ইন্টার মিলান
ইন্টারকে বিধ্বস্ত করে অবশেষে ইউরোপ সেরার মুকুট পরল পিএসজি
কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে একের পর এক মহাতারকা দলে ভিড়িয়ে কত চেষ্টাই না করে এসেছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু কেউই ক্লাবটির স্বপ্নপূরণের সারথী হতে পারেননি। তবে অবশেষে হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার মতো এক জাদুকরী কোচের অধীনে অধরা ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ হলো পিএসজির।
শনিবার রাত জেগে যারা খেলা দেখেছেন, তার নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, কী বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, অবশেষে ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫৫ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে প্যারিসের দলটি।
আনহেল দি মারিয়া, এদিনসন কাভানি, নেইমার, এমবাপ্পে, মেসি—কেউই দলটিকে যা এনে দিতে পারেননি, তারুণ্যনির্ভর এক দল গড়ে অসাধারণ কৌশল আর দলীয় পারফরম্যান্সে সেই বাজিমাত করলেন কোচ লুইস এনরিকে। আর এমনভাবেই জিতেছেন, যা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
শনিবার (৩১ মে) রাতে মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে সিমিওনে ইনজাগির ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে এনরিকের পিএসজি।
এত বড় ব্যবধানের জয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কেউ কখনও পায়নি। এর আগে চার গোলের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল জেতার রেকর্ড আছে চারটি। ১৯৬০ সালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ ৭-৩ গোলে, ১৯৭৪ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখ ৪-০ গোলে, ১৯৮৯ সালে এফসিএসবির বিপক্ষে এসি মিলান ৪-০ গোলে এবং ১৯৯৪ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে আবারও এসি মিলান ৪-০ গোলে জিতেছিল। তবে সেসব টপকে রেকর্ডটি এবার নিজেদের করে নিয়েছে পিএসজি।
বেশ কিছুটা নিষ্প্রভ ইন্টার মিলানকে এদিন ম্যাচের শুরুর ২০ মিনিটেই দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৬৩, ৭৩ ও ৮৬তম মিনিটে বাকি তিনটি গোল হলে উৎসবে মাতে প্যারিস আর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দলটির সমর্থকরা।
স্বপ্নের ফাইনাল জয়ের রাতে গোল না পেলেও দুটি অ্যাসিস্ট করেছেন চলতি মৌসুমে পিএসজির জার্সিতে আলো ছড়ানো উসমান দেম্বেলে। আর দুই গোল ও একটি অ্যাসিস্টসহ মোট তিনটি গোলে অবদান রেখে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়েছেন প্যারিসের দলটির ১৯ বছর বয়সী উইঙ্গার দেজিরে দুয়ে। এ ছাড়াও আশরাফ হাকিমি, কিভিচা কেভারাস্টখেলিয়া ও শেষ দিকে নামা আরেক তরুণ সেনি মায়ুলু করেছেন একটি করে গোল।
১৮৭ দিন আগে
আবারও হেরে আর্সেনালের বিদায়, ইন্টার-পিএসজি ফাইনাল
ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। এই ম্যাচে তাই শুধু জিতলেই হতো না, অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। তবে জেতা তো দূর, উল্টো আরও একবার হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গানারদের। আর দুই লেগের সেমিফাইনালের দুটিই জিতে ফাইনালে উঠেছে পিএসজি।
বুধবার রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। এর ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১ এ।
প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করা উসমান দেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে এদিন একাদশ সাজান পিএসজি বস লুইস এনরিকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনেও স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে আর্সেনাল। কিন্তু ২৭তম মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯তম মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল দলটি, তবে ভিতিনিয়ার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ধরে রাখেন আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। এর তিন মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়ান আচরাফ হাকিমি।
৭৬তম মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে একটি গোল পরিশোধ করেন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা। তার কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এরপর আর কোনোপাশেই গোল হয়নি।
আরও পড়ুন: সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
ফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা। এর মাধ্যমে পাঁচ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল লে পারিসিয়েনরা। ২০২০ সালে ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে পিএসজি। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে হৃদয় ভাঙে তাদের।
