অর্থ উপদেষ্টা
ডিসি সম্মেলন: করের আওতায় আসছেন চিকিৎসক ও উপজেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা
জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম অঞ্চলে যেসব ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত আয় করেন কিন্তু ট্যাক্স দেন না; সেসব ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একইসাথে চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেন; সেটাও রশিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরকেও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়েছে, দিতে হবে ৫০০ কোটি টাকা: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন—সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হন, তাহলে জনগন যে সেবাটা পান সেটা কার্যকর হয়।
‘চিকিৎসক-আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন। এর কারণে কিন্তু তাদেরকে করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তো আপনারা নেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়; তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে কিন্তু এগুলো সব রেকর্ডেড।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এম্পলয়মেন্টটা বাড়াতে হবে। লোকাল লেভেলে এম্পলয়মেন্ট বাড়ানো সহজ। চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সাথে গভীর যোগাযোগ। চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের এই জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না।
আরও পড়ুন: আমরা একশ চাপের মধ্যে আছি, খুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ডিসিরাই উত্থাপন করেছে গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে। আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে-তো হবে না। এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান। সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি। মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ।
চিকিৎসকদের করের আওতায় কি উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের যেসব সহকারী বসে থাকেন, তারা টাকা নেন কিন্তু রিসিট দেওয়া হয় না৷ এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন৷ আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখি না তারা রিসিট দেন।
২৯ দিন আগে
আমরা একশ চাপের মধ্যে আছি, খুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি। ১০০টা চাপের মধ্যে আমরা ১০টা মানি।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি। চেষ্টা করছি, বলব না যে আমরা খুব ভালো করছি। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা খারাপ নেই, আমরা মোটামুটি ভালো আছি। অবশ্যই আমরা একটা কল্যাণমুখী, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র করার চেষ্টা করছি। তবে সেটা অনেক দুরে সেটা পলিটিক্যাল সরকার করবে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রবাসীরা ব্যবসা করতে চান না। ব্যবসা করা কঠিন। সবকিছুতো আমরা করে দেব না। সরকারের আয়-ব্যয়ে ব্যলেন্স করতে হয়। সেটা সবসময় যুক্তিসঙ্গত হবে—তা কিন্তু না! ট্যাক্সের ক্ষেত্রে আপনি দেবেন, লাভবান আপনি হবেন। আমরা চাই একেবারেই সাধারণ মানুষ যাতে লাভবান হয়। এখন শিক্ষকদের অনেক ডিমান্ড আছে, সেটা আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখব।’
তিনি বলেন, প্র‘তিদিন যে তারা রাস্তাঘাট আটকে রাখে; এটা সত্য যে আমরা অন্তর্বতী সরকার, রাজনৈতিক সরকারের মতো শক্তিশালী নই। এখন যদি মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, তখন দোকানদাররা দোষ দেওয়া শুরু করে। এটা সত্য যে, আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি। ১০০টা চাপের মধ্যে আমরা ১০টা মানি। এই যেমন রেলওয়ের ডিমান্ড ওভার টাইম দাও, দিলাম। এরপর বলে লিমিট উঠিয়ে দাও, সেটাও উঠিয়ে দিলাম। কয়েকদিন পর বলবে চাকরি থাকবে না, বেতন দাও? তখন আমি কী করব—সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের এখতিয়ার মানে রাজনৈতিক সার্পোট। আমরা কিন্তু ক্ষমতায় আসিনি, আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা যেটা করছি তার কিছু কিছু কারণ আছে, সবকিছু ভেবেচিন্তে করছি। এখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা আছে, এখানে রাজনৈতিক ব্যাপার আছে। তাহলে কীভাবে আমরা রাজস্ব ব্যয় কমাব?’
