স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তার সংখ্যা কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা কাজে ফিরে আসেননি, তাদের ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আইনি উভয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এসব কর্মকর্তার অধিকাংশই অসদাচরণের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত ১৮৭ পুলিশ কর্মকর্তা
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮৭ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত।
এর মধ্যে একজন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সাতজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি), দুজন পুলিশ সুপার (এসপি) এবং অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।
এই অনুপস্থিতদের মধ্যে ৯৬ জন বর্ধিত ছুটিতে, ৪৯ জন ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত, তিনজন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন এবং ৩৯ জন অন্যান্য কারণে অনুপস্থিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নৌপথে পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দক্ষ ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সংস্কারের মাধ্যমে একটি দক্ষ, সুসংগঠিত, পেশাদার ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে যা করণীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা করা হবে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সফিপুরে এসব কথা বলেন তিনি।
সেখানে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডার কর্মকর্তা এবং ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরবর্তীতে দেশের প্রতিটি জরুরি মুহূর্তে আনসার বাহিনীর সদস্যরা গভীর দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে এসেছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
এছাড়াও দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধানসহ কূটনৈতিক এলাকার সুরক্ষায় এ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থানা, ট্রাফিক, বিমানবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে। বিশেষ করে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ডিএমপির থানাগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর স্বল্পতার মাঝেও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।
জাতির জরুরি প্রয়োজনে সাহসী ভূমিকা রাখায় বাহিনীটির সব সদস্যদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবী ভিডিপি সদস্যরাও দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামে গ্রামে যে সামাজিক নিরাপত্তা সংকট দেখা দিয়েছিল, ভিডিপি সদস্যরা তা নিরসনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যারা মন্দির, গির্জা, চার্চে হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভিডিপি সদস্যরা। ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে পাহারা বসিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহাদ্য-সম্প্রীতি রক্ষায় অবদান রেখেছিল তারা। ভবিষ্যতেও ভিডিপি সদস্যরা তারুণ্যনির্ভর স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় সুসংগঠিত হয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তায় আরও বেশি অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ দেখার পাশাপাশি কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নৌপথে পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: নৌপথে পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সফল অভিযান পরিচালনার স্বার্থে অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হামলার আশঙ্কা থাকলে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে অভিযান চালানোর পরামর্শ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সভায় আরও ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নৌপথে পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সমুদ্র-নৌপথে ইলিশ ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নাবিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, নিজস্ব চাহিদা বিবেচনায় সরকার এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে না। তাছাড়া বিদ্যমান ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সার আমদানির মাধ্যমে সারের যোগান অব্যাহত রেখেছে।
এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইলিশ ও সারের চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীগুলোর মধ্যে নৈতিকতার ক্ষেত্রে স্খলন দেখা দিলেও কোস্টগার্ড এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা নৈতিক মানদণ্ড বজায় রেখেছে ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কোস্টগার্ডদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে তাদের অতীত ঐতিহ্য ও সম্মান সমুন্নত রেখে অস্ত্রসহ বিভিন্ন পণ্য ক্রয় ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
তিনি কোস্টগার্ডের আবাসন, জনবল, অস্ত্র এবং টহল ও উদ্ধারকারী নৌযান ক্রয় ও সংগ্রহসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা ও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন- জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
