ত্রাণ উপদেষ্টা
ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো ও ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
এসময় প্রতিনিধি দল বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের ১১ জেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যায় ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বন্যার ত্রাণ কার্যক্রমের পর্যায়টা অতিক্রম করে পুনর্বাসন পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।’
বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সহায়তার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এগিয়ে এসেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা এই (পুনর্বাসন) কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
আরও পড়ুন: সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, ‘তারা দেশের অপার স্বেচ্ছাসেবা, অভূতপূর্ব সহযোগিতার জন্য প্রশংসা করেছেন। ত্রাণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনী ও জনগণের যে উদ্দীপনা তারা দেখেছেন, ত্যাগ তারা দেখেছেন- এটার প্রশংসা করেছেন।’
এছাড়াও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। কক্সবাজার এবং ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নে আরও সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে উপদেষ্টা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৩ মাস আগে
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থাগুলো পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: ত্রাণ উপদেষ্টা
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থাগুলো পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যার ত্রাণ কার্যক্রমের পর্যায়টা শেষ করে পুনর্বাসনের দিকে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের যে বিষয়টি, সেটির কাজ খুব দ্রুত চলছে।’
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজে ভলান্টিয়ারদের যা জানা জরুরি
উপদেষ্টা বলেন, আজ ইউএন (জাতিসংঘ) বডির ৮টি নানা রকমের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভা করেছি। তারা এই পুনর্বাসন কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, তারা বাংলাদেশের মানুষের অপার স্বেচ্ছাসেবা, অভূতপূর্ব সহযোগিতার জন্য প্রশংসা করেছেন। ত্রাণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনী ও জনগণের যে উদ্দীপনা তারা দেখেছেন। তারা যে ত্যাগ দেখেছেন- এটার প্রশংসা করেছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর কোন কোন বিষয়ে তারা সহযোগিতা দিতে পারেন সেটা আমরা নির্ণয় করে দিলে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত আশাবাদী, আমরা দুর্যোগ যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় অতিক্রম করতে পেরেছি, ভবিষ্যতে পুনর্বাসন কর্মসূচিও সম্পন্ন করতে পারব। এদিকে ডি-ফরমের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দেওয়ার একটি সময় রয়েছে। সেটি তিন সপ্তাহের মধ্যে দিতে হয়। আমরা সেটি এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বলেছি, যত দ্রুত করা যায়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসনে আমি যখন কথা বলেছি, তাদের দৃঢ়তা দেখেছি। তারা কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমার সার্বিক পর্যবেক্ষণ হলো একটি পরিবর্তিত সময় যেন আমাদের সামনে আসছে, আমরা আশাবাদী।
ক্ষুদ্র চিন্তা থেকে বড় চিন্তার দিকে যাওয়ার মতো দুঃসাহস আমাদের জেগেছে। মানুষের মধ্যে প্রত্যয় এসেছে বলে জানান উপদেষ্টা।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেকে ত্রাণ দিতে বুড়িগঙ্গা থেকে নৌকা নিয়ে গেছে। কিন্তু যখন পানি নেমে গেছে তখন তো আর নৌকা চলছে না। তাদের প্রাথমিক যে উচ্ছ্বাস ছিল, সেটা যখন ক্রমে স্থিমিত হয়েছে। তাদের পক্ষে আর সেখানে থাকাও সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের চট্টগ্রাম থেকে ক্রেইন এনে এগুলোয় (নৌকা) তুলে ট্রাকে করে ঢাকা পাঠাতে হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, অব্যবস্থাপনা যে একেবারে হয়নি সেটা তো নয়, আমরাও শিখছি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সরাসরি সহায়তা দেওয়ার সুযোগ
তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের সমন্বয়ক, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর, আইওএম চিফ অব মিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, ডব্লিউএফপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনিসেফ’র ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউএনআরসিও হিউম্যানেটিরিয়ান অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩ মাস আগে