বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শেরপুরে শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে আহত করা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার মামলায় শেরপুরে শহর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে শহরের মোবারকপুর মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. শরাফত আলী (৪৫) শেরপুর শহরের মোবারকপুর মহল্লার মৃত মোকসেদ আলী মাতবরের ছেলে এবং শহর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪’র মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার লুৎফা বেগম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার রাতে শহরের মোবারকপুর মহল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শনিবার সকালে শরাফত আলীকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ৪ আগস্ট শেরপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের গণমিছিলে দুষ্কৃতকারীরা আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে শিক্ষার্থী সজিব মিয়া গুলিবিদ্ধ হয় এবং গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে শেরপুর সদর থানায় মামলা করা হয়।
৩ সপ্তাহ আগে
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াদের শ্বেতপত্রের দাবি ফারুকের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি আরও বলেন, 'যারা দেশ ছেড়ে গেছে বিশেষ করে শত মায়ের বুক খালি করে কীভাবে ভারতে পালিয়ে যেতে পেরেছে সেই ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি হঠাৎ করে ভারত থেকে দেশে ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছে সে কথা তুলে ধরেন ফারুক।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেভাবে ভারতে পালিয়ে গেছেন সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢোকা আপনার জন্য এত সহজ হবে না। সীমান্ত বর্তমানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে বিজিবি কঠোরভাবে সুরক্ষিত করে রেখেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সহায়তায় ভারত বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বছরের পর বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং রাতে আর ভোট হবে না। এই আন্দোলন বৃথা যাবে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি এক মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এই মানববন্ধনে ফারুক বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার জন্য, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের অধীনে নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় যেখানে দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশের মানুষের চাওয়া ড. ইউনূসের সরকার যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
বিগত সরকারের আমলে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪০ লাখ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন প্রশ্ন করছে, রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুযায়ী কেন এই ৪০ লাখ মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
১ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৮ কোটি টাকা প্রদান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সংগ্রহ করা ত্রাণ থেকে আট কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের কাছে ৮ কোটি টাকার চেক তুলে দেন সমন্বয়করা।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, 'আজকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা সংগৃহীত ত্রাণের অর্থ প্রদান করার জন্য এসেছেন। তাদের সংগৃহিত ত্রাণ নয়, এটা বাংলাদেশের প্রাণ। এখানে শিশু, কর্মজীবী মানুষ, গৃহবধূ- দেশের আপামর জনগণ তাদের সাধ্যমতো এ তহবিলে দান করেছেন। তাদের সেই সংগৃহীত অর্থ আজকে দিতে এসেছেন।'
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, গত ২৭ আগস্ট থেকে আজকে পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮৩ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার ৮ টাকা ৫৩ পয়সা গ্রহণ করেছি। মোট ২০৩টি চেক আমরা গ্রহণ করেছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, 'টিএসসিতে যে ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম হয়েছে, সেখানে আমি একজন প্রতিনিধি ছিলাম, আমার সঙ্গে আরও প্রতিনিধিরা রয়েছেন এখানে। টিএসসিতে আমাদের যে ত্রাণ কার্যক্রম হয়েছে গতকাল সেটার পূর্ণাঙ্গ অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করেছি আমরা। সব আয়-ব্যয়ের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখন ৯ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ টাকা আছে। সেখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৮ কোটি টাকা আমরা উপদেষ্টার কাছে আমরা হস্তান্তর করব।'
কেন তারা এ টাকা দিচ্ছেন সেই বিষয়ে সমন্বয়ক বলেন, ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে একটি জাতীয় বন্যা পুনর্বাসন কমিটি করা হয়েছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছে। সেখানেও আমাদের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। আমরা চাই আমাদের এই টাকাটা সাধারণ মানুষের পুনর্বাসনে কাজে লাগুক।
'আমরা ওয়াচ ডগ হিসাবে তদারকি করব। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকে আমরা ৮ কোটি টাকা হস্তান্তর করছি' বলেন লুৎফুর রহমান।
বাকি ১ কোটি ৯১ টা লাখ টাকা রয়েছে সেটা উত্তরবঙ্গে বন্যার্তদের জন্য ব্যয় করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গত পরশু সেখানে আমাদের পাঁচটি টিম গিয়েছে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।
এ সমন্বয়ক আরও বলেন, গত ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিএসসিতে ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে নগদ অর্থ এসেছে ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০ টাকা। এরই মধ্যে আমরা ব্যয় করেছি এক কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ টাকা। এই টাকা দিয়ে আমরা ত্রাণ কিনেছি, গাড়ি ভাড়া দিয়েছি। এক্ষেত্রে ২০০ ট্রাক ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় ২ লাখ ত্রাণের প্যাকেট আমাদের গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কম্বলসহ অনুদান দিয়েছে বিটিএমএ
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ লাখ ৫০ হাজার কম্বল দিলো ইসলামী ব্যাংক
১ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ
জুলাই-আগস্টে হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের নামের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে এসব তথ্য সংগৃহীত হয়েছে।
তথ্য সংশোধন ও সংযোজনের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট: www.hsd.gov.bd-এ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট: www.dghs.gov.bd-এ এই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
নিহতদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের এ তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য যাচাই, সংশোধন ও পূর্ণাঙ্গ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে সরকারি হাসপাতাল: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার থাকলে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানাতে হবে।
প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধন করতে হবে যেভাবে-
ক) নিহতদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
খ) রেজিস্ট্রেশনের পর নিহত ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।
গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।
ঘ) পূরণ করা তথ্য নিয়ে যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল সেই হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।
ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিহতদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের পূরণ করা ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।
চ) দাখিল করা তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হয়েছে কি না তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।
এছাড়াও সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের মধ্যে যদি কারো নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে নিহতদের পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিদের উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
১ মাস আগে
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের জামিন নামঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দ্রুত বিচার আদালতে জামিন আবেদন করেন এম এ মান্নানের আইনজীবীরা। পরে ১০ মিনিট যুক্তি-তর্ক শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাশুক আলম বলেন, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মান্নানের হুকুমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তার আইনজীবীরা জামিন চাইলে আমরা বিরোধিতা করি।
গত ২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত সুইডেন আসলাম
১ মাস আগে
জয়পুরহাটে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সদর থানা থেকে লুট হওয়া একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ৩৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে জয়পুরহাট চুনা পাথর খনি ও সিমেন্ট প্রকল্প মাঠের পাশের একটি ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওইদিন সন্ধ্যায় জয়পুরহাট সদর থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। থানার অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন সরকারি সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের জয়পুরহাট চুনা পাথর খনি ও সিমেন্ট প্রকল্প মাঠের পাশের ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এ পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জয়পুরহাট থানা থেকে মোট ৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুট হয়েছিল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
২ মাস আগে
সাত দিনের রিমান্ডে মোজাম্মেল বাবু-শাহরিয়ার কবির
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে গৃহকর্মী লিজা আক্তার হত্যার অভিযোগে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় করা মামলায় একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. পায়েল হোসেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ৭ দিনের রিমান্ডে
শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর লিজা আক্তারের বাবা মো. জয়নাল শিকদার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই রমনা থানাধীন এলাকায় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে লিজাসহ অনেক সাধারণ মানুষ আহত হন। গুলিবিদ্ধ লিজা আক্তার ২২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী
২ মাস আগে
আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে হোটেল কর্মচারী মো. সিয়াম সরদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত।
আরও পড়ুন: ইনু-মেনন, পলকসহ সাবেক আইজিপি মামুন রিমান্ড শেষে কারাগারে
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিন নামঞ্জুরের আবেদন জানান। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী তানভীর উল ইসলাম।
রবিবার রাত ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর সেগুনবাগিচা থেকে সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর নিহত সিয়ামের বাবা মো. সোহাগ সরদার বাদী হয়ে ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার ৮ নম্বর আসামি আসাদুজ্জামান নূর।
আরও পড়ুন: ৩৮৮ জন আনসার সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
অপর আসামিরা হলেন- আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন অর রশীদ, মনির হোসেন, মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও কামাল আহমেদ মজুমদার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই রাত ১১টার দিকে মিরপুর-১০ এ আবু তালেব স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে নির্বিচারে গুলি করে। এ সময় সিয়াম সরদার হোটেলের কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিয়াম মারা যান।
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিক কারাগারে, আদালত প্রাঙ্গণে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
২ মাস আগে
দিনাজপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা
৪ আগস্ট দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে আহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলার রাজবাটি এলাকার এ.বি.এম সিদ্দিকের ছেলে মো. ফাহিম ফয়সাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী
মালার অন্য আমিরা হলেন- ইমদাদ সরকার, মোমিনুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ শাহ্ আলম, আনোয়ার হোসেন, নোওশাদ ইকবাল কলিংশ, বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, রমজান, রেজাউল ইসলাম রেজা, মো. জর্জেস সোহেল, মো. রানা, নওসাদ, সাদেকুল, মো. মামুন, মো. জাহিদি পারভেজ অপূর্ব, মো. আলাউদ্দীন, জেমী, মো. তায়েব, দুলাল হোসেন, আবু রায়হান আবু, আবু ইবনে রজ্জব, সুমন, শাজাহান নোবেল, মনিরুজ্জামান জুয়েল, সালেকিন রানা, আব্দুল্লাহ আল আমীন সৌরভ, দিপু, শাওন, সানি, মো. আবু তৈয়ব আলী দুলাল, ওয়ারেসুল হক রঞ্জু, কপিল বসাক, আইনজীবী শাহাজাদা, রহমত আলী, আহমাদ ইবনে সাইদ দিপ্ত, তানভির রেজওয়ান শান্ত, লাইজুর, রাফু, জিল্লুর, মো. আব্দুল লতিফ, মো. সুজন, মো. নুর নবিন, মো. হাসনাত আজিম লিয়ন, আতিয়ার রহমান, সৈকত পাল, মো. ফিরোজ, মো. রতন, মো. ফয়সাল হাবিব সুমন, মো. মোসাদ্দেক হোসেন রানা, মোবারক হোসেন, মশিউর রহমান, মো. হারুন উর রশিদ রায়হান, মো. সারোয়ার জাহান রাজ্য, সোহরাব, আক্তারুজ্জামান, মোস্তফা কামাল, সত্যঘোষ এবং মো. সালাউদ্দিন হক।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দিনাজপুর মুন্সিপাড়ায় জেনারেল হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন এই মামলার বাদী ফাহিম ফয়সাল। তাকে হত্যার চেষ্টার জন্য শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নিক্সন চৌধুরী, ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৯৮ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা
সিলেটে চার মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
২ মাস আগে
ক্ষমা পেয়ে আরব আমিরাত থেকে ফিরলেন আরও ২৬ বাংলাদেশি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
ইন্ডিগো এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে এই ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফেরেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে এই ২৬ বাংলাদেশিকে পরিবহন খরচসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি
তিনি বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও ব্র্যাক এই প্রবাসীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরেকত্রীকরণে কাজ করবে।
এজন্য তাদের চাহিদা নিরূপণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী মনো-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করা হবে বলে জানান শরিফুল হাসান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় গত জুলাই মাসে ৫৭ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার ও শাস্তি পান।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে ৫৭ বাংলাদেশির ক্ষমার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ৩১ জন তিন দফায় দেশে ফিরে আসেন। বাকি ২৬ জন শুক্রবার ফিরলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি
২ মাস আগে