প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’র প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজের প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় ৩০ জনের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালেশিয়া ও গ্রিসের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: সোমবার ২৮ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য ও দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেন তারা।
প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত হলো। সময়ের স্বল্পতায় অনেক কথা বলা হলো না। ছোট করে শুনলাম। লিখিত পত্র থেকে বিস্তারিত জানব। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে।’
যুক্তরাজ্যসহ আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্য: আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
১ দিন আগে
আমরা সবাই বাংলাদেশি: ধর্মীয় নেতাদের ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী জনগণের অধিকার নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলা হলে সঠিক তথ্য পেতে ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই এবং সঠিকভাবে তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
তথ্য সরবরাহকারীরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য কীভাবে নিরাপদে সহজে তথ্য গ্রহণ করা যায়, তা জানতে আলোচনায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতেই পারে, তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন শনিবার, উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন ড. ইউনুস
ইউনূস বলেন, দেশের সব মানুষের সমান অধিকার রয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক প্রতিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আমি যা বলেছি তার সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ একমত বলে আমি মনে করি।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে নিজের দেওয়া বক্তব্যের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মতপার্থক্য থাকলেও তারা সবাই একটি পরিবার। ‘আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা একে অপরের শত্রু নই। আমরা সবাই বাংলাদেশি।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা এবং বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মধ্যে তথ্যের ফাঁক রয়েছে।
আলোচনায় অংশ নেন মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতারা।
ইউনূস বলেছেন, কোনো শক্তিই ৫ আগস্টের পর থেকে গড়ে ওঠা সংহতি নষ্ট করতে বা কষ্টার্জিত স্বাধীনতা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করতে পারবে না।
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় সমাপনী বক্তব্যে ইউনূস বলেন, ‘জাতি একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এটি অটল থাকবে। কেউ আমাদের ঐক্য ভাঙতে পারবে না বা আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারবে না।’
তিনি জনগণের মধ্যে ভিন্ন মতামতের উপস্থিতি স্বীকার করে জোর দিয়ে বলেন, জাতির সম্মিলিত ঐক্যের বিষয়ে কোনো বিভেদ নেই।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে শফিউল আলম ইউএনবিকে বলেন, 'অধ্যাপক ইউনূস জাতি পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
প্রেস সচিব বলেন, নাগরিক গোষ্ঠী, প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ভুল তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছেন ড. ইউনুস
১ দিন আগে
সোমবার ২৮ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
আগামী সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ২৮ জন রাষ্ট্রদূতের একসঙ্গে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) রাষ্ট্রদূত এবং ইউ ভুক্ত ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত (২০ জন অনাবাসী রাষ্ট্রদূতসহ)।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনকূটনতি বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্য: আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনি জানান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত একত্রিত হয়ে সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ এবারই প্রথম। এ সভা বাংলাদেশ ও ইইউ এর সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রফিকুল আলম বলেন, আসন্ন যৌথ সভায় তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা, সহযোগিতার নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ, এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী জিএসপি+ বাণিজ্য সুবিধাদি, জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি একটি টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
১ দিন আগে
জাতীয় ঐক্য: আজ ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় ঐক্য পুনর্নিশ্চিত করার পর আজ (বৃহস্পতিবার) ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে খবর, বিকাল ৪টার দিকে এই বৈঠক শুরু হতে পারে।
বুধবার অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, কোনো শক্তিই ৫ আগস্টের পর থেকে গড়ে ওঠা সংহতি নষ্ট করতে বা জাতিকে কষ্টার্জিত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: সারা দুনিয়াকে জানাতে হবে, আমরা এক: প্রধান উপদেষ্টা
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, 'জাতি একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে এবং এটি অটল থাকবে। কেউ আমাদের ঐক্য ভাঙতে পারবে না বা আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারবে না।’