দেশে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষি উপদেষ্টা
দেশে সারের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সারের মজুদ রয়েছে। তাই কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী সার কিনতে ও ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন: বন্যায় কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের আহ্বান কৃষি উপদেষ্টার
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, বন্যার্তদের পুনর্বাসনে গৃহীত পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) কার্যক্রম সম্পর্কে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, সার আমদানির প্রক্রিয়া স্বাভাবিক আছে।
তাই ভবিষ্যতে সংকট হতে পারে এ শঙ্কায় অতিরিক্ত সার কেনা বা মজুদ না করার জন্য কৃষি উপদেষ্টা আহ্বান জানান।
এসময় কৃষি উপদেষ্টা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ মন্ত্রণলয়, দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও প্রধানরা।
উল্লেখ্য, পত ১৬ আগস্ট থেকে আকস্মিক বন্যায় দেশের ২৩টি জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জেলাগুলোর মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর। ফসল উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ ৭ লাখ ১৪ হাজার ৫১৪ মেট্রিক টন, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন। বন্যায় ২৩টি জেলার মোট আবাদ করা ফসলের শতকরা ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ডাক বিভাগের সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
বন্যায় অধিক আক্রান্ত ৭টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ-
ফেনী ৩৫ হাজার ৬৭৩ হেক্টর (৮০ শতাংশ), নোয়াখালী ৩৮ হাজার ৪৫৬ হেক্টর (৩৭ শতাংশ), কুমিল্লা ৪৯ হাজার ৬০৮ হেক্টর (৩৬ শতাংশ), লক্ষ্মীপুর ১৫ হাজার ৬২৬ হেক্টর (৩৩ শতাংশ), চট্টগ্রাম ২৩ হাজার ৯৯২ হেক্টর (১৬ শতাংশ), মৌলভীবাজার ১৫ হাজার ২২২ হেক্টর (১২ শতাংশ) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৮ দশমিক ৩২৬ হেক্টর (৩৫ শতাংশ)।
বন্যায় জেলাগুলোর রোপা আমন ১ লাখ ৪১ হাজার ৬০৯ হেক্টর, আউশ ৩৮ হাজার ৬৮৯ হেক্টর, বোনাআমন ৭৬৪ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১৪ হাজার ৯০৮ হেক্টর ও শাকসবজি ১১ হাজার ২৯০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আদা, হলুদ, আখ, পান, মরিচ, তরমুজ, পেঁপে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, টমেটো ইত্যাদি ফসল এবং ফলবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা মোকাবিলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে রোপণের জন্য আমন ধানের বীজ বিতরণ ও বীজতলা প্রস্তুত করা, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান এবং কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক কার্যক্রম সমন্বয় ও মনিটরিং করা হচ্ছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে পুনর্বাসন কর্মসূচি বাবদ ৯টি জেলায় (কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি) রোপা আমন চাষের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়।
এর মাধ্যমে আমন ধানের ৪০০ টন বীজ কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। উপকারভোগী কৃষক পরিবারকে ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার ও নগদ ১০০০ টাকা (মোবাইল/অনলাইন ব্যাংকিং) দেওয়া হচ্ছে। এতে ১০ হাজার ৬৬৭ হেক্টর জমি রোপা আমন চাষের আওতায় আসবে এবং উপকারভোগী কৃষকের সংখ্যা ৮০ হাজার জন।
বন্যাকবলিত জেলাকে গুরুত্ব দিয়ে ৬৪ জেলায় ১২টি ফসলে (গম, ভুট্টা, সরিষা, সুর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, পেঁয়াজ, মুগ, মসুর, খেসারি, ফেলন ও অড়হড়) রবি মৌসুমে প্রণোদনা/পুনর্বাসনের জন্য ১৬৪ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা অর্থছাড় করা হয়েছে। যাতে ১৬ দশমিক ৪১ লাখ কৃষক উপকৃত হবে। পরবর্তীতে শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনে জন্য ২২ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা ১ দশমিক ৫ লাখ কৃষককে প্রণোদনা প্রদানের জন্য অর্থছাড় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বিভিন্ন খামারে ২২ দশমিক ৫ একর জমিতে চারা উৎপাদনের জন্য ৪ হাজার ৫০০ কেজি আমন ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। উৎপন্ন চারা দিয়ে ৪৫০ একর (১ হাজার ৩৫০ বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদ করা সম্ভব হবে।