পিএসজির এবারের প্রতিপক্ষ আগের রাতে বার্সেলোনাকে বিদায় করা ইন্টার মিলান। এবারের আসরের ফাইনালের ভেন্যু আবার আলিয়ান্স আরেনা। বায়ার্নের মাঠ থেকে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে পিএসজি তাদের দুঃখ ঘোচাতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে।
আগামী ৩১ মে ইউরোপ-সেরার এই লড়াইয়ের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গতবারের ইতালি ও ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নরা।
২১১ দিন আগে
সাত গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার
এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। অবিশ্বাস্য লড়াই, নাটকীয় পালাবদল আর চরম এক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিল ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনা। দিনশেষে এক দল জয়োল্লাস করে ফাইনালে উঠলেও অন্য দলও তাই মাঠ ছেড়েছে মাথা উঁচু করেই।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে সিমোনে ইনজাগির দল।
এদিন আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ইন্টারের শক্তিধর খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রগতির ফুটবল আর বার্সেলোনার মেধাবী তরুণদের পায়ের কারিকুরিতে পুরো ম্যাচজুড়েই ফুটবলের সত্যিকারের নির্যাস উপভোগ করার সুযোগ হয় দর্শকদের।
তবে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-৩ গোলে ড্র করে আসা ইন্টার নিজেদের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ২১তম মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস এবং বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে পেনাল্টি থেকে হাকান চালানোলু দ্বিতীয় গোল করলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেই ড্রেসিংরুমে যায় স্বাগতিকরা।
তবে বিরতির পর পরপর দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সেলোনা। ৫৪তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার চকিতে করা গোল এবং তার ছয় মিনিট পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দানি অলমো।
এরপর ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনাকে একটি পেনাল্টি দিয়েও রিভিউ করে তা বাতিল করে দেন রেফারি। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে তৃতীয় গোলটি করে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়ার ওই গোলে বার্সেলোনা যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তার মধ্যেই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রান্সেসকো আচেরবির গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধেই ৯৯তম মিনিটে আরও একটি গোল করে স্বাগতিকদের ফের লিড এনে দেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি। এরপর থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত দলটির ওপর আক্রমণের বুলডুজার চালায় বার্সেলোনা। বেশ কয়েকটি অসাধারণ সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তার কয়েকটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে ও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং অসাধারণ নৈপুণ্যে আরও কয়েকটি ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান জমার। ফলে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।
এর ফলে ছয় বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেও বিদায় নিতে হলো কাতালান জায়ান্টদের। এর সঙ্গে দলটির কোয়াড্রাপল জয়ের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল।
বুধবার অপর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে নামবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল। ফলে ফাইনালের টিকিট কাটতে প্রতিপক্ষের মাঠে বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির।
২১২ দিন আগে
বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
ইন্টারের ডেরা থেকে জয় নিয়ে যাওয়া যে ভীষণ কঠিন, তা জেনেও অদম্য উদ্যোমে সেই অসাধ্য সাধন করতে চেয়েছিলেন হ্যারি কেইন-থমাস মুলাররা। তবে শত চেষ্টা করেও সাফল্যের দেখা পাননি তারা। এগিয়ে যাওয়ার পর উল্টো পিছিয়ে পড়ে পরে ম্যাচ ড্র করলেও সামগ্রিক ফলাফলে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে বাভারিয়ানদের।
বুধবার রাতে ইতালির সান সিরো স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
তবে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বায়ার্নের ২-১ গোলের হারই দুই লেগের এই লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আর ৪-৩ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠে গেছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
