পরিবেশ উপদেষ্টা
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী ধরা, শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে। বাঘ, হাতিসহ সব বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, বন ধ্বংস বন্ধ করে বিদ্যমান সব বন রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় ছোট ছোট উদ্যোগও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড’- এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
ভিকারুননিসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্মৃতিচারণও করেন।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের একটি প্রাচীন বৃক্ষকে স্মারকবৃক্ষ হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী রক্ষার বার্তা দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সবুজ ও সুন্দর বাংলাদেশে বসবাস করুক।
তিনি বলেন, একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া, পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার না করতে, অযথা হর্ন না বাজাতে এবং দিনের বেলা ফ্যান-লাইট বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম।
অনুষ্ঠানে অলিম্পিয়াডের থিম সংয়ের ভিডিও চিত্র ও গীতিনাট্য প্রদর্শিত হয়। বন্যপ্রাণী হত্যা না করার শপথ গ্রহণ করানো হয়।
জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে টি-শার্ট, সার্টিফিকেট এবং উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।
প্রতিটি ক্যাটাগরির সেরা প্রতিযোগীদের জন্য ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
এবারের অলিম্পিয়াডে সারা দেশ থেকে অনলাইন ও অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ১ লাখ ৭ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এরপর কয়েক ধাপে জেলা পর্যায়ে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদেরকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অংশীজনের সহযোগিতায় সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ব: পরিবেশ উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের এখনই সময়: পরিবেশ উপদেষ্টা
পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নদী ও খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। এসময়ে যে কাজটা আমরা করতে পারব অন্য সময়ে সে কাজটা অনেক ধীর হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, যমুনা নদীটির প্রকৃতিই এমন যে এটি সব সময় ভাঙ্গা-গড়ার মধ্যে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে গণশুনানি করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন কোন প্রকল্প নেওয়া যাবে তার তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট এবং ক্রসবার-৩ এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বাজেটের তুলনায় নদীর ভাঙ্গনের প্রবণতা এবং ব্যাপকতা অনেক বেশি। আর তাই আগামীতে যে রিসোর্স বা বাজেট এই মন্ত্রণালয় পাবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেসকল জেলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা দরকার সে সকল জেলায় সুষম বণ্টন করা হবে এবং কেউ যেন মনে না করে যে তার এলাকা অবহেলিত থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, নদীতে যেসব নতুন জায়গা জেগে উঠে সেখানে ভূমিহীনদের জায়গা দেওয়া এবং বনায়নের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমাদের সকলকে ভাবা উচিত। নদীতে জেগে ওঠা নতুন জায়গায় শিল্প স্থাপন করতে দেওয়া হলে নদী দূষণ হয়।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গতকালই মন্ত্রণালয়ে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, যে পরিকল্পনাই হোক না কেন বা যে প্রকল্পই হোক না কেন, পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত ঠিকাদারের যা কেনার কথা তা সে কিনছে কিনা, প্রকল্পে যত টাকা লাগার কথা আদৌ তত টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে, নাকি বেশি বাজেট দেওয়া হয়েছে, যে মানের জিনিস দেওয়ার কথা সে মানের জিনিস দেওয়া হচ্ছে কিনা এগুলো নিশ্চিত করার জন্য গতকালই কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার একজন ব্যক্তি বা একজন শিক্ষার্থীকে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। আর কমিটির প্রধান হবেন সরকারের বাইরের একজন ব্যক্তি।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ‘লৌহজং নদীর ভাঙন হতে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের আওতাধীন কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমসসহ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও যুবকদের অংশগ্রহণে ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একসঙ্গে ৬৪ জেলায় ৬৪টি খাল/জলাশয় পরিচ্ছন্নকরণ ও দূষণমুক্তকরণ অভিযান শুরু হয়েছে যা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইল সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমানসহ টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অংশীজনের সহযোগিতায় সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ব: পরিবেশ উপদেষ্টা
আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী-খাল দেখাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
অংশীজনের সহযোগিতায় সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ব: পরিবেশ উপদেষ্টা
পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকার সকল অংশীজনের সহযোগিতায় ২০৪০ সালের মধ্যে সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছে।
