অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ
দেশে জলবায়ু ন্যায়বিচার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার
জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ সংকট মোকাবিলা, নারীর অধিকার নিশ্চিতসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত একশনএইড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আশ্বাস দেন অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দূত ক্রিস্টিন টিলি। আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল এবং একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির।
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ সবার একাগ্র প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে ক্রিস্টিন টিলি বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা পাবে যখন জলবায়ু পরিবর্তনে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কথা আমরা তুলে আনতে পারব। এজন্য প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের লড়াইয়ের কথা (আমরা) শুনতে চাই; তাদের সেভাবে সহযোগিতা করতে চাই।’
‘এ লড়াইয়ের যাত্রায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে একশনএইড বাংলাদেশ দেশের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা তাদের সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় সঙ্গী হতে পেরে আনন্দিত। আশা করছি, জলবায়ু ন্যায়বিচার, নারী অধিকার নিশ্চিতসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব।’
আরও পড়ুন: পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
নারী ও তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের কথা বৈশ্বিক পর্যায়ে উঠে আসবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল।
তার কথায়, ‘অস্ট্রেলিয়া ও একশনএইড বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা দুপক্ষই জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য (আমরা) কাজ করতে চাই। বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ কমিউনিটির পাশে থাকতে চাই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, নারী ও তরুণ কমিউনিটির জীবন-জীবিকার মানোয়ন্নন ও নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করতে চাই। তাদের কণ্ঠই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘১৯৮২ সালে ভোলায় জলবায়ু বিপর্যয়ের মোকাবিলার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে একশনএইড বাংলাদেশ। জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এই লড়াই অব্যাহত রয়েছে। আমরা লক্ষ করি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে দেশের নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্বে তাদের জীবনমান উন্নয়নে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব বলে আমরা আশা রাখি।’
বৈঠকের একপর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত সম্মুখ সারির কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন ক্রিস্টিন টিলি। এ সময় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার দুলালী বেগম এবং শ্যামনগরের রেক্সোনা খাতুন জলবায়ু বিপর্যয়কালে কাটানো দুর্ভোগ আর মোকাবিলার কথা তার কাছে তুলে ধরেন।
এ সময় জলবায়ু নিয়ে কাজ করা তরুণদের প্রতিনিধি রায়হান নুরনবীসহ বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান কমিশন ও একশনএইড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৯ দিন আগে
আমরা আশাবাদী এই রূপান্তর ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে নেবে: অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ বলেছে, দৃঢ় প্রত্যয়ের সাহস, প্রশাসনের সংস্কার এবং মানবাধিকার রক্ষায় শিক্ষার্থীদের আপসহীন অঙ্গীকার একটি ন্যায়বিচার ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে তরুণদের অপরিহার্য ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করে বেসরকারি সংস্থাটি।
এতে বলা হয়, ‘যারা অধিকার ও ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে সাহস নিয়ে নিজের কণ্ঠ তুলে ধরেছে, সেই তরুণদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ।’
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আরও বলেছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, তবুও আমরা আশাবাদী এই রূপান্তর ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
এতে বলা হয়, প্রত্যয়ের সাহস, সুশাসন সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার রক্ষায় আপসহীন অঙ্গীকার একটি ন্যায়সঙ্গত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে তরুণদের অপরিহার্য ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ বলছে, স্বাধীনতার মূল্য দিতে হয় এবং বৈচিত্র্যকে সম্মান করতেহয়। একই সঙ্গে সকল নাগরিকের সমতা বজায় রাখবে এমন একটি জাতি গঠনের প্রচেষ্টায় আত্মত্যাগকারীদের অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যদিও আমরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তবুও আমরা আশাবাদী যে, তরুণদের নেতৃত্বে এই রাজনৈতিক রূপান্তর ইতিবাচক পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। মানবাধিকার, সার্বিক অন্তর্ভুক্তি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে আমাদের জাতীয় এজেন্ডার অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা দেশের কর্তৃত্বশীল ও কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে এমন একটি ভবিষ্যত গড়ে তুলি যেখানে লিঙ্গ, শ্রেণি, বর্ণ বা জাতি নির্বিশেষে সবাই মূল্যবান হবে এবং সবার মতামত শোনা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক শূন্যতা’ পূরণে অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান ড. দেবপ্রিয়র
২২৮ দিন আগে