তিনি বলেন, ‘পেনশনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সর্বজনীন পেনশন দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখনে বিষয়টি হচ্ছে রিসোর্স ও অ্যাওয়ারনেস। আমরা চেষ্টা করছি আরও একটু যুগোপযোগী করার। আর যারা রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের জন্য প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা চেষ্টা করে যাচ্ছে— প্রবাসীরা ফিরে আসার পর যেন পেনশনের মতো প্রবাসী বন্ডের ব্যবস্থা করা যায় কিনা।’
আরও পড়ুন: পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়েছে, দিতে হবে ৫০০ কোটি টাকা: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসছে, সেখানে কিছু প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কেউ কেউ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়। আমরা ফরেন ট্রেড ওপেন করে দেব, সেখানে আবার সমস্যা হলো দুবাই বসে হুন্ডির মাধ্যমে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা তাদেরটা ঠিক রেখে পুরো মার্কেট সেটেলমেন্ট করব।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জনপ্রিয় অ্যাপ ট্যাপট্যাপ সেন্ড বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর ও মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ মনি।
মতবিনিময় সভা আয়োজনে সহযোগিতা করে ট্যাপটপ সেন্ড।
৩৭ দিন আগে
পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়েছে, দিতে হবে ৫০০ কোটি টাকা: অর্থ উপদেষ্টা
বছরের শুরুতে বিভিন্ন পণ্যের ভ্যাট বাড়ানোর কারণ হিসেবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা গুরুতর আহত তাদের ৩৫ লাখ টাকা করে কয়েকশ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। পুলিশের ৩০০ গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, সেখানে ৫০০ কোটি টাকা দিতে হবে। এইগুলো আমি কোথা থেকে পাবো? ভ্যাট হলে দ্রুত করা যায়, সেটা আমি করেছি।’
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন। এতে সভাপতিত্বে করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
বাজেটের মাধ্যমে ভ্যাট না বাড়িয়ে বছরের শুরুতে ভ্যাট বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাকে অনেকে টাকা দিতে হয়েছে। যেমন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা আহত তাদের ৩৫ লাখ টাকা করে কয়েকশ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়িয়েছে সেখানে ৫০০ কোটি টাকা দিতে হবে। এই টাকাগুলো আমি কোথা থেকে দেবো? ভ্যাট হলো দ্রুত করা যায়, সেটা আমি করেছি। তারপর অনেকগুলোতে কমিয়ে দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: রেলকর্মীদের যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমার রিসোর্স গ্যাপ অনেক বেশি। এজন্য আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি—এদের সহায়তা নিতে হয়েছে। আমাদের ঋণ শোধ করতে হয়, কোনোদিন ডিফল্টার হয়নি। আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তারা আমাদের সাহায্য করছে।’
‘আমরা খুড়ের ওপর দিয়ে হাঁটছি। চেষ্টা করছি, বলবো না যে আমরা খুব ভালো করছি। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা খারাপ নেই। আমরা মোটামুটি ভালো আছি। অবশ্যই আমরা একটা কল্যাণমুখী, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র করার চেষ্টা করছি। তবে সেটা অনেক দূরে সেটা পলিটিক্যাল সরকার করবে।’
আর এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংক থেকে অর্থ আনতে অর্থনীতির কতগুলো শর্ত মানতে হবে। আমরা কখনো শর্তে ফেইল করিনি। এই বিষয়ে তাদের সাথে অনেক আলোচনা হয়েছে। তারা বলেন ভ্যাট বাড়াও, ভ্যাট বাড়িয়ে নানা রকম বিপত্তি হয়েছে। এগুলো খুব সেনসিটিভ, এক দুই টাকা বাড়ানো মানে প্রবাসীদের জন্য না, আমাদের এখন আমদানিকারক আছে, নানা রকম অবলিগেশন আছে। যতো কিছু আমদানি করছে সেগুলোর দাম বেড়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের এখতিয়ার মানে রাজনৈতিক সার্পোট, আমরা কিন্তু ক্ষমতায় আসেনি, আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। আমরা যেটা করছি, কিছু কিছু কারণ আছে, সব কিছু ভেবেচিন্তে করছি। এখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা আছে, এখানে রাজনৈতিক ব্যাপার আছে। তাহলে কিভাবে আমরা রাজস্ব ব্যয় কমাব। এক্ষেত্রে আমি পজেটিভ।’
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রবাসীরা ব্যবসা করতে চায় না। তবে ব্যবসা করা কঠিন। সবকিছু তো আমরা করে দেব না। সরকারের আয়-ব্যয়ে ব্যালেন্স করতে হয়। সেটা সবসময় যুক্তিসঙ্গত হবে, তা কিন্তু না। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে আপনি দেবেন, লাভবান আপনি হবেন। আমরা চাই, একেবারেই সাধারণ মানুষ যাতে লাভবান হয়। এখন শিক্ষকদের অনেক ডিমান্ড আছে, সেটা আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখবো।’
‘প্রতিদিন যে তারা রাস্তাঘাট আটকে রাখে, এটা সত্য যে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক সরকারের মতো শক্তিশালী না। এখন যদি মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, তখন দোকানদাররা দোষ দেওয়া শুরু করে। এটা সত্য আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি। ১০০টা চাপের মধ্যে আমরা ১০টা মানি। এ যেমন রেলওয়ের ডিমান্ড, ওভার টাইম দাও, দিলাম। এরপর বলে লিমিট উঠিয়ে দাও, সেটাও উঠিয়ে দিলাম। কয়েক দিন পর বলবে চাকরি থাকবে না বেতন দাও? তখন আমি কি করবো? সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।’
