুশি।’
তবে আগের ব্যর্থতা আর পেছনে ফিরে দেখতে চান না তিনি। সময়ের সঙ্গে তিনি যে নিজেও বদলেছেন, তা জানিয়ে আগামীতে আরও ভালো করার প্রত্যয় ঝরল এ তরুণের কণ্ঠে।
‘সেবারের চেয়ে এবার আমি অনেকটাই বদলেছি। এখন আমার বয়স ২৪, (আগামী) নভেম্বরে ২৫-এ পা দেব। খেলোয়াড় হিসেবে এখন নিজেকে অনেকটাই পরিণত মনে হয়। প্রিমিয়ার লিগে খেলতে আমি এখন অনেকটাই প্রস্তুত।’
নিজের সেরাটা এখনও দেখাননি জানিয়ে ফেলিক্স বলেন, এই বছরটি ভালো একটি বছর হতে চলেছে। কারণ অবশেষে আমি ঠিকানা খুঁজে পেয়েছি। তাই নতুন ঠিকানায় ফুটবলটা উপভোগ করতে চাই।’
আরও পড়ুন: আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
ফেলিক্সকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত চেলসি কোচ এনসো মারেসকাও। তিনি বলেছেন, ‘জোইয়াও (ফেলিক্স) দারুণ প্রতিভাবান। ক্লাবের সবাই আগে থেকেই তাকে চেনে। তার ভালো দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সে ইনসাইড, নম্বর নাইন কিংবা আউটসাইড- বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারে।’
১৯৯৯ সালে পর্তুগালের ভিসেউতে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার মাত্র ১৭ বছর বয়সে বেনফিকার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১৮ সালে মাত্র বেনফিকার হয়ে ওই মৌসুমে ২৬ ম্যাচে ১৫ গোল ও ৯ অ্যাসিস্ট করে ইউরোপীয় ফুটবলে সাড়া ফেলে দেন তিনি। পর্তুগিজ লিগের ওই মৌসুমের ‘গোল্ডেন বয়’ খেতাবও জোটে তার।
পরের বছর জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় ফেলিক্সের। এরপর ২০২০ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদে পাড়ি জমান তিনি। ক্লাবের রেকর্ড ফিতে ফেলিক্সকে দলে টানে আতলেতিকো। তবে দিয়েগো সিমিওনের তত্ত্বাবধায়নে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই প্রতিভাবান ফুটবলার।
৩ মাস আগে
আলভারেস আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই: সিমিওনে
হুলিয়ান আলভারেসকে দলে পেয়ে উচ্ছ্বসিত আতলেতিকো মাদ্রিদ বস দিয়েগো ‘চোলো’ সিমিওনে। ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারের কাছ থেকে দুর্দান্ত কিছু আশা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় লা লিগায় মৌসুমের প্রথম ম্যাচে লা সিরামিকা স্টেডিয়ামে ভিয়ারিয়ালের মুখোমুখি হবে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ওই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সদ্য শুরু হওয়া মৌসুমে দল নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা বলেন সিমিওনে। সেখানেই উঠে আসে আলভারেসের প্রসঙ্গটি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হুলিয়ান এমন একজন খেলোয়াড়, যার কাছ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার জন্য আমরা সবাই প্রতীক্ষায় রয়েছি। নিশ্চিতভাবেই সে দলের উন্নতিতে সহযোগিতা করবে।’
‘তার সব বৈশিষ্ট্যই আতলেতিকোর ডিএনএর সঙ্গে মিলে যায়। ইতোমধ্যে সে (দলে) একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে। আশা করছি, আমরা এমন একটি দল গড়তে পারব, যা তার দক্ষতা থেকে আরও শক্তি পাবে।’
ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে আলভারেস মাদ্রিদের এই ক্লাবটিতে পাড়ি জমিয়েছেন এক সপ্তাহ হয়েছে। এরইমধ্যে তিনি নাকি দলটির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সিমিওনে বলেন, ‘সে কয়েকদিন হলো এখানে এসেছে। মাত্র চার দিন আমাদের অনুশীলনে অংশ নিয়েছে, কিন্তু দলের সঙ্গে সে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা ছেড়ে ইংলিশ ক্লাবে রোনালদিনিয়োর ছেলে
লিগ টেবিলের চারে থেকে গত মৌসুম শেষ করে লস রোহিব্লাঙ্কোসরা। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় এল চোলোর শিষ্যদের। তাছাড়া মৌসুমজুড়ে তাদের পারফরম্যান্সও ছিল নিজেদের নামের সঙ্গে বেমানান।
