ফরিদা আখতার
অনিরাপদ বিদেশি প্রাণী আমদানির পক্ষে নয় সরকার: ফরিদা আখতার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশীয় প্রজাতির প্রাণীসম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫-এর র্যালি শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে শেরেবাংলা নগর মাঠে গিয়ে শেষ হয় র্যালিটি।
এ সময় প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অনিরাপদ বিদেশি প্রাণিজ সম্পদ আমদানির পক্ষে নয় সরকার। তাই দেশীয় প্রাণিজ সম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে শুধু দেশের চাহিদা পূরণ নয়, বিদেশেও এর বাজার সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে।
পরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ‘প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এ সময় পোল্ট্রি সেক্টরে আমদানি নির্ভরতা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের জন্য ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হলে এই দুটি ফসলকে কৃষি খাতের অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন (উত্তীর্ণ) হওয়া একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু এলডিসি থেকে বের হতে হলে যেসব সক্ষমতা প্রয়োজন, তা এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। আমরা বের হয়ে গেলে একদিকে ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে, তারপরও এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পোল্ট্রি খাতের ক্ষুদ্র খামারিদের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, পোল্ট্রি ফিডের সংকট সমাধান জরুরি। ক্ষুদ্র খামারিদের টিকিয়ে রাখতে হলে ফিড-সংক্রান্ত সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের মাধ্যমে সবচেয়ে যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা হলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং এই খাতে নতুন উদ্যোক্তা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা।
আবু তাহের বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে বের হচ্ছেন। আমরা চাই, তারা প্রাণিসম্পদ খাতে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসুক। এ বিষয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে—কীভাবে উদ্যোক্তা হতে হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে, আমরা তা বাস্তব কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।
সেমিনারে প্রাণিসম্পদ খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, মানোন্নয়ন, বাজারব্যবস্থা, গবেষণা-উদ্ভাবন, ক্ষুদ্র খামারির টেকসই উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল কৃষি-প্রযুক্তি, তথা প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ, দেশে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য রক্ষা এবং রপ্তানি সম্ভাবনা বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
সেমিনার পরিচালনা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম।
এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
‘দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে একযোগে উদযাপিত হচ্ছে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ-২০২৫।
৭ দিন আগে
দেশীয় জাতের গবাদিপশু বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশীয় জাতের গবাদিপশু উৎপাদনে যথাযথ সহায়তা ও সঠিক পদ্ধতি নিশ্চিত করা গেলে এগুলোকে বিশ্বমানের পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজন হলে পশুখাদ্যের গুণগত মান ও উপাদান নিয়ে গবেষণা জোরদার করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে সাভারের বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) মাধ্যমে নবনির্মিত ডরমিটরি ভবনের (হোয়াইট হল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, নতুন ডরমিটরি ও মনোরম পরিবেশে প্রশিক্ষণের ফলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়বে। যার সুফল পাবেন দেশের খামারিরা।
তিনি বলেন, উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এবছর কোরবানিতে গবাদিপশু সুস্থ ও সবল ছিল।
শিল্প-কারখানাভিত্তিক পশু পালন জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দেশের প্রান্তিক খামার ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়বে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে খামারিরা যেভাবে গবাদিপশু পালন করছেন, তাতে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন ও প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
কৃষির মতো প্রাণিসম্পদখাতে ভর্তুকি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে খামারিরা সরাসরি উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের কল্যাণে নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হয়েছে। এই খাতের কর্মকর্তাদের শুধু শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের নয়; অন্য তরুণদেরও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির পরিচালক ডা. এ. কে. এম. হুমায়ুন কবীর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বেগম শামছুননাহার আহম্মদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহজামান খান, এলডিডিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানীসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির কর্মকর্তারা। প্রশিক্ষণের জন্য আগত বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারের ৩৩ এবং ৪৩ ব্যাচের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
১৭০ দিন আগে
এখনই ইলিশের কৃত্রিম প্রজননে যেতে চান না মৎস্য উপদেষ্টা
এখনই ইলিশের কৃত্রিম প্রজননে যেতে চান না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘যে ১১টা দেশে ইলিশ পাওয়া যায়, তারমধ্যে বাংলাদেশ প্রথম।’
শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রজনন সাফল্য নিরূপণ, জাটকা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ বিশ্বের মধ্যে এমন একটি সম্পদ, যা বাংলাদেশে আছে। ইলিশের ব্যবস্থাপনা ঠিক মতো করতে পারলে বিশ্বের কাছে তা পরিচয় করিয়ে দেওয়া সম্ভব। তাই ইলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, এখনই আমরা ইলিশের কৃত্রিম প্রজননের যেতে চাই না। কৃত্রিম প্রজনন আমাদের প্রাণিসম্পদের খুব বেশি উপকার করেনি। এটা আমাদের বুঝতে হবে। ইলিশ প্রকৃতি থেকে আসা একটা মাছ, এটা প্রাকৃতিকই রাখা ভালো। একই সঙ্গে জুন মাসের পরে যখন ইলিশ বাজারে আসবে, তখন যেন দামটা ঠিক থাকে তা আমাদের দেখতে হবে।’
‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততার প্রভাবতো আছেই, সেইসঙ্গে বৃষ্টি হওয়া, না-হওয়ার সঙ্গে ইলিশের ডিম ছাড়ার একটা সম্পর্ক আছে,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি। তাহলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ৯৫ শতাংশ জেলে যদি বন্ধের সময় ইলিশ না ধরেন, তাহলে বাকি কাজটা আমরা করতে পারবো না। জেলারা যেখানে মাছ ধরতে যান, সেখানে দস্যুরা আক্রমণ করে। তাদের চিহ্নিত করে ধরতে হবে। আমরা যে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি, তা যেন জেলেরাই পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে ‘পোল্ট্রি-ভাতে বাঙালি’: মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিএফআরআইয়ের গবেষক ও মৎস্যজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৩৬ দিন আগে
মুগ্ধকে নিয়ে কথা বললে গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়: ফরিদা আখতার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মুগ্ধ ইতিহাস রচনা করে গিয়েছে। তাকে নিয়ে বলতে গেলে দুঃখ লাগে ঠিকই, কিন্তু গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়।
রবিবার (৯ মার্চ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মুগ্ধকে হারিয়েছি ঠিকই, তবে সে নতুন বাংলাদেশ দিয়ে গিয়েছে। সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তৃষ্ণা নিবারণের পানি যুগিয়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বরেন, ‘আগে ভাবা হতো নতুন প্রজন্ম নিজেদের ছাড়া কিছু বোঝে না, তারা দেশ ও রাজনীতিবিমুখ। কিন্তু সেই প্রজন্মের সন্তানরাও তাদের দেশপ্রেমের অবস্থান প্রমাণ করে দিলো। এখন আমাদের দায়িত্ব ও দায় অনেক বেশি।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার খুনিদের বিচার এই মাটিতেই হতে হবে বলে জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
আরও পড়ুন: শিল্প রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে: ফরিদা আখতার
তিনি বলেন, ‘পলাতক খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে। তাদের বিচার ছাড়া জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে না।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আব্দুল মজিদ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাজমুল আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. মো. হারুনর রশীদ খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নূরুন্নবী ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’র উদ্বোধন করেন।
২৭০ দিন আগে
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে জেলেরা অবদান রাখতে পারেন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ইলিশ রপ্তানিতে অবদান রেখে প্রবাসীদের মতো বৈদেশি মুদ্রা অর্জনে মৎসজীবীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে মনপুরাবাসী যেমন বড় ভূমিকা পালন করে, তেমনি ইলিশ রপ্তানিতে সহযোগিতা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।’
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মূল কাজ হচ্ছে মাছ রক্ষা করা। প্রবাসীরা কষ্ট করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যেমনভাবে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত রাখছেন। তেমনি মাছ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ চর গোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম পরিদর্শন ও মৎস্যজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ পৃথিবীতে পরিচিতি পেয়েছে মাছের জন্য, বিশেষ করে ইলিশের জন্য। পৃথিবীতে কোনো দেশে এরকম ইলিশ পাওয়া যায় না। যদিও পাওয়াও যায়— তা দেশের ইলিশের মতো স্বাদের হয়না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাছকে প্রাকৃতিকভাবে ডিম পাড়তে দেওয়া, বড় হতে দেওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ সময় আমাদের কথা জেলেরা শোনেন, কিন্তু ব্যবসায়ীরা আইন ভঙ্গ করে আপনাদের এ সময় মাছ ধরতে উৎসাহিত করে থাকেন।’
এ ধরণের খারাপ কাজ যেন কেউ না করতে পারে, সে লক্ষ্যে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মনপুরার জেলেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে পরিবর্তন আনা সম্ভব। মৎস্য কর্মকর্তারা আপনাদের সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে কথা বলে থাকেন। এমনকি ঢাকাতেও এ বিষয়ে কথা হয়ে থাকে। তারা যতই বলুক সরাসরি আপনাদের মুখ থেকে শোনা আর অন্যভাবে শোনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আর এ জন্যই আপনাদের কাছে আসা।’
উপদেষ্টা বলেন, জেলেদের শুধু ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা দিলে হবে না, তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। জেলেদের রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হতে লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া, টর্চ লাইট সরবারহ করা হবে। শুধু মাছ ধরা নয়, আপনাদের কৃষি কাজ, হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল পালনের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এর মাধ্যমে আপনারা অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী হতে পারেন।’
