ছাত্র-জনতা
মাগুরায় শিশু ধর্ষকের বিচারের দাবিতে আদালত চত্বর ঘেরাও ছাত্র-জনতার
মাগুরার ৯ বছর বয়সি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে আদালত চত্বর ঘেরাও করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তারা আদালত চত্বরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের বাধা দেয় ও শান্ত করার চেষ্টা চালায়।
এ সময় আদালতের গেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা স্লোগানে স্লোগানে ধর্ষকের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি জানান।
এ ছাড়াও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে শুক্রবার সাধারণ ছাত্র-জনতা মাগুরা সদর থানা ঘেরাও করেছে। শনিবার দুপুরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মাগুরা জেলা শাখা এবং সদর হাসপাতালের সামনে জেলা মহিলা দলের নারী সদস্যরা।
এদিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিন, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, পুলিশ এবং দশজন ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভা চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
৭ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আহ্বান
জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর সহিংস ঘটনার স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যদি কারও কাছে এমন কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে তাকে সেগুলো এ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে (andolonerchobi.police.gov.bd) আপলোড করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়াটার্স। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে তথ্য-প্রমাণ আপলোড করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণ-আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার তথ্য-প্রমাণ ও ডিজিটাল প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব নাগরিকের কাছে সংশ্লিষ্ট কোনো ছবি কিংবা ভিডিও রয়েছে, তারা চাইলে সেগুলো পুলিশকে সরবরাহ করতে পারেন।
এ সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট (andolonerchobi.police.gov.bd) খোলা হয়েছে, এখানেই সবাইকে ছবি ও ভিডিও আপলোড করতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১টি এবং প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫টি করে স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ আপলোড করা যাবে।
প্রতিটি ফাইল আপলোডের আগে আপলোডকারীর মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। আপলোডকৃত ফাইলগুলো আপলোডকারীর মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ-ইন করে পরবর্তীতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: আহতদের চিকিৎসায় আগত বিদেশি চিকিৎসকদের ভ্যাট অব্যাহতি
৩৫ দিন আগে
আগুন ও বুলডোজারে খসে পড়ছে ধনমণ্ডির ৩২ নম্বর ভবন
বুলডোজারের আঘাতে খসে পড়ছে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়। এরআগে রাত ৯টার দিকে ভবনটির তৃতীয় তলায় আগুন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টায় প্রথমে বাড়ির সামনে একটি ক্রেন নেওয়া হয়েছে। পরে আরেকটি বুলডোজার আনা হয়। বাড়ির একপাশে আগুন জ্বলছে।
ক্রেন নিয়ে যাওয়া হলে উৎস্যুক জনতাকে ক্রেনের ওপর ওঠে উল্লাশ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এ সময়ে‘শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে ছাত্রদের। কেউ কেউ শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়েও স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এমন এক দিনে এই ঘটনাপ্রবাহ চলছে, যেদিন গণ আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ছয় মাস পূর্ণ হল।
বুধবার রাত ৮টার পর থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়িটির সামনে জড়ো হতে থাকেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনতার ভিড়ও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে জনতা। লাঠিসোঁটা ও শাবল হাতে ভাঙচুরে যোগ দেন অনেকে।আরও পড়ুন: ক্রেন দিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই রাত আটটার দিকে সেখানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যা সাতটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’
শেখ মুজিবুর রহমান তার এই বাসভবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগের দিনগুলোতে দিকনির্দেশনা দিতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী–পুত্র, পুত্রবধূসহ আত্মীয়দের হত্যা করা হয়েছিল এখানে। এই বাড়িটিকে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পর থেকে বাড়িটি অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
৩৮ দিন আগে
ক্রেন দিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
ক্রেন দিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টা ২০ মিনিটে গেট দিয়ে বাড়ি ভাঙতে ভাঙতে ক্রেনটি ভেতরে প্রবেশ করেছে।
এরআগে রাত সাড়ে ১০টায় ক্রেন বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ সময়ে উৎস্যুক জনতাকে ক্রেনের ওপর ওঠে উল্লাশ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এ সময়ে‘শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিতে দেখা গেছে ছাত্রদের।
অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ঘোষণা দেন, ঠিক যে সময়ে শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন, তখনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভবনে ভাঙচুর চালানো হবে। তবে তার আগেই রাত আটটার দিকে সেখানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করা হয়।
