অর্থ উপদেষ্টা
এসডিএফের শহীদ পরিবার ও আহত সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অর্থ উপদেষ্টার
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত এবং সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) উপকারভোগীদের স্বাবলম্বী করতে আর্থিক সহায়তা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় এসডিএফ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত এসডিএফের নিহতদের পরিবার ও আহত সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ও অনুদান দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এসডিএফ সদস্য পরিবারগুলোর আত্মত্যাগ ও অংশগ্রহণ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে ছাত্র ও গণঅভ্যুত্থানের সংহতিকে তুলে ধরে। এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভে এসডিএফের বিশ্বব্যাংক সমর্থিত রেজিলিয়েন্স, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট (আরইএলআই) প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী পরিবারের মোট ৭ জন শহীদ হন এবং ১৬ জন গুরুতর আহত হওয়া ছাড়াও ৩৩ জন আহত হন।
উপদেষ্টা সাত শহীদের পরিবারকে দুই লাখ করে টাকা, গুরুতর আহত ১৬ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে এবং আহত ৩৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন।
এই আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবিকা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত।
এসডিএফ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এসডিএফ পরিচালনা পর্ষদ ও গভর্নিং বডির সদস্য, সাংবাদিক এবং শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত, অলাভজনক সংস্থা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) ২০০১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এর লক্ষ্য জীবনযাত্রার উন্নতি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখার দিকে মনোনিবেশ করা।
আরও পড়ুন: ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
১ সপ্তাহ আগে
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বর্তমান বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন ড. সালেহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব আয় ও পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
তিনি বলেন, 'পুঁজিবাজারের বিদ্যমান ও অতীত সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগে নিরাপদ বোধ করেন। টেকসই ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনাই আমাদের হাতে রয়েছে।’
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে তারল্য সংকট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু নীতিগত উদ্বেগ অর্থ উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় এসব জরুরি সমস্যা সমাধানে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’
বাজারকে স্থিতিশীল করা এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে এ বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটি, তারল্য সহায়তা, কর সংস্কার, বাইব্যাক নীতি এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো উঠে এসেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় পুঁজিবাজারের অনিয়ম তদন্তকারী কমিটিগুলোর সঙ্গেও পরামর্শ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সোম-মঙ্গল-বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
৩ সপ্তাহ আগে
ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
অতীতের ভুল এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঋণ দেওয়ার আগে ঋণের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করতে ব্যাংক মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো যাতে কোনো বিচ্যুতি না হয়, সেজন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে যথাযথ যাচাই-বাছাই করে ঋণ অনুমোদনের জন্য আমি তাদের (বিএবি) অনুরোধ করেছি।’
আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের নির্দেশ
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ঋণদানে ব্যাংকগুলোর অগ্রাধিকার দিতে হবে, বিশেষ করে আবাসন, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য, যারা প্রায়ই ঋণ প্রাপ্তিতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
ব্যাংকিং কার্যক্রমে শুদ্ধাচার বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বিএবি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আপনাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন।’
সাক্ষাৎকালে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বিএবি প্রতিনিধিদল ব্যাংকিং খাতের চলমান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন। ড. সালেহউদ্দিন স্বীকার করেন, এই খাতটি বর্তমানে ঋণ বিতরণ সমস্যা এবং তারল্য সংকটে ভুগছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’
ভবিষ্যতে ব্যাংকিং খাতের যেকোনো সংস্কার উদ্যোগে তাদের মতামত বিবেচনার অনুরোধ জানান বিএবি নেতারা। জবাবে ড. সালেহউদ্দিন নীতি সংস্কারে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সরকারের ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, 'আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা করব।’
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
১ মাস আগে
ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও অর্থ পাচার রোধে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চায় বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাত সংস্কার, মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ ও কর সংস্কারসহ উদ্বেগের মূল ক্ষেত্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কারিগরি সহায়তা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'আমরা ব্যাংকিং খাত সংস্কার, অর্থপাচার মোকাবিলা ও কর সংস্কার বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা চেয়েছি।’
দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং অতিরিক্ত তহবিলের বিধানসহ সম্ভাব্য সংস্কার অনুসন্ধানের জন্য এক সপ্তাহব্যাপী সফরে এসেছে আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি।
এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোতে সমর্থন করার জন্য বাহ্যিক সংস্থানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের স্থানীয় সম্পদ যতটা সম্ভব ব্যবহার করব, তবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য আমাদের বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন হবে।’
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এই সফরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জোরদার এবং সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সাপোর্টের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'যেসব ক্ষেত্রগুলোতে আইএমএফের সহায়তা সবচেয়ে বেশি লাভজনক হতে পারে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
অর্থ উপদেষ্টা আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তা পুরোপুরি বাস্তবায়নে সময়ের প্রয়োজন হবে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে আরও আলোচনায় জড়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেসব আলোচনায় সহায়তা ও নীতি নির্দেশনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঋণদাতা সংস্থার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া হবে।
এছাড়াও আইএমএফের প্রতিনিধি দল উচ্চ ভর্তুকি ব্যয়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ ও সরকারি ব্যয়ে সম্ভাব্য কর্তনের খাতগুলোসহ দেশের আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনা করবে।
চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের পাশাপাশি বাজেট সহায়তার জন্য সরকার এরইমধ্যে আইএমএফের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে।
১ মাস আগে
চলতি বছরের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বছর শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ের অর্থ বিভাগে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ এ ভার্গিসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
ড. সালেহউদ্দিন দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিশ্বব্যাংকের দ্রুত আর্থিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, 'যেহেতু বিশ্বব্যাংক আমাদের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার, তাই আমাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা আকারে বিশেষ সহায়তা আশা করছি।’
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এসব সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য উদ্বেগপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিবিদ
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত কীভাবে সংস্কার করা যায় তা নিয়ে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।’
বাংলাদেশ নতুন করে ২ বিলিয়ন ডলার তহবিল চেয়েছে, এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন টাকার পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করে বলেন, অর্থের পরিমাণ পরে চূড়ান্ত করা হবে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বিশ্বব্যাংক সম্ভবত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে পারে, যার মধ্যে নীতিগত সংস্কারের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনাদায়ী ঋণ আদায়ের জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।
২. ঋণের প্রকৃত উপকারভোগীদের চিহ্নিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন।
৩. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ফরেনসিক অডিটের সুযোগ নির্ধারণ করা।
৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করা।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংস্কারের প্রয়োজনে এই অর্থ সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বলে জানিয়েছে এক সূত্র।
সংস্কারগুলো যাতে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য হয় তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, 'সংস্কারগুলো বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। না হলে কার্যকর করা সম্ভব হবে না এবং দাতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পাওয়া যাবে না।’
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বৈঠকে দেশের আর্থিক অবকাঠামো সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলে এই প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
২ মাস আগে
‘আপনাদের দেখে যেন করদাতারা ভয় না পায়’: কর কর্মকর্তাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা
করদাতারা যাতে রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় ভয় না পান, তা নিশ্চিত করতে কর কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে অর্থ আইন ২০২৪-এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘করদাতারা আপনাদের দেখলে যেন আতঙ্কিত না হন। হয়রানি থেকে বাঁচতে আয়কর কর্মকর্তাদের এড়িয়ে চলার প্রবণতা রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাদের আশ্বস্ত করুন, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
সামনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজস্ব ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজস্ব খাত ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার। রাজনৈতিক সংস্কারও করা হবে।’