ভ্যাট বাড়ানোর পর চপ্পলের দাম বেড়েছে সেটা নিয়ে কিছু মেয়েরা প্রতিবাদ করেছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভ্যাটের একটা .... থাকে, সেখানে সস্তা চপ্পলে যদি ভ্যাট থাকে, সেটা আমি রিভিউ করবো। যেমন, ২০০ টাকা দামের ওপরে বিস্কুটে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এইচএস কোড থাকে সেখানে অনেকগুলো পণ্য থাকে। সেখানে যদি চপ্পল থাকে তাহলে একটু সমস্যা।
তিনি বলেন, আমি যে এতো টাকা পয়সা আনছি, এডিবি ডিসেম্বর ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেবে, জুনে বিশ্বব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন দেবে এবং আইএমএফ মার্চে না হয় জুনে ২ বিলিয়ন ডলার দেবে। তাদের কতগুলো শর্ত আছে। যেমন ট্যাক্স, ভ্যাট বাড়ানোর। সেখানে আমি যৌক্তিকভাবে দেখলাম যে আয়কর বাড়ালে সংসদে যেতে হবে। আর যদি ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়াই, তাহলে একটি এসআরও দিয়ে আমি করতে পারবো। এখানে কিন্তু বেশি টাকা না। মাত্র ১২ হাজার কোটি টাকা। একে কিছু প্রভাব পড়েছে ঠিক।
আরও পড়ুন: মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: অর্থ উপদেষ্টা
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, ভ্যাট বাড়িয়েছি, সেটা নিয়ে বহু কথাবার্তা হচ্ছে। এখনো হচ্ছে। কিছু কিছু ভুল তো হয়। কিছু কিছু আড়ালে চলে যায়। তখন আপনারা বলেন, আমরা চেষ্টা করি, সেটা করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখবেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সব সময় পপুলার ডিমান্ডে করা যায় না। এটা আপনারা লক্ষ্য করেছেন। আমাকে এখন অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন সব ট্যাক্স কমিয়ে দেন, ভ্যাট কমিয়ে দেন। রাজস্ব বাড়ান। অনেকের দুংখ আমি রাগি। তারা বলেন এই অর্থ উপদেষ্টা আমরা এতোগুলো কথা বার্তা বললাম বাস্তবায়ন তো কিছু হচ্ছে না। বাস্তবায়ন যে হচ্ছে না, তা নয়।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জনপ্রিয় অ্যাপ ট্যাপট্যাপ সেন্ড বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর এবং মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ মনি।
তিনি জানান, সবসময় বিনামূল্যে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো যায়। ট্যাপট্যাপ সেন্ড অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপস্টোর থেকে ডাউনলোড করে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবে।
প্রথম ট্রান্সফারে EGALTUBE প্রোমোকোড ব্যবহার করলে যে-কেউ ২০£, ২০€ বা ২০$ সমপরিমাণ মুদ্রা ইন্সট্যান্ট বোনাস পাবে।
মতবিনিময় সভার আয়োজনে সহযোগিতা করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর মাধ্যম 'ট্যাপটপ সেন্ড'।
৩৭ দিন আগে
পুঁজিবাজারে অস্থিরতায় রেগুলেটরদের দুষলেন অর্থ উপদেষ্টা
দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতার জন্য বড় খেলোয়াড় ও রেগুলেটরদের দায়ী করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এজন্য বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। এর পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে। এ বিষয়টি প্রচার করা দরকার। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি।’
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ এর ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আর্থিক খাতের সঠিক তথ্য তুলে ধরাই ব্যাংকিং অ্যালমানাকের মূল উদ্দেশ্য। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক ও অন্যান্য খাতের পরিসংখ্যান নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে। এতে তথ্য-উপাত্তের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়। এছাড়া, যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা বা গবেষণার জন্য সঠিক তথ্য-উপাত্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে, তা-ই যেন প্রকাশ করা হয়। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।”
“আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারে অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই ‘চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর’ বলে মিছিল হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে অনড়; বলেছি, থাকো।”
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। এগুলোর ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই, কয়েকদিন পরই এগুলো ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে; আবার নীতিনির্ধারকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে।’
তথ্য বিভ্রাটের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটি দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
‘আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করে। তারা বোঝাতে চান, আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি- আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। যদি আরও সুসংহতভাবে তথ্য ম্যানেজমেন্ট (ব্যবস্থাপনা) করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই, কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।’
৮৭ দিন আগে
জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার আগামী জুনের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল পাওয়ার আশা করছে।
তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটনে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা আগামী জুনের মধ্যে তাদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার পাওয়ার আশা করছি ‘
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে আইএমএফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জয়েন্দু দে'র নেতৃত্বে আইএমএফের একটি মিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ার শর্ত পূরণের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে আইএমএফের তৃতীয় পর্যালোচনা মিশন আজ ঢাকায় পৌঁছেছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ওপেক তহবিলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সরকার আগামী জুনের মধ্যে কিছু প্রতিশ্রুতি আশা করছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা অদূর ভবিষ্যতে এডিবি এবং ওপেক তহবিল থেকেও অর্থায়ন আশা করছি। প্রতিশ্রুতি আসবে, কিন্তু এক বছরেও সহায়তা সরবরাহ আসবে না।’
উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, আইএমএফ মিশন তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে আরও আলোচনার জন্য আগামী বছরের মার্চ মাসে আবারও আসতে পারে।
চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার ১১১ কোটি ডলার ছাড় করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আইএমএফ মিশনের এই সফরে প্রাথমিকভাবে রাজস্ব খাত, রাজস্ব ঘাটতি, প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে।
আরও পড়ুন: কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যে কৌশলগুলো নিয়েছি এবং আগামীর জন্য যে পরিকল্পনাগুলো করেছি তাও তারা মূল্যায়ন করবে। ব্যাংকিং সংস্কার, খেলাপি ঋণ, আমানতকারীদের চাপসহ অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করবে আইএমএফ মিশন।’
ড. সালেহউদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, পুরোপুরি না হলেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখনই সময় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং বিদেশি দাতাদের অবদান রাখতে উৎসাহিত করার।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। কিছু ব্যাংকের তারল্য সহায়তার প্রয়োজন হলেও বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং অন্যান্য ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. সালেহউদ্দিন উল্লেখ করেন, বিধিনিষেধের কারণে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী থাকলেও আমদানি কম, বিশেষ করে উৎপাদনকারী উপকরণ।
তিনি বলেন, 'আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছি।’
আইএমএফ মিশন বাংলাদেশে আরও কয়েকদিন অবস্থান করবে বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি যে আমরা যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব তা দীর্ঘমেয়াদে দেশকে উপকৃত করবে।’ ভবিষ্যতের প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে- এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াকে এড়িয়ে যায় সরকার।
তিনি বলেন, ‘সমস্ত পদক্ষেপ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা হয় এবং ভালভাবে মূল্যায়ন করা হয়। আইএমএফ মিশনও আশ্বস্ত ‘
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আইএমএফ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনার পর বাড়তি অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, 'আমরা এখন চলমান ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করছি, পরে অতিরিক্ত তহবিল চাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করব।’
আরও পড়ুন: স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কারের মতো সরকারের সংস্কার উদ্যোগের জন্য বৈদেশিক অর্থায়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতি এবং চলতি হিসাবের ভারসাম্য মোকাবিলার ব্যবস্থা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
১০৫ দিন আগে
এসডিএফের শহীদ পরিবার ও আহত সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অর্থ উপদেষ্টার
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত এবং সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) উপকারভোগীদের স্বাবলম্বী করতে আর্থিক সহায়তা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় এসডিএফ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত এসডিএফের নিহতদের পরিবার ও আহত সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ও অনুদান দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এসডিএফ সদস্য পরিবারগুলোর আত্মত্যাগ ও অংশগ্রহণ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে ছাত্র ও গণঅভ্যুত্থানের সংহতিকে তুলে ধরে। এই আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভে এসডিএফের বিশ্বব্যাংক সমর্থিত রেজিলিয়েন্স, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট (আরইএলআই) প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী পরিবারের মোট ৭ জন শহীদ হন এবং ১৬ জন গুরুতর আহত হওয়া ছাড়াও ৩৩ জন আহত হন।
