পদত্যাগ দাবি
কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি, ঢাকায় ফিরে সুরাহার আশ্বাস প্রেস সচিবের
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা খুলনা প্রেসক্লাব ঘেরাও করে। এ সময় ভেতরে অবস্থান করছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
শনিবার (২৮ জুন) বিকাল ৬টার দিকে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে খুলনা প্রেস ক্লাবে এলে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রেস সচিব ক্লাবে প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পরই আন্দোলনকারীরা ক্লাব ভবনে উপস্থিত হয়ে সামনের সড়ক অবরোধ করে। কমিশনারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দেয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের সময়কালে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি চরম নাজুক পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিদিনই খুলনায় খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে খুলনা প্রেস ক্লাবের নেতারা প্রেস সচিব ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেন। তবে আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব নেতাদের আলোচনার প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন এবং স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান ছাড়বেন না।
তবে এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা আলোচনায় বসতে সম্মত হন। প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে আলোচনায় খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এখানে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।
পড়ুন: পুলিশের উপপরিদর্শক সুশান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি ঘেরাও ছাত্র-জনতার
প্রেস সচিব জানান, তিনি ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে সুরাহা করবেন। পরে রাত ৮টা ১০ মিনিটে প্রেস সচিব ও তার সফরসঙ্গীরা প্রেসক্লাব থেকে বের হন।
এ সময় প্রেসক্লাব ও সংলগ্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাব চত্বরে ব্রিফিংয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগ না হলে কেএমপিসহ নগরীর ৮ থানা ঘেরাও করার ঘোষণা দেয়।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর খানজাহান আলী রোড গ্লাক্সোর মোড়ে কেএমপি হেড কোয়ার্টার ঘেরাও, সড়ক অবরোধ ও রাস্তায় টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর বিকাল ৫টার দিকে মিছিল নিয়ে খুলনা প্রেসক্লাবের উদ্দেশে রওনা হয়।
১৫৯ দিন আগে
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
কুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ও কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার নেতা-কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৪টা দিকে জাবির শহিদ মিনার চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাগছাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব জাবি শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা ভিসির পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবে সামনের সারিতে ভূমিকা পালনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় একটি দলের সন্ত্রাসীরা। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে উল্টো বিপ্লবীদেরই বহিষ্কার করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে কুয়েট প্রশাসন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে ভিসিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নেতা আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর কীভাবে অন্যায়-অবিচার করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছেন। তাদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি এবং কুয়েটের ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।’
ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জাবি শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, ‘এ দেশের হাজারো ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জুলাই আন্দোলনকে সফল করেছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ছাত্র উপদেষ্টারা ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করছেন, অথচ কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া অন্যায়ের কোনো প্রতিকার করছেন না। আপনারা ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।’
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নির্দিষ্ট কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করতে চান, তাহলে পদত্যাগ করুন। দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের চেয়ারে বসানো হয়নি। কুয়েট ভিসির পদত্যাগ নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।’
২২৬ দিন আগে
বাকৃবিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি সোনালী দলের
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী দলের শিক্ষকরা।
সোনালী দলের শিক্ষকদের সঙ্গে রবিবার (৪ আগস্ট) অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণে জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন সংগঠনটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘর-আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা, আগুন
সোনালী দলের শিক্ষকরা জানান, রবিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল শেষে উপাচার্যের ভবনের সামনে উপস্থিত হলে বাকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ ও তার অনুসারীরা আন্দোলনে বাঁধা দেয় এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে।
বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হলে তিনিও সোনালী দলের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. তাহসিন ফারজানা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সমাবেশ শেষে শিক্ষকদের অনেকেই শহরে চলে যাবে বলে রওনা দিচ্ছিল। এদিকে নারী শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে মুক্ত মঞ্চের সামনে ছিল। এমন সময় অডিটোরিয়ামের দিক থেকে ২০ থেকে ২৫ জনের মতো ছাত্র হাতে লাঠি ও রড নিয়ে দৌড়ে আসে। তারপর তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও আমাদের লাঞ্ছিত করে।’
তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: এটিএন বাংলার কার্যালয়ে তাণ্ডব, এটিএন নিউজের সম্প্রচার বন্ধ
রাজশাহীতে বিক্ষোভকারী-আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫
৪৮৬ দিন আগে