তিনি জনগণের মধ্যে ভিন্ন মতামতের উপস্থিতি স্বীকার করে জোর দিয়ে বলেন, জাতির সম্মিলিত ঐক্যের বিষয়ে কোনো বিভেদ নেই।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ' অধ্যাপক ইউনূস জাতি পুনর্গঠনে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য ডেকেছিলেন।’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভুল তথ্য প্রচারণার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ, প্রবাসী বাংলাদেশি, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ সোচ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: এই দেশে আর কোনোদিন ভারতের আধিপত্য চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
১ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক ফয়েজ
নিউ এজের সাংবাদিক ফয়েজ আহাম্মদকে প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম, দুই প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
ফয়েজকে নিয়োগের মধ্যদিয়ে প্রেস উইংয়ে সহকারী প্রেস সচিবের সংখ্যা তিন জনে দাঁড়াল।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়াই করুন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে এটিই প্রথম একান্ত বৈঠক।
তারা প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।
১ দিন আগে
সারা দুনিয়াকে জানাতে হবে, আমরা এক: প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন গোটা বিশ্বকে জানাতে হবে যে আমরা এক। আমরা যা পেয়েছি তা একসাথে অর্জন করেছি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ যাতে ভুল না করে সঠিক পথে এগোতে পারে, সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ চেয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে বাংলাদেশ আমরা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, সেটাকে ধামাচাপা দিয়ে আরেক বাংলাদেশের কাহিনী রচনা করে যাচ্ছে। সারাক্ষণ নানা রূপে তারা এটা করে যাচ্ছে। এটা যে এখন এক দেশের মধ্যে আছে তা নয়, বিশেষ বিশেষ বড় দেশের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটাকে মুছে দিতে চায়, এটাকে নতুন ভঙ্গিতে দুনিয়ার সামনে পেশ করতে চায়। আমাদের এখানে নাকি ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটছে, তা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। রক্ষার জন্য তারা এগিয়ে আসতে চায়। এখন সেগুলোকে মিথ্যা প্রমাণ করা বা বাস্তবতাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে। এটা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের বিষয় না। জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের বিষয়।’
বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রোপাগান্ডার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম, তারা এটাকে মুছে দিয়ে আগেরটায় ফিরে যেতে চায়। মুখে বলছে না যে আগেরটা, কিন্তু ভঙ্গী হলো- আগেরটা ভালো ছিল। তাদের শক্তি এত বেশি যে তারা মানুষকে এর ভেতরে ভেড়াতে পারছে। তাদের কল্পকাহিনীর কারণে মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করছে যে এটা কী ধরনের সরকার হলো।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা বার বার তাদের বলছি যে আপনারা আসেন এখানে, দেখেন; এখানে কোনো বাধা নেই। কিন্তু না, তারা ওখান থেকেই কল্পকাহিনী বানিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের সাড়া দুনিয়াকে বলতে হবে যে আমরা এক, আমরা যেটা পেয়েছি সেটা একজোট হয়ে পেয়েছি; কোনো মতবাদের কারণে পাইনি, ধাক্কাধাক্কি করে পাইনি, যারা আমাদের ওপর চেপে ছিল, তাদের উপড়ে ফেলেছি। এটাই সবার সামনে তুলে ধরতে হবে, সবাই মিলে যেন এটা করতে পারি। আমাদের নতুন বাংলাদেশের যাত্রাপথে এটা মস্ত বড় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, অস্তিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা সবাই ভালো বোঝেন। সবাই মিলে আমরা একজোট হয়ে যেন কাজটা করতে পারি। সবাই একত্র হয়ে বললে একটা সমবেত শক্তি তৈরি হয়, এই সমবেত শক্তির জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসা।’
২ দিন আগে
এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে: শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়া, আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য জোর দিতে বলেন।
গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আগে দেখা হয়েছে। আজকে অনেকের সঙ্গে দেখা হলো। ভালো হলো। তোমাদের কথা শুনতেই মূলত আজকে বসা। তোমরা সরকারের কাছে কী চাচ্ছো, আশাগুলো কী, পরামর্শ আছে কিনা, এটি জানতে চাওয়া।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘তোমরা রাষ্ট্রের অভিভাবক, তোমাদের কারণেই রাষ্ট্র। এই ভূমিকা ভুলে যেও না। নিজেদের ভূমিকা ভুলে যেও না। অনেকে এখানে আছে, অনেকে নেই। যারা নেই, তারাও রাষ্ট্রের অভিভাবক। তোমাদের দায়িত্ব আছে রাষ্ট্র যেন ঠিক পথে চলে, যেন বিচ্যুত না হয়। এইটুকু মনে রাখলে রাষ্ট্র ঠিক থাকবে। নিজের অভিভাবকতত্ব ভুলে যেও না।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য ঠিক থাকতে হবে। সিন্ডিকেট নাকি কী এই ধরনের ব্যাখ্যা আমরা চাই না। কতগুলো লোক বাজারমূল্য কবজা করে থাকবে সেটা হতে পারে না। আমরা চেষ্টা করছি দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখার। আমরা দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চাই। রমজানেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিতে হবে। হঠাৎ করে যেন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার পরামর্শে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্থানীয় সরকার সংস্কারের জন্য কমিশন আছে। তারা পরামর্শ দেবে আমরা কাজ করব। আমরা চাই স্থানীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া। খুব কম জিনিস উচ্চ পর্যায়ে থাকবে। দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেম, একবার একটা তহবিল বানিয়ে দিলে কারা যেন খেয়ে ফেলে। সেজন্য সুশৃঙ্খলভাবে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন স্থায়ী হয়।’