উপদেষ্টা সাত শহীদের পরিবারকে দুই লাখ করে টাকা, গুরুতর আহত ১৬ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে এবং আহত ৩৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন।
এই আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলোর অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবিকা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত।
এসডিএফ পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এসডিএফ পরিচালনা পর্ষদ ও গভর্নিং বডির সদস্য, সাংবাদিক এবং শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত, অলাভজনক সংস্থা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) ২০০১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এর লক্ষ্য জীবনযাত্রার উন্নতি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখার দিকে মনোনিবেশ করা।
আরও পড়ুন: ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
১২৬ দিন আগে
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বর্তমান বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন ড. সালেহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব আয় ও পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
তিনি বলেন, 'পুঁজিবাজারের বিদ্যমান ও অতীত সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগে নিরাপদ বোধ করেন। টেকসই ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনাই আমাদের হাতে রয়েছে।’
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে তারল্য সংকট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু নীতিগত উদ্বেগ অর্থ উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় এসব জরুরি সমস্যা সমাধানে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’
বাজারকে স্থিতিশীল করা এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে এ বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটি, তারল্য সহায়তা, কর সংস্কার, বাইব্যাক নীতি এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো উঠে এসেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় পুঁজিবাজারের অনিয়ম তদন্তকারী কমিটিগুলোর সঙ্গেও পরামর্শ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সোম-মঙ্গল-বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
১৩৯ দিন আগে
ঋণ দেওয়ার সময় কঠোর যাচাই-বাছাই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
অতীতের ভুল এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঋণ দেওয়ার আগে ঋণের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করতে ব্যাংক মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'অতীতের মতো যাতে কোনো বিচ্যুতি না হয়, সেজন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে যথাযথ যাচাই-বাছাই করে ঋণ অনুমোদনের জন্য আমি তাদের (বিএবি) অনুরোধ করেছি।’
আরও পড়ুন: ৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত রাখতে এনবিআরের নির্দেশ
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ঋণদানে ব্যাংকগুলোর অগ্রাধিকার দিতে হবে, বিশেষ করে আবাসন, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য, যারা প্রায়ই ঋণ প্রাপ্তিতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
ব্যাংকিং কার্যক্রমে শুদ্ধাচার বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বিএবি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আপনাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন।’
সাক্ষাৎকালে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বিএবি প্রতিনিধিদল ব্যাংকিং খাতের চলমান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন। ড. সালেহউদ্দিন স্বীকার করেন, এই খাতটি বর্তমানে ঋণ বিতরণ সমস্যা এবং তারল্য সংকটে ভুগছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’
ভবিষ্যতে ব্যাংকিং খাতের যেকোনো সংস্কার উদ্যোগে তাদের মতামত বিবেচনার অনুরোধ জানান বিএবি নেতারা। জবাবে ড. সালেহউদ্দিন নীতি সংস্কারে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সরকারের ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, 'আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা করব।’
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
১৬৬ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও অর্থ পাচার রোধে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চায় বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ব্যাংকিং খাত সংস্কার, মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ ও কর সংস্কারসহ উদ্বেগের মূল ক্ষেত্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কারিগরি সহায়তা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'আমরা ব্যাংকিং খাত সংস্কার, অর্থপাচার মোকাবিলা ও কর সংস্কার বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা চেয়েছি।’
দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং অতিরিক্ত তহবিলের বিধানসহ সম্ভাব্য সংস্কার অনুসন্ধানের জন্য এক সপ্তাহব্যাপী সফরে এসেছে আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি।
এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোতে সমর্থন করার জন্য বাহ্যিক সংস্থানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের স্থানীয় সম্পদ যতটা সম্ভব ব্যবহার করব, তবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য আমাদের বিদেশি সহায়তার প্রয়োজন হবে।’
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এই সফরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জোরদার এবং সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সাপোর্টের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কার নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, 'যেসব ক্ষেত্রগুলোতে আইএমএফের সহায়তা সবচেয়ে বেশি লাভজনক হতে পারে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
অর্থ উপদেষ্টা আইএমএফ প্রতিনিধিদলকে জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে তা পুরোপুরি বাস্তবায়নে সময়ের প্রয়োজন হবে।
অক্টোবরে বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে আরও আলোচনায় জড়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেসব আলোচনায় সহায়তা ও নীতি নির্দেশনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঋণদাতা সংস্থার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া হবে।
এছাড়াও আইএমএফের প্রতিনিধি দল উচ্চ ভর্তুকি ব্যয়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ ও সরকারি ব্যয়ে সম্ভাব্য কর্তনের খাতগুলোসহ দেশের আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনা করবে।
চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের পাশাপাশি বাজেট সহায়তার জন্য সরকার এরইমধ্যে আইএমএফের কাছে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে।
১৭৫ দিন আগে
চলতি বছরের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বছর শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ের অর্থ বিভাগে বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথিউ এ ভার্গিসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
ড. সালেহউদ্দিন দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিশ্বব্যাংকের দ্রুত আর্থিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, 'যেহেতু বিশ্বব্যাংক আমাদের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার, তাই আমাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা আকারে বিশেষ সহায়তা আশা করছি।’
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এসব সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: প্রাইভেট বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার চাকরির বাজারের জন্য উদ্বেগপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক অর্থনীতিবিদ
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত কীভাবে সংস্কার করা যায় তা নিয়ে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।’
বাংলাদেশ নতুন করে ২ বিলিয়ন ডলার তহবিল চেয়েছে, এমন খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন টাকার পরিমাণ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করে বলেন, অর্থের পরিমাণ পরে চূড়ান্ত করা হবে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বিশ্বব্যাংক সম্ভবত ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে পারে, যার মধ্যে নীতিগত সংস্কারের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনাদায়ী ঋণ আদায়ের জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা।
২. ঋণের প্রকৃত উপকারভোগীদের চিহ্নিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন।
৩. ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ফরেনসিক অডিটের সুযোগ নির্ধারণ করা।
৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করা।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংস্কারের প্রয়োজনে এই অর্থ সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বলে জানিয়েছে এক সূত্র।
সংস্কারগুলো যাতে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য হয় তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, 'সংস্কারগুলো বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। না হলে কার্যকর করা সম্ভব হবে না এবং দাতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পাওয়া যাবে না।’
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বৈঠকে দেশের আর্থিক অবকাঠামো সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলে এই প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
১৮২ দিন আগে