স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের মানুষ সবসময় নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের মানুষ সবসময় নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবিকে বাংলাদেশ সবসময় সমর্থন করে আসছে। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে; ন্যায় ও মানবতার পক্ষে।’
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সাক্ষাৎ করতে এলে এমন মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরবে বৈঠক
বৈঠকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশ, ফিলিস্তিন টিভির প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফর, আল আকসা মসজিদের নামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্মারক পাসপোর্ট ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ফিলিস্তিন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন ও সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।
ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আরব বিশ্বসহ অন্য মুসলিম দেশগুলো যা পারেনি, বাংলাদেশ তা করিয়ে দেখিয়েছে।
ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘ফিলিস্তিনের ভাইবোনরা জানতে চায় নিশ্চয়ই এমন কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে, যাতে বাংলাদেশের জনগণ ইসরাইলের বর্বর হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এত বড় প্রতিবাদ সমাবেশ করে দেখিয়েছে।’
এর কারণ হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিমদের সত্যিকারের ধর্মপরায়ণ হিসেবে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সংহতি ও সহমর্মিতা সম্পর্কে ফিলিস্তিনের জনগণকে আরও সচেতন করতে আগামী ১৭ মে ‘ফিলিস্তিন টিভির’ একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে। তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহপূর্বক একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করবে, যা পরবর্তীতে ফিলিস্তিন টিভিতে প্রচারিত হবে।’
আল আকসা মসজিদের নামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি স্মারক পাসপোর্ট ইস্যুর জন্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত। উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে আল আকসা মসজিদের নামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্মারক পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে মর্মে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) খন্দকার মাহাবুবুর রহমান ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) শামীম খানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২ দিন আগে
পুলিশকে এখনও পুনর্গঠন করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে পুলিশকে এখনও পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের বিমানবন্দর থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ সময় তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর পুলিশকে এখনও পুনর্গঠন করা যায়নি। ৫ আগস্টের সময় অনেক গাড়ি, থানা পুড়েছে। এখনও তাদের একটি গাড়িও কিনে দেওয়া যায়নি। অর্থ বরাদ্দ পেলে এই ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন করা হবে।’
তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে বলে মত দেন তিনি। এ বছর রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো ছিল বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বলেন, ‘মব জাস্টিসকে পুলিশ আর ভয় পাচ্ছে না; বেশিরভাগ আসামিই ধরা পড়ছে।’
আরও পড়ুন: দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাইলেই পুলিশ অ্যাকশন নেবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্রের এখনও সব উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি; এ ব্যাপারে সরকার কাজ করছে। লুট হওয়া অস্ত্র বাইরে থাকলে নিরাপত্তার হুমকি থাকবে।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘এ ব্যাপারে নতুন কোন আপডেট নেই’ বলে জানান।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে স্বল্প সময়ের নোটিশে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। তবে থানায় এমন আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি।
৭ দিন আগে
সৌদিতে আরও বেশি বাংলাদেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নিতে সৌদি সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসে সৌদি আরবের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এসা বিন ইউসূফ বিন এসা আলদুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে সৌদি আরবে বসবাসরত বৈধ পাসপোর্ট নেই এমন ৬৯ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু বা পুনরায় ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার। একক দেশ হিসেবে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কাজ করছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কর্মরত। এটিকে ৪০ লাখে উন্নীত করতে তিনি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে প্রভূত সহায়তা বিদ্যমান। সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল, অদূর ভবিষ্যতে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, করোনার সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তা সচল ছিল।
আরও পড়ুন: বিমসটেক অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে পারস্পরিক সহযোগিতা: কৃষি উপদেষ্টা
রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ী দেশে বসবাস ও চাকরি করাসহ আইনগত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই—এমন লোকের সংখ্যা আনুমানিক ৬৯ হাজার।
তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় ৬৯ হাজার ব্যক্তির পাসপোর্ট ইস্যু বা নবায়নের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল সই হয়েছিল এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিসহ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৮ দিন আগে