তবে নতুন মৌসুমে এসব দুঃস্মৃতি ভুলতে চায় ক্লাবটি। ফলে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে চলেছে চলতি দলবদলের মৌসুমে।
৯৫ মিলিয়ন (৭৫+২০) ইউরোর বিনিময়ে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আলভারেসকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। এরপর ৩৯.৫ মিলিয়ন (৩৪.৫+৫) ইউরো দিয়ে ইউরোয় টুর্নামেন্টজুড়ে স্পেনের রক্ষণে আলো ছড়ানো ডিফেন্ডার রবিন লে নরমান্দকে রিয়াল সোসিয়েদাদ থেকে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় নিয়ে আসে আতলেতিকো। শুধু তাই নয়, গত মৌসুমে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা আলেকজান্ডার সোরলথকেও দলে টেনেছে তারা। ভিয়ারিয়ালের এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলে পেতে তাদের ৩৫ মিলিয়ন (৩০+৫) ইউরো খরচ হয়েছে।
ফলে চলতি মৌসুমে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিততে যে দল গঠন করছেন সিমিওনে, তা একপ্রকার স্পষ্ট।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেরা দল হিসেবে মৌসুম শুরু করতে চলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দারুণ সব খেলোয়াড়সমৃদ্ধ দলটি মৌসুমজুড়ে এটাই প্রমাণ করবে, যেখানে বাকি সব দলকে পেছনে থেকে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে।’
‘বার্সেলোনাকে দেখুন, তারাও প্রতিনিয়ত দলের উন্নয়ন করছে। দারুণ সব ফুটবলার এনে রিয়াল (মাদ্রিদ) তাদের উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। তাই আমাদেরও নিজেদের বিষয়ে ভাবতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌদির বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব গ্রহণে ‘রাজি’ ভিনিসিউস
তবে প্রতিভাধর সব তারকা ফুটবলারদের দলে টানলেও চলতি দলবদলের বাজারে এখনও তাদের কার্যক্রম শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন ৫৪ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন কোচ।
এ বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘দল এখনও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। আমরা এখনও এ বিষয়ে কাজ করছি। আমাদের ঠিক কী দরকার, তা আমরা জানি। সে অনুযায়ীই কাজ চলছে।’
প্রসঙ্গত, চেলসির তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্যালাগারের সঙ্গে চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে তা ভেস্তে যায়। তবে তাকে পেতে আতলেতিকো ফের চেষ্টা করছে বলে স্প্যানিশ ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর বেরিয়েছে।
৪ মাস আগে
বার্সেলোনা ছেড়ে ইংলিশ ক্লাবে রোনালদিনিয়োর ছেলে
বার্সেলোনার অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার এক বছর পরই কাতালুনিয়ার ক্লাবটি ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছেন বার্সার ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদিনিয়োর ছেলে জোইয়াও মেন্দেস।
১৯ বছর বয়সী মেন্দেসের সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত দুই বছরের চুক্তি করেছে ইংলিশ ক্লাব বার্নলি। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হওয়া ক্লাবটি এ মৌসুমে দ্বিতীয় বিভাগে (চ্যাম্পিয়নশিপ) খেলবে।
ক্লাবটির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো এই দলবদলের খবর নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি বার্নলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মেন্দেসের ক্লাবটির জার্সি ধরা একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি।
বার্নলি কোচ স্কট পার্কারও এই দলবদলের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, রোনালদিনিয়োর মতো তরকার ছেলে আমাদের ক্লাবে যোগ দিচ্ছে- এ বিষয়ে (ভক্ত-সমর্থকদের) উত্তেজনা আমি বুঝি। তবে এখনই তাকে মূল একাদশে জায়গা দেওয়া হবে না। ক্লাবের ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাকে দলে টানা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেড বুলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন এন্দ্রিক
