প্রধান উপদেষ্টা
পুলিশের কল্যাণে প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনা
তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশের কল্যাণ ও সেবার মান উন্নত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ৫টি নির্দেশনা দেন তিনি।
বুধবার (১৯ মার্চ) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত সভায় তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশের কল্যাণে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
যেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পুলিশে প্রচলিত ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সীমা তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা, পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া, পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় করা, ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা এবং পুলিশের এসআই ও এএসআই র্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।
এ ছাড়াও পুলিশের কাজের ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণীভুক্ত করে যারা তুলনামূলক কম ভালো কাজ করেছেন তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতেও বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
২ দিন আগে
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও যথাযথ প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ মার্চ) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
এর আগে গত ১৭ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ও কী ধরনের সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আজকের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের, বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবস্থার উন্নয়নে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
আরও পড়ুন: পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টার আজকের মূল নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— পুলিশে প্রচলিত ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা, পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া, পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় করা, ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা এবং পুলিশের এসআই ও এএসআই র্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।
কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়াও তিনি নিম্ন-কর্মদক্ষতার ইউনিটগুলোর কর্মক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানোর ওপরও জোর দেন।
২ দিন আগে
পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এ সময় দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন সেনাপ্রধান। এছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কেও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
জবাবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেন তিনি। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে—এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।
সাক্ষাতকালে নিজের সাম্প্রতিক সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করে সেনাপ্রধান বলেন, এই সফরটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।
এ ছাড়াও, বিভিন্ন বঞ্চিত সেনা কর্মকর্তাদের সুবিচার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের মূল্যায়ন ও সুপারিশ, পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যদের বিষয়ে চলমান উচ্চপদস্থ পর্ষদের অগ্রগতির বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে।
২ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আরও জোরালো চেষ্টা অব্যাহত রাখতে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রতিটি নাগরিক যাতে নিজেদের নিরাপদবোধ করেন, পুলিশকে এমন ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি।
সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, পরাজিত শক্তি তাদের অপচেষ্টা ততই জোরদার করছে।’
আরও পড়ুন: আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে পুলিশ বাহিনীকে সদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন সব প্রপাগান্ডা নিয়েও পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
পুলিশের সহায়তা ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের নির্দেশনা দেন।
বিশেষ এই সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
৪ দিন আগে
আগামী ঈদ নিজ দেশে করবে রোহিঙ্গারা, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
রোহিঙ্গারা যেন আগামী বছর মিয়ানমারে তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও অংশগ্রহণ করেন।
রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া গরি সাম্মর বার যেন অনরা নিজর বাড়িত যাইয়ারে ঈদ গরিত পারন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল নিশ্চিতে সবকিছু করবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
৭ দিন আগে
জাতিসংঘ মহাসচিবের ইফতার মাহফিলে পদপিষ্ট হয়ে ১ রোহিঙ্গা নিহত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের অংশগ্রহণে লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে পদপিষ্ট হয়ে এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুজন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেলিপ্যাড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নেয়ামত উল্লাহ ৪ নম্বর ক্যাম্পের মৃত সবি মিয়ার ছেলে। আহতরা ওই ক্যাম্পের আসাদ উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ ও বসির আহমেদের ছেলে কলিম উল্লাহ।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আসমত উল্লাহকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি জানান, ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে করে পাহাড়ের ঢাল থেকে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক নেয়ামতুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
৭ দিন আগে
খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্পের ঘর কাদের দেওয়া হয়েছে, কী প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি (ঘর পাওয়া ব্যক্তিদের) তালিকা করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং দায়িত্ব বণ্টন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতেও জোর দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের পুর্নবাসন করার কথা তারাই বাড়িঘরগুলোতে উঠতে পারছে কি না, অন্য কেউ এসে নিয়ম না মেনে অসাধু উপায়ে উঠে পড়ছে কি না—এগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। ভবন তো টাকা দিলেই নির্মাণ হচ্ছে, কিন্তু যে লক্ষ্যে ভবন নির্মাণ করতে চাচ্ছি, সেটা পূরণ না হলে তো এসবের কোনো অর্থ নেই।’
