উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত ঠিক হয়ে যায়, জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়, এছাড়া আমরা যেহেতু একটি জরুরি পরিস্থিতিতে আছি, দেশ পুনর্গঠন করা লাগছে, সেহেতেু সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ রিফর্ম (সংস্কার) করে আরও শক্তিশালী ও আস্থার জায়গায় নিয়ে এসে তাদের মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের গুজব সেল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি।’
আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
একটি ফ্যাক্টচেকিং সেল করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে এই ধরনের গুজবের সত্যাসত্য যাচাই করে মানুষের কাছে সত্য তুলে ধরা যায়, মানুষ যাতে গুজব ও মিথ্যায় প্রভাবিত না হয়, সেজন্য আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে ভাবছি।’
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘মামলাগুলো সরকার করছে না, জনগণের জায়গা থেকে করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি ও আশ্বস্ত করেছি যে এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করা হবে। অভিযোগ না থাকলে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার প্রেস ক্লাব ও সচিবালয় সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে বসেছি। আমি বলেছি, যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় থাকে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের তার বিষয়ে বিস্তারিত পাঠাবেন। এছাড়া যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বৈধতা উৎপাদনে কাজ করেছেন লেখনি ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করেছেন, গণহত্যার পক্ষে কাজ করেছেন, উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড
সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই আপদকালীন সিনেমার জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপদকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছিলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৩ সালে যেহেতু একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে, সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সেই আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন করব।'
আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের যে আইন রয়েছে সেটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। সেই আইনটিও নানান অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করব। সে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। যেহেতু বেশকিছু সংখ্যক সিনেমা ঝুলে রয়েছে সেগুলোকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্যই সার্টিফিকেশন বোর্ড সেটি পুনর্গঠন করা হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে একটা সার্টিফিকেশন বোর্ড করব, সেন্সরবোর্ডকে পুনর্গঠন করে।
কেন এটি পরিবর্তন করতে হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের যারা আছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। তাদের এক ধরনের কার্যক্রমের জন্যই কিন্তু সার্টিফিকেশন আইনের কথা ভাবা হয়েছিল বিগত সময়ে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা ছবি পরিচালনার কাজগুলো চলমান রাখব।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সব শহীদের স্মরণে স্মরণসভা আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, স্মরণ সভায় শহীদ পরিবারকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
তিনি বলেন, স্মরণ সভায় বাংলা ব্লকেড, কমপ্লিট শাটডাউন ও লং মার্চ টু ঢাকা- এই তিনটি বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। কারণ শব্দগুলো গণআন্দোলনে টনিক হিসেবে কাজ করেছে। স্মরণসভাকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে যেন তা জুলাই গণআন্দোলনের আবহ তৈরি করে।
এ আয়োজনের জন্য বিভিন্ন ডিজাইন নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক।
উল্লেখ্য, স্মরণসভায় ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এসময় সভায় ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
নতুন এমডি পেল মেট্রোরেলের অপারেটর ডিএমটিসিএল