প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বরাদ্দ আরও বাড়ানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, মানসিকভাবে সুস্থ জাতি গঠনে মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, সাইকোলজি যদি সাইন্স হয় তাহলে সাইকোমেট্রিক্স হলো টেকনোলজি। তাই সাইকোমেট্রিক্সের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সাইকোমেট্রিক্স বিষয়টি সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ বাহিনীর নিজেদের প্রমাণ করার এখনই সময়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শনিবার (১৬ নভেম্বর) টিএসসিতে ‘সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাইকোমেটরিক্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. বিধান বলেন, সাইকোমেট্রিক্স’র প্রয়োজনীয়তা রয়েছে- এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। টেস্টগুলো যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য হওয়া প্রয়োজন। তাহলে মানুষ মনে করবে এটা প্রয়োজন, অ্যাপলিকেবল করা যায়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মানুষকে নিয়ে ডিল করি, সাইকোলজি নিয়ে আলোচনা করি, গবেষণা করি। কোনো কিছু করতে মেজারমেন্ট করতে হয়, থিসিস হিসেবে ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন গবেষণা, বিভিন্ন থিসিসে ভেরিয়েশন হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইকিউ টেস্টের প্রয়োজন হয়। আমাদের নিজস্ব আইকিউ টেস্ট নেই। তাহলে নির্ভরযোগ্য ডাটা পাব কীভাবে? আমাদের দেশের উপযোগী আইকিউ টেস্ট করার চেষ্টা করেছিলাম। ফান্ডের অভাবে সেটি হয়ে ওঠেনি।
উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন রিক্রুটমেন্টের ক্ষেত্রে আইকিউ টেস্ট খুবই প্রয়োজন। কারণ তার ক্যাপাবিলিটি রয়েছে কিনা সেটির জন্য সাইকোলজিস্ট টেস্ট খুবই প্রয়োজন। দেশের উপযোগী করে আইকিউ টেস্ট তৈরি করতে হবে। সরকারিভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রে যাতে ইনপুট করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমদ বশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএসএমএমইউ'র ইন্টারনাল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম, আইইউবিএটি'র প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান, ডা. মো. কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য: উপদেষ্টা নাহিদ
৫ দিন আগে
প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা করা হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বন্যাপরবর্তী স্কুল পরিদর্শনকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
তিনি বলেন, বন্যার বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছেন। বাস্তব অবস্থা দেখার জন্য আমরা এসেছি। নতুন বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফেনী জেলার সদর উপজেলাস্থ কাজিরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলগাজী উপজেলার বন্দুয়া দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করতে হবে। অনেকদিন পড়াশোনায় গ্যাপ হয়েছে। এ গ্যাপ পুষিয়ে নিতে হবে ।
এসময় উপদেষ্টা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামস্থ চান্দকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহিনা আক্তার, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, ফেনীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
২ মাস আগে
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রয়োজন: উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়
দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দল গোছাতে পারে কিন্তু বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা যেকোনো দেশের জাতির জন্য ভিতস্বরূপ। বাচ্চারা প্রথম জীবনে যা পড়ে, সেটি কিন্তু ব্যক্তিত্বের ভিত গড়ে দেয়। কিন্তু খুব দুঃখজনক হলো, আমাদের দেশে বাস্তবে কিন্তু এর কার্যকারিতা দেখা যায় না। যেমনটা করা উচিত, তেমনটা করা হয় না।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এক সময় আমাদের সাক্ষরতার হার খুব কম ছিল। এখন অবকাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে যার ফলে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বেড়েছে।’
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে, মানের উন্নয়ন করা। প্রাথমিক শিক্ষার মানের উন্নয়ন করা। যেন আমাদের শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে ও দেশের জন্য তারা অবদান রাখতে পারে।’
প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্ত কার্যকরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আজকে এসেছি। সবার সঙ্গে বসব। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলি, তারপর আমরা কর্মকৌশল ঠিক করব।’
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এখন একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। অস্থিরতা না কমে, যদি সমস্যাগুলো থাকে তাহলে তো অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহ দেখাবে না। ঘোষণা দিলেই তো হয় না ব্যাপারটা। সেজন্যই এ বিষয়টি ঠিক করে আমরা জানাব।’
আরও পড়ুন: ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা’
দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি দাবি প্রাসঙ্গিক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ মাস আগে