আগামী ২০-২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেনী, নোয়াখালী ও খাগড়াছড়ি জেলায় মোট ২ হাজার ৫০০টি কৃষক পরিবারের কাছে রোপা আমন ধানের চারা পৌঁছাবে। যা দিয়ে ২ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করা হবে। এরমধ্যে বিএডিসির সরবরাহ করা বীজে ১ হাজার ৩২৫ বিঘা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরবরাহ করা বীজে ৩৭৫ বিঘা, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) সরবরাহ করা বীজে ৪৫০ বিঘা এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সরবরাহ করা বীজে ৩৫০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হবে। বিএডিসির মধুপুরস্থ খামারের ১ দশমিক ৫০ একর উঁচু জমিতে আমন ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। যা দ্বারা ফেনী জেলার মহিপালে অবস্থিত খামারের ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ একর (৭৫ বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কুমিল্লা সেনানিবাসে ২ দশমিক ৫০ একর (৭ দশমিক ৫ বিঘা) জমিতে চারা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলার কৃষক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১ হাজার ২০০ কেজি বীজের চারা ২৪০টি কৃষক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করবে মর্মে আশ্বাস পাওয়া গেছে। বেসরকারি সংস্থা সিনজেন্টার ১৫ টন বীজ ৫ কেজি হারে ৩ হাজার কৃষক পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষিতে উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষি উপদেষ্টা
পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশ সংস্কারে শিগগির কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কারের বিষটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে এখনও কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। তবে শিগগির হবে।
প্রাথমিক কমিটি কোন প্রক্রিয়ায়, কীভাবে ও কাদেরকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে সংস্কার করা হবে- তা নির্ধারণ করবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লাইলারের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব বিদেশি নাগরিকের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাক্ষাৎকালে পুলিশ সংস্কার-বন্যা পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক কমিটির সুপারিশ ও মতামত গ্রহণ করে প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নেওয়া হবে এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, সেসময় ইউএনডিপি ও আগ্রহী অন্যান্য দেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে তাদের মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হবে।
তবে যেসব মতামত-পরামর্শ দেশের জন্য সঙ্গতিপূর্ণ হবে, কেবল সেগুলোই পরবর্তী পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নের জন্য বিবেচিত হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
স্টেফান লাইলার বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কার এমনভাবে হওয়া উচিত, যাতে জনগণ পুলিশের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে পারে।
তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করে জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিয়ে ব্যাপক পরিসরে এ সংস্কার বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ প্রয়োজনীয় কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি।
বৈঠকে বাংলাদেশের বন্যা পুনর্বাসনের জন্য ইউএনডিপি সমীক্ষা চালাচ্ছে বলে জানান আবাসিক প্রতিনিধি।
তাছাড়া এ কাজে ইউএনডিপির পক্ষ থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- ইউএনডিপির অ্যাডভাইজর সাইমন বোনেসি, ডেমোক্রেটিক গভর্নেন্স পোর্টফলিও বিষয়ক ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) বাংলাদেশ প্রধান আবদুস সাত্তার ইসোয়েভ, আইওএম বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব মিশন ফাতিমা নুশরাত গাজ্জালি, ইউএন ওমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং, ইউএনওডিসি অফিস প্রধান এ.আই. ফেলিপ রামোস ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) জেন্ডার বিষয়ক প্রধান শামীমা পারভীন।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিভিন্ন মাজারে হামলা হচ্ছে। তাই মাজারে হামলা বন্ধের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্গাপূজার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শাহ পরানে যে হামলা হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে কোনো ধরনের যেন হামলা না হয়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধের মাধ্যমে কারাগারের বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, এবার সারাদেশে পূজামণ্ডপ হবে ৩২ হাজার ৬৬৬টি। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫৭টি এবং ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮৮টি।
তিনি আরও বলেন, গত বছর পূজামণ্ডপ ছিল ৩৩ হাজার ৪৩১টি। তবে এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যা আরও বাড়বে। পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা পুরো তালিকাটা এখনও দিতে পারেননি।
উপদেষ্টা বলেন, পূজামণ্ডপগুলোতে কীভাবে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
এছাড়া নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন এবং দুষ্কৃতকারীদের অশুভ তৎপরতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ। এবারের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগটি ভিন্ন হবে। বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকদের মধ্য থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব পালনের সময় বেঁধে দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা (প্রতিটি মণ্ডপে) দিনে ২ জন ও রাতে ৩ জন থাকতে হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র-মাইক বন্ধ রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মাসহ অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
