ইন্টার মিলান
দাপট দেখিয়েও ইন্টারের মাঠে হারল আর্সেনাল
পুরো ম্যাচজুড়ে স্বাগতিকদের ওপর ছড়িয়ে ঘোরাল আর্সেনাল, কিন্তু কাক্ষিত গোল দেখা দিল না একবারও। অপরদিকে, একটি পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে নির্ভুল শটে গোল করে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ল ইন্টার মিলান। ইন্টার-আর্সেনাল ম্যাচটির সারাংশ এটুকুই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডে ঘরের মাঠ থেকে মিকেল আর্তেতার দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
বিরতির আগে যোগ করা সময়ে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে হাতে বল লাগে আর্সেনাল মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোর। এরপর নিখুঁত স্পট কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে দলকে জয় এনে দেন ইন্টার মিলানের তুর্কি মিডফিল্ডার হাকান চালানোলু।
এদিন ৬৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখে গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নেয় আর্সেনাল, যার চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। কিন্তু ইন্টারের রক্ষণ দেওয়াল, ভালো শট ও ফিনিশিংয়ের অভাবে বারবার হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
অপরদিকে, ৭টি শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ইন্টার, যা থেকে গোল আদায় করে নেয় সিমোনের দল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
এই ম্যাচের আগে প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ১-০ গোলে হেরে বসে আর্সেনাল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একই ব্যবধানে হেরে গেল তারা।
ইউরোপের শীর্ষ এ প্রতিযোগিতায় ড্রয়ের মাধ্যমে চলতি আসর শুরু করলেও পরের দুটি ম্যাচ জিতে ভালোই এগোচ্ছিল মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। তবে প্রিমিয়ার লিগের মতো এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পিছিয়ে পড়ল তারা।
চার ম্যাচে দুই জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বাদশ স্থানে রইল আর্সেনাল।
অন্যদিকে, আর্সেনালের মতোই শুরুতে ড্র এবং পরের দুটি ম্যাচ জিতে আজ মাঠে নেমে তৃতীয় জয় তুলে নিল ইন্টার। ফলে এখনও অপরাজিত থেকে ১০ পয়েন্ট নিয় টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
দিনের অপর ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। এছাড়া, স্পার্তা প্রাহাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইন্টারের সমান ১০ পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ স্থানে ব্রেস্ত, বোলোনিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় মোনাকো এবং ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়েই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পোর্তিং। আর চার ম্যাচের সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল।
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
১ সপ্তাহ আগে
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে শুরুতেই সিটির হোঁচট
ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বলের দখল রেখে প্রতিপক্ষের ডি বক্সের সামনে ভীতি ছড়াল ম্যানচেস্টার সিটি, কিন্তু জমাট রক্ষণে শেষ পর্যন্ত তাদের আটকেই রাখল ইন্টার মিলান। ফলে নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই ঘরের মাঠে পয়েন্ট খুইয়ে যাত্রা শুরু করল পেপ গার্দিওলার দল।
চ্যাম্পিন্স লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ২০২২-২৩ মৌসুমের ফাইনালিস্ট ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সেবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।
গোলের উদ্দেশে মোট ২২ শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখলেও তা থেকে একবারও জালের দেখা পায়নি সিটির খেলোয়াড়রা। অপরদিকে, ইতালি চ্যাম্পিয়নরা মোট শট নে ১৩টি, এর মধ্যে মাত্র তিনবার তারা সিটি গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে লড়াই করেও হারল স্টুটগার্ট
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ধীরগতিতে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করতে থাকে সিটি। অন্যদিকে, ধৈর্য্য ধরে সিটি যাতে হঠাৎ আক্রমণে না উঠতে পারে, সে বিষয়ে সজাগ থেকে রক্ষণে মনোযোগ দেয় ইন্টার। তবে বল পেলেই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠ মিনিটে আক্রমণে উঠে প্রথম গোল শেট নেন ইন্টারের মার্কাস থুরাম। দুই মিনিট পর শট নেন সিটির আর্লিং হালান্ড। তবে দুটি শটটি ঠেকিয়ে দেন দুই গোলরক্ষক।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দল। তবে ১৯তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণে উঠে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করে সিটি। ইন্টারের বক্সের সামনে বল নাড়াচাড়া করতে করতে বক্সের মধ্যে ক্রস বাড়ান সিটির তরুণ ব্রাজিলীয় উইঙ্গার স্যাভিনিয়ো, হেডারে তা থেকে গোল পাওয়ার চেষ্টাও করেন হালান্ড। তবে শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে উঠে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইন্টার মিলানের সুইস গোলরক্ষক ইয়ান জমার।