সিসা দূষণের উৎস শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ‘সিসামুক্ত বাংলাদেশ: আমরা কীভাবে পৌঁছাব?’ জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় পরিবেশ উপদেষ্টা সিসা এবং ভারী ধাতু দূষণকে ‘নীরব সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সিসা দূষণের জাতীয় পর্যায়ের তথ্যসমূহ কার্যকর নীতিমালা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি ইউনিসেফ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং দূষণ প্রতিরোধে সমন্বিত, তথ্যভিত্তিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী-খাল দেখাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল ভারী ধাতু দূষণের স্বাস্থ্যগত প্রভাব, বিশেষত শিশুদের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের একত্রিত করে।
কর্মশালায় উপস্থাপিত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের শিশুদের রক্তে উদ্বেগজনক মাত্রায় সিসা রয়েছে এবং এর ঝুঁকি বায়ু, পানি, মাটি, খাদ্য এবং রঙ ও রান্নার পাত্রের মতো ভোক্তা সামগ্রী থেকে হতে পারে।
দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে ভারী ধাতুর দূষণ বেড়েছে, যা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
সম্প্রতি ইউনিসেফের সহযোগিতায় আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআর,বি পরিচালিত এক গবেষণায় ঢাকা, খুলনা ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় শিশুদের রক্তে সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এই সংকটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ইউনিসেফ ও ইউএসএআইডির সহযোগিতায় আসন্ন এমআইসিএস ২০২৪-২০২৫ জরিপে রক্তের সিসার মাত্রা অন্তর্ভুক্ত করেছে যা নীতি প্রণয়নে সহায়ক তথ্য প্রদান করবে।
ইউনিসেফ একটি শক্তিশালী বহু-খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার আহ্বান জানিয়ে গবেষণাগারে ভারী ধাতুর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছে।
ইউনিসেফসহ বিভিন্ন অংশীদারদের সহায়তায় ‘সিসামুক্ত ভবিষ্যৎ’ উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে শিশুদের সিসা দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
এসময় বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স, ইউএসএআইডির মিশন পরিচালক রিড আইশ্লিম্যান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।
এদিকে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রির দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক সমগ্র দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ১৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানাসহ আনুমানিক ৪ হাজার ৪৪ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণ বিরোধী এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী-খাল দেখাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে দূষণমুক্ত নদী দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, এই প্রজন্ম পরিষ্কার নদী ও পরিষ্কার খাল দেখে নাই। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি। তাই নদীর জন্য মন খারাপ করি।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকায় রামপুরা-জিরানী খাল পরিচ্ছন্ন অভিযান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি এই প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা পরিষ্কার নদী দেখেননি। নদী পরিষ্কার হলে মানুষের কত কাজে লাগে এটা আপনারা জানেন না।
এর আগে রামপুরা ত্রিমোহিনী ঈদগাহ মাঠে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রামপুরা-জিরানী খাল পরিচ্ছন্ন অভিযানের উদ্বোধন করেন। এরমধ্য দিয়ে সারা দেশে একযোগে ৬৪ জেলায় ৬৪টি চিহ্নিত খাল/জলাশয় পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আজকে আপনাদের হাত দিয়ে যে খালটা পরিষ্কার হবে, এই খালটা যেন আগামীতেও পরিষ্কার থাকে। আগামী দিনের নেতা হিসেবে এ দায়িত্বটা কিন্তু আপনাদেরকে নিতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আজকে সারাদেশে ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ৬৪টি খাল-জলাশয় পরিচ্ছন্নকরণ অভিযানের ধারণাটি এসেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এবং এটাই হচ্ছে যুবকদের শক্তি। আজকে এই খাল পরিচ্ছন্নকরণ অভিযানে অংশ নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ডিএসসিসিসহ অনেকেই।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যারা বলেন সরকারের মধ্যে সমন্বয় নেই, কো-অর্ডিনেশন নেই, আমরা কিন্তু তা আস্তে আস্তে ভুল প্রমাণ করেছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকের এই খাল পরিচ্ছন্নকরণ অভিযান অত্যন্ত সুসমন্বয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এটাই তার বড় প্রমাণ।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে ৬৪ জেলায় ৬৪টি খাল পরিষ্কার করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এটা আজকে থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। এটা এখানেই শেষ করে দেব না, আমরা প্রত্যেকটি খালকেন্দ্রিক স্থানীয় পর্যায়ে একটি করে কমিটি করে দেব। কমিটিতে যারা থাকবেন তারা দেখবে যে খালটা কারা আবার নোংরা করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, খালের আশেপাশে যারা বাসা-বাড়ি ও দোকান-পাটের মালিক, যারা মনে করেন খালটাই হচ্ছে আপনাদের সম্পত্তি এবং এটা নোংরা করার আপনাদের অধিকার, তাহলে যুব সম্প্রদায় আপনাদেরকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে এই জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করার অধিকার আপনাদের নাই।
স্বাগত বক্তব্য দেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান।
উল্লেখ্য যে, ঢাকায় শনিবার থেকে শুরু হওয়া হওয়া খাল পরিচ্ছন্নকরণ অভিযানে জিরানী খালের ১৪টি স্পটে বিডি ক্লিন-সি এর ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবী এবং নোঙ্গর বাংলাদেশের ২০০ স্বেচ্ছাসেবীসহ মোট ৭০০ স্বেচ্ছাসেবী এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া, রামপুরা খালের পরিচ্ছন্ন অভিযানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন যুব সংগঠনের যুবকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছে।
রামপুরা-জিরানী খাল পরিচ্ছন্নকরণ অভিযানে স্বেচ্ছাসেবী ও যুব সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন, ডিএসসিসি, বিআইডব্লিউটিএ, ডব্লিউএআরপিও, বিডব্লিউডিবি, বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, প্রশিক্ষণার্থী, আত্মকর্মী-উদ্যোক্তা ছাত্র-যুব ও জনগণের অংশগ্রহণে এ পরিচ্ছন্নকরণ অভিযান। বিশ্ব ব্যাংকের আওতাধীন ডব্লিওআরজি-২০৩০ প্রতিষ্ঠানটি খাল পরিচ্ছন্নকরণ অভিযানের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন অফিস মেডিকেল টিম দিয়ে খাল পরিচ্ছনকরণ অভিযানে সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন বন্ধে কঠোর মনিটরিং হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন সাইটিস অনুযায়ী বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে তার অফিসে অনুষ্ঠিত এক পরামর্শ সভায় এ কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সাইটিসের অনুশাসন মেনে প্রজাতি সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী বাণিজ্য রোধে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
সাইটিস তালিকাভুক্ত প্রজাতিগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও বিশেষত প্রজাতি চিহ্নিতকরণ ও সঠিক প্রক্রিয়ায় পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, সাইটিস তালিকাভুক্ত প্রজাতির সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বন্যপ্রাণী অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চায় বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।
সভায় বাংলাদেশে সাইটিস বাস্তবায়ন জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিশেষভাবে আইন সংশোধন, চলমান উদ্যোগগুলোকে সমর্থন এবং বাস্তবায়ন ব্যবস্থাগুলোকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
সভায় ছিলেন প্রধান বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক, বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক ও মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: যেকোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান
৩ সপ্তাহ আগে
১ নভেম্বর থেকে পলিথিন বন্ধে কঠোর মনিটরিং হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে কঠোর মনিটরিং করা হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।
আরও পড়ুন: আবারও আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে নৌবাহিনী-বিমানবাহিনী: প্রধান উপদেষ্টা
রবিবার (২৭ অক্টোবর) পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু পলিথিনের ব্যাগ বন্ধ করা হচ্ছে। তাছাড়া কোনো সুপারশপ পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, মানুষ যদি পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে, তাহলে উৎপাদনও বন্ধ হবে। এজন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে।
তিনি বলেন, পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব বুঝে মানুষ যেন এটি থেকে সরে আসে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এসময় বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পাটের ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করা হবে।
উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়নি: রিজওয়ানা হাসান
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে ইউএসএআইডি ১৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে ইউএসএআইডি ১৫ মিলিয়ন ডলার দেবে বলে ঘোষণা করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এই অনুদান ইউএসএআইডির ক্লিমঅ্যাক্ট প্রকল্পের আওতায় ব্যবহৃত হবে। যা বাংলাদেশে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল পথ অনুসরণে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ও জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি মূলত ৩টি ক্ষেত্রের ওপর গুরুত্ব দেবে। সেগুলো হলো- নীতি ও পরিকল্পনা, অর্থায়ন প্রাপ্তি এবং জলবায়ু কার্যক্রমের শাসন ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইউএসএআইডির পরিচালক জোসেফ লেসার্ডের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করার পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বৈঠকে ক্লিমঅ্যাক্ট প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীলতা ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব বৃদ্ধির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ক্লিমঅ্যাক্ট প্রকল্প আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং ইউএসএআইডির এই সহযোগিতা আমাদের দুর্বল জনগোষ্ঠী ও পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে।
তিনি আরও বলেন, ইউএসএআইডির মতো বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াবে, বিশেষ করে বন্যাপ্রবণ, নদীভাঙন ও উপকূলীয় অঞ্চলে।
জোসেফ লেসার্ড বাংলাদেশে পরিবেশগত উদ্যোগে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইউএসএআইডির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জলবায়ুবিষয়ক কার্যক্রমে দেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু সহনশীলতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ ইউএসএআইডির টিম লিডার ব্রনউইন লুয়েলিন, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএ’র ফরেস্ট্রি ও ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট পরিচালক রবার্ট কেনি, উইনরকের পরিবেশ ও শক্তি বিভাগের সহযোগী পরিচালক ফিরাস ট্রাইশ এবং কেটি লাজার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশে সংস্কার আনা হবে: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৪ সপ্তাহ আগে
