নিহত ৬
সিরাজগঞ্জের মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৬
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কুটিরচর এসিআই ফুড কারখানার সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে মাইক্রোবাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৩
নিহতরা হলেন- রায়গঞ্জের ব্রাহ্মণ বয়রা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক রাশেদুল ইসলাম (২২), তাড়াশের ভাটড়া গ্রামের রমজান আলীর দুই ছেলে নুরুজ্জামান (৫২) ও তারেক রহমান (৫৫), একই গ্রামের মৃত নূর বক্সের দুই ছেলে রজাউল করিম (৬০) ও আব্দুল মজিদ (৫০) এবং একই গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫৬)।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, নলকা থেকে মাইক্রোবাসটি সিরাজগঞ্জ যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট কুঠিরচর এসিআই মিলের সামনে পৌঁছলে বিপরীতমুখী একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
তিনি বলেন, এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়।
এছাড়া চালকসহ তিনজনের লাশ থানায় ও অপর তিনজনের লাশ ওই হাসপাতালে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
হবিগঞ্জে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, নিহত ৬
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত অর্ধশতাধিক।
সোমবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাদুঘর-আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা, আগুন
নিহতরা হলেন- যাত্রাপাশা গ্রামের ছানু মিয়ার ছেলে হাসান (১২), মাইজের মহল্লা গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে আশরাফুল (১৭), পাড়াগাঁয়ের শমশের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির (৪০), কামালকানি গ্রামের নয়ন (১৮), জাতকর্ন পাড়ার আবদুর রউফের ছেলে তোফাজ্জল (১৮), পূর্বঘর গ্রামের ছাদিকুর (৩০)।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীসহ জনগণ স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়।
পরে মিছিল নিয়ে বানিয়াচং থানার কাছে এলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ছয়জন নিহত হয়। গুলিতে আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতা।
সেনাবাহিনীকে নিয়ে জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা বানিয়াচং থানা পরিদর্শনে যান।
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা বলেন, সেখানে বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যাওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলামকে আহত করেন। এছাড়া বানিয়াচং থানার পুলিশকে বেশ কিছু সময় ঘেরাও করে রাখে জনতা।
বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: এটিএন বাংলার কার্যালয়ে তাণ্ডব, এটিএন নিউজের সম্প্রচার বন্ধ
রাজশাহীতে বিক্ষোভকারী-আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