জরুরি নির্দেশনা
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে 'অসহযোগ আন্দোলনের' জরুরি নির্দেশনা
'অসহযোগ আন্দোলন' সফল করার লক্ষ্যে জনগণকে বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন।
নির্দেশনায় সারাদেশে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে ব্যাপক পদক্ষেপের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এক ফেসবুক পোস্টে এসব নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো অবরোধ
মূল নির্দেশাবলীর মধ্যে রয়েছে:
১. কোনো ট্যাক্স পেমেন্ট নয়: নাগরিকদের সব ধরনের ট্যাক্স বা লেভি পেমেন্ট আটকে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়।
২. বিল পরিশোধ স্থগিত: বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ, গ্যাস বা পানির বিল পরিশোধ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩. প্রতিষ্ঠান বন্ধ: অফিস-আদালত ও কলকারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে কর্মচারীদের কাজে যোগ না দিয়ে মাস শেষে বেতন আদায়ে উৎসাহিত করা হয়েছে।
৪. শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখা: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
৫. রেমিট্যান্স সীমাবদ্ধতা: ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
৬. সরকারি অনুষ্ঠান বর্জন: নাগরিকদের সমস্ত সরকারি সভা, সেমিনার ও ইভেন্ট বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
৭. বন্দর শ্রমিকদের ধর্মঘট: বন্দর শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বা কোনো পণ্য খালাস না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগ কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
৮. কারখানা বন্ধ: পোশাক কারখানাসহ কোনো কারখানা চালু থাকবে না। শ্রমিকদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
৯. গণপরিবহন স্থগিত: গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা যেন কর্মস্থলে না যায়।
১০. সীমিত সময় ব্যাংক চালু: জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি রবিবার ব্যাংক খোলা থাকবে।
১১. পুলিশ কর্তব্যের সীমাবদ্ধতা: পুলিশ অফিসারদের প্রোটোকল, দাঙ্গা বা প্রতিবাদের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়, কেবলমাত্র রুটিন স্টেশনের কাজ সম্পাদন করতে বলা হয়েছে।
১২. অফশোর লেনদেন নিষিদ্ধ: মানি লন্ডারিং রোধে অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
১৩. সামরিক বিধিনিষেধ: বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যতীত সেনাবাহিনী সেনানিবাসের বাইরে দায়িত্ব পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করবে।
১৪. আমলাতান্ত্রিক অনুপস্থিতি: আমলাদের সচিবালয়ে উপস্থিত না হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক বা উপজেলা কর্মকর্তাদের অফিসের বাইরে থাকতে বলা হয়েছে।
১৫. বিলাসবহুল পণ্যের দোকান বন্ধ: বিলাসবহুল পণ্য, শো-রুম, মল, হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে।
হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন পরিষেবা, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, ফায়ার সার্ভিস, মিডিয়া, প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট পরিষেবা এবং জরুরি ত্রাণ সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো অব্যাহত থাকবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানগুলো বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে শহীদ মিনারে রিকশাচালকদের ভিড়
৩ মাস আগে