১৫ দফা প্রস্তাব পেশ
উচ্চশিক্ষা সংস্কারে ১৫ দফা প্রস্তাব পেশ ঢাবি শিক্ষক সমাজের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ধরনের অনিয়ম দূর করে উচ্চশিক্ষা সংস্কারে মোট ১৫টি প্রস্তাব পেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ।
রবিবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাৎকালে ঢাবি শিক্ষকসমাজের প্রতিনিধি দল এ প্রস্তাব পেশ করেন।
প্রতিনিধিদলের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম প্রস্তাবসমূহ পাঠ করে শোনান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ঢাবির কলা ও চারুকলা অনুষদের ডিনদের পদত্যাগ
এসময় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনসহ ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবগুলোর মধ্য রয়েছে- উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দলীয়করণ ও দুর্নীতি রোধ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণাখাতে ইউজিসির বরাদ্দ দেওয়া অর্থের পরিমাণ বাড়ানো এবং তা আমলাতান্ত্রিকতা ও অনিয়ম দূর করতে, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথ গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ শিক্ষক সমাজের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ইউজিসি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলেও তিনি প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন।
এছাড়াও, ইউজিসি চেয়ারম্যান গবেষণা প্রকল্পের মূল্যায়নে কোনো প্রকার অস্বচ্ছতা থাকলে তা নিরসন এবং গবেষণার অর্থ দ্রুত ছাড়করণের প্রতিশ্রুতিও দেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্ব-উদ্যোগে শিক্ষকসমাজের সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ইউজিসি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে। তিনি উচ্চশিক্ষা সংস্কারে ইউজিসির সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথাও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। ইউজিসির ক্ষমতায়ন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পর 'শহীদি মার্চে' যোগ দিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার ঢল
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হতে হবে যা পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা বলবে এবং সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। তিনি উচ্চশিক্ষায় গবেষণাকে মূলধারায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ালে এবং অবকাঠামোগত কিছু সংস্কার করা হলে সেখান থেকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা সমৃদ্ধি সম্ভব হবে।
তারা গবেষণায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ১০০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে আনুষ্ঠানিকভাবে 'ইউজিসি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করার প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষকদের জন্যও 'ইউজিসি পিএইচডি রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড' চালু করা যেতে পারে বলেও তারা মত প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসমাজের প্রতিনিধিরা হলেন- অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন, অধ্যাপক ড. অতনু রব্বানী, ড. মো. আহসান হাবীব, অধ্যাপক ঈশানী চক্রবর্তী, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম এবং অধ্যাপক সংগীতা আহমেদ।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
২ মাস আগে