এদিন প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে পরিষ্কার এগিয়ে থাকলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় বায়ার্ন। ইন্টার মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রাখলেও তা থেকে সফলতা পায়নি। ফলে স্কোরবোর্ড অপরিবর্তিত রেখেই বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতি থেকে ফিরেই গোল করে দলকে অগ্রগামিতায় সমতায় ফেরান কেইন। তবে ৫২ মিনিটে করা ওই গোলের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় ছয় মিনিট পরই। ম্যাচের ৫৮ ও ৬১তম মিনিটে যথাক্রমে লাউতারো মার্তিনেস ও বায়ার্ন ছেড়ে গত গ্রীষ্মে ইন্টারে যোগ দেওয়া বেনিয়ামিন পাভার্দ বল জালে পাঠালে চকিতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে জার্মানরা।
ইন্টারের জার্সিতে এদিন প্রথম গোলের দেখা পান পাভার্দ, আর সেটিও তার পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে। আর টানা পাঁচ ম্যাচ জালের দেখা পেয়ে ইন্টার খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়ে ফেলেন লাউতারো। ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম কোনো খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়ল।
৭৬তম মিনিটে অবশ্য এরিক ডায়ার গোল পেলে ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বায়ার্ন, কিন্তু ইন্টারের অভেদ্য রক্ষণ আর সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণ দলটিকে অলআউট আক্রমণে উঠতে দেয়নি। ফলে গোলও আর পাওয়া হয়নি। এর ফলে হতাশা সঙ্গী করে ঘরে ফিরতে হয় ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যদের।
আর এর সঙ্গে শেষ হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থমাস মুলারের বর্ণিল এক অধ্যায়। বায়ার্ন মিউনিখে এটিই যে শেষ মৌসুম, তা তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। এবার হেরে বিবর্ণ বিদায় নিতে হলো বছরের পর বছর ধরে বায়ার্নকে সেবা দিয়ে আসা এই সৈনিককে।
২৩২ দিন আগে
টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বে দাপুটে পারফরম্যান্স দিলেও নকআউটে এসে নিজেদের হারিয়ে ফেলল লিভারপুল। প্রথম লেগে কোনোমতে জিতলেও ফিরতি লেগে আর পারল না। এরপর টাইব্রেকারেও হেরে বিদায় নিতে হলো আর্নে স্লটের দলকে।
অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের এলিটদের প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পিএসজির কাছে ১-০ গোলে হারে লিভারপুল। এরপর ১-১ অগ্রগামিতায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও ব্যবধান গড়তে ব্যর্থ হয় উভয় দল। পরে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে লুইস এনরিকের দলের কাছে হেরেছে মার্সিসাইড কাউন্টির দলটি।
এর ফলে প্রথম পর্বের শুরুর দিকে তিনটি ম্যাচে হেরে এবং একটিতে ড্র করে যেখানে শেষ ষোলো খেলার সম্ভাবনাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল পিএসজির। নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারাই টুর্নামেন্টের সেরা দলকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল।
অপরদিকে, টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হলো লিভারপুলের।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর জিততে মরিয়া হয়ে ফিরতি লেগে মাঠে নামে পিএসজি। শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে তারা। এর ধারাবাহিকতায় ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে গোল করে অগ্রগামিতায় দলকে সমতায় ফেরান উসমান দেম্বেলে।
আরও পড়ুন: ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
এরপর দুই দলই চেষ্টা করেছে বেশ কয়েকবার, বারবার ভীতি ছড়িয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে, কিন্তু জয়সূচক গোলের দেখা আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও অব্যাহত থাকে একই ধারা। শেষে টাইব্রেকারের দারস্থ হতে হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে উভয় দলই সফল হলেও লিভারপুলের পরের দুটি শট ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। আর পিএসজি তাদের প্রথম চারটি শটের সবগুলো গোলে পরিণত করলে ৪-১ ব্যবধানে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এখন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্লাব ব্রুজ ও অ্যাস্টন ভিলার মধ্যকার ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকবে এনরিকের শিষ্যরা। যদিও প্রথম লেগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা, তারপরও দুই লেগ মিলিয়ে বিজয়ী দলটির সঙ্গে আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামবে প্যারিসের দলটি।