৩৮ দিন আগে
শুধু একটি নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহিদ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
শুধু একটি নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে এত মানুষ শহিদ হয়নি মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বিগত সরকার ফ্যাসিবাদের মধ্য দিয়ে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। দেশে আগে সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সংস্কার শেষেই নির্বাচনের দিকে এ সরকার যাবে।’
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ হলরুমে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘বিগত দিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার এসব জেলা-উপজেলাগুলোতে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও সমাপ্ত করবে। অবহেলিত এসব জেলাকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে।’
‘এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কর্মকর্তারা ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন যা আমাদের সার্বিক উন্নয়নের পথে বড় বাধা। এসব বিষয়ও মনিটরিং করা হবে।’
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের পতন মানতে না পারা পরাশক্তিই দেশের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে: উপদেষ্টা আসিফ
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে জেলার সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস উপদেষ্টাকে জানান, বৈষম্যের কারণে ঠাকুরগাঁওসহ দেশের উত্তরাঞ্চল উন্নয়নবঞ্চিত। জেলার রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টের উন্নয়নের জন্য এক হাজার কোটি টাকার একটি প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার তুলে ধরেন তিনি।
এছাড়া এলজিইডি নন ক্যাডার ডিপার্টমেন্ট হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হন বলেও জানান তিনি।
কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে এলজিইডি ক্যাডারে অন্তর্ভূক্তি এবং উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীদের জন্য গাড়ির প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি তুলে ধরেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ, ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাসসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের দোসররা আন্দোলনের সময় প্রবাসীদের হেনস্তা করেছে: আসিফ মাহমুদ
৮১ দিন আগে
ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তা কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। ছাত্র-জনতার অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করবে যুবদল।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের সংস্কার অনুসরণ করে হবে ভবিষ্যৎ সংস্কার: ডা. মঈন খান
মঈন খান বলেন, লুটপাট-চুরি নয়, শৃঙ্খলা-সততা আর দেশপ্রেমিক রাজনীতি করে বাংলাদেশকে সম্মানের দেশ হিসেবে পরিচিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য যুবদলের সদস্যদের প্রশিক্ষিত হবার পাশাপাশি ন্যায়-নীতি আর নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করতে হবে।
পলাশ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নিছার আহমদে খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শাহেন শাহ শানু, সদস্য সচিব হাসানুজ্জামান হাসান,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র সাফল্য অর্থ পাচার: মঈন খান
১৩৯ দিন আগে
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করায় ছাত্র-জনতার অভিযোগ নিরসনের উপায় হলো: আইন উপদেষ্টা
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের সামনে এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের উদ্বেগ উপস্থাপনের একটি ফোরাম রয়েছে, যা একটি ইতিবাচক উন্নয়ন।
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে এমন কয়েকজন বিচারপতি রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে সমাজের বিভিন্ন অংশের অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাদের কেউ কেউ পতিত অত্যাচারী শাসনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিলেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, অনেকে ক্ষুব্ধ। এখন কাউন্সিলের মাধ্যমে এসব অভিযোগের সমাধানের সাংবিধানিক উপায় রয়েছে।’
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ নজরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহালে বিচারপতিদের জবাবদিহি হবে: আইন উপদেষ্টা
বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে বিচারকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফোরাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে পুনরায় সচল করা হয়েছে। এ নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি থাকলেও আদালতের রায়ে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন কাউন্সিল পুরোদমে চালু করা যাবে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, উচ্চ বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সংবিধানের এ-সংক্রান্ত ৯৬ অনুচ্ছেদ পুরোটাই পুনর্বহাল করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে।রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আসিফ নজরুল বলেন, সংবিধানের অধীনে গঠিত কাউন্সিলে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিরা রয়েছেন। ‘যদি আজ একটি অভিযোগ দায়ের হয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রক্রিয়া শুরু হবে। আলাদা করে নোটিফিকেশনের দরকার নেই; এটা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে।’
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল যখন নিষ্ক্রিয় ছিল, তখন উচ্চ বিচার বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করার কোনো ফোরাম ছিল না। সে সময় আদালত প্রশাসনেরও এ ধরনের জবাবদিহি নিশ্চিত করার সদিচ্ছার অভাব ছিল, কারণ তারা অন্যদের নির্দেশে রায় দিচ্ছিলেন।’
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
১৪৭ দিন আগে
ছাত্র-জনতার ওপর র্যাব কোনো গুলি চালায়নি: কর্নেল মুনীম ফেরদৌস
ছাত্র-জনতার ওপর র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো গুলি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মুনীম ফেরদৌস আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ওপর র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো গুলি করা হয়নি। যদি আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে কোনো অভিযোগ থাকে তবে আমরা তা খতিয়ে দেখব।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে কয়রা ও মোংলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে র্যাব
আরেক প্রশ্নের জবাবে মুনিম বলেন, র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে শুধুমাত্র টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে র্যাব হেডকোয়ার্টার থেকেও বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা কর্মবিরতিতে গেলেও কোনো র্যাব সদস্য কর্মবিরতিতে যাননি বা পালিয়ে যাননি।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
১৬৫ দিন আগে
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সব শহীদের স্মরণে স্মরণসভা আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, স্মরণ সভায় শহীদ পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
তিনি বলেন, স্মরণ সভায় বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন ও লং মার্চ টু ঢাকা- এই তিনটি বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। কারণ শব্দগুলো গণআন্দোলনে টনিক হিসেবে কাজ করেছে। স্মরণসভাকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে যেন তা জুলাই গণআন্দোলনের আবহ তৈরি করে।
এ আয়োজনের জন্য বিভিন্ন ডিজাইন নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক।
উল্লেখ্য, স্মরণসভায় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এসময় সভায় ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
নতুন এমডি পেল মেট্রোরেলের অপারেটর ডিএমটিসিএল
১৮৮ দিন আগে
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিজয়কে রক্ষায় দেশবাসীকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এই বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে, এজন্য সাংবাদকিসহ দেশবাসীকে সোচ্চার থাকতে হবে।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল-ফারুক সোসাইটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের ঐক্যকেআরও দৃঢ়তার এবং মজবুত করতে হবে। আমরা একটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে সময় অতিবাহিত করছি।’
তিনি বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশ গড়ার কাজে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়োজিত রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্য সুদৃঢ় হবে এবং ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাকার হয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত আমরা মোকাবিলা করব ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, আজকে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এ অর্জনের একমাত্র কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের, আমাদের সন্তানদের। আমরা যা গত ১৫ বছরে করতে পারিনি, আমাদের সন্তানরা তা করে দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন করার জন্য আপনাদের প্রিয়জন শহীদ হয়েছেন। শাহাদাত বরণকারী এসব ছাত্র জনতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সরকারকেই সকল শহীদ পরিবারের ভরণপোষণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সাম্প্রতিক বন্যার বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, কথিত বন্ধু ভারত ফারাক্কাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের বিশাল এলাকা মরুভূতিতে পরিণত করেছে। ভারত শুকনা মওসুমে পানি আটকিয়ে রাখে, আর বর্ষায় মওসুমে রাতের আধারে একসঙ্গে সব গেট খুলে দেয়। গ্রীষ্মে যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয়, তখন তারা আমাদেরকে পানি না দিয়ে শুকিয়ে মারে। পানির অভাবে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়। আবার বর্ষার মওসুমে যখন পানির প্রয়োজন নেই, তখন পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসায়।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর দেশকে অর্থবহ স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈষম্যহীন, সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। ফ্যাসিবাদীরা লুটপাট করে যেসব টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সেগুলো ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
২০৪ দিন আগে