পানিসম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকার খালগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার যেসব খাল এখনও উদ্ধার করা সম্ভব, সেগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘বিগত ১০০ বছরে ঢাকা শহরের নগর প্রতিবেশ, ভূমি ব্যবহার, জীববৈচিত্র্যে স্থানিক, সময়ানুক্রমিক পরিবর্তন ও কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ কর্মশালায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীতে পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধভাবে দখল খাল উদ্ধারে রাজউককে প্রতি সপ্তাহে অভিযান করতে হবে। কোনো অন্যায়কে বৈধতা দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, খাল উদ্ধারে অভিযান বাড়াতে হবে। ঢাকার উন্মুক্ত মাটিতে ঘাস লাগাতে হবে। এ কাজে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকার নগর পরিকল্পনায় সবুজায়ন, জীববৈচিত্র্য ও জলাভূমি সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সবুজ ও জলাভূমি রক্ষায় সব বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
এছাড়া পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন বলেও জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এসময় বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার ও বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক ও পরিবেশকর্মীরা অংশ নেন।
কর্মশালার শেষে ঢাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর পরে উপদেষ্টা রাবার বাগান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভা করেন। তাদের বিভিন্ন বক্তব্য শোনেন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
১ মাস আগে
অভিন্ন নদীতে পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ‘অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার’ শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়টি অত্যন্ত জটিল হলেও জরুরি তথ্য ভাগাভাগি রাজনীতি নয়। কোথায় কোথায় স্ট্রাকচার, কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত তা জানাতে পারে। সেক্ষেত্রে জানমালের ক্ষতি ও অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে জনগণের কথার প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালতে একটা দেশ এককভাবে যেতে পারে না, দুটো দেশকে যেতে হয়। বৃষ্টির পানির তথ্য শেয়ার করা ইস্যুটি মানবিক। মানুষকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।’
জোরালো ও স্পষ্টভাবে বাংলাদেশের দাবি জানানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু আন্তর্জাতিক নদীর হিস্যাই নয় অভ্যন্তরীণ নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা তাই সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের নদীগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে।’
বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সেমিনার পরিচালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মো. এজাজ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম ও অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, পরিবেশবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। নদী ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ, সঠিক পানির হিসাব এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
১ মাস আগে
নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে। ধানী জমি সুরক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সমস্যাগুলো সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ও জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বন্যা ও ভাঙন নিয়ে আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
রিজওয়ানা হাসান জানান, বন্যাদুর্গতদের দুর্দশা লাঘবে কাজ চলছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভাঙন ও লোনাপানি ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয়দের মতামত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা।
এর আগে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কোম্পানিগঞ্জের মুছাপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেগুলেটর ও জনতার বাজারের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এছাড়া মুছাপুর রেগুলেটরটি কেন এত দ্রুত ভেঙে পড়ল, তা তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১ মাস আগে
আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আড়িয়াল বিল পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও তার সঙ্গে ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আবাসনের নামে যে জমি দখল হয়েছে তা উদ্ধার করতে হবে। আড়িয়াল বিলে কোনো ভূমিদস্যু ঢুকতে পারবে না। পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে।’
ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: দুর্যোগকালীন সময়ে যেন দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সতর্কতা
এছাড়াও বিলের খালগুলো সংস্কার ও পুনর্খনন এবং অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘যারা রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে বিল দখল করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রীনগর, সিরাজদিখান, দোহার ও নবাবগঞ্জের চারটি উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া এই বিলটি দখলমুক্ত করে সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’
গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিলের জমিতে কোনো আবাসন গড়ে উঠতে দেওয়া হবে না এবং অবৈধ ভূমিদস্যুদের হাত থেকে বিলকে রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
এর আগে সকালে শ্রীনগর উপজেলা পরিষদে আড়িয়াল বিল সম্পর্কিত উপস্থাপনা ও ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা শোনেন সরকারের এই দুই উপদেষ্টা।
মতবিনিময় সভায় আরও ছিলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, জলাভূমি ও হাওর উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে এক দল চলে গেলে আরেক দল শূন্যস্থানে আসে: অর্থ উপদেষ্টা
২ মাস আগে
২ মাসের মধ্যে নদীর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
আগামী ২ মাসের মধ্যে দেশের নদীর সঠিক সংখ্যা চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডাব্লিউটিএ, নদী রক্ষা কমিশন এবং বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার রাতে বাংলাদেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ এবং সংকটাপন্ন নদ-নদীগুলোর দখল ও দূষণমুক্তকরণ নিয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
৬৪ জেলায় অন্তত ৬৪টি নদী চিহ্নিত করে নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে আগামী ২ মাসের মধ্যে সময়ভিত্তিক, ব্যয় সাশ্রয়ী, কর্মপরিকল্পনা দাখিল করতে এবং পরবর্তীতে সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে দখল উচ্ছেদ করার কথা জানান পানিসম্পদ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, যৌথভাবে প্রণয়নকৃত তালিকা জনমত ও আপত্তি দাখিলের সুযোগ দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত আপত্তি গ্রহণপূর্বক প্রযোজ্যক্ষেত্রে শুনানি গ্রহণ করতে হবে।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের সবচেয়ে দূষিত নদীর তালিকা প্রণয়ন করবে এবং দূষণকারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান ও তদারকি করবে। প্লাস্টিক দূষণে আক্রান্ত নদীর তালিকা করে দূষণ থেকে পরিত্রাণে কর্ম পরিকল্পনা করবে। পরিবেশ অধিদপ্তর সব নদীর জন্য ‘হেলথ কার্ড’ প্রস্তুত করবে, যা নদীর প্রাণসত্ত্বার পরিচয়। অভিযান পরিচালনায় ও পরবর্তীতে আবারও দখল ও দূষণ রোধ করতে এলাকাবাসী, তরুণ প্রজন্ম, সামাজিক সংগঠন, এনজিওদের সম্পৃক্ত করতে হবে ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিতে হবে। সব অফিসে প্লাস্টিকের পানির বোতল, প্লাস্টিকের ফোল্ডার ও প্লাস্টিক ব্যানার ব্যবহার পরিহার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিআইডাব্লিউটিএ ঢাকা সার্কুলার নৌপথের প্রস্তাবনার সর্বশেষ অবস্থা ও এই প্রস্তাবনার সম্ভাব্যতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মত বিনিময় করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনের আইনের সংশোধনের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। ব্যয়সহ চলমান ও বাস্তবায়িত নদী খনন প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত তালিকা ও প্রভাব বিষয়ে মতামত ও প্রভাব জানাতে হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নদী রক্ষা কমিশন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং পানি বিশেষজ্ঞদের পরিমাপে দেশে মোট নদীর সংখ্যায় ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নম্বর-৮৫৩৯/২০২১ এর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা কীর্তনখোলা, রূপসাসহ গুরুত্বপূর্ণ নদীসমূহের পাড় অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসকদের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন ব্যাগ বন্ধে এবং পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগের ব্যাপক প্রচলনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ক্যাম্পেইন করা হবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের পরিচালনার সভায় নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডাব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নদীরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি এবং বিভাগীয় কমিশনাররা বক্তব্য রাখেন।
২ মাস আগে