চলতি সপ্তাহে কার্ডিফ সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে পার্কার বলেন, ‘এখনও কোনো কাগজে স্বাক্ষর হয়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত থাকুন যে, ভালো কিছু হতে চলেছে।’
ছেলে মেন্দেসের ওপর বাবার খ্যাতির চাপ দিতে চান না বার্নিলি বস। তিনি বলেন, ‘তার এখানে আসার খবর ঘিরে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা আমিও টের পাচ্ছি। তবে এত ছোট একটি ছেলের ওপর বিশাল পরিমাণ প্রত্যাশার চাপ দেওয়াটা অন্যায় হবে।’
‘সেও জানে যে তাকে (ক্লাবের) ভবিষ্যতের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এখানে আনা হচ্ছে। তাই তার ওপর এর চেয়ে বেশি চাপ আমি দিতে চাই না।’
২০০৫ সালে রোনালদিনিয়ো ও নৃত্যশিল্পী জানাইনা মেন্দেসের ঘর আলোকিত করে পৃথিবীর মুখ দেখেন জোইয়াও মেন্দেস। ছোটবেলায় ব্রাজিলের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোয় যোগ দিয়ে পরবর্তীতে ক্রুজেইরোর অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠেছেন তিনি।
এরপর ২০২৩ সালে এক বছরের চুক্তিতে বার্সেলোনার অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন মেন্দেস, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে এ বছরের জুলাইয়ে। এবার তিনি পেশাদার ফুটবলে পা দিতে চলেছেন।
ব্রাজিলের পাশাপাশি বাবার কর্মক্ষেত্র সূত্রে স্পেনের পাসপোর্টও আছে এই তরুণের। তাই জাতীয় দলে খেলার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ব্রাজিল বা স্পেন, যেকোনো একটি দেশ বেছে নিতে পারবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদির বিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব গ্রহণে ‘রাজি’ ভিনিসিউস
৪ মাস আগে
সিটিতে থাকছেন কি না, অলিম্পিকের পর জানাবেন আলভারেস
মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়েছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেসের। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সব শিরোপা জিতেছেন ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে। তারপরও ক্লাবটিতে থাকার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন এই আর্জেন্টাইন।
মূলত মূল একাদশে নিয়মিত খেলতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন আলভারেস। সিটির হয়ে খেললেও পেপ গার্দিওলার দলের শুরুর একাদশের নিয়মিত সদস্য নন তিনি। বেশিরভাগ সময় বেঞ্চ থেকেই মাঠে নামতে হয় তাকে।
কোপা আমেরিকায় সফল যাত্রা শেষ করে এখন অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার হয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলভারেস। তাই সাংবাদিকদের দলবদলের প্রশ্ন শুনেই সংক্ষেপে জানিয়ে দিলেন, ‘এখন নয়। অলিম্পিক অভিযান শেষ করে তবেই এ বিষয়ে কথা হবে।’
আরও পড়ুন: রেড বুলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন এন্দ্রিক
সিটিতে যে একেবারে খারাপ সময় কাটাচ্ছেন, তাও অবশ্য নয়, বদলি নামলেও গোল-অ্যাসিস্টের দেখা পান তিনি নিয়মিতই। চুক্তির মেয়াদ তিন বছর বাকি থাকলেও গত মার্চে তা আরও এক বছর বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি।
অলিম্পিকের সোনা পুনরুদ্ধার অভিযানে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই মরক্কোর বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে হেরে বসে আর্জেন্টিনা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাকের বিপক্ষে জিতেছে আলভারেসের দল। এর ফলে নকআউট পর্বে তাদের ওঠার সম্ভাবনা এখনও টিকে আছে।
মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইউক্রেইনের মুখোমুখি হয়েছে হাভিয়ের মাসচেরানোর শিষ্যরা। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে জেরবার হন তিনি।
