মৎস্য উপদেষ্টা
হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
প্রকৃত মৎস্যচাষীদের স্বার্থে হাওরে ইজারা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কোনো হাওরে ইজারা থাকা উচিত নয়; হাওর ওই অঞ্চলের মানুষের অধিকার, আর তা রক্ষা করতে হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯: হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
হাওরের মালিক মূলত কে, উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে হাওরগুলো রয়েছে। যদিও অধিকাংশ হাওর এলাকা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দিয়ে দেওয়া হয়েছে; যারা শুধু ইজারা দিয়ে এখান থেকে রাজস্ব আহরণ করে।’
‘হাওরকে ঘিরে একটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। হাওর অঞ্চলের ২৯ শতাংশ মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন,’ বলেন ফরিদা আখতার।
উপদেষ্টা বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, তাকে বলা হচ্ছে অল ওয়েদার সড়ক। পরে জানা যায় যে, সব ঋতুতেই এই সড়ক সহনশীল। অথচ এই রাস্তা তৈরির মাধ্যমে এরইমধ্যে ওই এলাকার নিদারুণ ক্ষতি হয়ে গেছে।’
‘মাছ ধরার জন্য এরইমধ্যে আমরা কারেন্ট জাল বন্ধ করেছি। কিন্তু বর্তমানে চায়নাদুয়ারী নামক জালে মাছ ধরা হচ্ছে। এগুলো অবশ্যই বন্ধ করা হবে। জাল হবে মৎস্যজীবীদের একটা উপকরণ, অথচ এই জাল হয়ে গেছে একটি অবৈধ জাল। প্রকৃত জেলেরা এসব অবৈধ জাল ব্যবহার করেন না। কিছু মৌসুমী মৎস্যজীবীরা এসব জাল ব্যবহার করা থাকেন,’ যোগ করেন তিনি।
উপদেষ্টা হাওর রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘এর ফলে বিলুপ্ত হওয়া মাছগুলো ফিরে আসতে পারে। সুতরাং জৈবিক ব্যবস্থাপনা হবে হাওর রক্ষার একটা মূল পদক্ষেপ।’
হাওরে অঞ্চলের ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘হাওরের বিল ইজারা প্রায়ই রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাবশালী মহাজনদের হাতে যায়; যার ফলে সাধারণ মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত হয়। মৎস্যজীবী সমিতির নামে হাওর ইজারা নেওয়ার ক্ষেত্রেও নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের সমর্থকরা থাকেন। তাই হাওর বিল লিজ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যাতে প্রকৃত সাধারণ মৎস্যজীবী বা মৎস্যচাষীরা পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর আহ্বায়ক রাশেদা কে. চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, সাবেক সচিব ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
আরও পড়ুন: এখনই ইলিশের কৃত্রিম প্রজননে যেতে চান না মৎস্য উপদেষ্টা
এতে আরো বক্তৃতা করেন বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, হাওর সংস্কৃতি অধ্যয়ন এবং গবেষণা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সজল কান্তি সরকার, মানবাধিকার কর্মী জাকিয়া শিশির, হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. এম মোখলেসুর রহমান। এসময় হাওর অঞ্চলের ভুক্তভোগী আহ্লাদ খান, অঞ্জনা বিশ্বাস, বোরহান উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা বিষয়ে উপস্থাপনা করেন অ্যাসোসিয়েটস ফর ইনোভেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এআইআরডি)-এর পরিচালক আব্দুল হাই চৌধুরী।
১২ দিন আগে
এখনই ইলিশের কৃত্রিম প্রজননে যেতে চান না মৎস্য উপদেষ্টা
এখনই ইলিশের কৃত্রিম প্রজননে যেতে চান না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘যে ১১টা দেশে ইলিশ পাওয়া যায়, তারমধ্যে বাংলাদেশ প্রথম।’
শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় ‘ইলিশ সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রজনন সাফল্য নিরূপণ, জাটকা সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ বিশ্বের মধ্যে এমন একটি সম্পদ, যা বাংলাদেশে আছে। ইলিশের ব্যবস্থাপনা ঠিক মতো করতে পারলে বিশ্বের কাছে তা পরিচয় করিয়ে দেওয়া সম্ভব। তাই ইলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, এখনই আমরা ইলিশের কৃত্রিম প্রজননের যেতে চাই না। কৃত্রিম প্রজনন আমাদের প্রাণিসম্পদের খুব বেশি উপকার করেনি। এটা আমাদের বুঝতে হবে। ইলিশ প্রকৃতি থেকে আসা একটা মাছ, এটা প্রাকৃতিকই রাখা ভালো। একই সঙ্গে জুন মাসের পরে যখন ইলিশ বাজারে আসবে, তখন যেন দামটা ঠিক থাকে তা আমাদের দেখতে হবে।’
‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ততার প্রভাবতো আছেই, সেইসঙ্গে বৃষ্টি হওয়া, না-হওয়ার সঙ্গে ইলিশের ডিম ছাড়ার একটা সম্পর্ক আছে,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি। তাহলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ৯৫ শতাংশ জেলে যদি বন্ধের সময় ইলিশ না ধরেন, তাহলে বাকি কাজটা আমরা করতে পারবো না। জেলারা যেখানে মাছ ধরতে যান, সেখানে দস্যুরা আক্রমণ করে। তাদের চিহ্নিত করে ধরতে হবে। আমরা যে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি, তা যেন জেলেরাই পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে ‘পোল্ট্রি-ভাতে বাঙালি’: মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিএফআরআইয়ের গবেষক ও মৎস্যজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯ দিন আগে
নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের অধিকার সমান: উপদেষ্টা ফরিদা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মানুষ হিসেবে, দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের অধিকার সমান। এখানে কোনো মানুষের অধিকার আলাদা হতে পারে না। এ কথা বলার জন্য পরিবেশ পেয়েছি, কারণ এ প্রজন্ম কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয় তা আমাদের শিখিয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর মিরপুরে শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে বিঝু, বৈসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান, বিষু মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ মেলাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীরা দেখিয়েছেন কীভাবে সংস্কৃতি ধরে রাখতে হয়। কিন্তু আমরা একদিকে সংস্কৃতির কথা বলছি, অন্যদিকে বার্গার, স্যান্ডুইচ ছাড়া খাচ্ছি না। এর ফলে আমরা নিজেদের খাদ্য ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছি। আপনারা নিজেদের খাদ্য রক্ষা করে চলছেন। এত গুণ, প্রতিভা ও ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জাতি হিসেবে আপনারা কেন পিছিয়ে থাকবেন? আপনাদের পিছিয়ে থাকার জন্য বৈষম্যভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র ও চিন্তাভাবনাই দায়ী ছিল।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ করে আমরা নিজেদের মূখ্য করেছি; অন্যদের প্রতি অবহেলা- অবিচার করা হয়েছে। সবাই এ দেশের মানুষ, সমান অধিকার নিয়ে সবাই বেঁচে থাকতে চায়। এখানে কোনো প্রকার বৈষম্য হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে জুম নিয়ন্ত্রণ বোর্ড করা হয়েছে। আমরা মনে করি জুম নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং জুম উন্নয়ন বোর্ড কীভাবে করা যায়—তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
২০ দিন আগে
পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
চলতি বছর পহেলা বৈশাখের সময় ইলিশ জাটকা অবস্থায় থাকবে, সে কারণে এ সময় ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ- ২০২৫’ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান উপদেষ্টা। এ সময় জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এ বছর প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘ইলিশের জাটকা যেন নিরাপদে বাড়তে পারে, সেজন্য ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস দেশব্যাপী জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
ইলিশ সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সচেতনতামূলক প্রচারসহ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মুগ্ধকে নিয়ে কথা বললে গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়: ফরিদা আখতার
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান অন্তরায় হচ্ছে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল ব্যবহার। এসব জালের ব্যবহার বন্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বিশেষ চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ সময় পহেলা বৈশাখে পান্থা ইলিশে না খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে যে ইলিশ থাকবে, সেটি জাটকা ইলিশ হিসেবে গণ্য হবে। এটি না খাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।‘
এই উদ্যোগের আওতায় প্রতি বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় নির্ধারণ করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ইলিশসমৃদ্ধ প্রধান প্রধান নদ-নদীতে ছয়টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। এসব অভয়াশ্রমে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশসহ সব প্রকার মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মা ইলিশ এবং জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জীবনধারণের জন্য প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা চাহিদামাফিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: শিল্প রক্ষা করতে হলে শিল্পীকে মর্যাদা দিতে হবে: ফরিদা আখতার
ইলিশসহ উপকলীয় অন্যান্য মৎস্য প্রজাতি ও জলজ জীব রক্ষায় ২০১৯ সালে নিঝুম দ্বীপ ও আশপাশের ৩ হাজার ১৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা (এমপিএ) ‘ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩ এর ৩(১) বিধি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (কাঁকড়া, চিংড়ি ইত্যাদি) নিষিদ্ধ থাকে। এতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে বলে সরকারি তথ্যে জানা গেছে।
২৪ দিন আগে
তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে ‘পোল্ট্রি-ভাতে বাঙালি’: মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্যকে শিল্পে রূপ দিলে এটির মূল চরিত্রই নষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘তরুণেরা মৎস্যখাতে কাজ করার জন্য যে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, এটা অত্যন্ত উৎসাহের বিষয়। মৎস্যকে শিল্প বানালে এর মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে।’
এ সময়ে তরুণ প্রজন্মকে ‘পোল্ট্রি-ভাতে বাঙালি’ বলে আখ্যায়িত করেন উপদেষ্টা। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী ‘ফিসারিজ এন্টারপ্রেনার সামিট-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি বলি। কিন্তু আমাদের তরুণ প্রজন্ম কি মাছে-ভাতে বাঙালি? ওরা কিন্তু পোল্ট্রি-ভাতে বাঙালি হয়ে যায়। অনেক সময় ডিম আর মাংস ছাড়া খেতে চায় না। নতুন প্রজন্মকে মাছ খাওয়াতে হবে।’
‘আন্তর্জাতিকভাবে দেখি, ইন্ড্রাষ্টিয়াল ফুড প্রোডাকশনের যে ক্ষতিকারক দিক রয়েছে, সেটা অনেকভাবে প্রভাবিত করবে। আপনারা শিল্প না লিখে এন্টারপ্রেনার লিখেছেন, খুশি হয়েছি। কারণ এন্টারপ্রেনার অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাচ্চাদের ছোট মাছ খাওয়ানো শিখাতে হবে। মাছের একটা অপরাধ হচ্ছে তাদের কাঁটা আছে। কাঁটার জন্য খাবে না, এটা তো হবে না। কাঁটাসহ মাছ খাওয়া শেখাতে হবে। মাছকে জনপ্রিয় করে তোলবার জন্য কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
‘পানি দূষণ ও জলাশয় ভরাটের কারণে মাছ উৎপাদন ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্যময় মাছ আছে। এর সঙ্গে বৈচিত্র্যময় পরিবেশও আছে। তবে দুঃখের বিষয় আমাদের নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে।’
ফরিদা আখতার বলেন, ‘কৃষিতে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আর এভাবে চলতে থাকলে মাছ টিকবে না। সমস্যাগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন যেন আমরা করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
৬৮ দিন আগে
হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
হাওর রক্ষায় কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে হাওর অঞ্চলে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই বলে মত দেন তিনি।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে ‘বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের সাথে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় পাখি শিকার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরণের শিকার নির্মম, অমানবিক, প্রাণবৈচিত্র্যসহ সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য ক্ষতি।’
আরও পড়ুন: দেশ থেকে সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে: কৃষি সচিব
মৎস্য উপদেষ্টা জানান, বাইক্কা বিল রক্ষার জন্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে। বিদেশি সহায়তা নির্ভর না হয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নিজস্ব অর্থায়নে অবিলম্বে দাদুরিয়া বিল খননের উদ্যোগও গ্রহণ করা হবেও আশ্বাস দেন।
‘সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কাজগুলো অভয়াশ্রম রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিল রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কাঙ্ক্ষিতভাবে অভয়াশ্রম রক্ষায় কাজ করা কঠিন হবে। কালচারাল (নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাছ উৎপাদন) মাছের ওপর নির্ভর করে চলতে চাই না,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ৫ আগস্টে শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের সহায়তায় কাজ করে যাবে।’
এর আগে শ্রীমঙ্গলের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে হিজল গাছ রোপন করেন তিনি।
৮১ দিন আগে
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, 'বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটা (রপ্তানির অনুমোদন) দিয়েছে। তারা একটা অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দিয়েছে। ভারতের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে অনুযায়ী তারা করেছে। তাদের তো আমি জোর করতে পারি না।'
আরও পড়ুন: সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ
তিনি জানান, গতকাল যেটা করেছে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের এখনো সেই কমিটমেন্টটা আগের মতোই আছে, বাংলাদেশের মানুষের ইলিশ প্রাপ্যতা ওযন নিশ্চিত করতে পারি আমরা।
দাম বাড়লে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করবেন কি না- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যদি দাম বাড়ে সে বাড়ার বিষয়ে অবশ্যই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধের দায়িত্ব তো আমার না। আমি আহ্বান জানাতে পারি কিন্তু বন্ধ করতে পারি না।
রপ্তানি বা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
২২১ দিন আগে