পুনর্গঠিত
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠিত হতে পারে: চিফ প্রসিকিউটর
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
রবিবার দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে চিফ প্রসিকিউটর বেলা ১১টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান। পরিদর্শন শেষে দুপুর ২টার পর হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে ব্রিফিং করেন তিনি। এ সময় প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগরের নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক
ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে গত সপ্তাহে আইন উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে।...উনি (আইন উপদেষ্টা) আশ্বস্ত করেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভবত পুনর্গঠন (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) হবে। আদালত পুনর্গঠিত হলে বিচারের যে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, সেটি শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমের কার্যক্রম চলমান থাকলেও ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি না থাকায় বিচার কার্যক্রম থমকে আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার গত ১৩ জুলাই অবসরে গেছেন। অন্য এক সদস্য বিচারপতি হাইকোর্টে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে কোনো বিচারপতি নেই। নতুন বিচারপতি নিয়োগের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে।
বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর সময়কাঠামো (টাইম ফ্রেম) প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত এখনো গঠিত হয়নি।...ছয়জনমাত্র তদন্তকারী কর্মকর্তা এখন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।...প্রসিকিউশনে ২০ থেকে ২৫ জন প্রসিকিউটর দরকার। আমরা মাত্র এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি, চারজন যোগদান করেছেন।…এর বাইরে তথ্যপ্রমাণ (এভিডেন্স) সংগ্রহের ব্যাপার রয়েছে।’ তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর সময়কাঠামো নিয়ে এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা যায় না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরসহ ১৩ জন প্রসিকিউটর একযোগে পদত্যাগ করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের প্রসিকিউশন টিম গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রণালয়। এ টিমের সদস্য সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ১০ জন কর্মকর্তা ছিলেন। এর মধ্যে ৪ জন ছিলেন চুক্তিভিত্তিক। সরকার পরিবর্তনের পর তাদের চুক্তি বাতিল হয়। বর্তমানে ৬ জন তদন্ত কর্মকর্তা আছেন। যারা গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত করছেন। জানা গেছে, শিগগির তদন্ত সংস্থায় আরও কয়েকজন তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন: চিফ প্রসিকিউটর
২ মাস আগে