দিনের অপর ম্যাচে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। এছাড়া ২-০ গোলে জিতে অগ্রগামিতায় ৫-০ ব্যবধানে লেভারকুজেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
শেষ আট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলানও। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডে বিপক্ষে ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। এর ফলে ৪-১ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে পৌঁছেছে মিলানের দলটি। ৮ বা ৯ এপ্রিল সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে।
২৬৮ দিন আগে
ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পাওয়ায় ইন্টার মিলানের কোয়ার্টার ফাইনালের পথ কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার মাঠের খেলায়ও দেখা গেল তার প্রতিফলন।
বুধবার রাতে রটারডামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডকে তাদের মাঠেই ২-০ গোলে হারিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান।
ম্যাচের দুই অর্ধে ৩৮ ও ৫০তম মিনিটে গোলদুটি করেন যথাক্রমে মার্কাস থুরাম ও লাউতারো মার্তিনেস। ৬৫তম মিনিটে একটি পেনাল্টিও পেয়েছিল দলটি, তবে সেটি গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হন পিওতর জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
ম্যাচজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করা ইন্টার এদিন ৫৮ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে গোলের উদ্দেশে মোট ১৩ শট নেয়, যার সাতটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় দলটি।
অন্যদিকে, তুলনামূলক শক্তিশালী ইন্টারকে মোটেও ছেড়ে কথা বলেনি স্বাগতিকরা। আটটি শট নিয়ে তার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে তারা। তবে গোলের দেখা পায়নি কোনোভাবেই।
এই জয়ে শেষ আটের পথ সুগম হয়েছে ইতালিয়ান দলটির। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ পাবে তারা। ফলে ওই ম্যাচটি জিতে কিংবা ড্র করে, এমনকি এক গোলের ব্যবধানে হেরে গেলেও কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে নেরাজ্জুরিদের।
২৭৪ দিন আগে
লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে এসে অবশেষে হারল লিভারপুল। ইংলিশ ক্লাবটির এই হারে তাদের টপকে শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার সুযোগ ছিল বার্সেলোনার সামনে। তবে অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করে কাতালান ক্লাবটির পক্ষে তা আর হয়ে ওঠেনি।
বুধবার রাতে ইউরোপের এলিট লিগে অপরাজিত লিভারপুলকে মাটিতে নামিয়েছে ডাচ লিগ চ্যাম্পিয়ন পিএসভি আইন্ডহোভেন। দুবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতে নিয়েছে পিটার বশের শিষ্যরা।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন কোডি গাকপো। এর ৭ মিনিট পর ইয়োহান বাকায়োকোর গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
এরপর পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই ফের লিভারপুলকে এগিয়ে নেন হার্ভি ইলিয়ট। তবে ৪৫তম মিনিটে আবারও পিএসভিকে সমতায় ফেরান ইসমায়েল সাইবারি।
তারপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ সময়ে আমেরিকান স্ট্রাইকার রিকার্ডো পেপির গোলে ম্যাচ প্রথমবার এগিয়ে গিয়ে বিরতিতে যায় আইন্ডহোভেন।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোলে আর তেমনভাবে শটই নিতে পারেনি আর্নে স্লটের শিষ্যরা। অন্যদিকে, বলের দখল কিছুটা বেশি সময় ধরে রেখে কয়েকবার ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও আর গোল করতে পারেননি ডাচ ক্লাবটির খেলোয়াড়রা। এর মাঝে আবার নির্ধার্তি সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুলের জার্সিতে কয়েক মিনিট আগেই অভিষেক হওয়া ১৮ বছর বয়সী ইংলিশ ডিফেন্ডার আমারা নালোকে। ফলে ৩-২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচটি।
এই ম্যাচ হেরে গেলে প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও জিতে ভালোভাবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি। ৮ ম্যাচে ৪ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪তম স্থানে থেকে প্রথম পর্বের খেলা শেষ করেছে তারা।
৩০৯ দিন আগে
লাউতারো মনোনয়ন না পাওয়ায় ইন্টার প্রেসিডেন্টের ক্ষোভ
