পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা
২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিন দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা, দ্বীপে রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে 'সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪' এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে করা সুপারিশ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'সেখানে যারা হোটেল ও জাহাজ চালায় তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য কোনো প্লাস্টিক ঢুকতে দেওয়াই উচিত নয়। চানাচুর, চিপস, আচার- এগুলো ওখানে ঢুকতে দেওয়াই উচিত না।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত কিন্তু সেগুলো কেন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা যদি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে সেখানে তাদের বক্তব্য কি? তারা আমাদের বলেছেন, তাদের যে বাকি সদস্যরা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন। তারা বলেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আগের সরকার একতরফাভাবে ওই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল।'
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতে থাকতে দেওয়া যাবে না, সিদ্ধান্ত ছিল নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না- এখানে তাদের বক্তব্য কী? তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যা নিয়ে তারা তাদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন।'
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পর্যটন বিভাগেরও এ বিষয়ে বক্তব্য আছে। জাহাজ যারা চালায় তাদেরও একটা বক্তব্য আছে। আমরা হোটেল মালিক ও সেখানকার জাহাজ মালিকদের মতামত আমরা পাব। সেখানে পর্যটকদের রাত্রিযাপন ও পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তাদের মতামত জানাবেন।'
সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
সেন্টমার্টিনের কুকুরের সংখ্যা বাড়ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'কুকুর নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো কাজ করে তারা যদি ওখানে গিয়ে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করলে তারা (হোটেল মালিকরা) সহযোগিতা করবেন।'
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
১ মাস আগে
জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার আনা হবে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি পুলিশের যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেই ভিডিও দেখার পর পুলিশ বাহিনীকে কোনোভাবে সংস্কার সম্ভব কি না, কিংবা মানুষের আস্থা ফেরানো সম্ভব কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসবে, আপনারা যদি তাদের কার্যপরিধি দেখেন, সেখানে উল্লেখ আছে এই ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সেজন্য সিকিউরিটি রিফর্মস কী কী নিতে হবে। সেগুলোর ব্যাপারেও তারা আমাদের বলবে। এছাড়া একটা পুলিশ কমিশনের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে যা ঘটে গেছে সেটা তো আমরা আনডু করতে পারব না। যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য তিন মাসব্যাপী বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি গ্রহণ
তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় পড়েছিলাম দুষ্ট লোকেরা পুলিশ দেখলে ভয় পায়, কিন্তু আমরা এমন একটা সমাজে বাস করেছি যে ভালো লোকেরাই পুলিশকে দেখলে ভয় পায়। পুলিশ যে মানুষের বন্ধু-এটা প্রমাণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। পুলিশ হয় এই দলকে দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে, না হয় ওই দলকে দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের পুলিশ আর তাদের হয়ে ওঠা হয়নি। পুলিশের মধ্যেও কিন্তু পরিবর্তনের একটা বিশাল তাড়া আছে। তারা বুঝতে পারছে জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে অনেক কাজ করতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনি ১৮৬১ সালের ব্রিটিশ আমলের পুলিশ আইন দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ চালাচ্ছেন। ব্রিটিশরা কী বাংলাদেশে এসেছিল জনমুখী একটা পুলিশ দিতে? তা তো তারা আসেনি। সবকিছুই আলোচনা হয়েছে, পুলিশ কমিশন যখন হবে, যখন জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো আমরা পাব, সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে কেমন করে একটা জনমুখী পুলিশ গড়ে তুলতে পারি সেটাই আমাদের ইচ্ছা।’
আরও পড়ুন: সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের শাটডাউন স্থগিত
শাটডাউন তুলে নিতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
২ মাস আগে
নতুন করে ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা
নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটাগুলোর ক্ষেত্রে ইটভাটার মৌসুম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাচ্ছি না। তার আগেই চেষ্টা করছি এগুলো বন্ধ করতে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব ইটভাটার লাইসেন্স বা ছাড়পত্র নেই সেগুলো বন্ধ করে দেব। এগুলো তো বন্ধ করতে হবে, এগুলোর তো কোনো অনুমোদন নেই।’
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশ সফর শুরু হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার ক্ষেত্রে কোনো সহানুভূতি দেখাব না। সেগুলো বন্ধ হলে উন্নয়নে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। নীতিগত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আমরা আর কোনো নতুন ইটভাটার লাইসেন্স দেব না। আমাদের কাজ হবে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেগুলোর বিকল্প কী হতে পারে সেটি বের করা। এছাড়া যারা ব্লক ইটে যেতে চান তাদের কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায় সেটি দেখা হবে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে কিছু কিছু প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। তাদের প্রত্যাশাটা কী, তা জেনে দ্রুত পূরণ করতে পারলে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাজেট সহায়তা দিতে তাদের সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি বাংলাদেশে আইন-কানুন, নীতি ভালো আছে। এগুলোকে আরও ভালো করা যায়। কিন্তু সক্ষমতা না বাড়ালে এগুলো বাস্তবায়নে নানা রকম সমস্যা দেখা দেবে। মানুষের প্রত্যাশার জায়গাটা পূরণ হবে না। আইন-কানুন, নীতি আমরা আরও সময়োপযোগী করব, আরও শক্ত করব।’
উপদেষ্টা বলেন, কিছু কিছু নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে তাদের (বিশ্বব্যাংক) কাছে প্লাস্টিক, পলিথিন, শব্দ দুষণ ও কয়েকটা নদীতে দূষণ নিয়ে কথা বলেছি।
বিশ্বব্যাংক কী ধরনের সহায়তা দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে সবচেয়ে দূষিত নদী ও দূষণকারীদের তালিকা করতে। সেগুলো যখন আমরা পাব তখন একটি মনিটরিং প্ল্যান করতে পারব। ফলে বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি হয়নি। তবে একটি রূপরেখা তো আছেই, সেখানে নতুন নতুন কম্পোনেন্ট যদি যুক্ত করতে পারি সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করবেন।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ একদিনে সমাধান হবে না, কিন্তু এই শীতের আগে যেন বায়ুদূষণের কয়েকটি উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সেজন্য বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করছি। বায়ুদূষণ প্রশমনের পরিকল্পনা ও বাজেট না দেখালে নতুন করে নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হবে না। নির্মাণকাজ হবে, কিন্তু বায়ুদূষণ করে নয়। স্বল্প ব্যয়েই এটি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে