মার্চ ফর জাস্টিস
পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাবেশ আজ
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ১১টায় এই সমাবেশ হবে বলে জানান অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান।
তিনি বলেন, 'আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-কর্মচারীরা, আগামী ১ আগস্ট সকাল ১১টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করব।’
অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-কর্মচারীদেরও তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া দুপুর ১২টায় একই স্থানে মানববন্ধন করবেন জনপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন জনপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. নুসরাত জাহান চৌধুরী।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে 'মার্চ ফর জাস্টিস'-এ যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
৪ মাস আগে
খুলনায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে ২৩ শিক্ষার্থী আটক
সারাদেশে ছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি চলাকালে ২৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর রয়েল মোড় ও ময়লাপোতা মোড়ে মিছিলের চেষ্টাকালে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্ধারিত কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে আন্দোলনকারীদের একটি দল আহসান উল্লাহ কলেজের ভেতর প্রবেশ করে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে তালা ভেঙে তাদের আটক করে পুলিশ। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ডালমিল মোড় থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল বের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে পুলিশ আন্দোলনকারী ভেবে তাদের ধাওয়া দিলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে শেরেবাংলা রোড থেকে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিল ময়লা পোতা হয়ে সাত রাস্তার দিকে চলে যায়। দুপুর ২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ রয়েল মোড়ে অবস্থান নেয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিল।
আরও পড়ুন: 'মার্চ ফর জাস্টিস': যশোরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
বরিশালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১০
৪ মাস আগে
‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টায় নগরীর সুবিধবাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঘরের মধ্যে ৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বেলা ১১টা থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকে অবস্থান নিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে তারা আসার আগেই অবস্থান নেওয়া পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে আরও শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তখন পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে চলে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শত শত শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে নগরীর কোর্ট পয়েন্টের দিকে অগ্রসর হয়। এছাড়া আন্দোলনকারীরা সুবিদবাজারের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
৪ মাস আগে
বুধবার 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
দেশব্যাপী কারফিউ জারির পর থেকে সমাবেশের স্বাধীনতার আলোকে বুধবার তাদের সবচেয়ে দৃশ্যমান কর্মসূচি 'মার্চ ফর জাস্টিস'ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। ৯দফা দাবিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত চত্বর এবং প্রধান সড়কে 'মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করবে তারা।
‘সারাদেশে শিক্ষার্থী ও জনগণের ওপর গণহত্যা, মিথ্যা প্রচারণা, হামলা, মামলা, গুম ও হত্যার ঘটনা এবং জাতিসংঘের তদন্তের ভিত্তিতে বিচারে এবং ছাত্রসমাজ ও দেশের জনগণের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বুধবার আদালত, ক্যাম্পাস ও প্রধান সড়কে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালন করবে তারা।’
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।আরও পড়ুন: সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র-মিথ্যাচার করছে, পদত্যাগ করা উচিত: ফখরুল
আগামীকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অনুষ্ঠেয় এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ও জনগণকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
৯ দফা দাবির মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা দাবি করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় ২৬৬ জনের বেশি নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এতে বলা হয়, গত কয়েকদিনে ঢাকায় দুই লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সরকার, অথচ পুলিশ 'গ্রেপ্তার বাণিজ্যে' লিপ্ত।
এছাড়া সারাদেশে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে