স্ত্রী ও প্রেমিক
হযরত আলী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রেমের সম্পর্কের জেরে হযরত আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- নিহত হযরত আলীর স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলী। নিহত হযরত আলী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বাসিন্দা ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজিবাইক চালককে হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, হযরত আলী সাবিনা খাতুনকে নিয়ে সংসার করাকালে লিয়াকত আলীর সঙ্গে সাবিনা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হযরত আলী তার ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুজনকেই গালমন্দ করেন। এরপর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে লিয়াকত ও সাবিনা খাতুন মিলে হযরত আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
২০২১ সালের ২৯ আগস্ট হযরত আলী হালুয়াঘাট থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ি যাওয়ার পথে সাবিনা খাতুন ফোন করে হযরত আলীর অবস্থান জেনে নেন। পরে লিয়াকত আলী কৌশলে হযরত আলীকে হালুয়াঘাট পশ্চিম কুতিকুড়া আঁতলা বিলের সামনে নিয়ে যান। সেখানে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হযরত আলীর গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন লিয়াকত আলী।
ঘটনাটি ফোন করে সাবিনা খাতুনকে অবহিত করেন। পরে দুজনে মিলে লিয়াকত আলী আবাদি জমিতে হযরত আলীর মরদেহ পুঁতে রাখেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু নাসের বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় হত্যা মামলা করলে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সেনাসদস্য হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
৫ দিন আগে
স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় দেন কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে একজনের মৃত্যুদণ্ড
রায়ের সময় প্রত্যেক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিরা হলেন, ভৈরবের চন্ডিবের উত্তর পাড়ার মোছা. রোকসানা আক্তার ও একই গ্রামের আসিফ আহমেদ। আর নিহত স্বামী মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ রেলওয়ে এসএসফিডার পদে কমলাপুরে কর্মরত ছিলেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি রাখাল চন্দ্র দে এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন খুলেজ চন্দ্র নাগ কাজল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহবুবুরকে হত্যা করেন।
পরে ২৮ নভেম্বর নিহতের বড়ভাই বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে এই মামলার রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
২ মাস আগে