ট্রলারডুবি
কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ট্রলারডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে
কক্সবাজারে টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে এবং বৈরী আবহাওয়ায় ট্রলারডুবিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ট্রলারসহ ৫ শতাধিক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের ফলে কক্সবাজারে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় দুই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলারডুবিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জেলের। এছাড়া টেকনাফের বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে এক শিশু।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ইনানী থেকে দুইটি লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় মেলেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈকতকর্মীদের ইনচার্জ মাহবুব।
তিনি জানান, ইনানী পাটোয়ার টেক বিচের পাশাপাশি জোয়ারের পানির সঙ্গে দুইজনের লাশ ভেসে আসে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে শহরের সমিতি পাড়া থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইনানী থেকে শুক্রবার বিকালে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংষর্ষে চালক নিহত ইউএনবি নিউজ গাইবান্ধা
শুক্রবার কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ২৩ জেলেসহ এফবি রশিদা নামে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে জামাল নামের এক জেলে নিহত হন। জীবিত অবস্থায় ১৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো তিন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, দুই দিনে ইনানী থেকে তিনজন, কলাতলী থেকে একজন ও সমিতি পাড়া থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই পাঁচজনের লাশ সাগর থেকে ভেসে এসেছে।
সাগরে ট্রলারডুবির কারণে এসব জেলের মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কক্সবাজারের সদরের ঝিলংজায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
২ মাস আগে
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
কক্সবাজারে শহরের লাবণী পয়েন্টের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবিতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন জেলে।
আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লাবনী পয়েন্টের কাছাকাছি সাগরে ২৪ জেলেসহ এফবি রশিদা নামের ট্রলারটি ডুবে গেলে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত জেলের নাম জামাল বলে জানা গেছে। তিনি চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সি সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র ইনচার্জ ওসমান গনী।
আরও পড়ুন: মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি
তিনি জানান, ঝরের কবলে পড়ে একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার দৃশ্যটি আমরা দেখতে পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করি। উদ্ধারের মধ্যে একজন গুরুতর আহত জামালকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমরা আহত জেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি, ঐ ট্রলারে ২৩জন জেলে ছিল। মূলত তারা ঝরের কবলে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসকের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন বলেন, ঝড় ও বাতাসের কবলে পড়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারটি সাগরের কূলে আছে। এই ঘটনায় ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছেন। আহত জেলেরা বলছে কয়েকজন নিখোঁজ আছেন। আহত জেলেরা সুস্থ হলে তাদের সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৮ জেলে, জীবিত উদ্ধার ৫
২ মাস আগে
হাতিয়ায় ট্রলারডুবিতে নিহত ৪
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিতে শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড। এছাড়া ট্রলারে থাকা ২৩ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ভাসানচর সংলগ্ন সাগর মোহনার ছেঁড়া খাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি
নিহতরা হলেন- ভাসান চরের ৮৫ নম্বর ক্লাস্টারের দিল মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম (৪৫), ৮৪ নম্বর ক্লাস্টারের মোহাম্মদ আবদুল্যাহর ছেলে আবদুল কাদের (৪), ৮০ নম্বর ক্লাস্টারের মোহাম্মদ জাহারের ছেলে আজিজুল হক (৫) ও ৮ নম্বর ক্লাস্টারের মোহাম্মদ রশিদের মেয়ে আসমিদা বেগম (৪)।
জানা যায়, ট্রলারটি চট্টগ্রাম ফিশারি ঘাট থেকে চাল-ডালসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে হাতিয়ার ভাসানচরে আসছিল। মেঘনা নদীতে হাতিয়ার সীমানায় হঠাৎ করে ট্রলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর বলেন, ‘ট্রলারে মালামাল ছাড়াও প্রায় ২০জন যাত্রী ছিল। খবর পেয়ে নদীতে থাকা নৌকাগুলো যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে।’
তিনি বলেন, ‘পরে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৫ যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এছাড়া চার শিশুসহ এক নারীর লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহতরা সবাই ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। লাশগুলো ভাসানচর থানায় রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৮ জেলে, জীবিত উদ্ধার ৫
শরীয়তপুরে মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিহত ২, নিখোঁজ ৩
৩ মাস আগে
মোংলা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবি
বাগেরহাটের মোংলা নদীতে ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে।
