ডিম-জুতা নিক্ষেপ
সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুকে লক্ষ্য করে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে নেওয়ার সময় তাকো লক্ষ্য করে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় টুকুর বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন তারা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) পাবনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুস্তাফিজুর রহমানের আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক এমপি শামসুল হক টুকুকে আদালতে তোলার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তার দিকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে। পরে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে আদালতে নেওয়া হয়।
পরে গাড়িতে ওঠার সময় শামসুল হক টুকু জানান, তিনি খুব ভালো আছেন। পাবনাবাসী ভালো থাকুক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, ‘এই মামলাটি একটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলা। যার কোনো সত্যতা নেই। শুধুমাত্র হয়রানির করার জন্য অসত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মামলা করা হয়েছে।’
পাবনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বরকউল্লাহ ফাহাদ বলেন, ‘তিনি (টুকু) কি করে বলতে পারে খুব ভালো আছে? তার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে শ্বশুর বাড়িতে আছে! তিনি একজন ফ্যাসিবাদের শীর্ষ কর্তা ও খুনি। জেলের মধ্যেও তার মতো খুনিরা এরকম আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে সাবেক গাসিক মেয়রকে ডিম, জুতা ও ঝাড়ু নিক্ষেপ
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের হাতে হাতকড়া ও পায়ে ডান্ডাবেড়ি পড়ানো উচিত ছিল। আমরা এই সকল খুনিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’
পাবনার বেড়ার বৃশালিখার ব্যবসায়ী মীর্জা মেহেদী হাসান বাদী হয়ে গত ৬ নভেম্বর পাবনার আদালতে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন।
মামলায় টুকু ছাড়াও তার ভাই সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন, ছেলে সাবেক পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জনসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৬ মে অভিযুক্ত সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ অন্যরা ব্যবসায়ী মির্জা মেহেদী হাসানের মার্কেট, জমি দখলসহ চাঁদাবাজী করেছিলেন। এছাড়া পটপরিবর্তনের পরে গত বছরের ১০ ও ১২ সেপ্টেম্বর টুকুর দোসররা একইভাবে চাঁদাবাজীসহ ওই জমিতে যেতে দেননি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বেড়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
৮৩ দিন আগে
সাবেক বিচারপতি মানিক কারাগারে, আদালত প্রাঙ্গণে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে নেওয়ার সময় ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসেনের আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক আইনে সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ কারাগারে
৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে মানিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোর্ট পরিদর্শক জামসেদ আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানিককে আদালতে তোলার সময় অনেকে তার দিকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে জনতা। এসময় কয়েকজন হামলার চেষ্টাও চালান।
পরে কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে তাকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। ৪টা ২০ মিনিটে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, শুক্রবার রাতে অবৈধভাবে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মানিককে আটক করে বিজিবি।
মানিক স্থানীয়দের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা যায়।
আটকের পর স্থানীয়রা তাকে মারধর করে এবং টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, সাবেক মন্ত্রী রমেশ কারাগারে
২১৮ দিন আগে