কর আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির গুরুত্বের ওপরও জোর দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় চাহিদা মেটাতে যতটুকু কর আদায় করা দরকার ততটুকু কর আদায় করুন, তবে সাধারণ নাগরিকদের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি না করে কর আদায় করুন। জনগণের কথা বলার সময় তাদের আশ্বস্ত করুন এবং তাদের স্বেচ্ছায় কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা উচিত।
ড. সালেহউদ্দিন আর্থিক খাত সংস্কারে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে কর কর্মকর্তাদের জরুরি সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও স্বাবলম্বী হওয়া, যদিও এখনও অনেক পণ্য আমদানি করতে হয়।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ছয় সদস্যের একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠকে আগামী দিনগুরোর জন্য অর্থনৈতিক আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করতে পারে। আমরা এরই মধ্যে কর সংস্কারের কাজ শুরু করেছি এবং আমাদের কর্মকর্তাদের উদ্বুদ্ধ করেছি, যা কিছুটা আস্থা তৈরি করতে পারে।’
অগ্রগতির বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করাসহ আর্থিক সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অপব্যয় হ্রাস এবং জনসাধারণের তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের মনোযোগের উপর জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'অনেকে মনে করেন, সরকার শুধু অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কর আদায় করে, কিন্তু এ ধরনের ব্যয় ন্যূনতম রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’
অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক অর্থায়ন প্রয়োজনীয় বলে স্বীকার করেন ড. সালেহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে আমাদের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করব, তবে বৈদেশিক তহবিল এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক সাহায্যের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিরুদ্ধে তারা সতর্ক।
তিনি বলেন, ‘একটা কথা আছে, আপনার হাতটা যদি আমার পকেটে থাকে, আমি ডান দিকে গেলে আপনিও যাবেন, আমি বায়ে গেলে আপনিও বায়ে যাবেন। সেটা কিন্তু হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি।’
বাংলাদেশের কর কাঠামোর ভারসাম্যহীনতার কথা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন প্রত্যক্ষ করারোপের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবুও ভ্যাটের মতো পরোক্ষ করের উপর উচ্চ নির্ভরতার তুলনায় আমাদের রাজস্বে এর অংশ তুলনামূলককম, যা সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করে।’
তিনি আরও উন্নত কর ব্যবস্থার আহ্বান জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আয়কর ব্যবস্থা কিছুটা পশ্চাদমুখী, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অধীনে থাকা সংস্থাগুলো বিশেষত বোঝা মনে করছে। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায্যতা ও প্রদানের সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে করারোপ করা হয়েছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান এম আবদুর রহমান খান ড. সালেহউদ্দিনের সংস্কারের আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে সরকারি রাজস্বের কার্যকরভাবে ব্যবহার নিশ্চিতের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, 'মানুষ জানতে চায় যে তারা যে কর দেয় তা সঠিকভাবে ব্যয় করা হচ্ছে কি না। আমরা সেই পরিবর্তন দেখতে শুরু করেছি, তবে আমাদের ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি কর কর্মকর্তাদের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা এবং কর আদায়ের সময় অযৌক্তিক চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থেকে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'আমাদের আইন ও বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত, তবে আমাদের অবশ্যই করদাতা বৃদ্ধি সহজতর করতে হবে।’
বিশেষ করে অতিরিক্ত কর ব্যয়ের বিষয়টি মোকাবিলায় কর আইনের উল্লেখযোগ্য সংস্কারের আহ্বান জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। ঘাটতি পূরণে সরকারের অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো উচিত নয় উল্লেখ করেন তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় কর কাটা বন্ধ করতে হবে।’
ড. সালেহউদ্দিন ছাত্র ও জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত 'জুলাই বিপ্লব'-এর পর বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন পথ প্রণয়নের ঐতিহাসিক সুযোগের কথা তুলে ধরেন। অতীত চর্চা পেছনে ফেলে আমাদের অবশ্যই নতুন বাংলাদেশ গড়ার দিকে নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এম লুৎফুল আজিম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কর নীতি নির্ধারণী সদস্য এ কে এম বদিউল আলম এবং কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে এক দল চলে গেলে আরেক দল শূন্যস্থানে আসে: অর্থ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে এক দল চলে গেলে আরেক দল শূন্যস্থানে আসে: অর্থ উপদেষ্টা
মূল্যস্ফীতি কমানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে সরকারের এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন।
অর্থনীতিতে চাঁদাবাজির প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছি। এ বিষয়ে কখনোই নেতিবাচক অবস্থান নিইনি এবং অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন: ভয় না পেয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করুন: অর্থ উপদেষ্টা
চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত জটিলতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি মোকাবিলা করা কেবল অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামাজিক মূল্যবোধও জড়িত। ‘যখন এক দল বেরিয়ে যায়, তখন অন্য দল অনিবার্যভাবে ওই শূন্যস্থানে চলে আসে। এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগবে।’