রবিবার (২৬ মে) সকালে মোংলা নদীর ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
জানা গেছে, তাদের মধ্যে কিছু যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।
মোংলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এটিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল বলে শুনেছি। দুর্ঘটনার পর থেকেই খোঁজখবর রাখছি। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে পৌরসভার সিসি ক্যামেরায় দেখা হচ্ছে এবং নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
এর আগে শনিবার (২৫ মে) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এবং সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রিমালকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম উপকূলে লবণবাহী ৪ ট্রলারডুবি
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯
৫ মাস আগে
মেঘনায় ট্রলারডুবি: স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এখনও নিখোঁজ কনস্টেবল, পরিবারে চলছে আহাজারি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হয়েছেন স্ত্রী ও ২ সন্তানসহ ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা। এ নিয়ে তার পরিবারের চলছে আহাজারি।
শুক্রবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান শুরু করলেও স্বপরিবারে নিখোঁজ রয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে রাসায়নিক গুদাম
সোহেলের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে এবং তিনি ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। সোহেল ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান।
দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ১নং ইউনিয়ন সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যরা ভৈরবে ছুটে যান। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তারা বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে ভৈরব সেতু এলাকায় মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি ট্রলার নিয়ে ১৬ জন যাত্রী আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিহত ১, পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ
গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তোফাজ্জল হক নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এসময় রুবা নামের এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগনেসহ কয়েকজন সাঁতরে পারে উঠলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কিন্ত অন্ধকার থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা, গ্রেপ্তার ১
৭ মাস আগে
ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
ভোলার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার ৮ দিন পর রাজ্জাক সরদারের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তবে তার ছেলে পারভেজ সরদার এখনো নিখোঁজ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ভোলা নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীর তীরে কচুরিপানার মধ্যে একটি লাশ ভাসতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে স্থানীয়রা ফোন দিয়ে জানায়। পরে নৌ পুলিশ খবর পেয়ে তুলাতুলি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ রাজ্জাক সরদারের স্বজনরা গিয়ে শনাক্ত করে।
প্রসঙ্গত, মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙারি মালামালসহ ৭ জন শ্রমিক ছিলেন।
ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় ৫ জন শ্রমিক সাঁতরে জেলে ট্রলারের সহায়তায় উপরে উঠে আসতে পারলেও আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদার ইঞ্জিনরুমে থাকায় তারা বেরোতে পারেনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ২
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
৯ মাস আগে
ভোলায় ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ২
ভোলা, ২২ জানুয়ারি(ইউএনবি)- ভোলার মেঘনা নদীতে মালামাল বোঝাই একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জন নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার(২২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোরা খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ৭ জনসহ পণ্যবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৫ জনকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন।
নিখোঁজ দুজন হলেন বাবা-ছেলে। তাদের নাম রাজ্জাক সরদার ও পারভেজ সরদার। জীবিত উদ্ধার হওয়া ৫ সদস্যদের মধ্যে রাসেল সর্দার ভোলার রাজাপুরের ১ নং ওয়ার্ডের রতন সর্দারের ছেলে। বাকি রিয়াজ,সাকিল,রুবেল ও ফারুক একই এলাকা বাসিন্দা বলে জানান সাকিল।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সাকিল সাংবাদিকদের জানান, তারা ভোলার মনপুরা উপজেলা থেকে ভাঙাগারি মালামাল বোঝাই করে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা করে ইলিশা ঘাটে পৌঁছার আগেই তাদের ট্রলারের মেশিনের ফ্যান ভেঙ্গে যায়। ফ্যান মেরামত করে ফের যাত্রা শুরু করলে উত্তর দিক থেকে প্রবল বাতাসের আঘাতে ট্রলারটির সামনের অংশ ডুবে গেলে তারা ৫ জন নদীতে লাফিয়ে পরেন।
