মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় ও বাওড় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাওড় বাওড় সমস্যা নিয়ে এ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমি যেটা খুব অবাক হই, আমার নিজের মন্ত্রণালয় হিসেবে আমাদের খুব অসহায় লাগে আপনাদের মতই। আমরা জেলেদের মন্ত্রণালয়। আমাদের জেলেদের জীবন-জীবিকা যেখানে চলে সেই হাওড়-বাওড় ভুমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা হাওড় বাওড় ইজারা দেয়, আর আমরা তখন কাতর হয়ে বলি—এটা আমাদের দেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদে প্রত্যেক পশুরহাটে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জল যার জলা তার, এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই প্রজন্মই সমাজের সকল বৈষম্য দূর করবে। প্রকৃত মৎসজীবীদের মাঝে বাওড়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সকল দপ্তরের কথা বলব। বাওড়পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে বাওড়ের প্রকৃত মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল পকে এ বিষয়ে সংহত হতে হবে।
এর আগে সকালে উপজেলার বলুহর বাওড় পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। সেসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল, খেত মজুর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ মৎস্য কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯১ দিন আগে
ভোক্তার খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃষকের স্বার্থও দেখতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
শহুরে মানুষের খাদ্যের জোগান ও দাম নাগালে রাখতে কৃষকের দিকটা না দেখেই আমদানির মাধ্যমে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিতে গিয়ে কৃষকের দিকটা সেভাবে দেখা হয় না।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের খাদ্যে সার্বভৌমত্ব অর্জন করতে হবে, যাতে ভোক্তা এবং কৃষক দুই পক্ষই উপকৃত হন। ভোক্তার খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃষকের স্বার্থও দেখতে হবে।’
সোমবার (৫ মে) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘কৃষি, খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষকের ন্যায্যতা সম্মেলন ২০২৫’ এর ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকের ন্যায্যতা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের কথা বলা হচ্ছে। সেটা করতে গিয়ে কোনো ক্ষতি করছি কিনা সেটিও দেখতে হবে। কারণ এর কারণে গবাদিপশুর ব্যবহার কমে যাচ্ছে। এখানে ভোক্তার দিকটাও দেখতে হবে, যেন তারা নিরাপদ খাদ্য পায়। আবার কৃষকের দিকটাও দেখতে হবে, যেন তারা উৎপাদন করে লাভবান হন।
তিনি বলেন, এক সময় কৃষির অধীনেই মৎস ও প্রাণিসম্পদ ছিল। এখন এগুলো আলাদা হয়েছে। পণ্যভিত্তিক কৃষকও আলাদা হয়েছে। মৎসের ক্ষেত্রে আমরা যদি দেখি, উন্মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ আহরণে বাংলাদেশ ভারতের পরই দ্বিতীয় স্থানে আছে। অথচ হাওর, নদী-নালা ধ্বংস করছি আমরা। জলাশয়গুলোকে রক্ষা করতে চাচ্ছি যখন, তখন আবার দেখা যাচ্ছে কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশকে মাছ মারা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
হাওরে কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, হাওর মাছের অনেক বড় একটি উৎস। আবার অনেক সময় আগাছা পরিষ্কার না করে কীটনাশক দিয়ে সেগুলো ধ্বংস করা হয়। এতে করে গরু ছাগলসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষতি হচ্ছে। কীটনাশক ব্যবহারে একটা নীতি গ্রহণ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের এখানে মাংস উৎপাদন চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। এখন আমাদের লাখ লাখ খামারি আছে। আমাদের দেশে এক কোটি ২৪ লাখের বেশি গরু ছাগল মজুদ আছে। ২২ লাখের মতো চাহিদার চেয়ে বেশি আছে।
বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। এছাড়া, প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, টি.কে গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মোহাম্মদ মুস্তফা হায়দার, এসিআই এগ্রি বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
২১৩ দিন আগে
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে জেলেরা অবদান রাখতে পারেন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ইলিশ রপ্তানিতে অবদান রেখে প্রবাসীদের মতো বৈদেশি মুদ্রা অর্জনে মৎসজীবীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে মনপুরাবাসী যেমন বড় ভূমিকা পালন করে, তেমনি ইলিশ রপ্তানিতে সহযোগিতা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।’