দলবদলের ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে। তবে আমি এখনই কিছু ভাবছি না। আমি কেবল এখানেই (অলিম্পিকে) মনোযোগী। এটা একটা ছোট্ট টুর্নামেন্ট। এরপরই এসব (দলবদল) নিয়ে ভাবব।’
সিটিতে যে ভালো আছেন, সে কথাও ঝরল তার কণ্ঠে, ‘ম্যানচেস্টার সিটিতে আমি খুব ভালো আছি, অনেক মিনিট খেলেছি। তবে ভিন্ন কিছু সিদ্ধান্ত যদি নেই, তা (অলিম্পিকের) পরে।’
‘এখান থেকে ফিরে আমি আগে কিছুদিন ছুটি কাটাব। এরপর এ বিষয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নেব।’
আরও পড়ুন: সিটি সমর্থকদের সুখবর দিলেন গার্দিওলা
গত মে মাসে এফএ কাপের ফাইনালে নগর প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে যায় সিটি। ওই ম্যাচেও শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি আলভারেসের। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন তিনি। তবে ম্যাচে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি এই ফুটবলার। তার পর থেকেই আতলেতিকো মাদ্রিদ তাকে পেতে ইচ্ছুক বলে গুঞ্জন ওঠে।
ওই ম্যাচে হেরে অসন্তুষ্ট হলেও সিটিতে তিনি ভালো আছেন বলে জানান।
‘দেখুন, ফুটবলাররা সবসময়ই দলের জন্য কিছু করার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে বড় ম্যাচে (মাঠের) বাইরে থাকাটা বেশ কষ্টকর। তবে গত মৌসুম আমার মন্দ কাটেনি। তাই আমি একেবারে অখুশি নই।’
প্রাক-মৌসুমের প্রীতি ম্যাচ খেলতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছে সিটি। সেখান থেকে আলভারেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে গার্দিওলারও।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে খেলতে চায়। কিন্তু তা শুধু সে-ই নয়, সবাই চায়। দলের অন্তত ১৮-১৯ জন ফুটবলার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুর একাদশে থাকতে চায়।’
আরও পড়ুন: বর্ণবাদী স্লোগান দেওয়ায় ৭ দেশের ওপর উয়েফার নিষেধাজ্ঞা
‘সে যে এ বিষয়ে (দলবদল) ভাবতে চায়, তা আমিও পড়েছে। ঠিক আছে, ভাবুক। ভেবে সিদ্ধান্ত নিক আগে। এরপর আমাদের জানালে আমরা যে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
তবে তাকে যে ছাড়তে চান না সে কথাও জানালেন সিটি বস, ‘তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সচেতন থাকলেও এই মুহূর্তে তাকে ছাড়ার চিন্তা একদমই করছি না।’
৪ মাস আগে
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
রিয়াল মাদ্রিদের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষ করে এবার মূল ধারার ফুটবল থেকে খানিকটা সরেই গেলেন ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বিবর্ণ এক অধ্যায়ের পর এবার তিনি পাড়ি জমালেন ইতালিতে, যোগ দিয়েছেন ২১ বছর পর সেরি’আয় উঠে আসা ক্লাব কোমোয়।
মে মাসে ইউনাইটেড ছাড়ার ঘোষণা দেন ভারান। সে সময় তিনি জানান, মৌসুম শেষে রেড ডেভিলসদের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি আর নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চান না।
এরপর থেকেই ভারানকে দলে টানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেস্ক। সেরি’আয় উঠে আসার পর গত মৌসুমে কোমোর সহকারী কোচ থাকা আর্সেনাল ও বার্সেলোনার সাবেক এই মিডফিল্ডারকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সিটি সমর্থকদের সুখবর দিলেন গার্দিওলা
সেস্ক ফাব্রিগাস ভারানকে যে দলে ভেড়াতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, গত মাসেই তা এক্স পোস্টের মাধ্যমে জানান ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো। তার ওই পোস্টের ঠিক এক মাস পর এই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিল।
কোমোর সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তিপত্রে সই করেছেন ভারান। সেইসঙ্গে চাইলে আরও এক বছর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পারবেন তিনি।
ভারানকে পেয়ে দারুণ খুশি ফাব্রিগাস। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রাফায়েল দারুণ ফুটবলার। সে স্পেশাল। এই ক্লাব নিয়ে আমাদের কতটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তাকে দলে টানতে পারাটা তারই প্রমাণ।’