নিখোঁজ রাজ্জাক ও পারভেজ ভিতরে আটকা পরায় তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেননি তারা। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা জীবিতদের উদ্ধার করে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করলে কোস্ট গার্ড,নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ভোলা নৌপুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, মনপুরা থেকে একটি ট্রলার অতিরিক্ত ভাঙ্গারি মালামাল নিয়ে মেহেন্দীগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে ট্রলারটি মেঘনা নদীর জোরখাল এলাকায় তীব্র বাতাস ও স্রোতের চাপে ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা পাঁচজন জেলে ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার হয়। বাকি ২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ থাকা সকলেই মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ কুমার আরও জানান, ঘটনার পর থেকে নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
৯ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগরে এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ছাড়া ২০টি ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছালাম মিয়ার মালিকানাধীন এফবি নিশাত নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার দমকা হাওয়ায় উল্টে যায়। এসময় পাশে থাকা অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার ২০টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আড়াইশোর মতো জেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন খালে শতাধিক ট্রলার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পান্ডব নদীতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রলারডুবি
দক্ষিণ স্টেশনে কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ট্রলার ও জেলেদের খোঁজ নিতে অন্যান্য স্টেশনে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৩৪ জেলে নিখোঁজ
১ বছর আগে
মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
রবিবার (৮ অক্টোবর) ১০টার দিকে মেঘনা নদীর চরঝাপটা এলাকা থেকে নৌ-বাহিনীর উদ্ধারকারী দল লাশটি উদ্ধার করে। স্বজনরা লাশটি নিখোঁজ সাব্বিরের বলে শনাক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ষাটনল এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ জান্নাতুল মাওয়া নামে ৮ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
জান্নাতুল মাওয়া স্থানীয় মফিজুলের মেয়ে। জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা (৩) নামে মফিজুলের আরেক মেয়ে এখনো নিখোঁজ।
সাব্বিরের ২ বছরের ছেলে ইমাতেরও খোঁজ মিলেনি। এর আগে শনিবার সকালে সুমনা আক্তার নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের লাশ উদ্ধার হলো। আরও নিখোঁজ রয়েছে ২ শিশুসহ ৩ জন।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখা হলেও রবিবার সকাল ৬টা থেকে পূনরায় সমন্বিত উদ্ধার অভিযান শুরু করে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিটিএ ও নৌপুলিশ।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপপরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, উত্তাল মেঘনায় তীব্র স্রোত রয়েছে এবং পানির গভীরতা অনেক বেশি। এ কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার মেঘনায় আ. লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক নিহত, আহত ২
১ বছর আগে
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: বাল্কহেডের মালিক-চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মুন্সীগঞ্জের পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার ১৫ ঘন্টা পর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার উদ্ধার হয়েছে। তিন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খোঁজে যৌথ অভিযান চলছে।
এদিকে রবিবার (৬ আগস্ট) বিকালে এই ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক ও চালকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রুবেল শেখ।
তবে পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নিখোঁজেরা হলেন- সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের রুবেল শেখের ছেলে মাহিম শেখ (৭), কয়রাখোলা গ্রামের আরিফ শেখের ছেলে তুরান আহমেদ (৮) ও কন্যা নাভা আক্তার (৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান,
থানায় মামলা হলেও জলপথে দুর্ঘটনার কারণে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে নৌপুলিশ।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার রসকাঠির কাছে পদ্মার শাখা নদীতে বালুর জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের সন্ধানে চলছে যৌথ অভিযান।
বিআইডব্লিউটিএ প্রথমে এয়ার লিফটিং ব্যাগ ব্যবহারে করে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। সাথে স্থানীয় চেইন কপ্পা পদ্ধতি যুক্ত করেও সফল হয়নি।
সবশেষে সম্পৃক্ত করা হয় ভাসমান ক্রেন। বেসরকারি ভাসমান ক্রেনই প্রায় ১২ ফুট পানির গভীর থেকে টেনে তোলে ট্রলারটব।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: এখনও নিখোঁজ ৫
আর কোস্টগার্ড ও ফাযার সার্ভিসের ডুবুরিরা দুর্ঘটনার আশাপাশের নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলার খেতেরপুর থেকে পিকনিকের ট্রলারটি পদ্মা সেতু এলাকা ঘুরে ফিরছিল।
দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি
কাজ শুরু করেছে৷ তদন্ত কমিটির প্রধান শারমিন আরা জানান, সকল সদস্যদের নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
বালু বহনকারী ঘাতক বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি প্রায় ৭৫ ফুট দীর্ঘ। এর ওজন প্রায় ৭ মেট্রিক টন।
লৌহজং উপজেলার নির্বাহী অফিসার ডা. আব্দুল আউয়াল বলেন , ডুবে যাওয়া ট্রলারে থাকা ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জনই জীবিত উদ্ধার হন। আর এ পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
মুন্সিগঞ্জে লেপে মোড়ানো নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে