বাণিজ্য উপদেষ্টা
দুই সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম কমবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
দুই সপ্তাহের মধ্যেই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এ সময়ের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল চলে আসায় দাম কমবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। আশা করি নতুন ধান উঠে আসলে চালের বাজার আরও সহনীয় হয়ে উঠবে।’
এ সময় বেশ কিছুদিন ধরে চালের দাম বেশি থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বোরো ধান বাজারে আসলেই দাম কমবে। কারণ নাজিরশাইল বা মিনিকেটের মতো চিকন চালগুলো বোরো মৌসুমের চাল থেকেই আসে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো লিটারে ১৪ টাকা
উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর আবহাওয়া ও বিদ্যৎ ঠিকভাবে ছিল। পাশাপাশি, সারের সরবরাহ ভালো থাকায় এ বছর ধানের ফলন ভালো পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শেখ বশিরউদ্দিন আরও বলেন, কৃষিপণ্য একটা গতিশীল জিনিস। তবে সব পণ্যে সরকার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেই ব্যবস্থাপনা করছে। যেসব পণ্যের দাম সহনীয় করা প্রয়োজন বলে মনে করে সরকার, সেসব পণ্যের দাম কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় ট্রাম্পের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এলে দুই দেশের বাণিজ্য নিয়ে কথা বলার সম্ভাবনা আছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, একমাত্র এ বিষয়টিই গুরুত্ব পাবে।
২ দিন আগে
সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো লিটারে ১৪ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এতে এক লিটার সয়াবিনের দাম ১৭৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৯ টাকা।মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভাশেষে এ তথ্য জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল কিনতে এখন খরচ হবে ১৮৯ টাকা। আগে যা ছিল ১৭৫ টাকা। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা।
বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যা হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের কারনে এই মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই মুল্য আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এর আগে, গতমাসের ২৭ তারিখে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়াতে চেয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেয় ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি।
আরও পড়ুন: দুদিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দাম বাড়ানোর দাবি জানায় সমিতিগুলো।
এই নিয়ে গত সপ্তাহে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সরকার। অবশেষে আজকের (মঙ্গলবার) বৈঠক শেষে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
২ দিন আগে
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যা হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সম্প্রতি ভারত দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘হঠাৎ করেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। বুধবার অংশীজনদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।’
‘ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যা বোধ করছি না। নিজস্ব সক্ষমতা ও রপ্তানির ক্ষেত্রে যোগাযোগের যেন কোনো ঘাটতি না পড়ে, সেজন্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি, এ সমস্যা কাটিয়ে উঠব।’
যদিও সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেননি উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—সেটি এই মুহূর্তে শেয়ার করব না। যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু আবার খরচের দিক থেকে; এসব বিষয়গুলো সমন্বয় করে সক্ষমতা বাড়ানো হবে।’
এ বিষয়ে ভারতকে কোনো চিঠি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার আপাতত এমন কিছু ভাবছে না।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ফেরত এলো বাংলাদেশের ৪ পণ্যবাহী ট্রাক
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয় জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ৪০-৫০ হাজার টনের মতো পণ্য সড়কপথে ভারতের বিভিন্ন বন্দর, বিশেষ করে দিল্লি ও কলকাতার মাধ্যমে রপ্তানি হতো। এই পণ্যগুলো পরিবহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে খুব তাড়াতাড়িই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘এটি ভালো খবর। এর ফলে দেশের বাণিজ্যে স্থিরতা আসবে।’
উপদেষ্টা আরও জানান, গতকাল (বুধবার) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে অনলাইনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় শিগগিরই বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সেখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হবে।’
৭ দিন আগে
বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে আগামী বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে। ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম ছয় জেলায় চলমান আছে। নতুন করে ৫৬ জেলায় কার্যক্রম যুক্ত হবে।
রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চাই। প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখতে হবে।
চলতি মাসের ১৭ তারিখের মধ্য সকল উপকারভোগীকে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দ্যেশে উপদেষ্টা বলেন, ৫৭ লাখ উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবেন। যাদের এখনও স্মার্টকার্ডের কার্যক্রম শেষ হয়নি, কিন্তু তালিকায় নাম আছে তারাও পণ্য পাবেন। এছাড়া ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পণ্য বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা
‘রমজানে কেউ যাতে মজুতদারি করতে না পারেন, জেলা প্রশাসকদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সাথে ভোক্তারা যেন পুরো মাসের বাজার একসাথে না করেন; সে বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতে হবে। একসাথে পুরো মাস বা সাত দিনের পণ্য কিনলে সরবারহ সংকটে কেউ কেউ দাম বাড়িয়ে নেয়।’
তিনি বলেন, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো প্রতি জুলুম করা হবে না, তবে কেউ জুলুম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এসময় অন্যায় প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান,অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আব্দুর রহিম খান, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
৪৬ দিন আগে
দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত সময়ে দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ও অর্থপাচার এদেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ’ সংক্রান্ত কনফারেন্সে তিনি এমন কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর ও নানা অবকাঠামো নির্মাণে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জাকাত গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আসে। শ্রম উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানো ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
কনফারেন্সের প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর সাবেক ডাইরেক্টর জেনারেল ও অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কে এ এস মুরশিদ।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খশরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৫২ দিন আগে
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জাকাত গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যাকাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সমাজ ব্যবস্থায় জাকাতের সৌন্দর্য ও প্রভাব রয়েছে।’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সম্পদ বণ্টনের যে প্রক্রিয়াগুলো সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয়, তার মধ্যে অন্যতম জাকাত। জাকাত প্রদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে এবং সমাজে জাকাতের প্রভাব দৃশ্যমান করতে হবে।’
