আইন উপদেষ্টা
উচ্চ আদালতে আমাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই: আইন উপদেষ্টা
উচ্চ আদালতের ওপর আমাদের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ছিল ফ্যাসিস্ট, তাদের কোনো নীতি ছিল না। তারা চিফ জাস্টিসকে পর্যন্ত গলা ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা সেই সরকার না। উচ্চ আদালতের স্বাধীনতার ওপর আমরা অনেক শ্রদ্ধাশীল।’
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশু আছিয়া হত্যার ঘটনায় নিম্ন আদালতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে। মনে হয় আমরা খুব দ্রুত শিশু আছিয়ার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় পাব।’
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহা হত্যা একটা পাশবিক হত্যা ছিল। এতে আমরা সবাই বিচার চেয়েছি। এটাও বুঝতে হবে কোনো মামলা উচ্চ আদালতে বা হাইকোর্টে থাকে তখন এটা সম্পূর্ণভাবে হাইকোর্টের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়।’
আরও পড়ুন: গড়ে প্রতিবছর ৫ লাখ মামলা দায়ের হয়: আইন উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘এটা কার্যতালিকায় কত নম্বরে আসবে, কবে বিচার হবে সেটা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে হাইকোর্ট ঠিক করে। এখানে আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা রাখার অবকাশ নেই।’
তিনি বলেন, ‘কাউকে দোষী করার আগে ভালো করে জেনে করতে হয়। আপনাদের মতো আমিও আশা করি, যাতে এটার বিচার দ্রুত হয়। দোষীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়।’
৩ দিন আগে
গড়ে প্রতিবছর ৫ লাখ মামলা দায়ের হয়: আইন উপদেষ্টা
দেশে গড়ে প্রতিবছর পাঁচ লাখ মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আর জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় ৩৫ হাজার মামলা। সংস্থাটিতে বছরে দুই লাখ মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হলে আদালতে মামলার চাপ কমপক্ষে ৪০ শতাংশ হ্রাস পাবে।’
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আলোচনায় সন্তুষ্ট বিএনপি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিচারকাজে বিড়ম্বনা কমানো, সময় বাঁচানো ও অর্থ ব্যয় কমানো। এজন্য এরইমধ্যে আমরা বেশকিছু সংস্কারকাজ করেছি। এটা হয়তো খুব বেশি বোঝা যাচ্ছে না কিন্তু যারা আইন বিশেষজ্ঞ আছেন, তাদের বোঝার কথা।
সংশোধনের কিছু উদাহরণ দিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘দেওয়ানী কার্যবিধির যুগান্তকারী বেশকিছু সংশোধন করা হয়েছে, যা উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। আশা করছি, উপদেষ্টা পরিষদের আগামী সভায় এটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করবে।’
ফৌজদারী কার্যবিধিতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘যদি বিচার করার সময় অর্ধেকে নামিয়ে আনা যায় এবং ৪০ শতাংশ মামলা জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রধান সংস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যায়, তাহলে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য অনেক বড় একটা কাজ করা হবে।’
পারিবারিক মামলা, এনআই এক্টের মামলা, আপসযোগ্য ফৌজদারি মামলাসহ ছোট ছোট মামলাগুলো বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় পাঠানো সম্ভব হলে আদালতগুলোতে বিপুল সংখ্যক মামলাজট কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোতে মাত্র একজন করে সহকারী/সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার বিচারক কাজ করছেন। কাজের গতি বাড়াতে এসব অফিসে একজন সিনিয়র সহকারী জজ ছাড়াও একজন যুগ্ম জেলা জজ এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে আমরা এমন একটা পর্যায়ে উন্নীত করতে চাই, যেখানে অন্তত এক লাখ মামলা নিষ্পত্তি হবে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে সেখানে দুই লাখ মামলা নিষ্পত্তি হবে। এটা করা সম্ভব হলে, বাংলাদেশে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য অনেক বড় সুবিধা তৈরি করবে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সেরা প্যানেল আইনজীবীর হাতে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন আইন উপদেষ্টা।
৩ দিন আগে
আলোচনায় সন্তুষ্ট বিএনপি, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
আইন-উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ইতোপূর্বে উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে 'যত দ্রুত সম্ভব' জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে বুধবার(১৬ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের অর্থ এই নয় যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত করবেন বা ক্ষমতায় থাকার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি মোটেও এমন নয় যে, তারা অহেতুক এক মাস বা দুই মাস ক্ষমতায় থাকতে চান।
জাতির প্রতি প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালের জুনের পর আর যাওয়ার সুযোগ নেই।তিনি বলেন, 'আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, কে কী বলুক না কেন। প্রধান উপদেষ্টা বারবার জাতির উদ্দেশে এ কথা বলেছেন। এটাই অবস্থান।’ সকলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিএনপির প্রতিনিধি দলকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলেছি। বিএনপি বরাবরই সংস্কারপন্থী রাজনৈতিক দল। ড. আসিফ নজরুল বলেন, 'মনে হচ্ছে বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: ফখরুল
আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি শিগগিরই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসবে এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে। সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি খুবই আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি হলে তা নির্বাচন ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, বিএনপি খোলামেলা কথা বলেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত তাদের বিরুদ্ধে গেছে বলে উল্লেখ করেছে। উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা তাদের উদাহরণ দিয়েছি যে, অনেক সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে গেছে।’
তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি নেতারা) বলেছেন, বিএনপি গত ১৫ বছর ধরে নির্যাতিত। আমরা সম্মান দেখিয়েছি। তারা বলেছে, বিএনপি একটি সংস্কারপন্থী দল, আমরা এতে একমত হয়েছি।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা মোটেও সন্তুষ্ট নন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে এবং নিয়ন্ত্রণে আনা খুব কঠিন হবে।
বিএনপির প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, অবশ্যই বিএনপি মহাসচিবের এ কথা বলার অধিকার আছে, কারণ আলোচনা থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখে। ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, তারা খুশি এবং তারা তাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।’
সম্ভাব্য নির্বাচন পেছানোর কারণে বিএনপির আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সতর্ক থাকায় ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপির মতামতকে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আদিলুর রহমান খান ও ড. আসিফ নজরুল।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ইএউএনবি
১৫ দিন আগে
৭ হাজারের বেশি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
গত সরকারের আমলে দায়ের করা সাত হাজার ১৮৪টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে আইন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এমন মামলা আসে, যেটা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা না। এ বিষয় আমাদের অফিসাররা খুব আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।’
এ সময় মডেল মেঘনাকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, মেঘনার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে । তদন্ত শেষে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা জানান, মেঘনাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া এখনও ঠিক হয়নি।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায়ও কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা সরকার এ বিষয়ে তদন্তে গড়িমসি করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি: আইন উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে বিপুল পরিমান টাকা লুট করা হয়েছে সেটি নিয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ কমিটিতে আমি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কমিটিতে গভর্ণরসহে আরও অনেকেই রয়েছে।’
তিনি জানান, ব্যাংক থেকে ২ বিলিয়ন ডলার লুট করার পরিকল্পনা ছিল হ্যাকারদের। সেটি হলে দুর্ভিক্ষে পড়ত বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে সিআইডির তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তারা এ ঘটনায় জড়িত ছিল তাদের কমিটি থেকে বাদ দিতে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া এ ঘটনায় সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
১৮ দিন আগে
মডেল মেঘনাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি: আইন উপদেষ্টা
বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মেঘনাকে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে, তবে তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া এখনও ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ৷
তিনি জানান, মডেল মেঘনার ব্যাপারে কিছু অভিযোগ আছে, সে বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মেঘনাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া এখনও ঠিক করেনি প্রশাসন।’
আরও পড়ুন: মডেল মেঘনা আলম কারাগারে
এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের একটি অনানুষ্ঠানিক অভিযোগের ভিত্তিতে মডেল মেঘনাকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন আদালত। মেঘনা এখন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্তে শেখ হাসিনা সরকার গড়িমসি করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ড. আসিফ নজরুল। এ ঘটনায় সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় আওয়ামী সরকারের আমলে দায়ের করা ৭ হাজার ১৮৪ টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে আইন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করেছে বলেও জানান তিনি। তবে এই কার্যক্রম পরিচালনার সময় হয়রানি ছাড়াও অন্য মামলাও আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের সময় কিছু ভিন্ন মামলাও চলে আসে। আমাদের অফিসাররা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’
১৯ দিন আগে
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৬২০২ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মোট ৬ হাজার ২০২টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি মাঠ পর্যায়ের কমিটির উপস্থাপন করা ৬ হাজার ২৯৫টি মামলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ সুপারিশ করেছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কমিটির প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৮টি সভা করেছে। অনুষ্ঠিত সভাগুলোতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে মোট ৬ হাজার ২৯৫টি মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, বিগত সরকারের ১৬ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে আইন উপদেষ্টাকে সভাপতি করে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সভাপতি করে মাঠ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ভাইয়ের কারাদণ্ড