নববর্ষ উদ্যাপনে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয়ভাবে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ বছর বিস্তৃতভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে৷। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন, সবই করা হচ্ছে। তাছাড়া নববর্ষের শোভাযাত্রায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শোভাযাত্রার সামনে-পিছনে পুলিশের নিরাপত্তা বলয় থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘শোভাযাত্রাসহ নববর্ষ উদ্যাপনের পুরো বিষয়টি আয়োজন করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারাই নির্ধারণ করবে কারা কোথায় থাকবে। সে অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: মানবপাচার রোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এর বাইরে ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের নামে বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অফিস-দোকান ভাঙচুর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সারাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব৷ যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।’
সভায় উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে কিনা তা আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। এবারের নববর্ষ উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। এ নিয়ে প্রস্তুতিও ব্যাপক। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ উপলক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
৯ দিন আগে
মানবপাচার রোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মানবপাচার রোধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠাসহ শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মানবপাচারে বন্ধ করতে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে মানবপাচার সংক্রান্ত বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা জানান, মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পাচারের বিপদ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার করার জন্য বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে বলে তথ্য দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানবপাচার মোকাবেলায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, মানব পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের দক্ষতার সাথে শনাক্তকরণ ও তাদের চাহিদা মূল্যায়ন করে যথাযথ সেবা দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে তৈরি এই প্লাটফর্মে সেবাদাতাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের সংযুক্ত করা হবে।
পাশাপাশি মানবপাচার সংশ্লিষ্ট বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মানব পাচারবিরোধী প্রচেষ্টার জন্য টিআইপি হিরো অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি আল-আমিন নয়ন
বিমসটেক জোটের সদস্য দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পারস্পরিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা আরও বিস্তৃত করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
এ সময় মানব পাচার বন্ধ করতে বিমসটেকের অন্যান্য দেশগুলো যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অবগত হয়ে দেশের পাচারাবিরোধী কৌশল আরও শক্তিশালী করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পাচার রোধে সরকারের পদক্ষেপগুলো এড়িয়ে চলতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করে পাচারকারীরা। তারা সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সংকট ও দারিদ্র্যকে কাজে লাগায়। এ কাজে প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের গোপন কার্যকলাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য অভিবাসন রুটগুলোকে কাজে লাগাতে থাকে।’
এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি সম্মিলিত ও কৌশলগত কর্মপদ্ধতি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ও সেবাসমূহ বিনিময়ের মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিমসটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সম্মিলিত প্রয়াস আমাদের পাচার বিরোধী কৌশলকে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম করবে।’
আরও পড়ুন: দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় বিমসটেকভুক্ত সাত সদস্য দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান) মানব পাচার সংক্রান্ত সাব-গ্রপের সংশ্লিষ্ট সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
১১ দিন আগে
আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কোনো ভেদাভেদ নেই, আমরা এখানে সবাই বাংলাদেশি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি হিসেবেই আমরা সবাই ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এসেছি।’
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পুণ্যস্নানোৎসব পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময় আছে। বাংলাদেশের মতো এত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথাও নেই। আশপাশে দেখবেন কীভাবে কী ঘটছে।’
এ ছাড়াও আমাদের এই বাংলাদেশে সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবার নদের পানি ভালো ছিল। নদ যেন সবসময় ভালো থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পুণ্যার্থীদের সংখ্যাও অনেক বেশি। আমাদের সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেইসঙ্গে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে সেবা দেওয়ার জন্য।’
লাঙ্গলবন্দ পর্যটনকেন্দ্র করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে কীভাবে পর্যটনকেন্দ্র করা যায় সে বিষয়টি দেখা হবে। পর্যটনকেন্দ্র থেকে বড় বিষয় হলো এটা পূণ্যভূমি।’
‘এটা ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘অনেকে আছেন মিথ্যা সংবাদ দিলে প্রচার বেশি হয়, বেশি পয়সা পান। এজন্য তারা মিথ্যা সংবাদ দেন। আপনারা সত্য সংবাদ দিন। আমাদের যদি ভুল থাকে আপনারা বলেন। কিন্তু মিথ্যা সংবাদ দেবেন না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, স্লান উৎসব উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সংকর সাহা ও জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
১২ দিন আগে
দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক।’
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও ঈদ পুনর্মিলনীর উদ্দেশ্যে রাজধানীর ছয়টি থানা (খিলক্ষেত, ভাটারা, বাড্ডা, রামপুরা, হাতিরঝিল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জনদুর্ভোগ নিরসন ও থানার সেবার মান আরও উন্নত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাজধানীর থানাগুলোকে নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জনগণ উপকৃত হবে বলে অভিমত দেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা জানান, রাজধানীর বেশ কয়েকটি থানা ভাড়া ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন জনগণের সমস্যা হচ্ছে, অন্যদিকে থানাগুলোও কাঙ্ক্ষিত মানের সেবা দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজস্ব জায়গায় ভবন নির্মাণ করে থানাগুলোকে স্থানান্তরের চেষ্টা করছি আমরা। ভালো জায়গায় থানা হলে জনগণের যেমন সুবিধা হবে, তেমনি থানাগুলো আরও সক্রিয় হবে ও কার্যক্রম চালাতে সুবিধা হবে।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেনি উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশ জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটার কোনো শঙ্কা নেই। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক, এটিকে আস্তে আস্তে আরও ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ঈদে সবাই ছুটিতে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
এসময় তিনি আরও জানান, কোনো নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা যেন ছাড় না পান সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুষ্কৃতিকারী তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
১৫ দিন আগে
রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঈদুল ফিতরের দিন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময়ে সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১ টায় তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
তারা পুলিশ সদস্যদের মেস পরিদর্শন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে জনগণের ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
১৭ দিন আগে
ফাঁকা ঢাকায় ষড়যন্ত্রের হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাধারণ জনগণ এবার স্বস্তিতে ও নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকায় কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের বিভিন্ন জনমুখী উদ্যোগ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে জনগণ এবার স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পারছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে জনগণ নির্বিঘ্নে ও ভালোভাবে ঈদযাত্রা করতে পারেন এবং ঈদ শেষে নিরাপদে ঢাকায় ফিরে আসতে পারে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজধানীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সবাই ছুটি ভোগ করছেন। কিন্তু পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কিন্তু ছুটিতে যাচ্ছে না।’
‘রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন সুসংহত থাকে- সে লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য তারা ধন্যবাদ প্রাপ্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
ফাঁকা ঢাকায় কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি নাই।’
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি থাকে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো। জনগণ সাথে থাকলে ও মোকাবিলা করলে কেউ কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।’
পরিদর্শনকালে রাজধানীর বাস টার্মিনাল, প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্ট যানজটমুক্ত রাখতে ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। তাছাড়া তিনি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেন।
১৯ দিন আগে
দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৮ম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামীকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয় করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে।’
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হবে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বস্তিতে অভিযান বৃদ্ধি করা হবে।’
যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়
ঈদের সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অধিদপ্তর এবং প্রযোজ্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব কন্ট্রোল রুম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট অপারেশন সেন্টার (01320001223) এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
ঈদের সময় ট্রাফিক ও যানজট নিয়ন্ত্রণে যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে যানজট নিরসনে ইটিসিসহ (ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ) দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যেকোনো জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনগুলো ঈদের পূর্বের তিন দিন এবং পরের তিন দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করা হয় ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয়, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দপ্তর, সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড তথা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, টাকা স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট প্রদান, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঈদের ছুটির পূর্বেই গার্মেন্টস/শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা হবে। অন্যথায় গার্মেন্টস/কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গার্মেন্টস কারখানা, অন্যান্য শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ও ইন্ধনদাতা মালিক, শ্রমিক এবং বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট—‘জিরো টলারেন্স’।
আরও পড়ুন: র্যাব ও এপিবিএন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ যাবৎ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচার কেবল দ্রুতই নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত ও যথাযথ হয় ব্যবস্থা নিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কঠোর করা হচ্ছে। তাছাড়া সভায় মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
২৩ দিন আগে