‘জাকাত দারিদ্র বিমোচনের একটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। নৈতিকতাবিহীন নেতৃত্ব তৈরি হলে সম্পদের সুষম বণ্টন হবে না।আমরা সুষম সমাজ চাই, নৈতিক নেতৃত্ব চাই,’ যোগ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ট্যাক্সেশন সিস্টেম যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
‘এখন মানুষের সাফল্যকে বিচার করা হয় তার ভোগ সক্ষমতাকে দিয়ে। তার আত্মসন্মান, শ্রদ্ধা ও সামাজিক দায়কে বিচার করা হয় না,’ বলেন শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজের বৈষম্য দূর করার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে অনেক তাজা প্রাণ দিতে হয়েছে। অথচ বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে। এর মূলোৎপাটন করতে হলে আমাদের সম্পদের সুষম বণ্টন প্রয়োজন। এর নিয়ামক হিসাবে আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায় সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সেমিনারে কিনোট উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোইকোনমিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এর ড. এম এমরানুল হক।
৫৪ দিন আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাপানের টোকিওতে ইকনোমি, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ সময়ে বাংলাদেশে আরও বেশিসংখ্যক জাপানি যাতে বিনিয়োগ করেন, সেই ব্যবস্থা নিতে ওগুশি মাসাকির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং পাবলিক প্রাইভেট ইকনোমিক ডায়ালগ (পিপিইডি) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অনুকূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সেবা দিতে বাংলাদেশে সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) চালু করা হয়েছ। তিনি জাপানের বিনিয়োগকারীদের এ সুযোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শি জিন পিংয়ের
বৈঠকে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী, জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাচিকি ইমোতো, জেটরোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুয়া নাকাজো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে টোকিওতে একটি হোটেলে ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশনের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।।
জাপান বাংলাদেশের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বন্ধু ও একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
৫৮ দিন আগে
বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানিতে প্লাস্টিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনাকে বৈচিত্র্যময় করার যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, প্লাস্টিক পণ্য সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতার নিরীখে আমাদের নীতি নির্ধারণ করা দরকার, যার বিনিময়ে আমরা খারাপ প্লাস্টিককে রোহিত করব ও ভালো প্লাস্টিকের সঙ্গে বাস করব। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের ভালো প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ৪ দিনব্যাপী ১৭তম ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার অনুষ্ঠানে এ তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘২০২৬ সালের নভেম্বরে আমাদের দেশ এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট হতে যাচ্ছে। এর ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা যে প্রিফারেনশিয়াল অ্যাক্সেস (অগ্রাধিকার সুবিধা) পাই তা থাকবে না। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইনসেন্টিভও (প্রণোদনা) দিতে পারব না। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে; উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষম হতে হবে। সক্ষমতা না থাকলে দারুণভাবে বিপদে পড়ে যাব।’
আরও পড়ুন: রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহ-সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর শেখ মো. আবদুর রহমান, ইয়র্কর্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের আকাই লিন, সার্ক চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইওর্কর্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস যৌথভাবে আয়োজন করছে এ মেলাটি। ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ারে ৮০০টিরও বেশি স্টল থাকছে, যেখানে ১৮টি দেশ থেকে ৩৯০টিরও বেশি ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করছে। চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে এই মেলায়।
৬৪ দিন আগে
রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় সকল বিভাগীয় সদর ও ৫টি দরিদ্র পীড়িত এলাকাসহ মোট ১৩টি এলাকায় ১২ লাখ পরিবারের মাঝে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছি।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে ভ্রাম্যমান ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টিসিবি ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তূকিমূল্যে পণ্য সরবারহ করে থাকে। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। এই ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে বাকি কার্ড অ্যাক্টিভেশন হবে এবং এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে।’
এই সংখ্যাকে আরও বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ১২ লাখ পরিবারকে রমজান মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ট্রাক সেল কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্ধ পাটকল ব্যক্তিখাতে লিজের মাধ্যমে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এর বিনিময়ে বাজারে পণ্যমূল্য আরও সহনশীল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ৯ হাজার টন পণ্য এই কার্যক্রমের আওতায় বিক্রি হবে। এই কার্যক্রমে বাজার নিম্নগামী ও সহনশীল হবে। এতে প্রান্তিক মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে।’
খুলনার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (মানব সম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস।
টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, ১ কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা এবং খেজুর ও চিনি ১৫৬ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
৬৫ দিন আগে
এলডিসি থেকে উত্তরণে বাণিজ্য সুবিধা রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি: উপদেষ্টা
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বা বাণিজ্য সুবিধার রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি বলে অভিমত দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দীন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট হতে যাচ্ছি। এই গ্রাজুয়েশনের কারণে সামনে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর বিভিন্ন নিয়ম আসবে।’
‘এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে; তা থেকে পরিত্রাণের নিয়ামক হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।’
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
দক্ষতার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়াতেও পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। আমি মনে করি, এটি দীর্ঘ সময়। যদি ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে আমরা গ্রাজুয়েট করি, আমি মনে করি আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো একসাথে কাজ করলে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ সম্ভব।’
এ সময়ে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণ করতে হবে। আমরা সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে চাই।’
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সেতু বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (চলতি দায়িত্ব), বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ (এফটিএ) কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য উদারীকরণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধি-বিধান ও কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের প্রসার ও চলাচল ত্বরান্বিত করা।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে জিরো ট্যারিফ সুবিধা দেবে চীন
৭২ দিন আগে