স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন
রবিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাবে
রবিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১২ সালের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০২৪ সাল পর্যন্ত গবেষণা আকারে ছিল। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আমার চাকরির বয়স ২১ দিন। ২১ দিন আগে আমি এসে দেখেছি এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ
তিনি আরও বলেন, আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কারণে এটা মন্ত্রিপরিষদে যায়নি। প্রধান উপদেষ্টাকে কথা দিয়েছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদে পাঠিয়ে দেব। রবিবারের মধ্যে এই আইন খসড়া আকারে মন্ত্রিপরিষদে যাবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন আরও ভালো করে দেখতে গেলে এটা অন্তত আরও ১২ মাস সময় লাগত।
তিনি বলেন, আমাদের একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে যেন আগের আইনটাই হুবহু না হয় এবং সময়ের চাহিদার সঙ্গে এই আইনটা আপডেট করা যায়।
এছাড়া আমাদের জন্য যদি কোন ত্রুটি থাকে, কেবিনেট কমিটি সেটা পরীক্ষা করে দেখবেন বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
আরও পড়ুন: মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মেয়াদ শিগগিরই শেষ হচ্ছে, আলোচনায় ৪ প্রার্থী
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন মন্ত্রিপরিষদে
৩ মাস আগে
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের দাবিতে ঢামেকের চিকিৎসকদের নতুন কর্মসূচি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক আইনের খসড়া প্রণয়নের দাবিতে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢামেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ।
আরও পড়ুন: ঢামেকে চিকিৎসকদের ওপর হামলা: গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার ১
প্রশাসনিক ভবনের গেটে সাংবাদিকদের কাছে এই কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন তিনি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান কর্মসূচির পর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা পুনরায় চালু করবেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমগুলো চলমান থাকবে।
তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও দৈনন্দিন কার্যক্রম সীমিত আকারে চলবে উল্লেখ করে ডা. আহাদ বলেন, রোগীদের সেবা পেতে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য ব্যক্তিগত ব্যক্তিগত চেম্বারও খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জয়কে আনা হচ্ছে ঢাকায়
চিকিৎসকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে অস্থিরতা নিয়ে আসতে সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের মিত্রদের একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ এই হামলা। সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডা. আহাদ সতর্ক করে বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না বাড়ানো হলে এ ধরনের হামলা আরও হতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জোরদার নিরাপত্তা দেখা যায়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের সেখানে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে শত শত নিরাপত্তাকর্মীর অবস্থানে বুঝা যায় চিকিৎসাখাতে কর্মরতদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে জরুরি সেবা চালু, বহির্বিভাগে সেবা এখনও বন্ধ
৩ মাস আগে