ছাত্র-জনতা
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সব শহীদের স্মরণে স্মরণসভা আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, স্মরণ সভায় শহীদ পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
তিনি বলেন, স্মরণ সভায় বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন ও লং মার্চ টু ঢাকা- এই তিনটি বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। কারণ শব্দগুলো গণআন্দোলনে টনিক হিসেবে কাজ করেছে। স্মরণসভাকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে যেন তা জুলাই গণআন্দোলনের আবহ তৈরি করে।
এ আয়োজনের জন্য বিভিন্ন ডিজাইন নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক।
উল্লেখ্য, স্মরণসভায় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এসময় সভায় ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
নতুন এমডি পেল মেট্রোরেলের অপারেটর ডিএমটিসিএল
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিজয়কে রক্ষায় দেশবাসীকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এই বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে, এজন্য সাংবাদকিসহ দেশবাসীকে সোচ্চার থাকতে হবে।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল-ফারুক সোসাইটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের ঐক্যকেআরও দৃঢ়তার এবং মজবুত করতে হবে। আমরা একটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে সময় অতিবাহিত করছি।’
তিনি বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশ গড়ার কাজে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়োজিত রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্য সুদৃঢ় হবে এবং ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাকার হয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত আমরা মোকাবিলা করব ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, আজকে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এ অর্জনের একমাত্র কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের, আমাদের সন্তানদের। আমরা যা গত ১৫ বছরে করতে পারিনি, আমাদের সন্তানরা তা করে দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন করার জন্য আপনাদের প্রিয়জন শহীদ হয়েছেন। শাহাদাত বরণকারী এসব ছাত্র জনতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সরকারকেই সকল শহীদ পরিবারের ভরণপোষণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সাম্প্রতিক বন্যার বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, কথিত বন্ধু ভারত ফারাক্কাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের বিশাল এলাকা মরুভূতিতে পরিণত করেছে। ভারত শুকনা মওসুমে পানি আটকিয়ে রাখে, আর বর্ষায় মওসুমে রাতের আধারে একসঙ্গে সব গেট খুলে দেয়। গ্রীষ্মে যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয়, তখন তারা আমাদেরকে পানি না দিয়ে শুকিয়ে মারে। পানির অভাবে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়। আবার বর্ষার মওসুমে যখন পানির প্রয়োজন নেই, তখন পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসায়।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর দেশকে অর্থবহ স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈষম্যহীন, সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। ফ্যাসিবাদীরা লুটপাট করে যেসব টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সেগুলো ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত বিজয়কে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে: বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি
ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত এ বিজয়কে যেকোনো মূল্যে অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতারা।
দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় দেশ গঠনে সবাইকে সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তারা।
একমাত্র বাংলাদেশি নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বতীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় অভিনন্দন জানান জসিম উদ্দিন।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির এ ক্রান্তিলগ্নে উপযুক্ত ভূমিকা রাখার জন্য সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানদেরও অভিনন্দন জানান।
বুধবার (৭ আগস্ট) দৈনিক পূর্বকোণ কার্যালয়ের মরহুম ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হলে জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্হায়ী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নুরুল হক, মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, কার্যকরি কমিটির যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইব্রাহীম, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন মুহাম্মদ নুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজুর রহমান বেলাল প্রমুখ।
জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, দেশের গৌরবোজ্জ্বল সব অর্জনের নেপথ্যে এদেশের ছাত্র সমাজের অনবদ্য ভূমিকা কোনোভাবেই বিস্মৃত হবার নয়। ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭১ ও ৯০ সহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে রয়েছে ছাত্র সমাজের অমূল্য কীর্তি। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনও সফলতা অর্জন করেছে।
নেতারা আরও বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর হাতে থাকা অবস্থায় দেশে কোনো রকমের অরাজকতা ও সহিংসতা কখনো কাম্য হতে পারে না। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দাও জানান তারা।
জাতির এ সংকটময় মুহূর্তে প্রত্যেক বাংলাদেশি সচেতন ব্যক্তিকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তারা।