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মূল কাজ হচ্ছে মাছ রক্ষা করা। প্রবাসীরা কষ্ট করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যেমনভাবে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত রাখছেন। তেমনি মাছ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ চর গোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম পরিদর্শন ও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ পৃথিবীতে পরিচিতি পেয়েছে মাছের জন্য, বিশেষ করে ইলিশের জন্য। পৃথিবীতে কোনো দেশে এরকম ইলিশ পাওয়া যায় না। যদিও পাওয়াও যায়— তা দেশের ইলিশের মতো স্বাদের হয়না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাছকে প্রাকৃতিকভাবে ডিম পাড়তে দেওয়া, বড় হতে দেওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ সময় আমাদের কথা জেলেরা শোনেন, কিন্তু ব্যবসায়ীরা আইন ভঙ্গ করে আপনাদের এ সময় মাছ ধরতে উৎসাহিত করে থাকেন।’
এ ধরণের খারাপ কাজ যেন কেউ না করতে পারে, সে লক্ষ্যে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মনপুরার জেলেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে পরিবর্তন আনা সম্ভব। মৎস্য কর্মকর্তারা আপনাদের সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে কথা বলে থাকেন। এমনকি ঢাকাতেও এ বিষয়ে কথা হয়ে থাকে। তারা যতই বলুক সরাসরি আপনাদের মুখ থেকে শোনা আর অন্যভাবে শোনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আর এ জন্যই আপনাদের কাছে আসা।’
উপদেষ্টা বলেন, জেলেদের শুধু ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা দিলে হবে না, তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। জেলেদের রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হতে লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া, টর্চ লাইট সরবারহ করা হবে। শুধু মাছ ধরা নয়, আপনাদের কৃষি কাজ, হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল পালনের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এর মাধ্যমে আপনারা অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হতে পারেন।’
জেলেরা মনপুরাতে সাইক্লোন সেন্টার, নলকূপ, বিদ্যালয়সহ রাস্তাঘাটের দূরাবস্থা তুলে ধরলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সমস্যার বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের নিকট উপস্থাপন করব। মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ জেলেদের বড় সমস্যা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় খাল খনন করে জেলেদের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে এবং নদী ও সাগরে ডাকাতদের দৌরাত্ম কমাতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হবে।
পরে উপদেষ্টা ৮০ জেলের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট, লাইভ বয়া ও টর্চ লাইট বিতরণ করেন। দক্ষিণ চরগোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম সংগঠন আয়োজিত মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিকের সভাপতিত্বে গ্রাম সংগঠনের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শফিউল্লাহ মাঝি।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, মনপুরা উপজেলার চর গোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রামের মৎস্যজীবীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
২৮৩ দিন আগে
তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্হানে তামাক চাষের ফলে বহু মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাস্থ্যে, পরিবেশ এমনকি মানুষের খাদ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার।’
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহিষের দইকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিতে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষির চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে খামারিদের বিদ্যুৎ বিল বেশি দেওয়া হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এরইমধ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি প্রদান করলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে কৃষির মতো হ্রাসকৃত মূল্যে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
খামারিরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘খামারিদের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে সরকারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হলে খামারিরা কৃষির মতো স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রাণিজ আমিষ জনগণের কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের অফিসগুলো ঠিকমতো জনসেবা দিতে পারছে না। দ্রুতই এ সংকট লাঘব করে কাঙ্ক্ষিত সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কালিগঙ্গা-বাদলবাসা নদীর ইজারা প্রদানকে কেন্দ্র করে রিটের ফলে জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে ; এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু সহযোগিতা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সহজেই বলছি মাছ, মাংস, দুধের উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু যেটা বড় কথা, সেটা হচ্ছে এগুলো নিরাপদ কিনা?
আরও পড়ুন: মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্যজীবী ও খামারিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাৎক্ষণিক লাভের আশায় যেকোনো কিছু দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। দেশীয় মাছ, মুরগি, গবাদি পশু রক্ষায় আপনাদের কাজ করতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। ‘জাল যার জলা তার’ এ নীতির ভিত্তিতে যেন ইজারা দেওয়া হয় সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। ইজারা কোনোভাবেই অমৎস্যজীবীদের দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
২৮৮ দিন আগে
শিল্প রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে: ফরিদা আখতার
শিল্পকে রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে অনেক শিল্পী রয়েছেন, তারা যেন অবহেলিত না থাকেন। শিল্পক্ষেত্রে শিল্পীদের প্রতি যেন বৈষম্য না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডির সফিউদ্দিন গ্যালারিতে স্বশিক্ষিত শিল্পী নাজমা কবিরের দ্বিতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীতে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা শিল্পীদের চিত্রের মাধ্যমে ‘হাওরের কান্না’ ফুটিয়ে তোলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: করারোপ তামাক সেবন বন্ধে একমাত্র পদ্ধতি না: ফরিদা আখতার
তিনি বলেন, ‘শিল্প প্রকৃতির অংশ। হাওর-বাওরের দিকে তাকালে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু হাওর-বাওরের যে কান্না, তা আমরা আমরা দেখিনা। এছাড়া শিল্পীরা পানিকে চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে না তুলে মাছ, পাখি ও অন্যান্য প্রাণীকে চিত্রের মাধ্যমে তুলতে পারেন। অনেক সময় শিল্পীরা নদীর পাড়ে মাছসহ বিভিন্ন প্রাণীকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন। প্রকৃতির মাঝে এগুলো যে একটি অংশ—আমরা ভুলে যাই।’
৩০৬ দিন আগে
করারোপ তামাক সেবন বন্ধে একমাত্র পদ্ধতি না: ফরিদা আখতার
তামাক সেবন বন্ধে করারোপ অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি হলেও একমাত্র পদ্ধতি নয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, আইনের মধ্যে তামাকের প্রচার, বিক্রয় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সিগারেট কোম্পানিগুলো উৎসাহ এবং আকর্ষণ তৈরির ফলে তামাক সেবন এখনও কমাতে দিচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাহিদার বিপরীতে খাদ্যদ্রব্য অন্য বিভাগে পাঠাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে: ফরিদা আখতার
উপদেষ্টা বলেন, গবেষণায় বলা হচ্ছে দেশে ৩৫.৩ শতাংশ মানুষ তামাক সেবন করে থাকেন। এর অর্থ হচ্ছে দেশে প্রতি তিন জনে একজন তামাক সেবনকারী। এসডিজির অভীষ্ট ৩.৯ এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনার কথা বলা হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে তা কার্যকর করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও অবিলম্বে বাস্তবায়ন দরকার।
‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে ভীতি কাজ করে যে বেশি করারোপ করলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাবে। তামাক কোম্পানিগুলো রাজস্ব কমানোর জুজুর ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বহু গবেষণার পর্যবেক্ষণ হলো তামাক ব্যবহার কিছুটা কমবে তবে রাজস্ব বাড়বে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের তামাকবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা আন্দোলন করলে দেশের জনগণ আপনাদের কথা শুনবে ও আরও বেশি সচেতন হবে।
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অজুহাতে ভয় দেখাচ্ছে ভারত: ফরিদা আখতার
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক অর্থবছরগুলোতে বাংলাদেশে বাজেটে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম অল্প অল্প করে বাড়ানো হলেও বৃদ্ধির এ কৌশল কাঙ্ক্ষিত সুফল দিতে পারছে না। নিত্যপণ্যের যেভাবে দাম বেড়েছে, সিগারেটের দাম সে হারে বাড়েনি।
তারা সিগারেটের ব্যবহার কমাতে ট্যাক্স বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিগারেট ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গেলে ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে।
৩১৭ দিন আগে
ইলিশের দাম মানুষের নাগালে আনতে চেষ্টা করছি: মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশ মাছের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) ভবনের সামনে ‘ইলিশ মাছের সরবরাহ ও মূল্য শৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রয়’ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনসাধারণ যেন ইলিশ মাছ খেতে পারেন, সেটা যেন তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখা যায়—এ ধরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী কমলে ইলিশের দাম কমানো সম্ভব ।
আরও পড়ুন: মেঘনায় অভিযানের সময় মৎস্য কর্মকর্তার ওপর দৃর্বৃত্তের হামলা
‘বাজারে যে ব্যবস্থা আছে, তাতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম কমানো কঠিন। তবে আমরা প্রমাণ রাখতে চাই, মাছ ধরার উৎস থেকে যদি সরাসরি বিক্রয়ের জায়গায় আনতে পারি, তাহলে এটার দাম কমানো সম্ভব। আমরা বাজারের মধ্যস্বত্বভোগী কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই,’ বলেন ফরিদা আখতার।
বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এনাম চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, বিএফডিসির পরিচালক ( অর্থ) অদ্বৈত চন্দ্র দাস, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক উম্মে হাবিবা প্রমুখ। পরে উপদেষ্টা বিএফডিসির কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
ইলিশ মাছ বিপণন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এবং বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন। এই কার্যক্রমের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়-ইলিশ কিনে হোন ধন্য’।
স্বল্প মূল্যের ইলিশ বিক্রির কর্মসূচিতে ৪৫০ গ্রাম থেকে ৮৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উদ্বোধনের পর ২০ জন ক্রেতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার হাত থেকে মাছ ক্রয়ের সুযোগ পেয়েছেন। ক্রেতারা জানান, বাজারে অনেক বেশি দাম হওয়ায় সবশেষ কবে ইলিশ কিনেছেন তাদের মনে নেই। তবে এখন কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে তারা খুশি।
৩১৯ দিন আগে
শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সংবিধানে শ্রমিকদের অধিকার থাকতে হবে সর্বাগ্রে। তাই শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, মানবাধিকারের জন্য যেসব সংগঠন কাজ করছে তাদের অধিকাংশই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে না। শ্রমিকদের জন্য কিছু হলেও যেন শুরু করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
গার্মেন্টস শ্রমিকসহ অনেক শ্রমিকের শোষণ আমরা চোখে দেখলেও কৃষি শ্রমিকের শোষণ আমরা চোখে দেখি না বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিরডাপ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘বৈশ্বিক মানদণ্ডের সমমান সম্পন্ন অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রম আইন এবং কৃষি ও অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির শ্রমিকদের আইনি স্বীকৃতি’ বিষয়ক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত সরকার কৃষিতে আধুনিকায়নের ব্যাপারে জোরেশোরে বললেও কৃষকের মজুরি বেশি বলে তারা হারভেস্টার মেশিন এনেছে। এর ফলে কৃষকরা বেকার হয়ে যাচ্ছে। এমনকি আগাছা পরিষ্কারের জন্য আগাছানাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা যে কী ভয়াবহ সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ রোগী কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। এর কারণ মহিলারা কীটনাশক মেশাচ্ছে আর কৃষকরা তা স্প্রে করছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না, তাই প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। এছাড়া কৃষি আইনে কৃষক বলে কোনো শব্দ নাই আছে কন্টাক্ট ফার্মার( চুক্তিভিত্তিক চাষি)।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা, ২০১৭ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ নয় বরং শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আজিজুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম এবং দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।
৩৩৯ দিন আগে
হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা নষ্ট করে ইজারা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, ‘যেসব এলাকায় সমস্যা আছে, দয়া করে আপনারা আমাদের জানাবেন। আমরা সেখানে যাব এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এএলআরডি, বারসিক ও বেলা’র আয়োজনে হাওরের প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও মানবাধিকার সুরক্ষায় ‘জাতীয় হাওর সংলাপ ২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
