দুই যুবদল নেতা
মেহেরপুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই যুবদল নেতা বহিষ্কার
মেহেরপুরে গাংনী পৌর যুবদলের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই যুবদল নেতাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেন।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- গাংনী পৌর যুবদলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম।
বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, আলমগীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর যুবদলের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিউল ইসলাম বিপ্লবকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের পদসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে, এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবিউল ইসলাম বিপ্লব, ১ নম্বর ওয়ার্ড (বাঁশবাড়িয়া) যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) সিপিসি-৩, মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল গ্রেপ্তার করে। গতকাল (শুক্রবার) আদালতে নিলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মঈন উদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে গলাকেটে হত্যা করে সহড়াবাড়িয়া ইছাখালি মাঠের একটি গাছের নিচে ফেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
নিহত আলমগীর হোসেনের কাছে একই গ্রামের মো. মফিকুল ইসলামের ২ লাখ টাকা পাওনা ছিল। প্রায় ৪ বছর আগে আলমগীর ঘাতক মফিকুলের কাছ থেকে এই টাকা ধার নেন। এরপর দেড় বছর আগে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) চলে যান। প্রায় ২ মাস আগে আলমগীর দেশে ফেরত এলে পাওনা টাকার প্রতিশোধ নিতেই মফিকুল তার বন্ধু যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন মিলে তাকে টাকা ধার দেওয়ার নাম করে সহড়বাড়িয়া-কামারখালী মাঠে নিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মইন উদ্দীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
৭৬ দিন আগে
কুড়িগ্রামে দুই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুর জামাল হক ও সদস্য সচিব মো. আতিকুর রহমান লেবুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যুবদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতাদের কর্মকাণ্ডের জন্য দল দায়ী থাকবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ১৩ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
১৯৬ দিন আগে