জেলেরা মনপুরাতে সাইক্লোন সেন্টার, নলকূপ, বিদ্যালয়সহ রাস্তাঘাটের দূরাবস্থা তুলে ধরলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সমস্যার বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের নিকট উপস্থাপন করব। মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ জেলেদের বড় সমস্যা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় খাল খনন করে জেলেদের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে এবং নদী ও সাগরে ডাকাতদের দৌরাত্ম কমাতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হবে।
পরে উপদেষ্টা ৮০ জেলের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট, লাইভ বয়া ও টর্চ লাইট বিতরণ করেন। দক্ষিণ চরগোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম সংগঠন আয়োজিত মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিকের সভাপতিত্বে গ্রাম সংগঠনের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শফিউল্লাহ মাঝি।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, মনপুরা উপজেলার চর গোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রামের মৎস্যজীবীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
২৮৩ দিন আগে
তামাক চাষের নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্হানে তামাক চাষের ফলে বহু মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাস্থ্যে, পরিবেশ এমনকি মানুষের খাদ্যের ক্ষতি হচ্ছে। তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে সরকার।’
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহিষের দইকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিতে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘কৃষির চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে খামারিদের বিদ্যুৎ বিল বেশি দেওয়া হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এরইমধ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি প্রদান করলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে কৃষির মতো হ্রাসকৃত মূল্যে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
খামারিরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘খামারিদের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে সরকারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হলে খামারিরা কৃষির মতো স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রাণিজ আমিষ জনগণের কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের অফিসগুলো ঠিকমতো জনসেবা দিতে পারছে না। দ্রুতই এ সংকট লাঘব করে কাঙ্ক্ষিত সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কালিগঙ্গা-বাদলবাসা নদীর ইজারা প্রদানকে কেন্দ্র করে রিটের ফলে জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে ; এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু সহযোগিতা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সহজেই বলছি মাছ, মাংস, দুধের উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু যেটা বড় কথা, সেটা হচ্ছে এগুলো নিরাপদ কিনা?
আরও পড়ুন: মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্যজীবী ও খামারিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তাৎক্ষণিক লাভের আশায় যেকোনো কিছু দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। দেশীয় মাছ, মুরগি, গবাদি পশু রক্ষায় আপনাদের কাজ করতে হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। ‘জাল যার জলা তার’ এ নীতির ভিত্তিতে যেন ইজারা দেওয়া হয় সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। ইজারা কোনোভাবেই অমৎস্যজীবীদের দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
২৮৮ দিন আগে
শিল্প রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে: ফরিদা আখতার
শিল্পকে রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে অনেক শিল্পী রয়েছেন, তারা যেন অবহেলিত না থাকেন। শিল্পক্ষেত্রে শিল্পীদের প্রতি যেন বৈষম্য না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডির সফিউদ্দিন গ্যালারিতে স্বশিক্ষিত শিল্পী নাজমা কবিরের দ্বিতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীতে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা শিল্পীদের চিত্রের মাধ্যমে ‘হাওরের কান্না’ ফুটিয়ে তোলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: করারোপ তামাক সেবন বন্ধে একমাত্র পদ্ধতি না: ফরিদা আখতার
তিনি বলেন, ‘শিল্প প্রকৃতির অংশ। হাওর-বাওরের দিকে তাকালে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু হাওর-বাওরের যে কান্না, তা আমরা আমরা দেখিনা। এছাড়া শিল্পীরা পানিকে চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে না তুলে মাছ, পাখি ও অন্যান্য প্রাণীকে চিত্রের মাধ্যমে তুলতে পারেন। অনেক সময় শিল্পীরা নদীর পাড়ে মাছসহ বিভিন্ন প্রাণীকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন। প্রকৃতির মাঝে এগুলো যে একটি অংশ—আমরা ভুলে যাই।’
৩০৬ দিন আগে
করারোপ তামাক সেবন বন্ধে একমাত্র পদ্ধতি না: ফরিদা আখতার
তামাক সেবন বন্ধে করারোপ অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি হলেও একমাত্র পদ্ধতি নয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, আইনের মধ্যে তামাকের প্রচার, বিক্রয় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সিগারেট কোম্পানিগুলো উৎসাহ এবং আকর্ষণ তৈরির ফলে তামাক সেবন এখনও কমাতে দিচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চাহিদার বিপরীতে খাদ্যদ্রব্য অন্য বিভাগে পাঠাতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে: ফরিদা আখতার
