আইন উপদেষ্টা
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৬২০২ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মোট ৬ হাজার ২০২টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি মাঠ পর্যায়ের কমিটির উপস্থাপন করা ৬ হাজার ২৯৫টি মামলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ সুপারিশ করেছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কমিটির প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৮টি সভা করেছে। অনুষ্ঠিত সভাগুলোতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে মোট ৬ হাজার ২৯৫টি মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, বিগত সরকারের ১৬ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে আইন উপদেষ্টাকে সভাপতি করে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সভাপতি করে মাঠ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ভাইয়ের কারাদণ্ড
মাঠ পর্যায়ের কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা এবং আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটরের কার্যালয়ের মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়।
নিরাপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে রেহাই দেওয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে সভাপতি করে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি করেছে সরকার।
বুধবার (১২ মার্চ) ছয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিটিতে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদাকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তকাজের অগ্রগতি ও এ সংক্রান্ত গৃহীত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপ পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ব্যয়বহুল হচ্ছে
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটি প্রয়োজন অনুসারে সভা করতে পারবে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।
৬ দিন আগে
ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে খোলা হচ্ছে ‘হটলাইন’: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি হটলাইন খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ধর্ষণের মামলা তদারকির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সেলও খোলা হচ্ছে।
রবিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির ব্যাপারে প্রতিকার নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি আলাদা হটলাইন দেওয়া হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। এটি হবে টোল ফ্রি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘হট লাইন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অভিযোগ জানানো যাবে। এটা তদারকি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটা ডেডিকেটেড সেল থাকবে।’
‘একই সঙ্গে ধর্ষণের মামলাগুলো তদারকির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আলাদা সেল থাকবে। যেখানে মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে কালক্ষেপণ না করা হয়, সেটি দেখা হবে।’
দিনাজপুরের শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুলের জামিন আপিল বিভাগে বাতিল হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক সময় অনেক প্রত্যাশা মাফিক আমরা কাজ করতে পারি না। সেটা নিয়ে যন্ত্রণা ও আত্মদহন থাকে।’
‘বাংলাদেশে এখন যে নারীর প্রতি সহিংসতা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে— এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই সরকারের পুরো প্রশাসন এই মামলাগুলোতে সুবিচার নিশ্চিত ও যৌন হয়রানি বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর।’
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে আজ (রবিবার) মিটিংটা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই আপনাদের মতো ডিস্টার্বড(অতিষ্ট)। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের আরও অনেক কঠোর হতে হবে। এখন থেকে যেকোনো ধরনের মব জাস্টিসকে কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
৮ দিন আগে
৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করার পাশাপাশি বিচারকাজ ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্তকাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে হবে।
মাগুরায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারা দেশে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে নানা মহল থেকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
৮ দিন আগে
দেশ পরিচালনায় কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা স্বীকার আইন উপদেষ্টার
দেশ পরিচালনায় কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, পরিস্থিতির উত্তরণে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পিটিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, নতুন বাংলাদেশে কয়েকটি ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছে সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পুলিশ বাহিনী।
‘নিয়োগ থেকে শুরু করে বাহিনীটির সবক্ষেত্রেই ভঙ্গুরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় বেশ কিছু জায়গায় ব্যর্থতা থাকলেও তা উত্তরণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’
