কারফিউ শিথিল
গোপালগঞ্জে ১৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মার্চ টু গোপালগঞ্জ কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর চলমান কারফিউ ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ জেলায় জনসাধারণের চলাচলে কোন বাধা নেই বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তার পাশাপাশি জনগণের ভোগান্তি কমাতেই কারফিউ সাময়িক শিথিল করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে কারফিউ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পড়ুন: গোপালগঞ্জে কারফিউ অব্যাহত: জনমনে আতঙ্কের মধ্যে মামলা
গত বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির কর্মসূচিতে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হওয়া খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ওইদিনই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে সেদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় কারফিউর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
১৩৯ দিন আগে
রবিবার থেকে কারফিউ ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত শিথিল
কারফিউ শিথিলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রবিবার (৪ আগস্ট) থেকে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা- মোট ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় কারফিউ শিথিল বা প্রয়োগের বিষয়ে অন্যান্য জেলার জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তিনি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করবেন কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয় ... এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং প্রধানমন্ত্রী যদি উপযুক্ত মনে করেন... আমরা সব সময় দেশের জন্য কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আমরা তা করব।’
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
৪৮৮ দিন আগে