আরও পড়ুন: সবার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে জাতিসংঘকে পাশে পাবে বাংলাদেশ: গুতেরেস
প্রকল্পের একটি জমি ২০১৭ সাল থেকে বেক্সিমকো গ্রুপ দখলে রেখেছে বলে এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জানান সংশ্লিষ্টরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এটি নিয়ে আদালতের রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এতদিন ধরে অসীম দুর্নীতি চলেছে। যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা তাদের না দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোকজনকে দিয়ে দিয়েছে, টাকা-পয়সারও লেনদেন হয়েছে। কিন্তু যাদের নায্য পাওনা ছিল তারা পায়নি।’
‘কিন্তু এ ভুল আর করা যাবে না। প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে, যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি হতে না পারে। তত্ত্বাবধায়ন ঠিকমতো হতে হবে। কার কী দায়িত্ব—পরিষ্কার হতে হবে।’
৭ দিন আগে
কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স যোগে তারা কক্সবাজারে পৌঁছান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক কক্সবাজারে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানান। আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
কক্সবাজার সফরে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত সূচি নিয়ে ঢাকায় জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস
৭ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে অর্ন্তর্বীকালীন সরকার। সোমবার (১০ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম
তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার সমপরিমাণ বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
এছাড়া তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে এতে বলা হয়।
১১ দিন আগে
নারীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা উদ্বেগজনক: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সম্প্রতি নারীদের ওপর যে জঘন্য হামলার খবর আসছে—তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’র যে স্বপ্ন আমরা দেখছি—তার সম্পূর্ণ বিপরীত।’
তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে’ নারী-পুরুষ সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা আমাদের সকল শক্তি প্রয়োগ করব। ‘
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা মিলে যে অসাধ্য সাধন করেছে তার সম্মুখসারির ভূমিকায় ছিল এ দেশের নারীরা। ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রাণঘাতি অস্ত্রের সামনে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়েছিল আমাদের মেয়েরা।
আরও পড়ুন: অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেকের
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী ও অংশগ্রণকারী ও আহত নারীদের স্মরণ করে তাদের দ্রুত সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন কামনা করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারীতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনো অনেকক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুঃস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ নানান ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। এ সংক্রান্ত আরও উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা চলছে বলে জানন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মেয়েরা অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শত বাধা পেরিয়ে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সার্বিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখছে।
ড. ইউনূস বলেন, নারীবিরোধী যে শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে আমরা দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই মোকাবিলা করব। তাছাড়া, আমাদের সমাজে এখনো এমন বহু মানুষ আছে—যারা নিপীড়িত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাদের খাটো করে দেখে, অবজ্ঞার চোখে দেখে। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে, বৈষম্যহীন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীর পাশে দাঁড়ানোর, তাদেরকে সমর্থন জানানোর, কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে নারীকে খাটো করে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। তা না হলে আমরা জাতি হিসেবে এগোতে পারব না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নারীরা সম্মুখ সারিতে ছিল: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদেরকে এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।
তিনি আরও বলেন, আজকের বিশ্বে নারীরা যতটুকু অধিকার আর স্বাধীনতা চর্চা করতে পারছেন এর পুরোটাই তাদের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সূচনা হয়েছিল নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। নিউইয়র্কের নারী শ্রমিকরা কর্মঘণ্টা কমানো, বেতন বৃদ্ধি ও ভোটের অধিকারের দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছিল। অধিকার আদায়ের জন্য আহত ও নির্যাতিত হন।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশেও নারীরা নায্য অধিকারের জন্য যুগযুগ ধরে সংগ্রাম করে এসেছে। তেভাগা থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধে বাংলার নারীসমাজ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। ইতিহাসের অনেক বীর নারীদের আমরা ভুলে গেছি, তাদের অবদানের কথা জানি না। কিন্তু জুলাই কন্যাদের নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের কথা আমরা কিছুতেই ভুলে যেতে দেবো না।
তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সঙ্গে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।
সমাজে নারীদের নায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে আমরা আমাদের প্রত্যাশী পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মা’র, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস আমাদের নতুন করে নারীদের সংগ্রামের ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়, অনুপ্রেরণা আর সাহস যোগায়। সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় যারা কাজ করছেন তাদের প্রতি আহ্বান জানাই, যত বাধাই আসুক না কেন ইতিহাস আমাদের যে সুযোগ করে দিয়েছে। সে সুযোগ আমরা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করবই। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বই। এই আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের, বীরাঙ্গনাসহ একাত্তরে সংগ্রামী নারীদের,জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ড. ইউনূস।
১৩ দিন আগে