বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি
বন্যার্তদের জন্য তিন মাসব্যাপী বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি গ্রহণ
বন্যায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৪ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সাশ্রয়ী মূল্যে চাল ও আটা সরবরাহের লক্ষ্যে দুর্গত এলাকার পৌরসভা/ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকেদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৪২ শতাংশ
তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর ২৩০টি কেন্দ্রে স্পেশাল ওএমএস দেওয়া হবে। প্রতিকেন্দ্রে ১ টন চাল ও ১ টন আটা হিসেবে প্রতিদিন ২৩০ টন চাল ও ২৩০ টন আটা বিক্রি করা হবে।
বন্যা দুর্গত এলাকায় যে কেউ এ সেবা নিতে পারবেন জানিয়ে খাদ্য সচিব বলেন, প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ২৪ টাকা ও প্যাকটে আটা (২ কেজির প্রতি প্যাকেট) ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।
খাদ্য সচিব আরও বলেন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে এ কার্যক্রমে সর্বমোট ১৪ হাজার ৪৯০ টন চাল ও ১৪ হাজার ৪৯০ টন আটা বিক্রি করা হবে। এছাড়া এই ৩ মাসে চাল বাবদ ৪১ কোটি ১২ লাখ টাকা ও আটা বাবদ ৪৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকাসহ মোট ৯০ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৮২ টাকার খাদ্য ভর্তুকি দেওয়া হবে।
অন্যদিকে সারাদেশে ওএমএস কার্যক্রমের তথ্য দিয়ে সচিব জানান, বর্তমানে সারাদেশের সব সিটি করপোরেশন, শ্রমঘন ৪টি জেলা (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী), সারাদেশের সব জেলা সদর ও পৌরসভায় ওএমএস খাতে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। সারাদেশে সর্বমোট ৯১২টি কেন্দ্রে (৯১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯১০টি কেন্দ্রে চাল ও আটা এবং ২টি কেন্দ্রে শুধু আটা) দৈনিক মোট ৯১০ টন চাল ও ১ হাজার ২৬০ দশমিক ৫০ টন আটা ওএমএস কার্যক্রম চলমান। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১১৮টি দোকান, ৭০টি ট্রাক ও ইনোভেশনের আওতায় ৩টি কেন্দ্রসহ মোট ১৯১টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই: খাদ্য সচিব
যমুনাতীরে ১৫১১০ পরিবারকে সাইলো ও গো-খাদ্য বিতরণ
২ মাস আগে