সার্টিফিকেশন বোর্ড
শুক্রবার পেক্ষাগৃহে আসছে ‘ভয়াল’
সার্টিফিকেশন বোর্ড চালু হওয়ার পর দেশের প্রথম প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমা হিসেবে এ গ্রেডে ছাড়পত্র পেয়েছে ‘ভয়াল’। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) প্রেক্ষাগৃহে অসছে সিনেমাটি।
সিনেমাটির ডিস্ট্রিবিউটর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভয়াল সিনেমা পরিচালনা করেছেন বিপ্লব হায়দার। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান। অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শওকত সজল। সিনেমাটিতে কামাল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূতের গল্পে পর্দায় আসছেন সত্যম, সন্দীপ্তা ও সুহত্র
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নেতিবাচক একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। কামাল সমাজের একজন খারাপ লোক। চোরাকারবারী, নারী লোভী ও অসৎ এক লোক। কমেডি ধাঁচের চরিত্রও বলতে পারেন। দর্শকের ভালো লাগার মতো এই চরিত্র। যখন কাজটির প্রস্তাব পাই তখন ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল নির্মাতার। তাকে বলেছিলাম গল্পটি ভালো। এটি সিনেমা হতে পারে। শুরুতে প্রযোজক রাজি না হলেও পরে রাজি হন। সিনেমাটি নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী।’
সিনেক্রাফট ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত ‘ভয়াল’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন তরুণ প্রযোজক আশিকুর রহমান। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, আইশা খান, গোলাম ফরিদা ছন্দা, লুৎফর রহমান জর্জ, ম্যাক বাদশা, পারভেজ সুমন, ইকবাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: 'বাঘি ৪'র ফার্স্ট লুকে টাইগার শ্রফ
৩ সপ্তাহ আগে
সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড
সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ দুই কমিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। সেন্সর বোর্ড নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছি। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের আইনের গেজেট হয়েছিল, সেই গেজেটের বিধিমালা তৈরি হয়নি এখন পর্যন্ত। বিগত সময়েও যে সেন্সর বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল সেটিও কিন্তু ১৯৬৩ সালের যে আইন সে আইন অনুযায়ী করা হয়েছিল। যেহেতু গেজেটের বিধিমালা ছিল না। সেই ধারাবাহিকতায় সেটিকে অনুসরণ করেই আপদকালীন সিনেমার জগতে যেন আর্থিক ক্ষতি না আসে সেজন্য আপদকালীন একটা সেন্সর বোর্ড তৈরি করেছিলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০২৩ সালে যেহেতু একটি আইনের গেজেট হয়ে গেছে, সেটি পর্যালোচনা করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সেন্সর যে শব্দটি সেটিকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের যে ২০২৩ সালের আইন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন সেই আইন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে সার্টিফিকেশন বোর্ডটাকে পুনর্গঠন করব।'
আরও পড়ুন: জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের যে আইন রয়েছে সেটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ, সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে। সেই আইনটিও নানান অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধনের জন্য আমরা কাজ করব। সে প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে। যেহেতু বেশকিছু সংখ্যক সিনেমা ঝুলে রয়েছে সেগুলোকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্যই সার্টিফিকেশন বোর্ড সেটি পুনর্গঠন করা হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন অনুযায়ী সার্টিফিকেশন বোর্ড করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে একটা সার্টিফিকেশন বোর্ড করব, সেন্সরবোর্ডকে পুনর্গঠন করে।
কেন এটি পরিবর্তন করতে হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের যারা আছেন তারা দীর্ঘদিন ধরে সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। তাদের এক ধরনের কার্যক্রমের জন্যই কিন্তু সার্টিফিকেশন আইনের কথা ভাবা হয়েছিল বিগত সময়ে। নতুন আইন অনুযায়ী আমরা ছবি পরিচালনার কাজগুলো চলমান রাখব।
আরও পড়ুন: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্মান জানাবে সরকার: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
৩ মাস আগে