এদিকে, ক্যারিয়ারের এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে রোমাঞ্চিত হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ভারান।
তিনি বলেছেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। নতুন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে আর তর সইছে না। আসন্ন মৌসুমের জন্য শারীরিকভাবেও যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এর আগে, মাঠের লড়াইয়ে সেস্ককে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলেও এই প্রথম তার কোচিংয়ে খেলবেন তিনি। এ বিষয়েও দারুণ রোমাঞ্চিত ৩১ বছর বয়সী ভারান।
তিনি বলেন, ‘সেস্কের সঙ্গে আবার দেখা হবে, তবে এবার আর প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়। তার খেলোয়াড়ি দর্শন এবং ফুটবল নিয়ে তার যে তাড়না, এসব আমাকে সত্যিই আকৃষ্ট করে। (চুক্তির আগে আলোচনার সময়) সে নিজের পরিকল্পনার ব্যাপারে সবকিছু খুব সহজে বুঝিয়ে দিয়েছে। আশা করছি, সবাই মিলে (ক্লাবকে) ভালো কিছু এনে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: আর্সেনালে যাচ্ছেন ইউরোয় চমক দেখানো কালাফিওরি
২০১০ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফরাসি ক্লাব লঁসের হয়ে পেশাদার ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু করেন ভারান। এরপর পরের বছরই সান্তিয়াগো বের্নাবেউ হয় তার ঠিকানা। দশ বছর লস ব্লাঙ্কোসদের সাদা জার্সিতে খেলে চারটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ এবং তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৭টি ট্রফি জয়ের পর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি।
তবে ম্যানচেস্টার ইউনাটেডে তিন মৌসুম খেললেও সেখানে আলো ছড়াতে পারেননি ভারান। চোটের কারণে পুরোটা সময়জুড়ে ভুগতে হয়েছে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই ডিফেন্ডারকে।
৪ মাস আগে
ইপসউইচ টাউনে ম্যানসিটি ফরোয়ার্ড ডেলাপ
আসন্ন মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা ইপসউইচ টাউনে পাড়ি জমিয়েছেন পেপ গার্দিওয়লার ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড লিয়াম ডেলাপ।
শনিবার (১৩ জুলাই) ক্লাবটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতির মাধ্যমে একথা জানানো হয়েছে।
গত মৌসুমে দ্বিতীয় বিভাগের দল হাল সিটিতে ধারে খেলেন ডেলাপ। সেখানে ৩২ ম্যাচে ৮ গোল করেন ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এর আগে স্টোক সিটি ও প্রেস্টন নর্থ এন্ডেও ধারে খেলেছেন তিনি।
দুই ক্লাবের কেউ দলবদলের খরচের বিষয়টি প্রকাশ করেনি। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, প্রায় ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড বা ১৯ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ইউরো ও অ্যাড-অনের চুক্তিতে ইপসউইচের কাছে তাকে বিক্রি করেছে সিটি।
আরও পড়ুন: মায়ামিতেই শেষ, জানিয়ে দিলেন মেসি
স্টোক সিটির সাবেক মিডফিল্ডার ররি ডেলাপের ছেলে লিয়াম। ইতোমধ্যে যুব পর্যায়ে ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। চলতি মৌসুমে চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে ইপসউইচে না লেখালেন এই ফরোয়ার্ড।
লিয়ামকে দলে ভিড়িয়ে কোচ কিরান ম্যাককেনা তার ‘অসাধারণ শারীরিক ও কৌশলগত গুণাবলির’ প্রশংসা করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চলতি মৌসুম থেকেই সে দলকে সহযোগিতা করবে। তাছাড়া ইপসউইচের ভবিষ্যতের জন্যেও সে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।’
‘অল্প বয়স থেকেই তার মূল দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখানে তার আরও উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোম্পানিকেই কোচ বানাল বায়ার্ন
৫ মাস আগে