গত মৌসুম থেকে দারুণ ছন্দে রয়েছেন ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস। ইতালিয়ান ক্লাবটির পাশাপাশি জাতীয় দলের জার্সিতেও মাঠে আলো ছড়িয়ে চলেছেন এই ফুটবলার। তবে তা স্বত্ত্বেও ফিফার ‘দ্য বেস্ট’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাকে মনোনীত না করায় মোটেও খুশি নয় ইন্টার মিলান কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার ফিফার ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের দ্য বেস্টের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১১ জনের ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদের ৬ খেলোয়াড়সহ আছে ব্যালন দ’র জয়ী রদ্রি ও মেসির নাম। তবে ইন্টারের হয়ে ঘরোয়া ডবল ও আর্জেন্টিনার জার্সিতে কোপা আমেরিকা জিতেও ফিফার সেরাদের তালিকায় স্থান করে নিতে পারেননি লাউতারো।
এ বিষয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন নেরাজ্জুরিদের প্রেসিডেন্ট বেপ্পে মারোত্তা। ২০২৩-২৪ মৌসুমে মোট ৪৪ ম্যাচে ২৭ গোল করে ইন্টারকে স্কুদেত্তো ও ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতিয়ে এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১১ গোল করে দলটিকে কোপা আমেরিকা জিতিয়েও কীভাবে ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড মনোনয়ন পান না, তা বুঝতে পারছেন না মারোত্তা।
ফিফার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ একটি মৌসুম কাটানোর পরও লাউতারোকে ফিফা দ্য বেস্ট মেন’স প্লেয়ারের জন্য মনোনীত না করাটা সত্যিই আশ্চর্যের, একইসঙ্গে বিষয়টি হতাশারও। কোপা আমেরিকায় সে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিল, লিগেও (সেরি-আ) তা-ই। লাউতারো আরও বেশি সম্মান ও স্বীকৃতি পাওয়ার দাবি রাখে।’
আরও পড়ুন: ফিফা বর্ষসেরার তালিকায় মেসি
গত মৌসুমটি সত্যিই লাউতারো মার্তিনেসের জন্য অসাধারণ এক মৌসুম ছিল। ইন্টারকে ১৯তম স্কুদেত্তো জেতানোর অভিযানে মৌসুমজুড়ে দারুণ পারফর্ম করেন তিনি। সেরি-আয় গত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি লিগের গোল্ডেন বুটও (সর্বোচ্চ গোলদাতা) জিতেছেন ইন্টার অধিনায়ক।
ইতালিয়ান সুপাকাপের ফাইনালে তার একমাত্র গোলেই নাপোলিকে হারায় ইন্টার মিলান। ফাইনাল ম্যাচের সেরা ফুটবলারও হন এই আর্জেন্টাইন।
এরপর জাতীয় দলের জার্সিতে আর্জেন্টিনার টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা জয়ে তার ছিল বড় ভূমিকা। ফাইনালে ২৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের একমাত্র গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে জেতেন কোপা আমেরিকার গোল্ডেন বুটও।
সব মিলিয়ে গত মৌসুমে ৫৮ ম্যাচে ৩৫ গোল ও ৮ অ্যাসিস্টের মাধ্যমে মোট ৪৩ গোলে অবদান রাখেন তিনি।
এমনকি, ক্লাব ও জাতীয় দলে ভূমিকার জন্য লাউতারোর আর্জেন্টাইন সতীর্থ লিওনেল মেসিকে মনোনীত করা হলেও একই রকম অর্জন নিয়ে বাদ পড়েছেন তিনি।
৩৭০ দিন আগে
দাপট দেখিয়েও ইন্টারের মাঠে হারল আর্সেনাল
পুরো ম্যাচজুড়ে স্বাগতিকদের ওপর ছড়িয়ে ঘোরাল আর্সেনাল, কিন্তু কাক্ষিত গোল দেখা দিল না একবারও। অপরদিকে, একটি পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে নির্ভুল শটে গোল করে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ল ইন্টার মিলান। ইন্টার-আর্সেনাল ম্যাচটির সারাংশ এটুকুই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডে ঘরের মাঠ থেকে মিকেল আর্তেতার দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
বিরতির আগে যোগ করা সময়ে নিজেদের বক্সের ভেতর থেকে হাতে বল লাগে আর্সেনাল মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনোর। এরপর নিখুঁত স্পট কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে দলকে জয় এনে দেন ইন্টার মিলানের তুর্কি মিডফিল্ডার হাকান চালানোলু।
এদিন ৬৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখে গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নেয় আর্সেনাল, যার চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। কিন্তু ইন্টারের রক্ষণ দেওয়াল, ভালো শট ও ফিনিশিংয়ের অভাবে বারবার হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
অপরদিকে, ৭টি শটের মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ইন্টার, যা থেকে গোল আদায় করে নেয় সিমোনের দল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
এই ম্যাচের আগে প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ১-০ গোলে হেরে বসে আর্সেনাল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একই ব্যবধানে হেরে গেল তারা।
ইউরোপের শীর্ষ এ প্রতিযোগিতায় ড্রয়ের মাধ্যমে চলতি আসর শুরু করলেও পরের দুটি ম্যাচ জিতে ভালোই এগোচ্ছিল মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। তবে প্রিমিয়ার লিগের মতো এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পিছিয়ে পড়ল তারা।