আরও পড়ুন: সাড়ে ১৬ হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা কোটি কোটি টাকা খরচ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনোর চেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের কিছু অংশ দেশের বাইরে পালিয়ে গেলেও অধিকাংশই দেশের ভেতরে অবস্থান করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, একই অনুষ্ঠানে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, একটি গোষ্ঠী চাচ্ছে না দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করুক। চেষ্টা করছে যেভাবে হোক দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে। তবে বর্তমান সরকার মানবাধিকারের ওপরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। অপারেশন ডেভিল হান্টে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীরা ধরা পড়ছে বলেও উল্লেখ করেন আইজিপি।
২১ দিন আগে
সাড়ে ১৬ হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া ১৬ হাজার ৪২৯টি গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এরমধ্যে এক হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।’
‘১৬ হাজার ৪২৯টি মামলার তালিকা করা হয়েছে। তালিকার পর প্রতিটি মামলার রেকর্ড ঘেঁটে আমাদেরকে দেখতে হয়, এটা জেনুইনলি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা কিনা; নাকি এটা কোনোরকম অনিয়ম বা কারচুপি করে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির মামলা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাবি-সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
‘ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির হত্যা মামলাতো প্রত্যাহার করতে পারি না। প্রতিটা কেস রেকর্ড দেখে-দেখে নিশ্চিত হতে হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় ১৬ হাজার ৪২৯টি গায়েবি মামলার মধ্যে এক হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। আর এক হাজার ২১৪টি মামলার মধ্যে ৫৩টি মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত গেজেট আজ-কালকের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে,’ বলেন তিনি।
মামলা প্রত্যাহারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা করেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা ওনাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গায়েবি মামলা হচ্ছে আওয়ামী লীগ আমলে নিপীড়নের উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত সব মামলা
বিগত সরকারের আমলে কথা বলা বা লেখালেখির কারণে (স্পিচ অফেন্স) ৩৯৬টি মামলা করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় পাবলিক পসিকিউটরদের মাধ্যমে এরইমধ্যে ৩৩২টি মামলা প্রত্যাহার করেছে। ৬১টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটাও আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারি মাস যখন শেষ হবে, তখন স্পিস অফেন্স সংক্রান্ত আর কোনো মামলা সাইবার সিকিউরিটি আদালতে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘তবে তিনটি মামলা আমরা প্রত্যাহার করতে পারবো না। কারণ উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেগুলো স্থগিত রয়েছে।’
পাওয়ার অব এটর্নি বিধিমালা সংশোধন
আসিফ নজরুল বলেন, ‘২০১৫ সালের পাওয়ার অব এটর্নি বিধিমালা নিয়ে প্রবাসীরা প্রচুর অভিযোগ করত। এই বিধিমালা অনুযায়ী কেউ যদি পাওয়ার দিতে চাইতো; তবে তার পাসপোর্ট থাকতে হতো, বাংলাদেশের দূতাবাসে গিয়ে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হতো। প্রবাসীদের সন্তানরা অনেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেন না। তাই তাদের পক্ষ থেকে পাওয়ার অফ এটর্নি হতে গেলে অনেক জটিলতা হতো।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি বিচারপতি আব্দুর রউফের মৃত্যুতে আইন উপদেষ্টার শোক
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে আমরা এই বিধিমালার সংশোধন এনেছি। সংশোধন অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশিদের যদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট না-ও থাকে, তাহলেও তারা তাদের পাওয়ার অব এটর্নি সম্পাদন করতে পারবেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির পাসপোর্টে নো ভিসা রিকোয়ার স্টিকার থাকলে, কিংবা তার জন্ম সনদ থাকলে কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে তিনি বিদেশ থেকে পাওয়ার অব এটর্নি সম্পাদন করতে পারবেন। আমি মনে করি এটি আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের ভোগান্তি লাঘবে বিরাট ভূমিকা রাখবে।’
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে মামলা ও তদন্তের গতি যাতে ধীর না হয় এজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
৩৪ দিন আগে
ঢাবি-সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এগুলোতো অনাকাঙ্ক্ষিত। এগুলো এড়িয়ে চলার জন্য আমরা আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করব।'
আরও পড়ুন: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যা করলে এটা সমাধান হবে, সেটা করার চেষ্টা করব।'
৪৯ দিন আগে
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ হবে কাউন্সিলের মাধ্যমে, অধ্যাদেশ জারি
স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) `সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর গেজেট জারি হয়েছে।
এরআগে এদিন সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ কথা জানান। গত ১৭ জানুয়ারি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ ২০২৫ এর গেজেট আজকে জারি হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন, বিগত সরকারের সময় যে অনাচার হতো, মানবাধিকার লঙ্ঘন হতো, মানুষকে যে দমন-নিপীড়ন করা হতো—সেটার একটা বড় প্ল্যাটফর্ম ছিল উচ্চ আদালত। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরেও মানুষ সেখানে প্রতিকার পেতেন না।
আরও পড়ুন: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
‘কারণ ছিল উচ্চ আদালতে রাজনৈতিক সরকারগুলো সম্পূর্ণভাবে দলীয় বিবেচনায়, অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্য লোকদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিত। উচ্চ আদালতে বিচারক হিসেবে যদি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ না পান, তবে ১৮ কোটি মানুষের মানবাধিকারের প্রশ্নটি অমীমাংসিত ও ঝুঁকির মধ্যে থেকে যায়।’