উপদেষ্টা বলেন, গবেষণায় বলা হচ্ছে দেশে ৩৫.৩ শতাংশ মানুষ তামাক সেবন করে থাকেন। এর অর্থ হচ্ছে দেশে প্রতি তিন জনে একজন তামাক সেবনকারী। এসডিজির অভীষ্ট ৩.৯ এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনার কথা বলা হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে তা কার্যকর করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও অবিলম্বে বাস্তবায়ন দরকার।
‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে ভীতি কাজ করে যে বেশি করারোপ করলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাবে। তামাক কোম্পানিগুলো রাজস্ব কমানোর জুজুর ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বহু গবেষণার পর্যবেক্ষণ হলো তামাক ব্যবহার কিছুটা কমবে তবে রাজস্ব বাড়বে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের তামাকবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা আন্দোলন করলে দেশের জনগণ আপনাদের কথা শুনবে ও আরও বেশি সচেতন হবে।
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অজুহাতে ভয় দেখাচ্ছে ভারত: ফরিদা আখতার
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক অর্থবছরগুলোতে বাংলাদেশে বাজেটে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম অল্প অল্প করে বাড়ানো হলেও বৃদ্ধির এ কৌশল কাঙ্ক্ষিত সুফল দিতে পারছে না। নিত্যপণ্যের যেভাবে দাম বেড়েছে, সিগারেটের দাম সে হারে বাড়েনি।
তারা সিগারেটের ব্যবহার কমাতে ট্যাক্স বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিগারেট ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গেলে ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে।
৩১৭ দিন আগে
ইলিশের দাম মানুষের নাগালে আনতে চেষ্টা করছি: মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশ মাছের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) ভবনের সামনে ‘ইলিশ মাছের সরবরাহ ও মূল্য শৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রয়’ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনসাধারণ যেন ইলিশ মাছ খেতে পারেন, সেটা যেন তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখা যায়—এ ধরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী কমলে ইলিশের দাম কমানো সম্ভব ।
আরও পড়ুন: মেঘনায় অভিযানের সময় মৎস্য কর্মকর্তার ওপর দৃর্বৃত্তের হামলা
‘বাজারে যে ব্যবস্থা আছে, তাতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম কমানো কঠিন। তবে আমরা প্রমাণ রাখতে চাই, মাছ ধরার উৎস থেকে যদি সরাসরি বিক্রয়ের জায়গায় আনতে পারি, তাহলে এটার দাম কমানো সম্ভব। আমরা বাজারের মধ্যস্বত্বভোগী কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই,’ বলেন ফরিদা আখতার।
বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এনাম চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, বিএফডিসির পরিচালক ( অর্থ) অদ্বৈত চন্দ্র দাস, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক উম্মে হাবিবা প্রমুখ। পরে উপদেষ্টা বিএফডিসির কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
ইলিশ মাছ বিপণন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এবং বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন। এই কার্যক্রমের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়-ইলিশ কিনে হোন ধন্য’।
স্বল্প মূল্যের ইলিশ বিক্রির কর্মসূচিতে ৪৫০ গ্রাম থেকে ৮৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উদ্বোধনের পর ২০ জন ক্রেতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার হাত থেকে মাছ ক্রয়ের সুযোগ পেয়েছেন। ক্রেতারা জানান, বাজারে অনেক বেশি দাম হওয়ায় সবশেষ কবে ইলিশ কিনেছেন তাদের মনে নেই। তবে এখন কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে তারা খুশি।
৩১৯ দিন আগে
শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন: উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সংবিধানে শ্রমিকদের অধিকার থাকতে হবে সর্বাগ্রে। তাই শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হলে তা হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, মানবাধিকারের জন্য যেসব সংগঠন কাজ করছে তাদের অধিকাংশই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে না। শ্রমিকদের জন্য কিছু হলেও যেন শুরু করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
গার্মেন্টস শ্রমিকসহ অনেক শ্রমিকের শোষণ আমরা চোখে দেখলেও কৃষি শ্রমিকের শোষণ আমরা চোখে দেখি না বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সিরডাপ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘বৈশ্বিক মানদণ্ডের সমমান সম্পন্ন অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রম আইন এবং কৃষি ও অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির শ্রমিকদের আইনি স্বীকৃতি’ বিষয়ক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত সরকার কৃষিতে আধুনিকায়নের ব্যাপারে জোরেশোরে বললেও কৃষকের মজুরি বেশি বলে তারা হারভেস্টার মেশিন এনেছে। এর ফলে কৃষকরা বেকার হয়ে যাচ্ছে। এমনকি আগাছা পরিষ্কারের জন্য আগাছানাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা যে কী ভয়াবহ সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ রোগী কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। এর কারণ মহিলারা কীটনাশক মেশাচ্ছে আর কৃষকরা তা স্প্রে করছে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না, তাই প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। এছাড়া কৃষি আইনে কৃষক বলে কোনো শব্দ নাই আছে কন্টাক্ট ফার্মার( চুক্তিভিত্তিক চাষি)।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা, ২০১৭ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ নয় বরং শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আজিজুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম এবং দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।
৩৩৯ দিন আগে