চার ম্যাচে দুই জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বাদশ স্থানে রইল আর্সেনাল।
অন্যদিকে, আর্সেনালের মতোই শুরুতে ড্র এবং পরের দুটি ম্যাচ জিতে আজ মাঠে নেমে তৃতীয় জয় তুলে নিল ইন্টার। ফলে এখনও অপরাজিত থেকে ১০ পয়েন্ট নিয় টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
দিনের অপর ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। এছাড়া, স্পার্তা প্রাহাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইন্টারের সমান ১০ পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চতুর্থ স্থানে ব্রেস্ত, বোলোনিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় মোনাকো এবং ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়েই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পোর্তিং। আর চার ম্যাচের সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল।
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে বেনফিকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
৩৯৩ দিন আগে
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে শুরুতেই সিটির হোঁচট
ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বলের দখল রেখে প্রতিপক্ষের ডি বক্সের সামনে ভীতি ছড়াল ম্যানচেস্টার সিটি, কিন্তু জমাট রক্ষণে শেষ পর্যন্ত তাদের আটকেই রাখল ইন্টার মিলান। ফলে নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই ঘরের মাঠে পয়েন্ট খুইয়ে যাত্রা শুরু করল পেপ গার্দিওলার দল।
চ্যাম্পিন্স লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ২০২২-২৩ মৌসুমের ফাইনালিস্ট ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সেবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।
গোলের উদ্দেশে মোট ২২ শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখলেও তা থেকে একবারও জালের দেখা পায়নি সিটির খেলোয়াড়রা। অপরদিকে, ইতালি চ্যাম্পিয়নরা মোট শট নে ১৩টি, এর মধ্যে মাত্র তিনবার তারা সিটি গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে লড়াই করেও হারল স্টুটগার্ট
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ধীরগতিতে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করতে থাকে সিটি। অন্যদিকে, ধৈর্য্য ধরে সিটি যাতে হঠাৎ আক্রমণে না উঠতে পারে, সে বিষয়ে সজাগ থেকে রক্ষণে মনোযোগ দেয় ইন্টার। তবে বল পেলেই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠ মিনিটে আক্রমণে উঠে প্রথম গোল শেট নেন ইন্টারের মার্কাস থুরাম। দুই মিনিট পর শট নেন সিটির আর্লিং হালান্ড। তবে দুটি শটটি ঠেকিয়ে দেন দুই গোলরক্ষক।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দল। তবে ১৯তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণে উঠে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করে সিটি। ইন্টারের বক্সের সামনে বল নাড়াচাড়া করতে করতে বক্সের মধ্যে ক্রস বাড়ান সিটির তরুণ ব্রাজিলীয় উইঙ্গার স্যাভিনিয়ো, হেডারে তা থেকে গোল পাওয়ার চেষ্টাও করেন হালান্ড। তবে শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে উঠে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইন্টার মিলানের সুইস গোলরক্ষক ইয়ান জমার।
২৪তম মিনিটে বক্সের মধ্যে ডি ব্রুইনের বাড়ানো উড়ন্ত ক্রস ধরে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন স্যাভিনিয়ো, তবে তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এ সময় ইন্টার পূর্ণ রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করলে তাদের ডি বক্সের সামনে বল নিয়ে বারবার সুযোগ খুঁজতে থাকে সিটি। তবে সিমিওনে ইনজাগির শিষ্যদের তিন স্তরের রাক্ষণ ভেদ করে কোনোভাবেই তেমন কোনো বিপদ তৈরি করতে পারছিলেন না ডি ব্রুইনে-হালান্ডরা।
এরইমাঝে ম্যাচের আধঘণ্টা পার হলে পাল্টা আক্রমণে উঠে দুবার সিটির জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করে মিলানের নীল দলটি। তবে দুবারই তাদের শট প্রতিহত করেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসন।
আরও পড়ুন: শুরুতে এগিয়ে গিয়েও লিভারপুলে বিধ্বস্ত এসি মিলান
৩৫তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণে গিয়ে ইন্টারের রক্ষণ কিছুটা এলোমেলো করে দিয়ে শেষে শট নেন হালান্ড। তবে তার শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩৭তম মিনিটে বক্সের মধ্যে জটলার ভেতর থেকে গোল খোঁজে সিটি, তবে এবারও ইন্টারের রক্ষণে তাদের আক্রমণে প্রতিহত হয়।
প্রথমার্ধের শেষ দশ মিনিটে খেলায় কিছুটা গতি বাড়ায় সিটি, কিন্তু কোনোভাবেই ইন্টারের জমাট রক্ষণ ভেদ করতে না পেরে স্কোরলাইন ০-০ রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
৪৪২ দিন আগে