জুলাইয়ে শহীদদের রাষ্ট্রীয় সম্মান ও খেতাবের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। জুলাইয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অবদান আমরা ভুলব না। তাদেরকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে।’
শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের এমন পরামর্শের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। যেন বাংলাদেশে কেউ শিক্ষিত না হয়ে উঠতে পারে, দক্ষ হয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে এটা হয়েছে। বেকারত্ব তৈরি করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জন কিছু নেই। এটা আমাদের ঠিক করতে হবে। তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রধান উপদেষ্টা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমাদের অর্থনীতি বিভাগে নারী শিক্ষার্থী ছিল মাত্র চারজন। তোমরা বলছো, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থী প্রায় ৫২ শতাংশ। এটি অত্যন্ত আনন্দের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে রাজনৈতিক বলয়ের মধ্যে আগে সিট বণ্টন হতো সেই দাসপ্রথা এখন ভেঙে গেছে। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ড. ইউনূসের নিন্দা, তদন্তের নির্দেশ
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে সরব এটা ঠিক। সরকারের নিজের কোনো পত্রিকা নেই। আছে শুধু প্রেস উইং। তারা পত্রিকায় প্রেস রিলিজ পাঠায়। কেউ ছাপে, কেউ ছাপে না। কিংবা তাদের মনমতো শেষ পাতায় বা কোণায় ছোট করে দেয়। প্রেস উইং ওদের মতো করে চেষ্টা করছে, কাজ করছে। সরকার কোনো গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করবে না। সংবাদপত্র স্বাধীনভাবে কাজ করবে-এটাই আমাদের নীতি। আমরা এই নীতিতে থাকব। আমি বুঝতে পারছি তোমরা কিছুটা মনক্ষুণ্ণ। এটা আসলে কিছুটা মন খারাপ হওয়ার মতো যে সরকারের কাজ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরো সিস্টেমটাই ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। চারদিকে চুরি-চামারি, ব্যাংক কাজ করে না। কমিটি অর্থনীতির শ্বেতপত্র দিয়েছে। আমি বলেছি, এটা একটা ঐতিহাসিক দলিল। আমি মনে করি এটা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো উচিত। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার দায় আওয়ামী লীগের। তবে যারা উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে তাদেরও ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে ধ্বংসস্তুপ রেখে গেছে সেখান থেকে বের হওয়া কঠিন। যেদিকে হাত দেই সেদিকেই ভাঙাচোরা। এই ভাঙাচোরা পরিষ্কার করেই যাচ্ছি। কাজ শুরু করতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কারকাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তারা জানান, দেশের মানুষ সরকারের পাশে আছে। এটি গণমানুষের সরকার। জনগণ চায় অন্তর্বর্তী সরকার যেন প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজটি সম্পন্ন করে।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘দেশের মানুষ ছাত্রদের ওপর ভরসা করে। এই বিশ্বাস ধরে রেখো। হাতছাড়া করো না। তোমরা কখনোই আশাহত হবে না। তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছো। দেশ বদলিয়ে ফেলেছো। তোমরাই পারবে। মানুষের আশা তোমাদের পূরণ করতে হবে। অন্তত সে পথে তোমাদের অগ্রসর হতে হবে। এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে। তোমরা বারবার আমাদের মনে করিয়ে দেবে যেন আমরাও সতর্ক হই, সজাগ হই।’
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
২ দিন আগে
জাতীয় ঐক্য: রাজনৈতিক-ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র নেতাসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলাদাভাবে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুধবার বিকাল ৪টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কূটনৈতিক মিশনে শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
এরপর বৃহস্পতিবার(৫ ডিসেম্বর) ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও এখনও সময় নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সভাগুলোতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাবেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
৩ দিন আগে
বাংলাদেশ দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ব্লাইন্ড ক্রিকেট বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
পাকিস্তানে গত ২১ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সিরিজটি অনুষ্ঠিত হয়।
দলকে পাঠানো এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের অর্জনে গোটা জাতি গর্বিত।
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মুলতানে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। লাহোর ও মুলতানে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে ছয়টি দেশ- পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান অংশ নেয়।
২০২২ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আগের আসরেও রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।
৩ দিন আগে