হাওর জীববৈচিত্র্যের আধার উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাওরাঞ্চলে ১৪৩ প্রজাতির দেশি ও ১২ প্রজাতির বিদেশি মাছ রয়েছে। কয়েক প্রজাতির মিঠা পানির চিংড়িসহ বিভিন্ন ছোট-বড় মাছ, শামুক, ঝিনুক রয়েছে। আরও রয়েছে- দেশের মোট গবাদি পশুর ২২ শতাংশ, হাঁস ২৪ শতাংশ, ১২৯ দেশীয় ও ১২৮ প্রজাতির বিদেশি পাখি, ২৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৯ প্রজাতির উভচর প্রাণি, ৪০ প্রজাতির সরীসৃপ এবং কয়েক প্রজাতির ধান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর চাষের মাছ নিয়ে খুব বেশি বলা হতো। এছাড়া দেশি মাছের কথা বললেই হাওরের মাছের কথা চলে আসে। অন্যদিকে যখন মৎস্যজীবীর কথা বলা হয় তখন প্রকৃত মৎস্যজীবী, অরিজিনাল মৎস্যজীবী- এরকম কথা চলে আসছে। এর মানে হচ্ছে এ পেশায় অনেকেই অন্যায়ভাবে প্রবেশ করেছে। যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ৪৭ লাখ সুবিধাভোগীর স্মার্টকার্ড করতে ডিসিদের সহায়তা চাইলেন উপদেষ্টা
তিনি বলেন, হাওর নিয়ে সবসময় টানাটানি হয়, মন্ত্রণালয়গুলো কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। হাওর রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার।
এছাড়া হাওর রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, হাওরে যেমন মাছ ও ধান আছে, তেমনি প্রাণিসম্পদও রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে হাওরে উফসি ও হাইব্রিড ধানে কীটনাশক ও হার্বিসাইড ব্যবহারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। মেশিন দিয়ে ফসল কাটা হচ্ছে। এই মেশিন হাওরে নামার ফলে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছড়া আমি কৃষি উপদেষ্টাকে জানিয়েছি- মা মাছ রক্ষার্থে হাওরের ধানে যেন কীটনাশক না দেওয়া হয়।
মানবাধিকারকর্মী ও এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, শেয়ার দ্য প্ল্যানেট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তেৎসু চুচুই, বেলা’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি ড. লেলিন চৌধুরী, অধ্যাপক আফজালুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপ্রধান মো. বেলাল উদ্দীন বিশ্বাস প্রমুখ।
এছাড়া সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাওরাঞ্চলের কৃষক, জেলে, আদিবাসী, হাওরের স্থানীয় প্রতিনিধি, সাংবাদিক, উন্নয়ন সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করবে নয়া দিল্লি: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
৩৫৯ দিন আগে
জেলেদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জেলেদেরকে যদি সুদমুক্ত ঋণ দিতে নাও পারি, তাহলে স্বল্প সুদে যাতে ঋণ দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। তবে কাজগুলো করতে আমাদের সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বছরে তিনবার জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হয়। এই নিষেধাজ্ঞাকালীন তাদের জন্য কিছু করা যায় কিনা বা সুযোগ সুবিধা বাড়ানো যায় কিনা সে পরিকল্পনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে: উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সদরের ভোলার খাল-সংলগ্ন বালুর মাঠে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ আয়োজিত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪’ উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের নিয়ে সচেতনতা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ইলিশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সম্পদ। যে জেলায় ইলিশ উৎপাদন হয়, ওই জেলার মানুষ গরিব হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নয়, ইলিশের বাড়ি ভোলায়। বাইরের জেলেদের বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার অধিকার নেই। তাদের বিতাড়িত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মা ইলিশ রক্ষায় আইন অমান্যকারীদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কমান্ডার মোহাম্মদ শাহিন মজিদ, নৌ বাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মোল্লা এমদাদুল্লাহ।
স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব, জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ ও জেলে সর্দার বশির গাজী।
অনুষ্ঠানে জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ৫ শতাধিক জেলে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক ও নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ উপদেষ্টা
৪০৮ দিন আগে