আগস্টে দেশের মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা নিম্নমুখী হওয়ায় জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনা করা কেবল সরবরাহ বাড়ানোর চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন সম্পর্কিত কারণগুলো তুলে ধরার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ঘাটতি রোধে সয়াবিন তেল ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘খুচরা দামও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অবস্থান হলো, ভোক্তাদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপানো উচিত নয়।’
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন ড. সালেহউদ্দিন ।
তিনি সরকারের পদক্ষেপের সুষ্ঠু মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রাতারাতি কমবে না।
অতীতের মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন পূর্ববর্তী প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন অর্থ মুদ্রণের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট 'খুব নোংরা', শিগগিরই পরিবর্তন প্রয়োজন: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি দাবি করেন যে ওই সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা।
ইউএনডিপির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ইউএনডিপি চলমান প্রকল্পগুলোতে শুধু সহযোগিতাই অব্যাহত রাখছে না, বরং নতুন নতুন উদ্যোগেরও প্রস্তাব দিচ্ছে। ইউএনডিপি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে সবুজ প্রযুক্তি খাতে সমর্থন এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন সংস্কার বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইউএনডিপি এ ধরনের দক্ষতা সরবরাহে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা খুব প্রতিক্রিয়াশীল ছিল এবং তাদের অব্যাহত সহায়তার বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাজারে চাপ কমাতে যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট 'খুব নোংরা', শিগগিরই পরিবর্তন প্রয়োজন: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাজারে থাকা ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোটের অবস্থা খুবই নোংরা। শিগগিরিই এগুলো পরিবর্তন করতে হবে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
চলতি বা আগামী মাসে বাজেট পর্যালোচনা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।’
চলতি বা আগামী মাসে বাজেট সংশোধন বা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। বাজেটে মেগা প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেনের সাক্ষাৎ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত-ন্যায় বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) শেরেবাংলা নগরের এনবিআরে সফরকালে এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এসব পণ্য বন্দর থেকে ছাড়তে বলেছি।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের বিকাশে তাদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সালেহউদ্দিন বলেন, ‘তাদের কাজ হচ্ছে রাজস্ব আদায় করা, করদাতাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা না করে সর্বোচ্চ আদায় করতে হবে, তবে তাদের নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারে ফের রদবদল, পদ পুনর্বিন্যাস করলেও নেই চাকরির বিজ্ঞপ্তি
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, কর জিডিপি অনুপাত বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যা এই মুহূর্তে দুই অঙ্কের (ডাবল ডিজিট) নিচে।
তিনি বলেন, ‘সবসময় অন্যের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, চলতি অর্থবছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এনবিআর প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, 'আমরা নিশ্চিত করব যাতে কোনো ব্যত্যয় না হয় এবং সঠিক সময়ে রাজস্ব আদায় করা হবে। এজন্য আমাদের রাজস্ব কর্মকর্তারা কঠোর পরিশ্রম করবেন।’
এনবিআর দ্রুততম সময়ে তার যথাযথ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পূর্ণ আস্থা দেব।’
আরও পড়ুন: অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নে ১০ সদস্যের প্যানেল অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার
২ মাস আগে
জাপানের কাছে বাজেট সহায়তা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা, উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠকে জাপানের কাছে বাজেট সহায়তার অনুরোধ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আর্থিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার, প্রাথমিকভাবে প্রকল্প সহায়তা দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আমাদের কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের স্থান দিতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস
বৈঠক শেষে ড. সালেহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'এবার আমরা বাজেট সহায়তা চেয়েছি এবং জাপান এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।’
অর্থ উপদেষ্টা ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলায় জাপানি নাগরিকদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দু'দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
ড. সালেহউদ্দিন বাংলাদেশে জাপানের অর্থায়নে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্ভাব্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন। জাপানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি বাড়ানোর অনুরোধও জানান জানান তিনি।
উপদেষ্টার অনুরোধের জবাবে জাপানের রাষ্ট্রদূত নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে এর নেতৃত্বের সক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন সংস্থার সংস্কার বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে: ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
৩ মাস আগে