ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
প্রকল্পের দুর্নীতি-অনিয়ম রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছে, সকল দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ক্রয় প্রক্রিয়ায় ‘পিপিএ-২০০৬’ এবং ‘পিপিআর-২০০৮’- এর বিধি-বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রকল্প পর্যায়ে বহুস্তরে দুর্নীতি হয়ে থাকে। প্রথমত প্রকল্পগুলো যেভাবে বানানো হয় তখনই নিয়মের অনেক ব্যতিক্রম হয়। এর থেকেও বড় কথা হলো প্রকল্পগুলো যখন অনুমোদন হয়, অনুমোদনের পরে যে ক্রয়নীতির মাধ্যমে যাদের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়, এগুলোর মধ্যে অনেক ফাঁক-ফোকর আছে। দেখা যায়, একই প্রতিষ্ঠান বারবার ওই প্রকল্পগুলো পেয়ে যাচ্ছে। কেন পেয়ে যাচ্ছে এজন্য কিছু নীতি, নিয়ম-কানুন দায়ী।’
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘যতদূর পারা যায় প্রকল্পগুলো পরিকল্পনার সময়ে যেন দুর্নীতির সুযোগ কম থাকে, সেটা একটা বিষয়। আর একটা বিষয় হলো- প্রকল্প পাস হওয়ার পর যখন ঠিকাদারকে দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়, সেই সময় সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়।’
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পগুলো যে খরচে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা বাড়তে থাকে। ব্যয় বাড়তে থাকে, সময় বাড়তে থাকে। এগুলো কীভাবে কমানো যায় এবং ঠিকাদারদের নিয়োগ আর একটু কীভাবে নিয়মসিদ্ধ করা যায়। যেন এতে দুর্নীতি কমানো যায়।’
টেন্ডার ব্যবস্থায় সর্বোৎকৃষ্ট নিয়ম বলে কিছু নেই জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এগুলো বিভিন্নভাবে করা হয়ে থাকে। এমন কোনো নিয়ম নেই যেটাতে সবচেয়ে ভালো। কিন্তু আমাদের দেশের উপযোগী করে এতদিন পর্যন্ত যা দেখেছি সেখানে যে দুর্নীত হয়েছে, তা কমানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, যাদের দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে টেন্ডারিং প্রক্রিয়াটায় সেটা দেশি, বিদেশি এবং বিদেশিদের সঙ্গে সহযোগী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান- এগুলোর জোগসাজশ কীভাবে কমানো যায়, সোজা কথা যেন দুর্নীতিমুক্ত করা যায়। শুধু এই আমলেই নয় ভবিষ্যতেও সেই ব্যবস্থা করা।
সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: জবির শিক্ষার্থীদের দাবি ৩ দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টার
১ সপ্তাহ আগে
শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ চীনের
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭
এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন ও বাংলাদেশের লক্ষ্য শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের মাধ্যমে মেধার উন্নয়ন ঘটানো। এ লক্ষ্যে চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে।
এ সময় তারা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
চীনের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার কথাও জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।
এসময় ইয়াও ওয়েন চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশগ্রহণে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত উচ্চ শিক্ষা প্রদর্শনীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের ভাষা-সংস্কৃতি শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত।
শিক্ষা উপদেষ্টা চীনের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সম্প্রসারণে আগ্রহের কথা জানান।
তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে ‘লুবান কর্মশালা’র মাধ্যমে চীন সরকারের সহযোগিতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট 'খুব নোংরা', শিগগিরই পরিবর্তন প্রয়োজন: অর্থ উপদেষ্টা
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন
২ মাস আগে