মাঠ পর্যায়ের কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা এবং আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটরের কার্যালয়ের মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে রেহাই দেওয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
৪৬ দিন আগে
রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে সভাপতি করে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করেছে সরকার।
বুধবার (১২ মার্চ) ছয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিটিতে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদাকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তকাজের অগ্রগতি ও এ সংক্রান্ত গৃহীত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপ পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ব্যয়বহুল হচ্ছে
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটি প্রয়োজন অনুসারে সভা করতে পারবে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।
৫০ দিন আগে
ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে খোলা হচ্ছে ‘হটলাইন’: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি হটলাইন খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ধর্ষণের মামলা তদারকির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সেলও খোলা হচ্ছে।
রবিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ব্যাপারে প্রতিকার নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি আলাদা হটলাইন দেওয়া হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। এটি হবে টোল ফ্রি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘হট লাইন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অভিযোগ জানানো যাবে। এটা তদারকি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটা ডেডিকেটেড সেল থাকবে।’
‘একই সঙ্গে ধর্ষণের মামলাগুলো তদারকির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আলাদা সেল থাকবে। যেখানে মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে কালক্ষেপণ না করা হয়, সেটি দেখা হবে।’
দিনাজপুরের শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুলের জামিন আপিল বিভাগে বাতিল হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক সময় অনেক প্রত্যাশা মাফিক আমরা কাজ করতে পারি না। সেটা নিয়ে যন্ত্রণা ও আত্মদহন থাকে।’
‘বাংলাদেশে এখন যে নারীর প্রতি সহিংসতা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে— এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই সরকারের পুরো প্রশাসন এই মামলাগুলোতে সুবিচার নিশ্চিত ও যৌন হয়রানি বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর।’
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আজ (রবিবার) মিটিংটা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই আপনাদের মতো ডিস্টার্বড(অতিষ্ট)। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের আরও অনেক কঠোর হতে হবে। এখন থেকে যেকোনো ধরনের মব জাস্টিসকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
৫৩ দিন আগে
৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করার পাশাপাশি বিচারকাজ ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্তকাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে হবে।
মাগুরায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারা দেশে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে নানা মহল থেকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
৫৩ দিন আগে
দেশ পরিচালনায় কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা স্বীকার আইন উপদেষ্টার
দেশ পরিচালনায় কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, পরিস্থিতির উত্তরণে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পিটিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, নতুন বাংলাদেশে কয়েকটি ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছে সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পুলিশ বাহিনী।
‘নিয়োগ থেকে শুরু করে বাহিনীটির সবক্ষেত্রেই ভঙ্গুরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় বেশ কিছু জায়গায় ব্যর্থতা থাকলেও তা উত্তরণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’
আরও পড়ুন: সাড়ে ১৬ হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা কোটি কোটি টাকা খরচ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনোর চেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের কিছু অংশ দেশের বাইরে পালিয়ে গেলেও অধিকাংশই দেশের ভেতরে অবস্থান করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, একই অনুষ্ঠানে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, একটি গোষ্ঠী চাচ্ছে না দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করুক। চেষ্টা করছে যেভাবে হোক দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে। তবে বর্তমান সরকার মানবাধিকারের ওপরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। অপারেশন ডেভিল হান্টে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীরা ধরা পড়ছে বলেও উল্লেখ করেন আইজিপি।
৬৬ দিন আগে