উপাধ্যক্ষ
বরিশাল শেবাচিম উপাধ্যক্ষসহ ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণে উপাধ্যক্ষসহ ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) শিক্ষার্থীরা।
এসময় শেবাচিম উপাধ্যক্ষসহ ৮ জন চিকিৎসকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি হাসপাতালের ৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ ২ বছরের জন্য স্থগিতের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এসব চিকিৎসকদের ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি পেশ করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম ৮ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এছাড়া ৬ ইন্টার্ন চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জানান, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট সুদীপ কুমার হালদার, আবসিক সার্জন মাসরেফুল ইসলাম সৈকত, মেডিকেল অফিসার শিরিন সাবিহা তন্নী, ইন্টারন্যাল মেডিকেল এ.এস.এম. সায়েম, হাসপাতালের সাবেক পরিচালক বাকির হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সরোয়ার, উপাধ্যক্ষ জিএম নাজিমুল হক, সহকারী অধ্যাপক সৌরভ সুতারের পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি তাদের ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। এছাড়া ইন্টার্ন চিকিৎসক মহসীন বিভা, আরিফুজ্জামান ইমন, সাদমান বাকির সাবাব, প্রীতম দেবনাথ, অর্ঘ্য বিশ্বাস ও আসিফুল ইসলামকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি আমরা।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তারা ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি তালিকা প্রণয়ন করে সরকারি সংস্থার কাছে প্রদান করেছে। এছাড়া আন্দোলন বানচালের উদ্দেশে শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে চিকিৎসকরা নৈতিকভাবে তাদের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে বলে মনে করছি।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দায়িত্বরত ৪ জনকে অবিলম্বে বদলির ব্যবস্থা করা হবে।
শেবাচিম হাসপাতালের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ৬ শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কমিটি গঠন নিয়ে ইন্টার্নদের ধর্মঘট, শেবাচিমে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
শেবাচিম হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম
৩ মাস আগে