গুলি না করার নির্দেশনা
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি পেছাল
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা এবং ডিবি হেফাজত থেকে ছয় সমন্বয়কের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি বুধবার হয়নি।
এদিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে হাইকোর্টের এই বেঞ্চে আইনজীবী ও সাংবাদিকরা ভিড় জমান। পরে জানানো হয় বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি ছুটিতে আছেন। এ কারণে ডিভিশন বেঞ্চ বসছেন না। তবে কবে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে তাও নিশ্চিত করতে পারেননি আদালত সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্টের ৯ বিচারপতি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার (২৯ জুলাই) হাইকোর্টে রিট করা হয়। একইসঙ্গে রিট আবেদনে কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার রিটটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম প্রমুখ।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
গতকাল শুনানিতে আদালত বলেন, সব মৃত্যুই দুঃখজনক। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত।
আদালত বলেন, ‘সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউ সংবিধান, আইন মেনে চলছি না ‘
আজ বুধবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: ঘরের মধ্যে ৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট
সহিংসতা ও মৃত্যুতে আমরা লজ্জিত: হাইকোর্ট
৩ মাস আগে