৭ দিনের রিমান্ড
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কিশোর আব্দুল মোতালেব (১৪) হত্যা মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফের ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু
এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খোকন মিয়া আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে।
শাজাহান খানের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিরা দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন শুরু করতে পুলিশ, র্যাব ও ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
এরপর পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা-নির্যাতন চালায়। এতে শত শত মানুষ মারা যান। অনেক লোক আহত ও পঙ্গু হন।
গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি থানাধীন জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর আব্দুল মোতালেব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: পৃথক হত্যা মামলায় আবদুল্লাহ আল–মামুন ও শহীদুল হক রিমান্ডে
এসময় আব্দুল মোতালেবসহ অন্যান্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষদের ওপর পুলিশ, র্যাব, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা করে।
তারা শত শত সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, ককটের বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া তার হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও রাবার বুলেটও নিক্ষেপ করে।
ঘটনাস্থলে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন। এর মধ্যে আব্দুল মোতালেব বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা আব্দুল মতিন শেখ হাসিনাসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফী ৮ দিনের রিমান্ডে
৩ মাস আগে