সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যা আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নিয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বায়ুদূষণের সমাধান সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুন: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
তিনি জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরোনো গাড়ি অপসারণ করা হবে এবং রাজধানীতে খোলা ট্রাক প্রবেশের বিষয়ে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণকাজের ধুলা, ইটভাটা ও যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জোরদার করার মাধ্যমে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণকাজে ধুলা কমাতে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা এবং সুরক্ষা বেষ্টনী ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার এবং দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
পাশাপাশি, রাস্তার ধারে ঘাস লাগানো, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলা এবং বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, খাল উদ্ধার এবং উন্মুক্ত জায়গায় খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করা হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) সভাপতিত্ব করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
৬ দিন আগে
উপকূলের পরিবেশ সুরক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়ন ও উপকূলীয় অঞ্চল সুরক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকাগুলোতে কাজের জোনিং করতে হবে। কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট রুলস এবং স্পেশাল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করতে হবে। কোস্টাল জোন পলিসি আপডেট করাও প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সেগুনবাগিচার পূর্ত ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘পায়রা বন্দর নগরী ও কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ পর্যটনভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষায় নিরপেক্ষ-নির্ভীক সাংবাদিকতা অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষায় ল্যান্ড জোনিং ও কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরির কাজ চলছে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক করতে হবে। সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ এবং বনায়ন কার্যক্রম বাড়াতে হবে।’
সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘এই প্রকল্পের প্রস্তাবনাগুলো রিভাইজড আকারে আনতে হবে, যাতে দীর্ঘমেয়াদে এ অঞ্চলের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়।’
সেমিনারে প্রকল্প পরিচালক শরীফ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান প্রকল্পের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক, অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দীন হাসান প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন।
সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব.), অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মতিন, প্রধান প্রকৌশলী শামিম আখতারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেন্টমার্টিন দ্বীপকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করতে প্রস্তাবিত ‘জিরো ওয়েস্ট অ্যাকশন প্ল্যান’ নিয়ে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালাইন্সের সদস্যদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
২ সপ্তাহ আগে
টেন্ডারের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকারি বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়নের জন্য টেন্ডারের (দরপত্র) মাধ্যমে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে, এই সিন্ডিকেটটাকে ভাঙতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ক্রয় প্রক্রিয়ায় ‘পিপিএ-২০০৬’ এবং ‘পিপিআর-২০০৮’- এর বিধি-বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমনের ফসলহানীতে সৃষ্ট ঘাটতি ঠেকাতে চাল আমদানি করা হচ্ছে: খাদ্য উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। এ কাজগুলোকে দলীয় ও স্থানীয় প্রভাব মুক্ত করা যাচ্ছে না। যে মন্ত্রণালয়গুলোর বেশি কাজ থাকে। আমরা বসেছিলাম এখানে কোথায় কোথায় সংশোধন আনলে আমরা এই বিষয়টাকে নির্ধারণ করতে পারব। এখানে কোন ঠিকাদার কাজ পাবে, কোন ঠিকাদার কাজ পাবে না, সেটা নিয়ে কথা হয়নি।’
তিনি বলেন, 'কোন কাজের সর্বনিম্ন একটা টাকা আমরা ঠিক করলাম। সর্বনিম্ন এ টাকার কথা গোপন থাকার কথা, কিন্তু সেটা প্রকাশ হয়ে যায়। তাই ঠিকাদাররা আর সেটার নিচে নামেন না।'
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেভাবে টেন্ডারের (দরপত্র) মাধ্যমে কাজ চলছে এটা একটা সিন্ডিকেট হয়ে গেছে। এটাকে ভাঙতে হবে। পাবলিক প্রক্রিউরমেন্টের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় ব্যত্যয় আছে, কোথায় কোথায় সংযোজন-বিয়োজন করলে আমরা এই সিন্ডিকেটটা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব, সেটা বোঝার জন্যই আজকের এই আলোচনা।’
