লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের শাহাদতবার্ষিকী ও ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যার পর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানে আমাদের কোনো কর্মচারী বা বাহিনীর কেউ যদি গাফিলতি করে, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তা সে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার বা কারা অধিদপ্তরের হোক, যারা ঠিকমতো কাজ করবে না; তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’আরও পড়ুন: ১৬ বছর পর জামিনে মুক্ত তিন শতাধিক বিডিআর সদস্য
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারগুলোর দুটি মূল দাবি ছিল। একটি বিচারের দাবি আরেকটি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করা। সরকার এরইমধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করেছে এবং এবারই প্রথমবারের মতো জাতীয় শহীদ সেনা দিবস পালিত হচ্ছে।
‘বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত দেশি- বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার উদঘাটন এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় স্বাধীন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
উপদেষ্টা এসময় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এর আগে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক এবং শহীদ পরিবারের স্বজনরা।
২৬ দিন আগে
সীমান্তে আরও বেশি বিজিবি মোতায়েনের পরামর্শ ডিসিদের
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘সীমান্ত এলাকায় আরও বেশি হারে বিজিবি মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)। এছাড়া নৌপথের নিরাপত্তা বাড়াতেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কার্য অধিবেশনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও কৃষির উন্নয়ন নিয়ে মূলত কথা হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা সীমান্ত এলাকায় আরও বেশি হারে বিজিবি মোতায়েন, নৌপথের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে নৌপুলিশ বৃদ্ধি করার কথা বলেছেন। তাছাড়া তারা গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকা ও শিল্প পুলিশের জনবল বৃদ্ধির কথা বলেছেন। আমরা বিষয়সমূহ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি ও বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছি।’
‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক কিন্তু এটাকে আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে আরও উন্নতি ঘটে, সেজন্য সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করা হচ্ছে,’ বলেন জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: যুবকদের সার্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব ডিসিদের
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটিকে সমূলে বিনষ্ট করতে না পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হবে না। সব লেভেল থেকে দুর্নীতি কমাতে হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য-অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বিপিএম-সহ স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা।
৩৩ দিন আগে
ফ্যাসিবাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুষ্কৃতিকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে; কিন্তু তাদের দোসররা দেশে বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী এসব অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্টে নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মাহাবুবুর রহমান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও সুপ্রিমকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপারেশন ডেভিল হান্টের সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকি করছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত জয়েন্ট অপারেশন সেন্টারের মাধ্যমে অপারেশন ডেভিল হান্টের সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনায় সমন্বয় করছেন।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী, নরহত্যায় জড়িত বিশেষ হেলমেট বাহিনী, ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা, অর্থ পাচারকারী, লুণ্ঠনকারী, ষড়যন্ত্রকারী, দুষ্কৃতকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দুদকের মামলায় আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পুলিশ বাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনি প্রক্রিয়ায় এসকল অপরাধীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রেফতার করেছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছি। তারা আইনশৃঙ্খলা, বিচারব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ রাষ্ট্রের এমন কোনো কাঠামো নেই যেটা ধ্বংস করেনি। আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশ—রাষ্ট্রের এ চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবেন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
তিনি বলেন, পুলিশ ও আদালত ফাংশনাল হলে মবতন্ত্র কমে যাবে। মানুষ দেখতে চায় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে কাজ করছে তথা রাষ্ট্রের প্রকৃত অস্তিত্ব রয়েছে।
তিনি এসময় বিচারকদের হুটহাট করে জামিন না দেওয়া এবং জামিনের যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত না করার আহ্বান জানান।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শতশত গুম ও হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্রের কাঠামোকে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়।আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীরা ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের’ টার্গেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষকে মুক্তি দেওয়া তথা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছে। সেজন্য পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ নানা সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।
‘মৌলিক মানবাধিকার নীতিকে মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে এবং আদালতকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে হবে।’
কর্মশালায় ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির সব ম্যাজিস্ট্রেট, সব পাবলিক প্রসিকিউটর, ঢাকা ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সব জোনাল উপপুলিশ কমিশনার ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
৪০ দিন আগে
রক্ত ঝরলেও সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রক্ত ঝরলেও দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁওয়ের ভূমি ভবনে বিসিএস ক্যাডার ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কর্মকর্তাদের সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করতে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। রক্ত ঝরলেও সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে। আমাদের পাশে এখন জনগণ আছে। সীমন্তের নিরাপত্তা নিয়ে আগে কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখন সেটা করা হচ্ছে বলেই সমস্যা সামনে আসছে।’
‘বর্ডারে ঝামেলা হচ্ছে। তবে বিজিবি সবসময় সতর্ক রয়েছে। সীমান্ত সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত। সীমান্তে ওপারের কেউ আসতে পারবে না। রক্ত ঝরবে, কিন্তু সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে।’
এ সময়ে উপদেষ্টাদের নামে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে চাইলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। বলেন, ‘চাকরি হারানোর ভয় না থাকলে সিভিল সার্ভিস কর্মীরা সেবাদানে অনীহা দেখায়। শৃঙ্খলা থাকলে ক্যাডারদের মধ্যে রাজনীতি থাকত না।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাদুর্নীতিকে বাংলাদেশের একটি প্রধান সমস্যা আখ্যায়িত করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, ‘এটি না কমলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না।’চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে হামলা ও উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘটনার সূত্রপাত জমির ধান ও গাছকাটা কেন্দ্র করে। এতে দুপক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর কিছু ঘটেনি। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ আলোচনায় সমাধান হয়ে গেছে।’
এর আগে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) শিবগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সামনেই বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করছে ভারতীয় নাগরিকরা। ওপার থেকে টিয়ারশেল ছুড়তেও দেখা গেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল বিজিবি।
স্থানীয় বাংলাদেশিদের অভিযোগ, সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয়রা। ফলে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এ সময় দুই দেশের নাগরিকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে কুশপুতুল পুড়িয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিউপস্থিত কয়েকজন বলেন, বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ করেই কাঁটাতারের বেড়ার পাশে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা একাধিক ককটেল ফাটান। পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন বিএসএফ সদস্যরা।
৬৩ দিন আগে
কঠোর হয়ে ছাত্রদের দমন করতে চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘কলেজের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে, এজন্য আমদের শিক্ষকরা রয়েছেন। তাই রাস্তা ব্লক করার প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তা ব্লক না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে দাবি জানাতে পারে, তাদের প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলাপ করতে পারে।’
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কলেজের সমস্যা নিয়ে ছাত্র প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করতে পারে। আমরা কঠোর হয়ে ছাত্রদের দমন করতে চাই না, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
‘যারা আন্দোলন করছে তারা আমারই ভাই। তাহলে কার ওপর কঠোর হব?’
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাওরের কৃষি নিয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষিপণ্যে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন কিনা সেটা দেখার বিষয়। এছাড়া কোনো মধ্যস্বত্তভোগী যাতে সুবিধা নিতে না পারে সেটিও দেখতে হবে।’
এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সুনামগঞ্জের ও হাওরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। তাই বোরো ফসল অকাল বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে বাঁধের কাজে সব অনিয়ম দূর করে যথাসময়ে কাজ শুরু ও শেষ করতে হবে।’
হাওরে নিয়ন্ত্রিত পর্যটন ব্যবসা গড়ে তুলে সবাইকে পরিবেশের বিষয়ে সচেতন থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার, আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান, সুনামগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমন দোজ্জা, কবি নজরুল সরকারি কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক তানভীর ইসলাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পুলিশ বাহিনীর নিজেদের প্রমাণ করার এখনই সময়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১১৭ দিন আগে
বিজয় দিবস ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন বিজয় দিবস ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতা বা নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী৷
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি৷
উপদেষ্টা বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস৷ বিজয় দিবস যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি এবং কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে এজন্যই আজকের এই সভা৷
আরও পড়ুন: পুলিশ বাহিনীর নিজেদের প্রমাণ করার এখনই সময়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না৷ এদিন যারা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন তাদের সুবিধার্থে রাস্তায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক বাহিনী কাজ করবে৷ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে৷’
সব জায়গায় একই রঙ্গের পতাকা উত্তোলন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সময় দেখেছি একেক জায়গায় একেক রঙের পতাকা টানানো হয়৷ এইটা যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে৷ সব জায়গায় একই রঙের পতাকা টানানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভালোভাবে আলোকসজ্জা করা হবে৷’
আরও পড়ুন: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১২৫ দিন আগে
বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আপনারা দেখেছেন কারা নিরাপত্তা ভঙ্গ করার চেষ্টা করে। যারা নিরাপত্তা ভঙ্গ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কিছু লোক আছে তাদের চেষ্টা থাকে পরিস্থিতি যেন খারাপ থাকে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
বুধবার (৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের নেতাদের বলেছি আনন্দঘন পরিবেশে আপনারা অনুষ্ঠান করতে পারবেন। আপনারা যে ধরনের সহযোগিতা চাইবেন করব এবং যে কোনো ধরনের সহযোগিতা আপনাদের দেব।
উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য জেলার বিষয়টি আলোচনা হয়নি। তাদের ভেতরে কী আছে এখন পর্যন্ত জানি না। বিষয়টি আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। পাহাড়ে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। সেখানে ভালো নিরাপত্তা আছে।
দুর্গাপূজা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পূজা দেখার জন্য গাজীপুর গিয়েছি। সুন্দর পরিবেশ দেখেছি। এবরের পূজাটা ভালোভাবে হবে। কোথাও কোনো খারাপ পরিবেশ হলে সেটাতো আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে বলে জানা নেই। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেটার প্রতিকারে ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলার অবনতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৬৫ দিন আগে
অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪০তম বিসিএস (আনসার) ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ২৫তম ব্যাচ (পুরুষ) রিক্রুট সিপাহীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তার সংখ্যা কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা কাজে ফিরে আসেননি, তাদের ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আইনি উভয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এসব কর্মকর্তার অধিকাংশই অসদাচরণের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত ১৮৭ পুলিশ কর্মকর্তা
মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, ১ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮৭ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত।
এর মধ্যে একজন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সাতজন অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি), দুজন পুলিশ সুপার (এসপি) এবং অন্যান্য পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।
এই অনুপস্থিতদের মধ্যে ৯৬ জন বর্ধিত ছুটিতে, ৪৯ জন ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত, তিনজন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন এবং ৩৯ জন অন্যান্য কারণে অনুপস্থিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নৌপথে পণ্যের চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডদের সতর্ক থাকার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
১৮৬ দিন আগে