২৪তম মিনিটে বক্সের মধ্যে ডি ব্রুইনের বাড়ানো উড়ন্ত ক্রস ধরে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন স্যাভিনিয়ো, তবে তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এ সময় ইন্টার পূর্ণ রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করলে তাদের ডি বক্সের সামনে বল নিয়ে বারবার সুযোগ খুঁজতে থাকে সিটি। তবে সিমিওনে ইনজাগির শিষ্যদের তিন স্তরের রাক্ষণ ভেদ করে কোনোভাবেই তেমন কোনো বিপদ তৈরি করতে পারছিলেন না ডি ব্রুইনে-হালান্ডরা।
এরইমাঝে ম্যাচের আধঘণ্টা পার হলে পাল্টা আক্রমণে উঠে দুবার সিটির জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করে মিলানের নীল দলটি। তবে দুবারই তাদের শট প্রতিহত করেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসন।
আরও পড়ুন: শুরুতে এগিয়ে গিয়েও লিভারপুলে বিধ্বস্ত এসি মিলান
৩৫তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণে গিয়ে ইন্টারের রক্ষণ কিছুটা এলোমেলো করে দিয়ে শেষে শট নেন হালান্ড। তবে তার শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩৭তম মিনিটে বক্সের মধ্যে জটলার ভেতর থেকে গোল খোঁজে সিটি, তবে এবারও ইন্টারের রক্ষণে তাদের আক্রমণে প্রতিহত হয়।
প্রথমার্ধের শেষ দশ মিনিটে খেলায় কিছুটা গতি বাড়ায় সিটি, কিন্তু কোনোভাবেই ইন্টারের জমাট রক্ষণ ভেদ করতে না পেরে স্কোরলাইন ০-০ রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
১ মাস আগে
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন সুইস গোলরক্ষক জমের
দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ার শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ইয়ান জমের। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে খেলায় মনোযোগ দিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) জমেরের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সুইস ফুটবল ফেডারেশন।
এছাড়া ইনস্টাগ্রামে নিজের অবসরের কথা জানিয়ে জমের লেখেন, ‘সচেতনভাবে ভাবনা-চিন্তা করে সুইজারল্যান্ডের জাতীয় দল থেকে আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘প্রতিবেশি দেশ জার্মানিতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ইউরোয় আমাদের আরও একবার ফাইনালসে খেলার গৌরব অর্জনের পর এখন বিদায় বলার সময় এসেছে।’
আরও পড়ুন: বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন গুন্ডোগান
২০১২ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় জমেরের। এরপর দেশের হয়ে ৯৪ ম্যাচে গোলপোস্ট সামলেছেন তিনি।
সদ্য শেষ হওয়া ইউরো আসরেও সুইস গোলপোস্টের নিচে অন্তন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে রানার্স-আপ ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরোযাত্রা থামে সুইসদের। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে হারে তারা।
এছাড়া ২০১৬ ও ২০২০ সালের ইউরো আসর এবং ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপেও খেলেন তিনি।
জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনকালে ২০২০ ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিলিয়ান এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হন তিনি। ম্যাচটি ৩-৩ সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় জমেরের সুইজারল্যান্ড।
কয়েক মৌসুম বায়ার্ন মিউনিখে মানুয়েল নয়ারের বিকল্প হিসেবে থাকার পর গত মৌসুমে ইন্টার মিলানের প্রধান গোলরক্ষক হিসেবে যোগ দেন জমের। ওই মৌসুমে ইন্টারকে সেরি-আ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।
এছাড়া বায়ার্নে থাকাকালে একটি এবং সুইস লিগে এফসি বাসেলের হয়ে চারটি লিগ শিরোপা জিতেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন: আবেগী পোস্টে ফুটবলকে বিদায় জানালেন ক্রুস
জমের অবসের যাওয়ায় সুইজারল্যান্ডের গোলপোস্টের নিচে এখন নিয়মিত দেখা যেতে পারে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেলকে। জমের থাকায় জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
উয়েফা নেশন্স লিগে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ডেনমার্কের বিপক্ষে মাঠে নামবে সুইজারল্যান্ড। এর তিন দিন পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে খেলবে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যরা।
২ মাস আগে