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে দক্ষ, অভিজ্ঞ, দল নিরপেক্ষ, প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা বিচারক নিয়োগ পাবেন—এমন একটি চাহিদা সমাজে বহু বছর যাবত ছিল। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সংগঠন থেকে এই ধরনের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল।
আসিফ নজরুল বলেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে, এই আইনটা হয়েছে। আইনটি রচনা করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অফিস থেকে একটা ড্রাফট (খসড়া) পাঠানো হয়েছিল, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন থেকে একটা খসড়া পাঠানো হয়েছিল। ২০০৮ সালে এরকম একটি অধ্যাদেশ করার প্রক্রিয়া ছিল সেটার কপি—কিছু পর্যালোচনা করেছি আমরা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা একটি পরামর্শক সভা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি ভালো একটা আইন করার জন্য।
আধ্যাদেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল করার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেই কাউন্সিল হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুজন বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারক ও এটর্নি জেনারেল—তাদেরকে নিয়ে এ কাউন্সিল গঠন করা হবে।
‘এ কাউন্সিল প্রথমে যাচাই-বাছাই করবে। তারা নিজ উদ্যোগে অনেক নাম সংগ্রহ করবেন। একই সঙ্গে যে কোনো মানুষ, যে কোনো আইনজীবী বা যে কেউ কাউকে রেফার (বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার জন্য) করে চিঠি পাঠাতে পারবেন। সেটা উন্মুক্ত থাকবে। কাউন্সিল প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করার পর ইন্টারভিউ নেবেন।’
আরও পড়ুন: বিবাহ কর বাতিল, ডকুমেন্ট সত্যায়ন এখন অনলাইনে
আসিফ নজরুল বলেন, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে বিচারকরা নিয়োগ পাবেন। আশা করছি, উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টে যে পরবর্তী নিয়োগ আছে, আগের যে কোনো আমলের চেয়ে একটা বেটার নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ দিতে পারব।
জুডিশিয়াল সার্ভিস এবং আইনজীবীদের মধ্য থেকে এখন হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন আইন অনুযায়ী দুই ক্ষেত্র থেকে নিয়োগের জন্য কোনো অনুপাত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, এটি দীর্ঘদিনের টেনশন—কতজন আইনজীবী থেকে বিচারক করা হবে আর কতজন নিম্ন আদালতের বিচারক থেকে করা হবে। আমরা এটা কাউন্সিলের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব যাতে থাকে।
৫৫ দিন আগে
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
দুদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার পরও ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে ওই চুক্তির লঙ্ঘন হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে এ বিষয়ে (ইন্টারপোলের) রেড এলার্ট জারি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপরও ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যার্পণ চুক্তি সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সেই ব্যাপারে আমরা বিশ্ব সমাজে পদক্ষেপ নেব; সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যা যা করণীয় আছে, আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্রবিশেষে চিন্তা করে আমরা করব।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে সরকার সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সহায়তা নেব।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৫৫ দিন আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা
আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিতে আইনের খসড়া করছে সরকার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সুপারিশের আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এর সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এই আইন সংশোধনী অধ্যাদেশ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, অধ্যাদেশটি পাস হলে সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন সহায়তা করেছে আইন মন্ত্রণালয়। চিফ প্রসিকিউটরসহ ১১ জন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে ২৩৯ জন আইন কর্মকর্তা তথা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, নতুন আইনের মাধ্যমেই পরবর্তী বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারক, রেজিষ্ট্রেশন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব সংগ্রহ করা হয়েছে। এই হিসাব বিবরণী এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন অধ্যাদেশ হচ্ছে, সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের বিচারের ধারা যুক্ত হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘একটা-দুটো দিন অপেক্ষা করেন। আর সংশোধনীটা তো উপদেষ্টা পরিষদকে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাবনায় যেটা আছে সেখানে আদালতকে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে আদালত যদি মনে করেন, তাহলে তারা এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কনসার্ন অথরিটির কাছে সুপারিশ করতে পারেন।’
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ সহ মোট ১০টি অধ্যাদেশ প্রণয়ণে ভেটিং সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯৫টি প্রজ্ঞাপন, ৩৩টি বৈদেশিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ভেটিং করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই-তিন দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
১১৮ দিন আগে