অত্যন্ত
এখন বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়: রানা ফ্লাওয়ার্স
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেছেন, ‘এখন বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশু, তরুণ ও তাদের পরিবারগুলোর কথা আমার মনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও শিশুদের কথাও আমি মনে রেখেছি। শিশুদের অধিকার রক্ষার প্রতি অঙ্গীকার ও ভালোবাসা থেকেই ইউনিসেফ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।’
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপনকালে এসব বলেন।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে ৩২ শিশু নিহতের বিষয়ে ইউনিসেফের বিবৃতির জবাব দিল সরকার
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেক শিশু ও তরুণেরই রয়েছে মর্যাদা ও অপার সম্ভাবনা। এ বিশ্বাস থেকেই আমাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সরকার, বেসরকারি খাত ও ইউনিসেফের দীর্ঘ দিনের অংশীজনদের সঙ্গে হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলা এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এখনও অনেক কিছু করার রয়েছে। রয়েছে চমৎকার আরও অনেক কাজের সুযোগ।’
রানা ফ্লাওয়ার্স আরও বলেন, ‘নতুন প্রতিনিধির নেতৃত্বে ইউনিসেফ, তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য করণীয়গুলো নির্ধারণ ও সেগুলো বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করবে। ইউনিসেফ তার চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি সমান তালে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। প্রত্যেক শিশুই গুরুত্বপূর্ণ, সেকারণে শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষার প্রতি ইউনিসেফ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের শিশু ও তরুণেরা যে আহ্বান রেখেছে, তাতে আমি অনুপ্রাণিত। আমরা তাদের কথা শুনছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
তিনি বলেন, ‘ইউনিসেফের পক্ষ থেকে আমি অঙ্গীকার করছি যে, আমার টিম শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সহায়তায় সব কিছু করবে। যাতে প্রতিটি শিশু বেঁচে থাকতে পারে এবং এমন একটি পরিবেশে তারা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় যেখানে সহিংসতা থাকবে না, থাকবে সমৃদ্ধি ও সবার জন্য সমান সুযোগ।’
এসময় বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষায় ইউনিসেফের জোরালো সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি। তিনি শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানি ও শিশু অধিকার সুরক্ষাসহ সামাজিক সেবাসমূহের মানোন্নয়নে ইউনিসেফের কর্মতৎপরতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি জলবায়ু সংকট, কিশোর বিচার ব্যবস্থা ও তরুণদের ভালো কাজ পাওয়ার জন্য দক্ষ করে গড়ে তুলতে দিকনির্দেশনা দেবেন। এছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চারের মতো ক্ষেত্রগুলোতেও পরিবর্তন আনার জন্য দিকনির্দেশনা দেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
ফ্লাওয়ার্স অস্ট্রেলিয়ার একজন নাগরিক। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, শিশু উন্নয়ন ও পলিসি অ্যাডভোকেসিতে ৩৫ বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি চীন, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া ও বেলিজে ইউনিসেফের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২ মাস আগে
‘কানেক্টিভিটির এই পৃথিবীতে ট্রাভেল এজেন্টদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, কানেক্টিভিটির এই পৃথিবীতে ট্রাভেল এজেন্টদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ট্রাভেল এজেন্টরা কানেক্টিভিটি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে তারা মানুষের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সুতরাং ট্রাভেল এজেন্টদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
রবিবার (১৪ জুলাই) অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো গ্রাহক যাতে প্রতারিত না হয়, বিদেশে যেতে কোনো সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু নিজেরা সৎ থাকলেই হবে না। অন্য কোনো ট্রাভেল এজেন্টও যাতে গ্রাহকদের কোনো প্রকার হয়রানি না করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে সবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। জনগণের সেবার কাজে ট্রাভেল এজেন্টরা আমাদের সহযোগিতা করছেন, সমর্থন করছেন। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। সরকার আপনাদেরকে সর্বোতভাবে পলিসি সাপোর্ট দেবেন।’
ফারুক খান বলেন, ‘পর্যটন খাতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা তৈরির পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা তৈরির দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তারা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় কাজ করার জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্পে দক্ষ জনবল তৈরি করার জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশে একটি ট্যুরিজম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনাও আমাদের আছে। আমরা আশা করি আমাদের এই উদ্যোগকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পর্যটনের সব অংশীজন আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নিয়ে প্রায়ই নানা অনিয়ম ও অভিযোগের কথা শোনা যায়। সবাইকেই নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, আটাবের প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরেফ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
৪ মাস আগে