প্রধান উপদেষ্টা
দেশে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, তারা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে জনগণই হবে প্রকৃত ক্ষমতার উৎস। পাশাপাশি সারা বিশ্বে মানবতা ও সহানুভূতিশীলতার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত হবে জাতি।
নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তুলে সরকার সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রচেষ্টা চালাবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব। এসব নীতিই হবে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের শ্রদ্ধা
বৈশ্বিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেন প্রদান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের তরুণ সমাজ যেন মেধার ভিত্তিতে জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করে ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
এটি যুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়, যার ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
শহীদদের প্রতি সম্মান জানান ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘আজ আমি স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গ করা সব সাহসী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীরদের স্বজনদের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
সম্প্রতি ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যত্থান প্রসঙ্গে ইউনুস বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রচেষ্টায় ‘নতুন বাংলাদেশ’ অর্জিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে একটি বৃহত্তর পরিবারে ঐক্যবদ্ধ করা। মতামতের পার্থক্য স্বাভাবিক, কিন্তু এই পার্থক্যের কারণে আমাদের কখনই একে অপরকে শত্রু ভাবা উচিত নয়, তা আদর্শিক হোক বা ধর্মীয় হোক।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সব নাগরিক সমান হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের বৈষম্য ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন ইউনূস। তিনি বলেন, 'জাতীয় জীবনে কেউ কারো উপরে বা নিচে নয়।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারসহ বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায় আকস্মিক নেতিবাচক কিছু নেই: অধ্যাপক ইউনূস
১ দিন আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের শ্রদ্ধা
ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে তিনি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণ ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনও সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করেছিল।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
১ দিন আগে
দুর্গত জনগণের শেষ ভরসার স্থান সশস্ত্র বাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বন্যা, খরা, ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়সহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দুর্গত জনগণের শেষ ভরসার স্থান। বরাবরের ন্যায় এবারও দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেন।
বাণীর শুরুতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা ২১ নভেম্বর সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে অংশ নেন। হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং পরবর্তীতে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ায় আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আশা করি, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে একত্রে কাজ করে যাবে।
‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
২ দিন আগে
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, যা ত্রুটিপূর্ণ: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা, তবুও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে। এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে উদ্যোক্তাদের একটি প্রজন্ম তৈরি করতে হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হতে হবে যাতে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।’
‘আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে সংস্কার করা উচিত, যাতে এই শিক্ষাব্যবস্থা একটি প্রজন্মের উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে পারে। এছাড়া আমাদের এমন শিক্ষা দরকার, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মানুষ হতে সাহায্য করে। আমাদের তরুণদের মধ্যে সৃজনশীলতার যে সম্ভাবনা রয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার করেই নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা উচিত নয় যেখানে শুধু পরীক্ষার নম্বরের ওপর জোর দেওয়া হয়। পরীক্ষার নম্বর কত পেল সেটাই যে সবকিছু নয়, এটি সকলের উপলব্ধি করা উচিত।’
দেশের সমাজে জেনারেশন গ্যাপ কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নতুন প্রজন্মের ভাষা, তাদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তার প্রক্রিয়া বুঝতে হবে।… আমাদের জানতে হবে কীভাবে প্রবীণ প্রজন্ম তাদের অভিজ্ঞতা তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে শেয়ার করে নিতে পারে।’
‘তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, এটি সমস্যা তৈরি করবে। আমাদের অবশ্যই দুই প্রজন্মের মধ্যে ধ্যান-ধারণার ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে।’
এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রমে পারিবারিক মূল্যবোধের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের উপস্থিত ছিলেন।
২ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হলেন ড. খলিলুর রহমান
রোহিঙ্গা ইস্যু ও অন্যান্য অগ্রাধিকার নির্ধারণে ড. খলিলুর রহমানকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের সম মর্যাদার সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
ড. রহমান ১৯৭৭ সালে প্রথম নিয়মিত বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৭৯ সালে কূটনৈতিক জীবন শুরু করেন। একই বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে আমেরিকান এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমা: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে সাদপন্থিদের মিছিল
তিনি ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি, টাফটস বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও কূটনীতিতে এমএ এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন।
তার কূটনৈতিক মেয়াদে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘে স্থায়ী মিশন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটির স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মুখপাত্র ছিলেন।
১৯৯১ সালে ড. রহমান জেনেভায় জাতিসংঘ সচিবালয়ে আঙ্কটাডের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন। ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিউইয়র্ক ও জেনেভায় জাতিসংঘ মহাসচিবের নির্বাহী কার্যালয়ের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান, এলডিসি প্রোগ্রামের প্রধান এবং বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা সম্পর্কিত জাতিসংঘের আন্তঃসংস্থা গ্রুপের সভাপতিসহ জ্যেষ্ঠ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তিনি জাতিসংঘের প্রতিবেদনগুলোতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন এবং ২০০১ সালের ব্রাসেলস এলডিসি সম্মেলনের জন্য কর্মসূচির খসড়া তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এলডিসি রপ্তানির জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারও প্রবর্তন করেছিলেন তিনি।
২০০১ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
৩ দিন আগে
ইজতেমা: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে সাদপন্থিদের মিছিল
টঙ্গী ইজতেমায় ভারতীয় মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলোভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাওয়ের জন্য অগ্রসর হন সাদপন্থি তাবলিগ জামাতের একাংশের মুসল্লিরা।
মঙ্গলবার সকালে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে আটকে দেওয়া হয়।
