উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
চট্টগ্রামে বন্যাপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি: উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর অধিকাংশই চট্টগ্রামে। তাই চট্টগ্রামে বন্যাপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।
তিনি বলেন, বন্যাপরবর্তী চ্যালেঞ্জও আমাদের মোকাবিলা করতে হবে৷ এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সক্ষম হয়েছি৷
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় এবং জেলাধীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল সংস্থার বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: ‘আপনাদের দেখে যেন করদাতারা ভয় না পায়’: কর কর্মকর্তাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহ নিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরের ৯০ ভাগ লোকের জন্য পানি সরবরাহ করছে। বাকি ১০ ভাগ লোককেও পানি সরবরাহের আওতায় দ্রুত নিয়ে আসতে হবে। শুধু পানি সরবরাহ করলেই হবে না, পানির বিশুদ্ধতাও নিশ্চিত করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য যেসব পন্থা অবলম্বন করা দরকার, তা করতে হবে।
সমবায় সমিতিগুলো নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রামসহ দেশের সমবায় সমিতিগুলোর অন্তর্কোন্দল অনেক বেশি। উচ্চ আদালতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মামলা হচ্ছে সমবায় সমিতিগুলোর। যে সমিতি তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়, দেখা যায় এই মামলাগুলোর কারণে তারা ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত থেকে যায়। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সমবায় সমিতিগুলো প্রতিষ্ঠা হয় এসব দ্বিধাবিভক্তি এবং অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য সেসব থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
ঘাটের ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদ এবং বিআইওডব্লিউটিএর দ্বন্দ্ব নিরসনকল্পে উপদেষ্টা বলেন, ঘাটের ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদ এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়।
তিনি বলেন, অনেক সময় এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ নিতেও দেখা যায়। ঘাটের ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি জাতীয়ভাবে পলিসি থাকা দরকার। তাহলে এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্বগুলোও নিরসন হবে।
প্রয়োজনে ঘাট ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি আইনও করা যেতে পারে বলে জানান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা
দেশে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষি উপদেষ্টা
১ মাস আগে
সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্র-জনতার বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে গিয়ে গুরুতর আহতদের খোঁজখবর নিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে প্রক্রিয়া বলা সম্ভব নয়। আমাদের ছাত্র-জনতার কাছে ফেরত যেতে হবে। তাদের কাছ থেকে দাবিটা আসতে হবে। তারা কী নতুন সংবিধান চায়, নাকি পুরোনো সংবিধান সংস্কার করে সংশোধনের মাধ্যমে আনতে চায়। এ বিষয়ে জনগণের রায় নিতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। এছাড়া ছাত্র-জনতার যে সমন্বয়করা রয়েছেন তারা এ বিষয়ে (সংবিধান সংশোধন) দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আপনারা কী করছেন জানতে চাইলে এ এফ হাসান আরিফ বলেন, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তবে আপনাদের প্রত্যাশা যে কালকেই পূরণ হতে হবে, সেটা নয়। ছাত্র-জনতার বক্তব্য কী? সেটা একটু শুনুন। আমরা সেকেন্ডারি (দ্বিতীয় স্তরে)।
আরও পড়ুন: ঢাকা নদী বন্দরের ঘাটের রাজস্ব বাড়াতে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার তাগিদ নৌ উপদেষ্টার
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি তোমাদের অনুরোধ করব- সমন্বয়ের সঙ্গে জড়িত, ছাত্র-জনতা শ্রমিক বিপ্লবের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হও। আমরা কিন্তু সেকেন্ডারি, ওখান থেকে তোমার প্রশ্নের উত্তরগুলো আসবে। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেটা আমরা এক্সিকিউট (বাস্তবায়ন) করব। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা, আমি যেই হই না কেন, আমার ৫৭ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকুক না কেন, সেটা মুখ্য নয়। প্রথমে হচ্ছেন তারা (সমন্বয়ক)। ডেফিনেটলি এটা একটা মেজর- ইস্যু ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন।
উপদেষ্টা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে আনা যায় সেটা নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে যে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর নাকি চার বছর করা হবে। সেটা আলোচনা করে নির্ধারণ করতে হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের যদি চার বছর হতে পারে, আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ডের দেশ, আমাদের কেন পাঁচ বছর লাগবে।
আরও পড়ুন: গণভবনে নির্মিতব্য স্মৃতি জাদুঘরে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের নির্যাতনের চিত্র: তথ্য উপদেষ্টা
২ মাস আগে