বাংলাদেশে সব বিদেশি নাগরিকের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
ভবিষ্যতে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দূর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে হত্যা নিয়ে এখানে একটু আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ করেছি।। আশা করব ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।’
তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে আপনারাও আমাকে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, পূজার সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়। যেহেতু আমাদের অনেক লোক ভারতে যাওয়া-আসা করে, এপারের লোক ওপারে আবার ওপারের লোক এপারে পূজা দেখতে আসে।
তাই সবাইকে আমি অনুরোধ করেছি, এবার আপনারা বর্ডার বেল্টে ভালো ভালো পূজা মণ্ডপ করেন। যাতে এপারের লোক ওপারে না যায়। আবার ওপারের লোক এপারে না আসে পূজা দেখার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সব বিদেশি নাগরিকের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধের মাধ্যমে কারাগারের বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান সম্ভব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে সব বিদেশি নাগরিকের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশে বসবাসরত সব বিদেশি নাগরিকের জন্য শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন, বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা, পুলিশের সংস্কার, কৃষি খাতে সহযোগিতা, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
হাইকমিশনার কানাডাসহ বিদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশিদের আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। তাদের জন্য পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে খুব শিগগিরই আরও সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: টেকসই-নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের চুক্তি সই
সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে হাইকমিশনার উদ্বেগ প্রকাশ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী মিয়ানমারের নাগরিকসহ সেখানে কাজ করা দেশি-বিদেশি এনজিও কর্মী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে থেকেও বাংলাদেশ অনেক বছর ধরে ১২ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এখন সময় এসেছে এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ও অন্য দেশে পুনর্বাসন করা।
উপদেষ্টা এসময় কানাডায় কিছু রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের অনুরোধ করেন।
পুলিশ সংস্কারে উপদেষ্টা কানাডার সহায়তা চাইলে হাইকমিশনার বলেন, পুলিশ প্রশিক্ষণে কানাডার সহযোগিতা বিষয়ক একটি প্রকল্প বাংলাদেশে চালু রয়েছে। এটিকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ বিষয়ে কানাডা আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তরে কানাডার অর্থায়নে ‘কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন। উপদেষ্টা এ ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে উপদেষ্টা হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাংলাদেশের অনেক বড় বড় অপরাধী বিপুল পরিমাণ অর্থ কানাডায় পাচার করে আশ্রয় নিয়েছে। হাইকমিশনার এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জানান, অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ, তবে অসম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ও চিঠি পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
রাষ্ট্রপতির নাগরিকত্বের 'স্পর্শকাতর' বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে আরও উন্নতি করা যায় এ বিষয়ে আমরা কিছু কিছু পদক্ষেপও নেব।’
তিনি বলেন, এটি ছিল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভা। আমরা মূলত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদক আমাদের একটি বড় ধরনের সমস্যা, মাদক কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? মাদকের নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য জরুরি। এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। যাতে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসে। যাতে মাদকদের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে পারি।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত-ন্যায় বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন আজকে কিন্তু অবৈধ ও বৈধ সর্বস্ত জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাত ১২টা থেকে যৌথ বাহিনীর অপারেশন শুরু হবে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য।
তিনি বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে, এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আশা করছি, পূজাটা খুব ভালোভাবে হয়ে যাবে। কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের একটু সমস্যা আছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপগুলো কি, সেটা আপনারা অনগ্রাউন্ড দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে যে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার