শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
‘শ্রম শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টিতে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে’
শ্রম শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টিতে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, মালিক কিংবা শ্রমিক যেই জড়িত থাকুক, তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বিজিএমইএ প্রশাসক, গার্মেন্টস মালিক পক্ষ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে এক সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়াই করুন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
উপদেষ্টা বলেন, কল কারখানা ও শ্রম শিল্পে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে সরকার বদ্ধ পরিকর। অস্থিরতার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
শ্রমঘন এলাকায় অস্থিরতা নিরসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, টুরিস্ট পুলিশ ও অনান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে কাজ করছে বলেও এসময় জানান তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে। এছাড়া শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে প্রয়োজনে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
শ্রমিক ভাইদের রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে ড. সাখাওয়াত বলেন, আমরা আপনাদের কষ্ট অনুভব করছি। আপনাদের ন্যায্য পাওনা আপনারা অবশ্যই পাবেন। আপনারা আমাদের ওপর ভরসা রাখুন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ভাই-বোনদের বকেয়া পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আপনাদের কারখানা চলে এবং দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সব কারখানায় সরকার-ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশকে সচল রাখতে হবে। রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার সুযোগ নেই।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করা ও তা নিরসনের লক্ষ্যে ক্লাস্টার ভিত্তিতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া ও সাভারসহ কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ক্লাস্টার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি মালিক পক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে এবং বেতন ভাতা পরিশোধ হয়েছে কিনা, শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করে সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরিতে বহিরাগতদের উসকানি আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
এছাড়া দেশের স্বার্থে শ্রমিকদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন আনাদায়কৃত বার্ডস গ্রুপকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেট থেকে সুদমুক্ত ১৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: এসডিএফের শহীদ পরিবার ও আহত সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অর্থ উপদেষ্টার
১ মাস আগে
১ অক্টোবর থেকে শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্যের পণ্য দেবে সরকার
সরকার আগামী মাস থেকে ৪০ লাখ শ্রমিককে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য দেবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে গ্রামীণফোনের চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১ অক্টোবর থেকে শ্রমঘন এলাকায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। শ্রমিকরা ন্যায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন।’
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের যে ব্যবস্থাগুলো আছে সেগুলো যদি আমরা সচল করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের ১৮টি দফা দাবিগুলো মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শ্রম-সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন: শ্রম উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠিত হলেও অধিকাংশ শ্রমিকই জানেন না যে তাদের জন্য এমন একটি ফান্ড রয়েছে। কীভাবে আবেদন করতে হবে হয়তো সেই প্রক্রিয়াটাও জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, 'এই ফান্ড ব্যবস্থাপনা নিয়ে অস্বচ্ছতা এবং অনেক প্রশ্ন ছিল। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের অর্থ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
উপদেষ্টা আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ২৮৫ জন শ্রমিককে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন তহবিলে জমা আছে এক হাজার ২৬ কোটি টাকা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, 'এটা শ্রমিকদেরই অর্থ। কোম্পানিগুলো এখানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা আমাদের কাছে আমানত হিসেবে রাখে। আমরা সেটা সঠিকভাবে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এই তথ্যগুলো যে কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করে তারাও যাতে দেখতে পারেন। একই সঙ্গে শ্রমিকরা আবেদন করলে যাতে তারা ফলোআপটা রাখতে পারেন তার আবেদনটা কোন অবস্থায় আছে, সেজন্য এটাকে আমরা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমরা এটার বিতরণ করব।'
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, যে কোম্পানিগুলো এ তহবিলে অংশগ্রহণ করছেন না, তাদের কীভাবে এর আওতাভুক্ত করা যায় আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব।
যেখানে শ্রমিকরা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শ্রম কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।
দু-একটি জায়গায় এখনো শ্রমিক অসন্তোষ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।
শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, 'শ্রমিকদের ১৮ দফার মধ্যে একটি বিশেষ দফা ছিল তাদের রেশনের বিষয়। সেটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আগামী ১ তারিখ (অক্টোবর) আশুলিয়ায় টিসিবির পণ্য শ্রমিকদের বিতরণের জন্য উদ্বোধন করব। টিসিবির আওতায় এক কোটি পরিবারের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে শ্রমঘন এলাকায় আমরা বাড়াব। ৪০ লাখ শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে: সচিব
২ মাস আগে
মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যক্রম যেন থেমে না থাকে নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘যার যে দায়িত্ব সেই বিভাগ কিংবা ডিপার্টমেন্টকে সক্রিয় করুন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আমাদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কার্যক্রম যেন স্থবির অবস্থার মধ্যে না থাকে সেটা আগে নিশ্চিত করুন। আশা করি বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে আমরা দেশের মানুষ ও দেশের জন্য ভালো কিছু উদ্যোগ নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: বাজারে চাপ কমাতে যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
রবিবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মানুষ ও দেশের জন্য ভালো উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই। অনেক কিছুই স্থবির হয়ে আছে। সবকিছু আবার সক্রিয় করতে হবে।’
এসময় মন্ত্রণালয়ের ভিশন, মিশন ও কার্যাবলি উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। এছাড়াও, চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে বাংলাদেশে নির্মিত হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৭ দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হবে: উপদেষ্টা ফাওজুল
৪ মাস আগে