বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ফেনীতে ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগে যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান প্রকাশ ওরফে বোমা কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে কাজীরবাগ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী ইমরান গ্রেপ্তার
কামরুল কাজীরবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
যৌথবাহিনী সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কামরুলের সশস্ত্র হামলার একটি সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তাকে মুখে কাপড় বেঁধে থাকতে দেখা যায়।
২ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী কাউসারের মৃত্যু
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ারশেল ও ছাত্রলীগের হামলায় আহত কাউসার মাহমুদ মারা গেছেন।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তারা।
মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে নিহত কাউসারের বাবা আব্দুল মোতালেব বলেন, সোমবার সকালে জাতীয় শহীদ মিনারে কাউসারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে কমার্স কলেজ রোডের বাসায় নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ারশেলের আঘাতে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাউসার। তখন তার ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে কিডনিতে আঘাত পান তিনি। আগে থেকে একটি কিডনি নষ্ট ছিল কাউসারের।
দীর্ঘ ২ মাসেরও বেশি সময় চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাউসার।
কাউসার বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিবিএ ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। আব্দুল মোতালেব নগরীর ডবলমুরিং থানার চট্টগ্রাম কর্মাস কলেজ রোডে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। মোগলটুলীতে মুদির দোকান রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: মৃত মাকে দেখতে যাওয়ার পথে মৃত্যু হলো মেয়ে-ননদের
২ মাস আগে
আবু সাঈদ হত্যা: অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে শুনানি শেষে বিচারক আসাদুজ্জামান তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- এএসআই মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান রোকন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় মামলা হয়। এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এবং গত ৩ আগস্ট এই দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়। পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আগে তারা পুলিশ লাইন্সে কড়া নজরদারিতে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক আইজিপিসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৩০-৩৫ জন
আবু সাঈদ হত্যা মামলা পিবিআইতে
৩ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহত শিক্ষার্থী ও জনতার তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুতের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের একমাস পূর্তিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গৃহীত ব্যবস্থাদি ও স্বল্পমেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী-জনতার জন্য তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে যাচাই করে চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
এছাড়াও আগামী মাসে মৃতের সংখ্যা ও তাদের পরিবার নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেন শারমীন এস মুরশিদ।
উপদেষ্টা আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও সম্ভাবনাময় তারুণ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে নিবেদিত ফিজিওথেরাপি সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয় এবং উপজেলা রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ১ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী-জনতাকে মোট ৭৫ লাখ ৩ হাজার ৬২০ টাকার সেবা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১ হাজার জনকে মানসিক সেবা দেওয়া হয়েছে।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, গুরুতর আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই ইন্টার্নশিপ নীতিমালা ২০২৩-এর আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন অনুবিভাগ/অধিশাখা/শাখা এবং অধীনস্থ দপ্তরে চার মাস মেয়াদে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
তিনি আরও বলেন, বিগত আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-জনতার মধ্যে বিনামূল্যে হইল চেয়ার ও হিয়ারিং এইড দেওয়া হবে। আহত শিক্ষার্থী-জনতার মধ্যে যারা নড়াচড়া কম করতে পারে, তাদের জন্য মোবাইল ভ্যান দিয়ে বাড়ির দোরগোড়ায় সেবা দেওয়া হবে।
এছাড়া জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের ৬৪ জেলায় বিশিষ্ট সমাজকর্মী হিসেবে তারুণ্যের প্রতিনিধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিগগিরই তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় ও তারুণ্যকে দেশের সেবায় কাজে লাগাতে অ্যাকশন রিসার্চ করা হবে। পরে সবার সামনে এর ফলাফল জানানো হবে।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান শারমীন এস মুরশিদ।
৩ মাস আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত বনানী থানা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা মোবারক হোসেনের খোঁজ নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে কুর্মিটোলা হাসপাতালে আহত এই শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর নিতে যান ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সাবেক পিএস অপু জামিনে মুক্ত
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক মিনার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক রুবেল পারভেজ এবং মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা আসাদুল ইসলাম আসাদ।
গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িল বিশ্বরোডে সামনে থেকে করা গুলিতে আহত হন ছাত্রদল নেতা মোবারক হোসেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-আন্দোলনকারীদের তারেক রহমানের অভিনন্দন
৩ মাস আগে
সিকৃবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সিকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
‘ফ্যাসিস্ট ও স্বার্থান্বেষী’ আখ্যা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সিকৃবির শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী কমিটিকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা দেন।
সিকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ফেসবুক ওয়ালে এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: সিকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ী আওয়ামীপন্থী প্যানেল
গত ৪ আগস্ট সিকৃবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হলেও, শিক্ষার্থীরা তখন থেকেই দাবি করতে থাকেন, এটি স্বঘোষিত কমিটি। যার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে সিকৃবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দাবি করা কৃষি অনুষদের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হক বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আসলে বোঝা উচিত তারা কাদের কথায় বা প্ররোচনায় এমন করছেন। সারাদেশের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও যারা আওয়ামী স্বৈরাচারী ছিলেন, তারাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এর পেছনে জড়িত। এসব স্বৈরাচারীরা আবারও আমাদের আগের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞাকে চাচ্ছেন। যেন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য আবারও চালু হয়। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাব, তারা যাই করুক যেন বুঝেশুনে করে। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে যেন কিছু না করে।’
এই কমিটিতে থাকা ভেটেরিনারি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘সরকার পতনের কয়েকদিন আগে সিকৃবির একটি গ্রুপে সমন্বয়ক চেয়ে লিংক দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে আমি নাম দিই। আন্দোলন শেষ হওয়ার পর সমন্বয়কদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। আমার বন্ধুরা জানায়, এই তালিকার কয়েকজন বিভিন্ন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাই গত ৭ আগস্ট আমি পদত্যাগ করি।’
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রাণীদের প্রতি সদয় হতে সিকৃবি উপাচার্যের আহ্বান
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বায়োটেকনোলজি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাসনিম সাকিব বলেন, ‘সমন্বয়কদের নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আলাদা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছেন। যেখানে তাদের আসল কাজই হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সমন্বয় করা। আর তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে যেটি করার চেষ্টা করছেন, সেই কাজটিই এক ধরনের বৈষম্য। যা এই সম্পূর্ণ আন্দোলনের আদর্শের পরিপন্থী।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশ্ন আর ধোঁয়াশা রেখে কোনো গোষ্ঠী যদি নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করে তাদের মতামতকে সর্বেসর্বা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে তাদের সচেতন শিক্ষার্থীরা বর্জন করবেই এবং হচ্ছেও তাই।’
কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ অয়ন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একটি স্বঘোষিত সমন্বয়ক কমিটি দেখা গেলেও আন্দোলনের সময় কোনো সমন্বয়কের কার্যক্রম লক্ষ করা যায়নি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান কার্যক্রমকে ব্যক্তিস্বার্থ, নিজস্ব রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও উদ্দেশ্যমূলক মনে করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ স্বার্থান্বেষী সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: ভিসির দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে আন্দোলনে সিকৃবির শিক্ষকরা
৪ মাস আগে