পরে চার-পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে স্মারকলিপি পেশ করে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে কাকরাইল মসজিদের সামনে তারা জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৯টার পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের উপস্থিতি চান তার ভক্তরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সাদপন্থি হাজার হাজার মুসল্লি সকাল ১০টার আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রধান বিচারপতি বাস ভবনের সামনে পুলিশ ব্যারিকেডের কারণে আর এগোতে পারেনি তারা। পরে তাদের চার-পাঁচ জন প্রতিনিধি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে স্মারকলিপি পেশ করে কর্মসূচি শেষ করেন।
এদিকে সাদপন্থিদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির কারণে কাকরাইল মসজিদ, কাকরাইল মোড়সহ উপদেষ্টার বাসভবনের আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ৩ দিনের জেলা ইজতেমা শুরু
৩ দিন আগে
জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক, মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া পিন্টু হাসপাতালে মারা গেছেন জানতে পেরে আমি মর্মাহত ও শোকাহত।
ইউনূস বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কিংবদন্তি অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সরকারের জন্য অর্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন সংগ্রহের জন্য ভারতজুড়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। তিনি যখন মাঠে খেলতেন না, তখনও আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দিতেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মুখ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর বাবার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র শোক
‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক হন। কিংবদন্তি এ খেলোয়াড় সেন্ট্রাল ব্যাক পজিশনে খেলতেন, একইসঙ্গে তিনি লাল-সবুজ জার্সিতে একজন অসাধারণ ডিফেন্ডার ছিলেন। দুই দশকের ক্যারিয়ার শেষ করার পর দেশের ক্রীড়া অঙ্গনকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন একজন পুরোদস্তুর স্পোর্টসম্যান।’
প্রধান উপদেষ্টা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং ক্রীড়া অঙ্গনের সংশ্লিষ্টজন, যাদের কাছে জাকারিয়া পিন্টু একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি ছিলেন তাদের সকলের প্রতিও সমবেদনা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
৪ দিন আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ জানালেন ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ হবে চার বছরেরও কম হবে বল জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করাই তাদের উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমি বলিনি যে চার বছর ক্ষমতায় থাকব। এটা সর্বোচ্চ মেয়াদ। কিন্তু সেটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করা।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের সঠিক সময়সীমা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সীমাবদ্ধতা সত্বেও একটি মজবুত অর্থনীতি দিয়ে যাব: ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘এটা চার বছরের নিচে হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা কমও হতে পারে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় সেটাই আসল। 'রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে এটা (সংস্কার) ভুলে যাও, নির্বাচন দাও, আমরা করব।’
নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা আছে কি না-জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, 'আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি আমার ভূমিকা এবং আমি যা করছি তা উপভোগ করি।’
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস সামনের চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, 'বিগত ১৫ বছর ধরে অব্যবস্থাপনা, অপশাসন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের মতো-যে ব্যবস্থার মধ্যে আমরা ছিলাম, সে কারণে বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এখন 'পয়েন্ট বাই পয়েন্ট, সেক্টর বাই সেক্টর' পুনর্গঠন বড় কাজ হবে।
আরও পড়ুন: সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: ড. ইউনূস
৪ দিন আগে
সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে প্রাণ হারানো সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস একথা বলেন।
ভাষণের শুরুতেই এদিন মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহিদ, গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহিদ এবং অভ্যুত্থানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
অভ্যুত্থানে হতাহতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। একজনও বাদ যাবে না। পাশাপাশি সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে সরকার।’
আরও পড়ুন: সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত
আহতদের দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রতিটি শহিদ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেয়া হচ্ছে। যারা বুলেটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার জন্য নেপাল থেকে কর্নিয়া আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের প্রয়োজন তাদের সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে।’
‘জুলাই অভ্যুত্থানের কোনো শহিদ এবং আহত ছাত্র ও শ্রমিক চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা থেকে বাদ যাবে না। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকার।’
তিনি জানান, অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে গঠিত ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ বেশ পাকাপোক্তভাবে তাদের কাজ শুরু করেছে। এই ফাউন্ডেশনে সরকার ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি বরাদ্দ প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে
৫ দিন আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই: ড. ইউনূস
দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গোপনীয়তার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি… মূল্যস্ফীতির পূর্ণ তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস একথা বলেন।
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, চলতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছয়টি বন্যা হয়েছে… বন্যার ফলে অনেক জায়গায় ফসলহানি হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল। বন্যা-পরবর্তী সময়ে বাজারে শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে আপনাদের কষ্ট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জি-২০ সামাজিক সম্মেলনে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, ‘নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো জন্য আমরা সাড়ে ৯ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় শুল্ক ছাড়ও দেওয়া হয়েছে। মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে ডিমের উৎপাদকরা যাতে সরাসরি বাজারে ডিম সরবরাহ করতে পারেন, সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।’
মানুষ যাতে স্বল্প মূল্যে কৃষিপণ্য কিনতে পারে, সেজন্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্পটে সরকারি কিছু পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রস্তুত করা ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ড ইতোমধ্যে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সংস্কার করা হবে: ব্রিটিশ মন্ত্রীকে ড. ইউনূস
‘বন্যার ফলে চালের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও দাম যাতে স্বাভাবিক থাকে, এজন্য সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছে।’
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই। মূল্যস্ফীতির পূর্ণ তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি রোধে উচ্চ সুদহার নির্ধারণসহ একাধিক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে- শস্য আমদানিতে এলসি সীমা অপসারণ ও সরবরাহ চেইন সংক্ষিপ্ত করা।’
তিনি আরও জানান, সামান্য হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হয়েছে। শিল্প কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন ব্যাহত না হয় এবং রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। গণ শুনানি ছাড়া নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম না বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব পদক্ষেপ বাজারে পণ্যমূল্য কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরের সব অপকর্মের বিচার করব: অধ্যাপক ইউনূস
৫ দিন আগে