সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ঢাকায় শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, সবুজায়নও বাড়াতে হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাসযোগ্য ঢাকার জন্য শুধু মেগা প্রজেক্ট করলেই হবে না, এর সঙ্গে সবুজায়ন বাড়াতে হবে। এছাড়া উন্মুক্ত জায়গা, বসার স্থান ও তরুণদের খেলাধুলার সুযোগ থাকতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার জন্য একটি নগর দর্শন তৈরি করা জরুরি। এছাড়া বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে হলে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা দরকার।
আরও পড়ুন: সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজউকে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এবারের বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি।’
উপদেষ্টা বলেন, উন্নত ও পরিবেশবান্ধব নগর গড়তে তরুণদের সম্পৃক্ত করা দরকার। তাদের সৃজনশীলতা নগরকে বাসযোগ্য করতে পারে। এজন্য রাজউকের কর্মকাণ্ডে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় বস্তিবাসী ও নদীভাঙা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের গোয়েন লুইস এবং অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিন আহমেদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্মসচিব নায়লা আহমেদ।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বহুমুখীকরণে চামড়া শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
২ মাস আগে
নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে। ধানী জমি সুরক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সমস্যাগুলো সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ও জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বন্যা ও ভাঙন নিয়ে আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
রিজওয়ানা হাসান জানান, বন্যাদুর্গতদের দুর্দশা লাঘবে কাজ চলছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভাঙন ও লোনাপানি ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয়দের মতামত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
এর আগে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কোম্পানিগঞ্জের মুছাপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেগুলেটর ও জনতার বাজারের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এছাড়া মুছাপুর রেগুলেটরটি কেন এত দ্রুত ভেঙে পড়ল, তা তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে: উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যতে বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনীয় স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও রেগুলেটর মেরামতেও সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাঁধ ভেঙে যাতে বন্যা না হয়, সেজন্য আধুনিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নদীর অবৈধ দখলও উচ্ছেদ করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সাম্প্রতিক বন্যায় ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী রেগুলেটর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য বাঁধ রক্ষায় অবৈধ লিজ বাতিল করা হবে। এছাড়া বাঁধ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এর আগে জেলার পরশুরাম উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী নিজ কালিকাপুর ও বল্লামুখা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও স্থান পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা।
ওই সময় উপদেষ্টা বলেন, সময়মত বন্যার তথ্য দেওয়ার জন্য ভারতসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ জানানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
নদীর পানি কেবলমাত্র রাজনীতি নয়, এটা কূটনীতি ও অর্থনীতিও: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমাদের একটি কথা মাথায় রাখতে হবে। সেটা হলো নদীর পানি কেবলমাত্র রাজনীতি নয়, এটা কূটনীতি ও অর্থনীতিও।
তিনি বলেন, যদি সরকারি পর্যায়ে কোনো নীরবতা বা নিষ্ক্রিয়তা থেকে থাকে সে দিনটি শেষ হয়ে গেছে। এজন্য আমাদের মানুষের দুর্ভোগ ও প্রত্যাশা বুঝতে, সেই অনুযায়ী উজানের দেশের সঙ্গে কথা বলতেই এখানে এসেছি।
আরও পড়ুন: নদী রক্ষায় কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনীর পরশুরামের নিজ কালিকাপুর এলাকায় বন্যায় ভাঙনকবলিত বল্লামুখা বাঁধ পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মানবিক কারণে দুইটা দেশকে এক জায়গায় মিশে নদীর পানি ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজ ৫৩ বছর হয়ে গেল, আমরা তিস্তার চুক্তি সই করতে পারিনি।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানি ছাড়ার আগে আগাম বার্তা দেয়নি ভারত: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
তিনি আরও বলেন, আমার দেশের মানুষকে তো বাঁচাতে হবে। সে দাবি প্রতিবেশী রাষ্ট্র অস্বীকার করতে পারবে না। সে জায়গা থেকে আমরা তথ্যগুলো চাইব, আলোচনা শুরু করব। এই বিষয়গুলোর একটা রূপরেখা প্রস্তুত করেছি। আপনাদের সঙ্গে কথা বলে চুড়ান্ত করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ সচিব নাজমুল আহসান, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পলিসি সহায়তা দেবে: রিজওয়ানা হাসান
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
৩ মাস আগে
২ মাসের মধ্যে নদীর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
আগামী ২ মাসের মধ্যে দেশের নদীর সঠিক সংখ্যা চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডাব্লিউটিএ, নদী রক্ষা কমিশন এবং বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার রাতে বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ এবং সংকটাপন্ন নদ-নদীগুলোর দখল ও দূষণমুক্তকরণ নিয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
৬৪ জেলায় অন্তত ৬৪টি নদী চিহ্নিত করে নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে আগামী ২ মাসের মধ্যে সময়ভিত্তিক, ব্যয় সাশ্রয়ী, কর্মপরিকল্পনা দাখিল করতে এবং পরবর্তীতে সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে দখল উচ্ছেদ করার কথা জানান পানিসম্পদ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, যৌথভাবে প্রণয়নকৃত তালিকা জনমত ও আপত্তি দাখিলের সুযোগ দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত আপত্তি গ্রহণপূর্বক প্রযোজ্যক্ষেত্রে শুনানি গ্রহণ করতে হবে।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের সবচেয়ে দূষিত নদীর তালিকা প্রণয়ন করবে এবং দূষণকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান ও তদারকি করবে। প্লাস্টিক দূষণে আক্রান্ত নদীর তালিকা করে দূষণ থেকে পরিত্রাণে কর্ম পরিকল্পনা করবে। পরিবেশ অধিদপ্তর সব নদীর জন্য ‘হেলথ কার্ড’ প্রস্তুত করবে, যা নদীর প্রাণসত্ত্বার পরিচয়। অভিযান পরিচালনায় ও পরবর্তীতে আবারও দখল ও দূষণ রোধ করতে এলাকাবাসী, তরুণ প্রজন্ম, সামাজিক সংগঠন, এনজিওদের সম্পৃক্ত করতে হবে ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিতে হবে। সব অফিসে প্লাস্টিকের পানির বোতল, প্লাস্টিকের ফোল্ডার ও প্লাস্টিক ব্যানার ব্যবহার পরিহার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিআইডাব্লিউটিএ ঢাকা সার্কুলার নৌপথের প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও এই প্রস্তাবনার সম্ভাব্যতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মত বিনিময় করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনের আইনের সংশোধনের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ব্যয়সহ চলমান ও বাস্তবায়িত নদী খনন প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তালিকা ও প্রভাব বিষয়ে মতামত ও প্রভাব জানাতে হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নদী রক্ষা কমিশন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পানি বিশেষজ্ঞদের পরিমাপে দেশে মোট নদীর সংখ্যায় ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নম্বর-৮৫৩৯/২০২১ এর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা কীর্তনখোলা, রূপসাসহ গুরুত্বপূর্ণ নদীসমূহের পাড় অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসকদের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন ব্যাগ বন্ধে এবং পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগের ব্যাপক প্রচলনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ক্যাম্পেইন করা হবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের পরিচালনার সভায় নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডাব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি এবং বিভাগীয় কমিশনাররা বক্তব্য রাখেন।
৩ মাস আগে
অভিন্ন নদীর পানি ছাড়ার আগে আগাম বার্তা দেয়নি ভারত: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
অন্তবর্তীকালীন সরকারের বন পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভারতের অভিন্ন নদীর পানি ছাড়ার আগে আগাম বার্তা দেওয়ার কথা থাকলেও এবার তা করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি ছেড়ে দেওয়ার আগে ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা দিতে হবে।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাঙেরগাওয়ে খোয়াই নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৯০০ জনের বিরুদ্ধে তিন মামলা
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠকেও এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে মনুষ্যসৃষ্ট কোনো দুর্যোগ না হয়, সে ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে জানানো হবে।
ড্রেজিং ও নাব্যতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নদী ড্রেজিংয়ের ব্যপারটা উজান থেকে ভিন্ন হবে। নদী ড্রেজিং হবে না পলি ব্যবস্থাপনার অন্যান্য ব্যবস্থায় যাবে, তা একটি বড় সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা আছে। কিন্তু বিগত দিনে এ বিষয়ে কোনো জোর দেওয়া হয়নি।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, হবিগঞ্জ শহরকে বাঁচাতে হলে খোয়াই নদীকে রক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। এ নদী রক্ষায় অল্প টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতে বেশি টাকার প্রয়োজন হলেও তা করা হবে। এছাড়া পুরোনো খোয়াই নদীকে দখলমুক্ত করা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, ফেনীতে যে প্লাবন হচ্ছে তা কমে গেলেও অবৈধ স্থাপনার জন্য নদীপথ সংকুচিত হওয়ায় পানি নিষ্কাশন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
এর আগে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। বৈঠকে স্থানীয় ব্যক্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: জিএম কাদের
ঠাকুরগাঁওয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, সাবেক মন্ত্রী রমেশ কারাগারে
৩ মাস আগে