প্লাস্টিক ও নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ু, শব্দ, প্লাস্টিক এবং নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার উদাহরণ স্থাপন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, জনগণের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইর্মা ভ্যান ডুরেন তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
পলিথিন নিষিদ্ধের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনাও হালনাগাদ করা হতে পারে।
সাক্ষাতে পরিবেশ সংরক্ষণ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সহযোগিতা শক্তিশালী করার ওপর আলোচনা হয়।
উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত অবনতি মোকাবিলায় চলমান উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় পরিবেশ উপদেষ্টা পরিবেশ সংরক্ষণ বিশেষ করে নদী রক্ষায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নদীগুলো আমাদের জীববৈচিত্র্যের মূলভিত্তি। যেকোনো টেকসই পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
রাষ্ট্রদূত ইর্মা ভ্যান ডুরেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে সহায়তায় নেদারল্যান্ডসের প্রস্তুতির কথা জানান।
উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ সচিব, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এবং দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে পরিবেশ সংরক্ষণ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করে বৈঠক শেষ করেন।
পানি ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতা ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারকে সহযোগিতার শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি দমনে ডিজিটাইজেশনকে গুরুত্ব দিতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
৪ সপ্তাহ আগে
জলবায়ু অর্থায়নকে ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো একদিকে পরিবেশগত অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি এবং জলবায়ু অর্থায়নকে অবশ্যই ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত, শোষণের নয়।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ‘জলবায়ু অর্থায়নে ন্যায়বিচার: বাংলাদেশ ও অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু ঋণের ফাঁদের ঝুঁকি’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন।
জলবায়ু অর্থায়ন ব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি। যাতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো ঋণের ফাঁদে না পড়ে।
আরও পড়ুন: পলিথিন ব্যাগমুক্ত বাজারকে পুরস্কার দেওয়া হবে: উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন অবশ্যই ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে হবে। যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের ওপর অযৌক্তিক ঋণের বোঝা চাপানো না হয়, যাদের জলবায়ু সংকট তৈরিতে কোনো ভূমিকা নেই।
অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুধু ঋণ নয়, অনুদানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
এসময় উপদেষ্টা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোর ঐতিহাসিক দায়িত্ব মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোকে দায়িত্ব গ্রহণ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান যাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকট প্রকট না হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে জলবায়ু অর্থায়নের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। সংলাপে বাংলাদেশসহ অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নের কারণে ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে, এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ছিলেন- নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (ন্যাকম) নির্বাহী পরিচালক ড. মনজুরুল হান্নান খান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের (বিসিসিটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জাকির হোসেন খান।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন-প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সঙ্গত হতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
১ মাস আগে
স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শক্তিশালী করতে আমাদের কয়েকটি অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার ২০২৪ সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগে খাবার বহন ও প্লাস্টিকের কাপে গরম পানীয় নেওয়া বন্ধ করতে হবে। মাস্ক পরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং ঠিকমতো ঘুমাতে হবে। এছাড়া অভ্যাস বদলাতে পারলে রোগ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, নাগরিকরা সুস্থ না থাকলে জাতিও সুস্থ হতে পারে না। যক্ষা এখন বড় সমস্যা নয়, তবে আমাদের সচেতন হতে হবে। জ্ঞান বাড়লে শক্তি আসে। এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, ইউএসএআইডির টিম লিড সামিনা চৌধুরী, আইসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির এবং আইসিডিডিআর,বি -এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী সায়েরা বানু।
অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার, সনদপত্র ও ট্রফি প্রদান করা হয়।
ইউএসএআইডির সহযোগিতায় আইসিডিডিআর,বি এবং প্রথম আলো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, যেখানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৫০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: হাতি সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নেবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
১ মাস আগে