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার প্রক্রিয়াটা আজকে শুরু হলো। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়।
প্রকল্পের তথ্য প্রকাশ করা হয় না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আগে ত্রাণ দেওয়ার সময় একটা বোর্ডে লেখা থাকত- এত মন গম, এত মন চাল। এটাই আমরা বললাম। আপনি যে বলছেন ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ব্রেক ডাউনটা যাতে জেলা প্রশাসকরা প্রকৃত উপকার ভোগীদের ডেকে এনে আলোচনা করে, যে এটা হবে। জেলা প্রশাসক তার মনোনীত লোকদের ডেকে গণশুনানি করলে তো হবে না।’
অনেক সময় প্রকল্পের সময় এবং ব্যয় বাড়ানো হয়। এতে অনেকে লাভবান হয়। সেই বিষয়গুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানই অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
১ মাস আগে
২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিন দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা, দ্বীপে রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে 'সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪' এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে করা সুপারিশ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'সেখানে যারা হোটেল ও জাহাজ চালায় তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য কোনো প্লাস্টিক ঢুকতে দেওয়াই উচিত নয়। চানাচুর, চিপস, আচার- এগুলো ওখানে ঢুকতে দেওয়াই উচিত না।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত কিন্তু সেগুলো কেন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা যদি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে সেখানে তাদের বক্তব্য কি? তারা আমাদের বলেছেন, তাদের যে বাকি সদস্যরা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন। তারা বলেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আগের সরকার একতরফাভাবে ওই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল।'
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতে থাকতে দেওয়া যাবে না, সিদ্ধান্ত ছিল নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না- এখানে তাদের বক্তব্য কী? তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যা নিয়ে তারা তাদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন।'
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘পর্যটন বিভাগেরও এ বিষয়ে বক্তব্য আছে। জাহাজ যারা চালায় তাদেরও একটা বক্তব্য আছে। আমরা হোটেল মালিক ও সেখানকার জাহাজ মালিকদের মতামত আমরা পাব। সেখানে পর্যটকদের রাত্রিযাপন ও পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তাদের মতামত জানাবেন।'
সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
সেন্টমার্টিনের কুকুরের সংখ্যা বাড়ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'কুকুর নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো কাজ করে তারা যদি ওখানে গিয়ে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করলে তারা (হোটেল মালিকরা) সহযোগিতা করবেন।'
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
২ মাস আগে
সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে ১১টি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় চলতি বছরের জরিপে ১১টি বাঘ বেশি পাওয়া গেছে।
একই সঙ্গে বাঘের ঘনত্ব ও শাবকের সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে 'সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪' এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা।
জরিপে দেখা যায়, ২০১৮ সালের জরিপে ১১৪টি বাঘ পাওয়া গিয়েছিল, নতুন জরিপে ১১টি বেড়ে ১২৫টি বাঘ পাওয়া গেছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সার্বিক বিচার বিশ্লেষণে ২০২৩-২০২৪ সালে সুন্দরবনে পরিচালিত বাঘ জরিপে বাঘের সংখ্যা ১২৫টি পাওয়া যায় এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটার বনে বাঘের ঘনত্ব পাওয়া যায় ২ দশমিক ৬৪।
তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে এবং ২০১৫ সালের তুলনায় বাঘের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে আধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ জরিপ করা হয়। সেই জরিপে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ১০৬টি এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ১৭। ২০১৮ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায় এবং প্রতি ১০০ বর্গ কিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ৫৫। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাঘ বেড়েছে ৮টি এবং বাঘ বাড়ার শতকরা হার ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাঘ সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব বাঘ দিবস ২০২৪ পালন
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে তৃতীয় পর্যায়ে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা, চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে চালানো বাঘ জরিপে বাঘের ছবি পাওয়া যায় ৭ হাজার ২৯৭টি। এত বিপুলসংখ্যক বাঘের ছবি এর আগে পাওয়া যায়নি।
২০২৩-২৪ সালের বাঘ জরিপে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গেছে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, তবে বাঘ শাবকের সংখ্যা জরিপের ফলাফলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। কারণ ছোট থেকে পূর্ণবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত বাঘ শাবকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি হয়ে থাকে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ২০২৩-২৪ সালের বাঘ জরিপে ২১টি বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে ২০১৫ ও ২০১৮ সালের বাঘ জরিপে মাত্র ৫টি করে বাঘ শাবকের ছবি পাওয়া গিয়েছিল।
বাঘ সংরক্ষণে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম নিয়েছে বলে জানান রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, বাঘসহ সুন্দরবনের অন্যান্য বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ ও প্রজননের উদ্দেশ্যে বনের ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এলাকাকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখান থেকে সব ধরনের বনজ সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ নাইলনের ফেন্সিং তৈরি করা হচ্ছে।
এছাড়াও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ের জন্য বনের ভিতরে ১২টি মাটির উঁচু কিল্লা বা ঢিঁবি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এ আজিজ বলেন, বাঘের প্রজননের জন্য সুন্দরবনের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আগামীতে বাঘের সংখ্যা আরও বাড়বে।
এই জরিপে তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানান সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক আবু নাসের মোহসিন হোসেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে সুন্দরবনের শিশু-কিশোরদের নিয়ে ওয়াইল্ডটিমের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান
২ মাস আগে
অভিন্ন নদীতে পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়টি অত্যন্ত জটিল হলেও জরুরি তথ্য ভাগাভাগি রাজনীতি নয়। কোথায় কোথায় স্ট্রাকচার, কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত তা জানাতে পারে। সেক্ষেত্রে জানমালের ক্ষতি ও অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে জনগণের কথার প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতে একটা দেশ এককভাবে যেতে পারে না, দুটো দেশকে যেতে হয়। বৃষ্টির পানির তথ্য শেয়ার করা ইস্যুটি মানবিক। মানুষকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।’
জোরালো ও স্পষ্টভাবে বাংলাদেশের দাবি জানানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু আন্তর্জাতিক নদীর হিস্যাই নয় অভ্যন্তরীণ নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা তাই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের নদীগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে।’
বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সেমিনার পরিচালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মো. এজাজ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম ও অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, পরিবেশবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। নদী ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ, সঠিক পানির হিসাব এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
২ মাস আগে
বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
চীন বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, চীন দুই দেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ বাড়ানোর প্রস্তাব এবং বন্যায় পানি সম্পর্কিত তথ্য ভাগাভাগির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও পরিবেশ উপদেষ্টার মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দুই দেশের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সুরক্ষায় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, পানি ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়াতে যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নদী ব্যবস্থাপনা, বন্যা প্রতিরোধ ও অবকাঠামো প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করা যাবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীনের মতো বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা জরুরি।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু এবং এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণ, সৌর শক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও স্মার্ট পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবরা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এবং চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য তিন মাসব্যাপী বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি গ্রহণ
সংস্কার এজেন্ডা না জেনে মেয়াদ নিয়ে কথা বলা যাবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
৩ মাস আগে
জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার আনা হবে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি পুলিশের যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেই ভিডিও দেখার পর পুলিশ বাহিনীকে কোনোভাবে সংস্কার সম্ভব কি না, কিংবা মানুষের আস্থা ফেরানো সম্ভব কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসবে, আপনারা যদি তাদের কার্যপরিধি দেখেন, সেখানে উল্লেখ আছে এই ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সেজন্য সিকিউরিটি রিফর্মস কী কী নিতে হবে। সেগুলোর ব্যাপারেও তারা আমাদের বলবে। এছাড়া একটা পুলিশ কমিশনের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে যা ঘটে গেছে সেটা তো আমরা আনডু করতে পারব না। যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য তিন মাসব্যাপী বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি গ্রহণ
তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় পড়েছিলাম দুষ্ট লোকেরা পুলিশ দেখলে ভয় পায়, কিন্তু আমরা এমন একটা সমাজে বাস করেছি যে ভালো লোকেরাই পুলিশকে দেখলে ভয় পায়। পুলিশ যে মানুষের বন্ধু-এটা প্রমাণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। পুলিশ হয় এই দলকে দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে, না হয় ওই দলকে দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের পুলিশ আর তাদের হয়ে ওঠা হয়নি। পুলিশের মধ্যেও কিন্তু পরিবর্তনের একটা বিশাল তাড়া আছে। তারা বুঝতে পারছে জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে অনেক কাজ করতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনি ১৮৬১ সালের ব্রিটিশ আমলের পুলিশ আইন দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ চালাচ্ছেন। ব্রিটিশরা কী বাংলাদেশে এসেছিল জনমুখী একটা পুলিশ দিতে? তা তো তারা আসেনি। সবকিছুই আলোচনা হয়েছে, পুলিশ কমিশন যখন হবে, যখন জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো আমরা পাব, সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে কেমন করে একটা জনমুখী পুলিশ গড়ে তুলতে পারি সেটাই আমাদের ইচ্ছা।’
আরও পড়ুন: সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের শাটডাউন স্থগিত
শাটডাউন তুলে নিতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
৩ মাস আগে
নতুন করে ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা
নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটাগুলোর ক্ষেত্রে ইটভাটার মৌসুম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাচ্ছি না। তার আগেই চেষ্টা করছি এগুলো বন্ধ করতে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব ইটভাটার লাইসেন্স বা ছাড়পত্র নেই সেগুলো বন্ধ করে দেব। এগুলো তো বন্ধ করতে হবে, এগুলোর তো কোনো অনুমোদন নেই।’
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশ সফর শুরু হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার ক্ষেত্রে কোনো সহানুভূতি দেখাব না। সেগুলো বন্ধ হলে উন্নয়নে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। নীতিগত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আমরা আর কোনো নতুন ইটভাটার লাইসেন্স দেব না। আমাদের কাজ হবে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেগুলোর বিকল্প কী হতে পারে সেটি বের করা। এছাড়া যারা ব্লক ইটে যেতে চান তাদের কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায় সেটি দেখা হবে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে কিছু কিছু প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। তাদের প্রত্যাশাটা কী, তা জেনে দ্রুত পূরণ করতে পারলে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাজেট সহায়তা দিতে তাদের সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি বাংলাদেশে আইন-কানুন, নীতি ভালো আছে। এগুলোকে আরও ভালো করা যায়। কিন্তু সক্ষমতা না বাড়ালে এগুলো বাস্তবায়নে নানা রকম সমস্যা দেখা দেবে। মানুষের প্রত্যাশার জায়গাটা পূরণ হবে না। আইন-কানুন, নীতি আমরা আরও সময়োপযোগী করব, আরও শক্ত করব।’
উপদেষ্টা বলেন, কিছু কিছু নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে তাদের (বিশ্বব্যাংক) কাছে প্লাস্টিক, পলিথিন, শব্দ দুষণ ও কয়েকটা নদীতে দূষণ নিয়ে কথা বলেছি।
বিশ্বব্যাংক কী ধরনের সহায়তা দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে সবচেয়ে দূষিত নদী ও দূষণকারীদের তালিকা করতে। সেগুলো যখন আমরা পাব তখন একটি মনিটরিং প্ল্যান করতে পারব। ফলে বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি হয়নি। তবে একটি রূপরেখা তো আছেই, সেখানে নতুন নতুন কম্পোনেন্ট যদি যুক্ত করতে পারি সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করবেন।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ একদিনে সমাধান হবে না, কিন্তু এই শীতের আগে যেন বায়ুদূষণের কয়েকটি উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সেজন্য বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করছি। বায়ুদূষণ প্রশমনের পরিকল্পনা ও বাজেট না দেখালে নতুন করে নির্মাণকাজের অনুমোদন দেওয়া হবে না। নির্মাণকাজ হবে, কিন্তু বায়ুদূষণ করে নয়। স্বল্প ব্যয়েই এটি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে পিলখানা হাসপাতালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ মাস আগে